hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সালাত আদায়ের পদ্ধতি

লেখকঃ ড. সায়িদ ইবন আলী ইবন ওহাফ আল-কাহতানী

৪. দাঁড়ানো অবস্থায় তাকবীরে তাহরীমা বলা।
মুসল্লী আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের জন্য যে নফল অথবা ফরয সালাত আদায়ের ইচ্ছা করেছে, অন্তরে তার নিয়ত করবে ও মুখে الله أكبر “আল্লাহু আকবার” বলবে এবং সাজদাহ’র জায়গায় দৃষ্টি রেখে হাতের আঙ্গুলসমূহ মিলিয়ে উভয় হাত কাঁধ অথবা কান পর্যন্ত হাত উঠাবে। কারণ, ভুল পদ্ধতিতে সালাত আদায়কারীর হাদীসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

» إذا قمت إلى الصلاة فكبر «

“যখন তুমি সালাতের জন্য দাঁড়াও, তাকবীর বল”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৭৯৩; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩৯৭।]

আল্লাহ তাআলা বলেন,

﴿وَقُومُواْ لِلَّهِ قَٰنِتِينَ ٢٣٨﴾ [ البقرة :238 ]

“এবং আল্লাহর জন্য দাঁড়াও বিনীত হয়ে”। [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ২৩৮]

ইমরান ইবন হাসিন রাদিয়াল্লাহু আনহুকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«صلِّ قائمًا، فإن لم تستطعْ فقاعداً، فإن لم تستطع فعلى جَنْبٍ»

“দাঁড়িয়ে সালাত আদায় কর, যদি না পাড় তবে বসে সালাত আদায় কর, যদি না পাড় তবে কাত শুয়ে সালাত আদায় কর”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১১১৭।] উমার ইবন খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: «إنما الأعمال بالنيات» “নিশ্চয় নিয়তের ওপর আমল নির্ভরশীল”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৯০৭।]

নিয়ত মুখে উচ্চারণ করবে না। কারণ, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার সাহাবায়ে কেরাম নিয়ত মুখে উচ্চারণ করেন নি। আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন, সালাত আরম্ভ করার সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাঁধ বরাবর উভয় হাত উঠাতেন, যখন তিনি রুকুর জন্য তাকবীর বলতেন ও রুকু থেকে মাথা উঠাতেন অনুরূপ হাত উঠাতেন, তবে সাজদাহ থেকে মাথা উঠানোর সময় তিনি অনুরূপ করতেন না। অন্য বর্ণনায় আছে:

« وإذا قام من الركعتين رفع يديه»

“যখন তিনি দু’রাকাত পূর্ণ করে উঠতেন, উভয় হাত উঠাতেন”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৭৩৫, ৭৩৯; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩৯০।]

মালিক ইবন হুয়াইরিস রাদিয়াল্লাহু আনহুর হাদীসে রয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন তাকবীর বলতেন, তখন তিনি উভয় কান বরাবর হাত উঠাতেন, যখন তিনি রুকু করতেন তখনও তিনি উভয় কান বরারব হাত উঠাতেন, রুকু থেকে মাথা উঠিয়ে তিনি বলতেন: «سمع الله لمن حمده মুসলিমের বর্ণনায় রয়েছে: «حتى يحاذي بهما فروع أذنيه “তিনি উভয় হাত দু’ কানের লতি বরাবর করেছেন”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৭৩৭; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩৯১।]

কখন উভয় হাত কান বা কাঁধ পর্যন্ত উঠানো হবে এ সম্পর্কে বর্ণিত হাদীসগুলো তিন প্রকার:

প্রথম প্রকার: এ প্রকার হাদীস দ্বারা বুঝা যায়, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আগে হাত উঠিয়ে তাকবীর বলেছেন। ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত:

«كان رسول الله إذا قام للصلاة رفع يديه حتى تكونا حذو منكبيه، ثم كبر»

“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সালাতের জন্য দাঁড়াতেন, উভয় হাত কান পর্যন্ত উঠাতেন অতঃপর তাকবীর বলতেন”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩৯০।]

আবু হুমাইদ সায়েদী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত:

«كان رسول الله إذا قام إلى الصلاة يرفع يديه حتى يُحاذيَ بهما منكبيه ثم يُكبِّر»

“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সালাতে দাঁড়াতেন, তখন তিনি উভয় হাত কাঁধ বরাবর উঠাতেন, অতঃপর তাকবীর বলতেন”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৭৩৭; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩৯১।]

দ্বিতীয় প্রকার: এ প্রকারের হাদীস দ্বারা বুঝা যায়, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকবীর বলার পর হাত উঠাতেন। আবু কালাবা থেকে বর্ণিত, তিনি মালেক ইবন হুয়াইরিসকে দেখেছেন, তিনি সালাত আদায়ের সময় তাকবীর বলে অতঃপর উভয় হাত উঠাতেন... তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনুরূপ করতেন”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৭৩৭; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩৯১।]

তৃতীয় প্রকার: এ প্রকারের হাদীস দ্বারা বুঝা যায়, তিনি তাকবীরের সাথে হাত উঠিয়েছেন, তাকবীর শেষ হাত উঠানোও শেষ। আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সালাতে তাকবীর আরম্ভ করতে দেখেছি, তিনি তাকবীর বলার সময় উভয় হাত কান পর্যন্ত উঠিয়েছেন”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৭৩৮; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩৯০।]

অতএব, যে ব্যক্তি এসব পদ্ধতির যে কোনো একটির অনুসরণ করল, সে সুন্নতের ওপর আমল করল। [দেখুন: ফাতহুল বারি লি ইবন হাজার: (২/৩২৮); সুবুলুস সালাম: (২/২১৭)]

আর সাজদাহ’র জায়গায় দৃষ্টি রাখা, মাথা ঝুকিয়ে রাখা ও যমীনে দৃষ্টি নিক্ষেপ করার প্রমাণ হচ্ছে বায়হাকি ও হাকেম বর্ণিত হাদীস, যার স্বপক্ষে রাসূলের দশজন সাহাবী থেকে বর্ণিত হাদীস রয়েছে। [সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকি: (২/২৮৩), (৫/১৫৮); হাকেম: (১/৪৭৯), হাকেম হাদীসটি সহীহ বলেছেন এবং যাহাবী তার সমর্থন করেছেন। আহমদ: (২/২৯৩), আলবানী তার “সিফাতুস সালাত” গ্রন্থে অনুরূপ হাদীসকে সহীহ বলেছেন।]

আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

«لينتهين أقوام يرفعون أبصارهم إلى السماء في صلاتهم، أو لتُخْطَفَنَّ أبصارُهم» .

“যারা তাদের সালাতে আসমানের দিকে দৃষ্টি উঠায়, তারা অবশ্যই বিরত থাকবে অথবা তাদের দৃষ্টি হরণ করা হবে”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৪২৯।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন