hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সালাত আদায়ের পদ্ধতি

লেখকঃ ড. সায়িদ ইবন আলী ইবন ওহাফ আল-কাহতানী

৩. সালাত আদায়কারী ইমাম বা মুনফারেদ যেই হোক, সামনে সুতরা রেখে দাঁড়াবে।
সুবরা ইবন মা‍‘বাদ জুহানি রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

«ليستترْ أحدُكم في الصلاة ولو بسهمٍ»

“তীর বা বর্শা দিয়ে হলেও তোমাদের প্রত্যেকে যেন সালাতে সুতরা কায়েম করে”। [হাকেম: (১/২৫২); তাবরানী ফিল কাবীর: (৭/১১৪), হাদীস নং ৬৫৩৯); আহমদ: (৩/৪০৪); “মাজমাউজ জাওয়াদে” লিল হায়সামী: (২/৫৮)।] আবু জর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

«إذا قام أحدُكم يصلي فإنه يستره إذا كان بين يديه مثل مؤخرة الرَّحل،فإذا لم يكن بين يديه مثل مؤخرة الرحل فإنه يقطع صلاته : الحمار، والمرأة، والكلب الأسود» .

“যখন তোমাদের কেউ সালাত আদায়ের জন্য দণ্ডায়মান হয়, তখন তার সামনে উটের উপর আরোহী ব্যক্তির হেলান দেওয়ার জন্য পিছনে রাখা ঠিকার ন্যায় কোনো কিছু সুতরা হিসেবে রাখাই যথেষ্ট। কারণ, যদি অনুরূপ ঠিকা না থাকে, তাহলে তার সালাত গাধা, নারী ও কালো কুকুর ভঙ্গ করে দিতে পারে”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৫১০।] সুতরার কাছাকাছি দাঁড়াবে ও তার নিকটবর্তী হয়ে সালাত আদায় করবে। আবু সাইদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

«إذا صلى أحدُكم فليصلِّ إلى سترةٍ، وليدنُ منها» .

“তোমাদের কেউ যখন সালাত আদায় করে, সে যেন সুতরার দিকে ফিরে সালাত আদায় করে ও তার নিকটবর্তী হয়”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৬৯৮, আলবানী সহীহ আবু দাউদে (১/১৩৫) বলেন, হাদীসটি হাসান ও সহীহ। লেখক বলেন: আমি শোনেছি শাইখ ইবন বায রহ. ‘বুলুগুল মারাম’ এর (২৪৪) নং হাদীসের টিকায় বলেন: “এ হাদীসের সনদ খুবই সুন্দর, এ হাদীস দ্বারা সুতরা ও তার নিকটবর্তী হয়ে সালাত আদায়ের গুরুত্ব প্রমাণি হয়”।] সুতরা ও তার মাঝখানে একটি বকরি অতিক্রম করার জায়গা ফাঁকা রাখবে অথবা সাজদাহ’র জায়গা পরিমাণ খালি রাখবে। তিন হাতের অতিরিক্ত ফাঁকা রাখবে না। অনুরূপ দুই কাতারের মাঝেও এর বেশি ফাঁকা রাখবে না। সাহাল ইবন সা‘দ সায়েদি বর্ণনা করেন:

«كان بين مصلى رسول الله وبين الجدار ممر الشاة» .

“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সালাতের জায়গা ও দেয়ালের মাঝে একটি বকরি অতিক্রম করার পরিমাণ জায়গা ফাঁকা ছিল”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৪৯৬); সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৫০৮); “সুবুলুস সালাম” লি সানআনী : (২/১৪৫)।] যদি কেউ তার সামনে থেকে অতিক্রম করতে চায়, তাকে প্রতিহত ও প্রতিরোধ করবে, সে বিরত না হলে শক্তি দ্বারা তাকে প্রতিহত করবে। আবু সাঈদ খুদরি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শোনেছি:

«إذا صلى أحدكم إلى شيء يستره من الناس، فأراد أحد أن يجتاز بين يديه فليدفعْه، فإن أبى فليقاتلْه؛ فإنما هو شيطان» .

“কোনো ব্যক্তি যখন সুতরা নিয়ে সালাত আদায় করে, যে তাকে মানুষ থেকে আড়াল করে রাখে, অতঃপর কেউ যদি তার সামনে থেকে যেতে চায়, সে তাকে প্রতিহত করবে, সে বিরত না হলে তার সাথে যুদ্ধ করবে। কারণ সে শয়তান”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৫০৯; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৫০৫)] মুসলিমের অপর বর্ণনায় আছে, “কারণ তার সাথে শয়তান রয়েছে”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৫০৬, লেখক বলেন: আল্লামা ইবন বাযকে আমি “বুলুগুল মারাম” এর (২৪৮) নং হাদীসের ব্যাখ্যায় বলতে শোনেছি: “এ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, যখন কোন ব্যক্তি মুসল্লি ও তার সুতরার মধ্য দিয়ে যেতে চায়, তখন মুসল্লির জন্য বৈধ রয়েছে তাকে প্রতিহত করা। অন্যান্য হাদীস দ্বারা বুঝা যায়, মুসল্লি তার সামনে দিয়ে অতিক্রমকারীকে বাঁধা দিবে, তার সামনে সুতরাং থাক বা না থাক, তবে দূর দিয়ে অতিক্রম করলে ভিন্ন কথা। আর অতিক্রমকারীকে সহজতর পদ্ধতি দ্বারা প্রতিরোধ করবে, যেমন উটের বাচ্চাকে প্রতিরোধ করা হয়”।]

মুসল্লির সামনে দিয়ে যাওয়া বৈধ নয়। আবু জুহাইম রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

«لو يعلمُ المارُّ بين يدي المصلي ماذا عليه لكان أن يقف أربعين خيرًا له من أن يمرَّ بين يديه»

“মুসল্লির সামনে থেকে অতিক্রকারী ব্যক্তি যদি জানত, তার ওপর কি পরিমাণ পাপ হচ্ছে, তাহলে সামনে দিয়ে যাওয়ার চেয়ে চল্লিশ পর্যন্ত অপেক্ষা করা তার জন্য উত্তম ছিল”। এ হাদীসের একজন বর্ণনাকারী আবু নাদর বলেন, আমার মনে নেই তিনি কি বলেছেন: চল্লিশ দিন, অথবা চল্লিশ মাস অথবা চল্লিশ বছর”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৫১০; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৫০৭।]

ইমামের সুতরা তার পিছনে অবস্থানরত সকলের সুতরা হিসেবে যথেষ্ট। আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাসের হাদীসে রয়েছে, তিনি একটি মাদী গাধার পিঠে চড়ে আগমন করেন, তখন সবেমাত্র তিনি সাবালক হয়েছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিদায় হজে মিনায় দাঁড়িয়ে দেয়াল ব্যতীত মানুষদের নিয়ে সালাত আদায় করতে ছিলেন, ইবন আব্বাস প্রথম কাতারের কতক মুসল্লির সামনে দিয়ে গাধার পিঠে আরোহণ অবস্থায় অতিক্রম করেন, অতঃপর গাধার পিঠ থেকে নেমে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পিছনে অন্যদের সাথে কাতারে শামিল হয়ে সালাত আদায় করেন। তার এ আচরণকে কেউ তিরষ্কার বা অপছন্দ করে নি। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৪৯৩; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৫১৪।] আমি আমাদের শাইখ ইবন বায রহ.-কে বলতে শোনেছি: “এর দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, ইমামের সুতরা মুক্তাতিদের সুতরাং হিসেবে গণ্য, অতএব ইমামের সামনে সুতরাং থাকলে মুক্তাতিদের সামনে দিয়ে অতিক্রম করা দোষণীয় নয়”। [সহীহ বুখারীর (৪৯৩) নং হাদীসের ব্যাখ্যায় রিয়াদে অবস্থিত ‘জামে সারা’য় ১০/০৬/১৪১৯ হি. তারিখে আমি তার এ বক্তব্য শ্রবণ করি।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন