hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সালাত আদায়ের পদ্ধতি

লেখকঃ ড. সায়িদ ইবন আলী ইবন ওহাফ আল-কাহতানী

২০
১৬. তাকবীর বলে সাজদাহ করবে, সম্ভব হলে উভয় হাত হাটুর উপর রেখে, যদি কষ্ট হয় তাহলে হাটুর আগে হাত রাখবে।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ ٱرۡكَعُواْ وَٱسۡجُدُواْۤ وَٱعۡبُدُواْ رَبَّكُمۡ وَٱفۡعَلُواْ ٱلۡخَيۡرَ لَعَلَّكُمۡ تُفۡلِحُونَ۩ ٧٧﴾ [ الحج :77 ]

“হে মুমিনগণ, তোমরা রুক কর, সাজদাহ কর, তোমাদের রবের ইবাদাত কর এবং ভাল কাজ কর, আশা করা যায় তোমরা সফল হতে পারবে”। [সূরা আল-হাজ, আয়াত: ৭৭]

সালাতে ভুলকারীর হাদীসে আবু হুরায়রা থেকে বর্ণিত: “অতঃপর সাজদাহ কর, সাজদাহ’য় একেবারে স্থির হও”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৭৫৭।] তার থেকে অপর হাদীসে রয়েছে: “সেজদার জন্য যখন ঝুকবে, তাকবীর বলবে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৭৮৯; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩৯২।] ওয়ায়েল ইবন হুজরের হাদীসে রয়েছে: “আমি দেখেছি, যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাজদাহ করেন, উভয় হাতের পূর্বে তিনি হাটু রেখেছেন, আর তার উঠার সময় হাটুর পূর্বে হাত উঠিয়েছেন”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৮৩৮, ৮৩৯; তিরিমিযী, হাদীস নং ২৬৮; নাসাঈ, হাদীস নং ১০৮৯; সুনান ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৮৮২; ইবন খুযাইমা, হাদীস নং ২৬২ প্রমুখগণ।] হাত ও পায়ের আঙ্গুলগুলো কিবলামুখী রাখবে। আবু হুমাইদ সায়েদী থেকে বর্ণিত হাদীসে রয়েছে:

«فإذا سجد وضع يديه غير مفترشٍ ولا قابضهما، واستقبل بأطراف أصابع رجليه القبلة»

“যখন সাজদাহ করবে উভয় হাতকে বিছিয়ে রাখবে না, আবার মুষ্টিবদ্ধ করেও রাখবে না, পায়ের আঙ্গুলগুলো কিবলামুখী করে রাখবে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৮২৮।] হাতের আঙ্গুলগুলো মিলিয়ে কিবলামুখী রাখবে। কারণ, আলকামা তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন: “নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সাজদাহ করতেন, তখন তিনি আঙ্গুলগুলো মিলিয়ে রাখতেন”। [সহীহ ইবন খুযাইমা, হাদীস নং ৬৪২।] আবু হুমাইদের হাদীসে রয়েছে: “হাতের আঙ্গুলগুলো কিবলামুখী রাখবে”। [সহীহ ইবন খুযাইমা, হাদীস নং ৬৪৩।] পায়ের আঙ্গুলগুলো খোলা রাখবে। কারণ, আবু হুমাইদ থেকে বর্ণিত হাদীসে রয়েছে: “অতঃপর দু’বাহুকে পার্শ্ব থেকে পৃথক রাখবে ও পায়ের আঙ্গুলগুলো খোলা রাখবে”। [সহীহ ইবন খুযাইমা, হাদীস নং ৬৫১; আবু দাউদ, হাদীস নং ৭৩০।]

সাত অঙ্গের দ্বারা সাজদাহ করবে, কপালের সাথে নাক, দু’হাত, দু’হাটু, উভয় পায়ের আঙ্গুলের ভেতরের অংশ। ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

«أمرت أن أسجد على سبعة أعظم : على الجبهة وأشار بيده على أنفه واليدين، والركبتين، وأطراف القدمين، ولا نكفُت الثياب والشعر» وفي لفظ لمسلم : «ولا أكفّ ثوبًا ولا شعرًا»

“আমাকে সাত অঙ্গের উপর সাজদাহ করার নিদের্শ দেওয়া হয়েছে: কপাল- এর সাথে তিনি ইশারা করে নাকের দিকে ঈঙ্গিত করেছেন- দু’হাত, দু’হাটু, দু’পায়ের সন্মুখভাগ, আর আমরা কাপড় ও চুল আটকে রাখব না”। মুসলিমের বর্ণনায় আছে: “আমি যেন কাপড় ও চুল আটকে না রাখি”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৮১২; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৪৯০।] পার্শ্বদ্বয় থেকে বাহুদ্বয় পৃথক রাখবে। কারণ, আব্দুল্লাহ ইবন মালেক ইবন বুহায়না বলেন,

«كان إذا صلَّى فرَّج بين يديه حتى يبدو بياض إبطيه»

“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সালাত আদায় করতেন, তখন উভয় হাত এমনভাবে পৃথক রাখতেন যে, তার বোগল পর্যন্ত দেখা যেত”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৮০৭; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৪৯৫।] পেট রান থেকে ও রান পায়ের গোছা থেকে পৃথক রাখবে এবং উভয় রানের মধ্যে ফাঁকা রাখবে। আবু হুমাইদ থেকে বর্ণিত হাদীসে আছে: “যখন সাজদাহ করে তখন যেন উভয় রান পৃথক রাখে, পেটের ভর যেন রানের উপর না দেয়”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৭৩৫।] উভয় হাতের কব্জি কাঁধ বরাবর রাখবে। কারণ, আবু হুমাইদ থেকে বর্ণিত হাদীসে আছে: “অতঃপর তিনি সাজদাহ করেছেন, যমীনের উপর নাক ও কপাল স্থির করেছেন, উভয় পার্শ্ব থেকে হাত পৃথক রেখেছেন ও উভয় হাতের কব্জিকে কাঁধ বরাবর রেখেছেন”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৭৩৪; তিরমিযী, হাদীস নং ২৭০। তিনি হাদীসটি হাসান ও সহীহ বলেছেন। সহীহ সুনান আবু দাউদ: (১/২৪২)।] অথবা উভয় হাত কান বরাবর রাখবে। যেমন ওয়ায়েল ইবন হুজরের হাদীসে এসেছে। “অতঃপর তিনি সাজদাহ করেছেন এবং উভয় হাতের কব্জি কান বরাবর রেখেছেন”। [নাসাঈ, হাদীস নং ৮৮৯; সহীহ সুনান নাসাঈ: (১/১৯৪)।] এটা মূলত বারার হাদীসের অনুরূপ, যখন তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, সাজদাহ’র সময় রাসূল কোথায় চেহারা রাখতেন? তিনি বলেছিলেন: “দুই হাতের কব্জির মাঝখানে”। [তিরমিযী, হাদীস নং ২৭১; সহীহ সুনান তিরমিযী: (১/৮৬)।] উভয় হাতের বাহু যমীন থেকে আলাদা রাখবে। কারণ, আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদীসে আছে: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “তোমরা সাজদাহ’র মধ্যে স্থির হও, তোমাদের কেউ তার বাহুদ্বয় কুকুরের ন্যায় বিছিয়ে রাখবে না”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৮২২; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৪৯৩।] বারা থেকে একটি মরফু‘ হাদীসে রয়েছে: “যখন তুমি সাজদাহ কর, তোমার হাত মাটিতে রাখ ও বাহুদ্বয় উপরে রাখ”। [সহীহ মুসিলম, হাদীস নং ৪৯৪।] উভয় পা মিলিয়ে রাখবে। আয়েশা থেকে বর্ণিত হাদীসে আছে: “আমি তাকে সাজদাহ অবস্থায় পেলাম, তার দু’নো গোড়ালি মিলানো ছিল এবং পায়ের আঙ্গুলগুলো ছিল কিবলামুখী”। [সহীহ ইবন খুজাইমা, হাদীস নং ৬৫৪; বায়হাকী (২/১১৬)।] উভয় পা খাড়া করে রাখবে। আয়েশার হাদীসে রয়েছে: “আমি তাকে তালাশ করলাম, আমার হাত তার পায়ের উপর পরল, তিনি তখন সাজদাহ’য় ছিলেন, তার পাগুলো ছিল খাড়া”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৪৮৬।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন