hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুক্তবাসিনী-২

লেখকঃ আবু বকর সিরাজী

১১
প্রবাসী পুরুষের সরল বধূ
এক সময় এ দেশের বধূদের সরলতার সুনাম ছিল। তাদের সরলতা নিয়ে প্রবাদ, কৌতুকও তৈরি করা হতো। মনে আছে কি, প্রবাসী স্বামীর গৃহাভ্যন্তরে বন্দী সরল স্ত্রীটির সেই কৌতুকের কথা, যার অশিক্ষা আর সরলতায় স্বামীর কাছে লেখা তার দাড়ি, কমাবিহীন চিঠিটি এখনও হাসির অন্যতম খোরাকের স্থান দখল করে আছে?

কিন্তু সরলতার সে সব গল্প আজ কেবলই অতীত। আজ বিজ্ঞান গেছে সবখানে, ছুঁয়েছে সকলের হৃদয়। তাই সরলতা আজ অভিধানেই বন্দি। একেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চলের একজন গৃহবধূর ঘরেও সুখী মানুষের জামা পাওয়ার মতো সরলতা বস্তুটিও যে খুঁজে পাওয়া পরম অনিশ্চিত, তাতে অন্তত আমার কোনো সন্দেহ নেই।

যে কোনো পাঠক আমার সাথে দ্বিমত পোষণ করতেই পারেন, তবে সমাজপ্রবাহে ঘটমান হাজারও ঘটনা আমাকে একথা বিশ্বাস করতেই বাধ্য করছে।

বাংলাদেশ দরিদ্র একটি দেশ। এদেশের মানুষের আয় খুবই সীমিত। শিল্পকারখানা তেমন নেই বললেই চলে। অথচ একটি দেশের অর্থনীতির প্রাণ হচ্ছে শিল্প। শিল্প ছাড়া বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন অসম্ভব। আর বৈদেশিক মুদ্রা ছাড়া বর্তমান বিশ্বে টিকে থাকা দুষ্কর। তবে গার্মেন্ট শিল্প আর বিদেশে বাংলাদেশের শ্রমবাজার কিছুটা হলেও সে ঘাটতি কমিয়ে দিয়েছে। বিশেষ করে বিদেশের শ্রমবাজার। বাংলাদেশের ৩৫% পুরুষ লোক প্রবাসী এবং এই বিপুল সংখ্যক লোকের কষ্টার্জিত অর্থই বাংলাদেশের প্রাণ। বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশীদের কষ্টের কথা শুনে কখনও কখনও চোখ ফেটে পানি আসে। নিজেদের সংসারের জন্য করা তাদের এই শ্রম যে দেশের বিপুল কল্যাণ সাধন করে চলেছে, সে কথা ভেবে তাদের জন্য শ্রদ্ধা না এসে পারে না। কীসের রাজনীতিক-ফিতিক! প্রকৃত দেশপ্রেমী এরাই। এরাই দেশের মানুষের স্যালুট পাওয়ার যোগ্য।

কিন্তু দুঃখজনক সত্য হচ্ছে, দেশের জন্য, নিজ সংসারের জন্য যারা এত কষ্ট করেন আমরা তাদের মূল্য দেই না। তারা নিগৃহিত হন, লাঞ্ছিত হন। কখনও কখনও নিজ পরিবার থেকে তারা এত বড় আঘাত পান, যা তাদের জীবনের সব স্বপ্ন ধুলিষ্মাৎ করে দেয়।

সে সব নিরস গল্পের অন্যতম হলো স্ত্রী পরকীয়া। দৈনিক আমার দেশের ৯ই জুলাই ২০১১ইং একটি রিপোর্ট অনুযায়ী পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়াদের মধ্যে প্রবাসী নারীদের সংখ্যাই বেশি। কখনও কখনও একজন লোক কয়েক বছর বিদেশে কাটিয়ে দেশে এসে বিয়ে করেন। এরপর কিছুদিন দেশে থেকে আবার বিদেশে পাড়ি জমান। যাওয়ার সময় স্ত্রীর হাতে দিয়ে যান মহাযন্ত্র মোবাইল। সদ্য বিয়ের পিঁড়ি মাড়িয়ে আসা নববিবাহিতা যুবতীটি তখন নিজেকে বড় একা ভাবে। স্বামীর অনুপস্থিতির নিঃসঙ্গতা কাটাতে যোগাড় করে নেয় কোনো মোবাইল বন্ধু। এভাবে গড়িয়ে চলে মরণনেশা। এ নেশা থেকে সৃষ্টি হয় বিভেদ, দ্বন্দ্ব, খুন-গুম, অর্থ লোপাট, আত্মহত্যা, এসিড নিক্ষেপসহ হাজারো অপরাধ। এধরনের দুয়েকটি মর্মান্তিক ঘটনা তুলে ধরছি :

ঘটনাটি নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলার পারকোর্ট ইউনিয়নের শোশালিয়া গ্রামের। এই গ্রামের বাসিন্দা মনির হোসেন দীর্ঘ দশ বছর আগে বিয়ে করেন একই উপজেলার শাহাপুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের নুরুজ্জামানের মেয়ে রিনা বেগমকে। বিয়ের পর থেকেই অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য চলে আসছিল। বিয়ের মাত্র ছয় মাস পর মনির বিদেশ চলে গেলে স্ত্রী রিনা পাশের বাড়ির এক যুবকের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন এবং স্বামীর টাকা আত্মসাৎ করতে থাকেন। একজন বিদেশ-বিভূঁইয়ের স্ত্রীর ইজ্জত ও সম্মানের হেফাযত করা প্রতিটি বিবেকবান প্রতিবেশির একান্ত দায়িত্ব। একারণে হাদীসে প্রতিবেশি নারীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক ও ব্যভিচারকে সবচেয়ে জঘন্য অপরাধ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে-

عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَىُّ الذَّنْبِ أَعْظَمُ عِنْدَ اللَّهِ قَالَ أَنْ تَجْعَلَ لِلَّهِ نِدًّا وَهُوَ خَلَقَكَ قَالَ قُلْتُ لَهُ إِنَّ ذَلِكَ لَعَظِيمٌ قَالَ قُلْتُ ثُمَّ أَىٌّ قَالَ ثُمَّ أَنْ تَقْتُلَ وَلَدَكَ مَخَافَةَ أَنْ يَطْعَمَ مَعَكَ قَالَ قُلْتُ ثُمَّ أَىٌّ قَالَ ثُمَّ أَنْ تُزَانِىَ حَلِيلَةَ جَارِكَ

‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করা হলো, মহা অপরাধ কোনটি? তিনি জবাবে বললেন, আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করা, অথচ তিনিই তোমাকে সৃষ্টি করেছেন। এরপরের অপরাধ কোনটি- এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বললেন, আহারে ভাগ বসাবে এই আশঙ্কায় নিজ সন্তানকে হত্যা করা। এরপরের অপরাধ কী? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বললেন, প্রতিবেশির নারীর সাথে ব্যভিচার করা।’ [সহীহ বুখারী, হাদীস নং : ৪৪৭৭; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং : ৮৬]

একজন প্রতিবেশির কাছ থেকে প্রাপ্ত সম্মান আর স্ত্রীর নিরাপত্তাটুকু না পেয়ে ঘটনা শুনে দেশে ফিরে আসেন মুনির। স্বামীর এক্ষেত্রে প্রশংসাই করতে হয়। প্রথমেই তিনি কঠোরভাবে শাসন না করে সরল পথে স্ত্রীকে নিজ পথে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেন। কিন্তু স্বামীর এই উদারতা স্ত্রী সহজভাবে গ্রহণ করেন নি। বরং স্বামী তার পথে বাধা হওয়ায় তার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। শুক্রবার মুনির শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যান। স্বামী বাবার বাড়ি গেলে স্ত্রীর মন আনন্দে ভরে যায়। তাকে সমাদর করা, মনের মতো করে আপ্যায়ন করাতে সে রাজ্যের তৃপ্তি খুঁজে পায়। কিন্তু এক্ষেত্রে রিনা ছিলেন সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। এটাকে তিনি তার পথের কাঁটা দূর করার মহাসুযোগ বলে গ্রহণ করেন। তাই রাতের খাবারের সাথে বিষ মাখিয়ে স্বামীর সামনে পরিবেশন করেন তিনি। বিষের প্রভাবে জীবন সাঙ্গ হয় মুনিরের। স্ত্রীর পরকীয়ায় বঞ্চিত হয় দেশ, মা-বাবা এবং স্ত্রী রিনা নিজেও। স্বামীর খুন মাড়িয়ে কোনো স্ত্রী কখনও সুখের দেখা পেতে পারে? [তথ্যসূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন ১৪ জুন ২০১১ ইং]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন