১
কিতাবের নাম/ লেখক/ অনুবাদক/ সম্পাদক
২
কভার পেইজ থেকে
৩
ভূমিকা
৪
সালাত আদায়ের পদ্ধতি
৫
১. পরিপূর্ণরূপে অযু করা, যেরূপ আল্লাহ তা‘আলা তার বাণীতে নির্দেশ দিয়েছেন:
৬
২. কিবলার দিকে মুখ করে দাঁড়ানো, অর্থাৎ মক্কায় অবস্থিত পবিত্র কাবা ঘর সম্মুখে রেখে দাঁড়াবে।
৭
৩. সালাত আদায়কারী ইমাম বা মুনফারেদ যেই হোক, সামনে সুতরা রেখে দাঁড়াবে।
৮
৪. দাঁড়ানো অবস্থায় তাকবীরে তাহরীমা বলা।
৯
৫. উভয় হাত নিচে নামিয়ে বুকের উপর ডান হাত বাম হাতের পিঠ-কব্জি-বাহুর উপর রাখা।
১০
৬. সালাত শুরু করার দো‘আ দ্বারা সালাত আরম্ভ করা। সালাত শুরু করার অনেক দো‘আ রয়েছে, সেখান থেকে যে কোনো একটি দো‘আ পড়া, তবে একাধিক দো‘আ একসাথে না পড়া, বরং এক এক সময় এক এক দো‘আ পড়া। সালাত আরম্ভ করার কতক দো‘আ:
১১
৭. অতঃপর সালাত আদায়কারী বলবে: «أعوذ بالله من الشيطان الرجيم»
১২
৮. আস্তে بسم الله الرحمن الرحيم বলা।
১৩
৯. সূরা ফাতিহা তিলাওয়াত করা:
১৪
১০. সূরা ফাতিহার শেষে বলবে: آمين ‘আমীন’ যদি জেহরী সালাত হয় জোরে, আর সিররী সালাত হলে আস্তে বলব।
১৫
১১. সূরা ফাতিহার পর ফজর ও জুমু‘আর দুই রাকাতে এবং জোহর, আসর, মাগরিব ও এশার প্রথম দুই রাকাতে কোনো একটি সূরা মিলানো অথবা কুরআনের যেখান থেকে সহজ তিলাওয়াত করা। আর নফলের প্রত্যেক রাকাতে সূরা মিলানো।
১৬
১২. সম্পূর্ণ কিরাত শেষ করে শ্বাষ ফিরে আসা পর্যন্ত সামান্য বিরতি নেবে যেন রুকুর সাথে কিরাত মিলে না যায়, সূরা ফাতিহার পূর্বের বিরতি এমন নয়। কারণ, সেখানে সালাত আরম্ভের দো‘আ পড়বে, তাই সেখানে দো‘আ পরিমাণ বিরতি নেবে।
১৭
১৩. কাঁধ অথবা কান পর্যন্ত উভয় হাত উঠিয়ে রুকু করবে, মাথা পিঠ বরাবর রাখবে, উভয় হাত হাটুর উপরে রাখবে ও আঙুলগুলো ফাঁকা রাখবে।
১৮
১৪. রুকুতে বলা: «سبحان ربي العظيم» তিনবার বলা উত্তম।
১৯
১৫. রুকু থেকে মাথা উঠানোর সময় উভয় কাঁধ অথবা উভয় কান পর্যন্ত উভয় হাত উঠিয়ে বলা: سمع الله لمن حمده ইমাম কিংবা মুনফারিদ উভয়ের বলা। অতঃপর উভয়ের বলা: ربنا ولك الحمد
২০
১৬. তাকবীর বলে সাজদাহ করবে, সম্ভব হলে উভয় হাত হাটুর উপর রেখে, যদি কষ্ট হয় তাহলে হাটুর আগে হাত রাখবে।
২১
১৭. সাজদাহয় বলবে: «سبحان ربي الأعلى» তিনবার বলা উত্তম।
২২
১৮. তাকবীর বলে সাজদাহ থেকে মাথা উঠাবে এবং স্থির হয়ে বসবে।
২৩
১৯. দুই সাজদাহ’র মাঝখানে বলবে: ربِّ اغفرْ لي، ربِّ اغفر لي؛
২৪
২০. তাকবীর বলে দ্বিতীয় সাজদাহ করবে, যেমন প্রথম সাজদাহ’তে করেছিল।
২৫
২১. তাকবীর বলে মাথা উঠাবে এবং সামান্য সময় বসবে, যেটাকে জালসায়ে ইস্তেরাহা বলে।
২৬
২২. যদি সম্ভব হয়, তাহলে পা, হাটু ও রানের উপর ভর দিয়ে দ্বিতীয় রাকা‘তের জন্য দাঁড়াবে।
২৭
২৩. দ্বিতীয় রাকাত প্রথম রাকাতের ন্যায় পড়বে।
২৮
২৪. যদি দুই রাকাত বিশিষ্ট সালাত হয়, যেমন ফজর, জুমু‘আ ও দুই ঈদের সালাত, তাহলে দ্বিতীয় রাকাতের দ্বিতীয় সাজদাহ থেকে ফারিগ হয়ে বসবে, ডান পা খাড়া রাখবে ও বাম পা বিছিয়ে দেবে।
২৯
২৫. এ বৈঠকে তাশাহহুদ পড়বে। যেমন, বলবে [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৮৩১; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৪০২।]:
৩০
২৬. অতঃপর ডান দিকে ও বাম দিকে সালাম ফিরাবে এ বলে:
৩১
২৭. সালাত যদি তিন রাকাত বিশিষ্ট হয় যেমন মাগরিব অথবা চার রাকাত বিশিষ্ট হয় যেমন জোহর, আসর ও এশা। তাহলে শুধু প্রথম তাশাহুদ পড়বে, তবে উত্তম হচ্ছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর দুরূদ পড়া, যেমন ইতোপূর্বে বর্ণনা করেছি।
৩২
২৮. দ্বিতীয় তাশাহহুদে তাওয়াররুক করে বসবে।
৩৩
২৯. মাগরিবের তৃতীয় রাকাতে এবং জোহর, আসর ও এশার চতুর্থ রাকাতে তাশাহহুদের সাথে দরূদ পড়বে, যেমন পূর্বে বিস্তারিত বলা হয়েছে।
৩০. ডান দিকে ও বাম দিকে এ বলে সালাম দিবে:
৩৪
৩১. সালাম শেষে নিম্ন বর্ণিত আযকার ও দো‘আ পড়বে:
৩৫
নিম্নে কতক তাসবীহ, তাহমিদ ও তাকবীরের দেওয়া হল:
৩৬
৩২. সুনানে রাওয়াতিবগুলো পড়বে।