মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
বান্দার প্রতি আল্লাহর এ এক পরম করুণা মেশানো আদেশ। সুদ খেয়ো না, মদ পান করো না, ব্যভিচার করো না- এ জাতীয় আদেশ পালনে বান্দার মন সরতে চায় না। কিন্তু এটি সে ধরনের কোনো আদেশ নয়। নিজেকে বাঁচানোর আদেশ। কিন্তু এমন দরদমাখা আদেশও কি আমরা সহজভাবে মেনে নিতে পারছি? আমরা কি নানাভাবে নিজেদের মৃত্যুর ফাঁদ নিজেরাই রচনা করছি না? একটিমাত্র প্রাণকে পিষ্ট করতে তৈরি করছি না হাজারো ভ্রষ্টতা?
বিশেষ করে আমাদের নারী সমাজের কথাই ধরুন। সরলতা নারীর সুন্দরতম অলঙ্কার। কিন্তু এটাকে সংযত ও নিরাপদে রাখতে হবে। কেননা, এই সুন্দরতম অলঙ্কারের প্রতিই যে পুরুষের লোভের সুতীক্ষ্ম নজর! তারা সুযোগ পেলেই ছোবল মারবে এই অলঙ্কারগাত্রে। একটা সরল-কোমল নারীকে সম্ভ্রমের দেউলিয়া বণিক বানিয়ে পথের ভিখারী করে তবেই ছাড়বে।
আমার কথার সত্যতা দেখুন নিম্নের ঘটনায় :
ঢাকার পার্কগুলোর সিমেন্টের তৈরি ছোট্ট ছোট্ট বেঞ্চগুলো হাজারও প্রেমকাব্যের রাজস্বাক্ষী। নগর পরিকল্পনাকারীগণ জনবহুল নগরীর গাড়ি ও মানুষের উৎক্ষিপ্ত শ্বাসের লু হাওয়া থেকে বাঁচার জন্য হয়ত প্রকৃতির কোলে এই বেঞ্চগুলো নির্মাণ করে থাকবেন। কিন্তু আজ যদি তারা এগুলোর আত্মার ডাক শুনতে চেষ্টা করতেন তাহলে নিশ্চিতভাবেই তাদের ভুল ভাঙত। কেননা, নিষ্প্রাণ, ভাষাহীন এসব বেঞ্চের ওপর যে সব প্রেমগল্প রচিত হচ্ছে তার অধিকাংশ উপসংহারই যে নিষ্ঠুর বেদনাদায়ক! কাব্যের শেষ ছন্দগুলো হচ্ছে এলোমেলো, ধোঁয়াটে।
তাই হে নগরপিতাগণ! তোমরা এগুলো ভেঙে দাও। মনে রেখো, শুধু গড়াতেই আনন্দ নয়, কখনও ভাঙাতেও আনন্দ আছে। সুরম্য বিশতলা বিল্ডিংয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের জন্য যে পুরোনো জীর্ণ বিল্ডিং ভেঙে ফেলা হয় সেই ভাঙার আনন্দ কিন্তু কোনো অংশেই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের আনন্দের চেয়ে কম নয়! অতএব, পাপের আখড়াগুলো গুঁড়িয়ে দিয়ে সভ্যতার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের উদ্দেশ্যে যদি এসব বেঞ্চ ভেঙে দেয়া হয় তাহলে তারা এতে মোটেই নারাজ হবে না। এমনিভাবে অনৈতিকতার পাঠশালা এসব পার্কগুলের সদর ও চোরা দরজা দুটোই বন্ধ করে দিতে হবে। অন্যথায় একের পর এক ঘটতে থাকবে হাজারও অপ্রীতিকর ঘটনা। এবার আসি মূল কথায় :
ডেইজি। এমনি এক পাঠশালার দুঃসহ সনদ পাওয়া শিক্ষার্থীনী। কোনো এক পার্কের একটা বেঞ্চের মাত্র তিন ঘণ্টার একটি প্রেমপাঠ্য তাকে আজ তাড়িয়ে বেড়ায় অহর্নিশ। রুলিন নামের এক ব্যক্তি মাত্র তিন ঘণ্টার সবকে তাকে পটিয়ে, ভুলিয়ে-ভালিয়ে নিয়ে গেছেন বঞ্ছনা আর লাঞ্ছনার তিমিরসম আঁধারে। তার অনুগত সেই শিক্ষার্থীনী আজ ঝড়ে বিধ্বস্ত নীড়হারা পাখির চেয়েও বেশি অসহায়।
রুলিন নাট্যব্যক্তিত্ব। বাক্যের চাণক্যে তারা দর্শকদের মুগ্ধ করেন। বাহবা কুড়ান। তাদের জন্য কাউকে পটানো বা হাত করা কিছুমাত্র কঠিন ব্যাপার নয়। তাই কোনো একদিনের রৌদ্রোজ্জ্বল বিকেলে নাটকের সব অভিজ্ঞতা, অভিনয়ের পারঙ্গমতা ব্যয় করেছিলেন ডেইজিকে পটানোর কাজে। কোমল ডেইজির মন সেদিন মোমের চেয়েও বেশি গলে গিয়েছিল। রুলিনের সে দিনের সেই চাণক্যে ডেইজি ভুলেই গেলেন যে, বস্তুর পিঠ একটা নয়, আরেকটা আছে এবং সেই পিঠটা এমন সুন্দর নাও হতে পারে।
তাই হাজারও কোমলমতি নারীর মতোই তিনিও নীরবসাক্ষী বেঞ্চগুলোকে সাক্ষ্য বানিয়ে রুলিনকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঘরে ফিরে এলেন। কিন্তু ঘরে ফিরে তিনি একটা প্রচণ্ড ধাক্কা খেলেন। তার পরিবারের লোকেরা সাফ জানিয়ে দিলেন এই বিয়েতে তাদের মত নেই। কিন্তু ডেইজি রুলিনের চাতুর্য মেশানো বাক্যে পরম মুগ্ধ হয়ে ঘরে ফিরেছিলেন। তাই তার পক্ষে রুলিন ছাড়া অন্য কিছুর কল্পনা করাও সম্ভব হলো না। ফলে এক সময় পাথর গলতে লাগল। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক নারীর জেদকে পরিবারের লোকেরা শ্রদ্ধা না করলেও এড়িয়ে যেতে তো আর পারে না। পাছে আবার...
তাই ডেইজির জিদে ভবিষ্যতের ওপর বর্তমান জয়ী হলো এবং বাস্তবতার ওপর আবেগ প্রবল হলো। একদিন ঠিক ঠিক লালশাড়ি পরে ডেইজি পরিবারের অব্যক্ত স্বীকারোক্তি নিয়ে রুলিনের ঘর করতে রওয়ানা হলেন।
মুদ্রার অপর পিঠটা দেখতে সময় নিতে হলো না ডেইজির। যে বাসর রজনীর জন্য একজন নারীর সব আবেগ তোলা থাকে সেই বাসর রজনীতেই তিনি অদ্ভুত অপরিচিত ভয়ংকর অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হলেন। বিয়ের লালশাড়িটা এখনও খোলাই হয়নি, এরই মধ্যে তার মনটাও শাড়িটার মতো রক্তক্ষরণে লালবর্ণ হয়ে উঠল। রুলিন তাকে রাহুল সম্পর্কে বাড়াবাড়ি না করতে এবং ছেলেটিকে নিজ সন্তানের মতো করে দেখার আদেশ করলেন।
এমনি এক মধুররাত্রিতে কোনো নববধূ যদি এমন অবাঞ্ছিত আদেশ পান তাহলে তার মন ভাঙবে না তো সিমেন্টের ফ্লোরে পড়ে কাঁচের জগ ভাঙবে? কে এই রাহুল? কী তার পরিচয়? স্বামী কি তাহলে তার সদ্যবিবাহিত স্ত্রীর গর্ভের সাথে প্রতারণা করেছেন? এমন অনেকগুলো প্রশ্ন ও অজানা আশঙ্কা ডেইজির বাসর রাতের সুখ পাখিটার ডানা দুটি গুঁড়িয়ে দিয়ে গেল।
এর কয়েকদিন পরেই সব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেলেন ডেইজি। স্বামী রুলিন বেশকিছু দিন হলো চট্টগ্রামে আছেন। বর্তমানে এটাই তার কর্মক্ষেত্র। তাই তিনি স্ত্রীকে নিজের কাছে চিটাগাং নিয়ে যেতে চাইলেন। মা ও শাশুড়ির মৃদু আপত্তি মিইয়ে গেল রুলিন-ডেইজির দাম্পত্য অধিকারের প্রবল ঝাপটায়।
ডেইজিকে যে ঘরে তুললেন রুলিন সেই ঘরে একজন অপরিচিত মহিলা তাকে অভ্যার্থনা জানালেন। মহিলার সাথে একটি ছেলে। কিছুক্ষণ পরেই জানতে পারলেন এই ছেলেটাই সেই রাহুল! তিনি দেখলেন, রুলিন রাহুলের মা বীনাকে ভাবি বলে ডাকে। রাহুল এবং তার মায়ের প্রকৃত পরিচয়টা তখন পর্যন্ত আড়ালেই থেকে গেল।
তবে মাত্র তিন ঘণ্টার প্রেমপাঠ্যে বিয়ের পিঁড়িতে উত্তীর্ণ ‘মেধাবী’ ডেইজির একের পর এক ভুল ভাঙতে থাকল। তার জীবনের অভিজ্ঞতাগুলো খুব দ্রুতই সংঘটিত হচ্ছিল। রাতে শোবার সময় তিনি এমন অকল্পনীয় অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হলেন, জাত্যাভিমানী কোনো পশ্চিমা নারীও এমন অভিজ্ঞতার সামনে দাঁড়াতে সাহস করবে না। দারিদ্রক্লিষ্ট ঢাকার কোনো বস্তিবাড়িতেও যদি বাসররজনী যাপিত হয় তবে সেখানেও লজ্জা ও সম্ভ্রমবোধের একটা দেয়াল দাঁড় করিয়ে দেয়া হয়। এক কুঠুরি একাধিক মানুষের মাথা গোজার ঠাঁই- এমন ঘরেও বাসর রজনী পালন করা হলে অন্তত একটি মোটা কাঁথা দিয়ে দম্পতিকে আলাদা করে দেয়া হয়। কিন্তু রুলিনরা কেবল দারিদ্রক্লিষ্ট এসব মানুষের কষ্ট নিয়ে নাটকই রচনা করেন, এদের ভালো গুণগুলো নেয়ার সুযোগ পান না বললেই চলে। তারা নাটকে অভিনয়ে মানুষকে কেবল বাইরের সাদা চামড়াটা দেখান। আসল চেহারাটা প্রকাশ পায় স্ত্রী আর আপনজনদের কাছে। এ কারণেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
« خِيارُكُمْ خِيارُكُمْ لِنِسائِهِمْ » .
‘তোমাদের মধ্যে সেই উত্তম, যে তার স্ত্রীর কাছে উত্তম।’ [ইবন মাজা : ১৯৭৮]
তোমাদের মধ্যে সেই উত্তম যে তার স্ত্রীর কাছে উত্তম। আর আমি আমার স্ত্রী-পরিজনের কাছে উত্তম। [তিরমিযী : ১৯৭৭; বাইহাকী, সুনান : ১৬১১৭]
যাহোক, নববধূ ডেইজির জন্য শোবার ব্যবস্থা করা হলো। লম্বা খাট। চারটে বালিশ সাজিয়ে রাখা হয়েছে। এটাকে তিনি রাহুলের মায়ের আতিথেয়তার পরাকাষ্ঠা হিসেবে অনুবাদ করলেন। কিন্তু অল্পক্ষণ পরেই তার অনুবাদে অসঙ্গতি দেখা দিল। তিনি জানতে পারলেন, এক খাটে চারজনের শোবার ব্যবস্থা করা হয়েছে! রুলিন, ডেইজি, বীনা এবং রাহুল!
ঘৃণায় প্রতিবাদের ভাষাটাও হারিয়ে ফেললেন ডেইজি। অস্ফুটকণ্ঠে শুধু এতটুকু বলতে পারলেন- ‘এ হতে পারে না।’ কিন্তু নিরুত্তাপ ও ভাবলেশহীনকণ্ঠে রুলিন বললেন, এতে অস্বাভাবিকতার কী আছে? উনি আমার ভাবি হন তাই আমরা সবাই এক খাটে রাত কাটালাম, অপরিচিত তো আর কেউ না! রুলিনের দৃষ্টিতে যা স্বাভাবিক, তা ডেইজির রুচল না। তিনি বালিশে মুখ গুঁজে পাশ ফিরে কোনোমতে রাতটা কাটিয়ে দেয়ার কসরত করলেন। প্রভাতের আলো যখন শয্যাবাসীদের চোখ থেকে ঘুমের পর্দা সরিয়ে দিল তখন চোখ খুললেন ডেইজি। অনিচ্ছা সত্ত্বেও চোখটা পড়ল গিয়ে ঘুমন্ত স্বামীর ওপর। তিনি ভাবীকে জড়িয়ে...
এর কয়েকদিন পর। আজ শবে কদর। বাঙালী মেয়েরা হাজার হলেও ধর্মভীরু। অন্তত বিশেষ দিনগুলোতে। পূর্ণ উদ্যমে শবে কদর পালন করার প্রস্তুতি নিতে লাগলেন ডেইজি। আয়োজন করতে চাইলেন রুটি-গোশতেরও। রুলিন প্রথম অংশে সহযোগিতা করলেও দ্বিতীয় অংশে বাঁধ সাধলেন। দম্ভোক্তি করে আল্লাহ-আল্লাহর অস্তিত্ব নেই বলে সালাত-সিয়াম পালন করা বেকার বলে মন্তব্য করলেন। স্বামীর চারিত্রিক অধপতনের সাথে সাথে বিশ্বাসের এই শূন্যতা দেখে আরো ঘাবড়ে গেলেন ডেইজি। ভবিষ্যত তাকে কোথায় নিয়ে যাবে তা ভাবতে হলো তাকে এখনই।
তবু হাতেপায়ে ঘোরাতে লাগলেন নতুন সংসারের চাকাটা। এর কয়েকদিন পর আবার মাথায় বজ্রপাত ঘটল তার। রুলিন-ভাবীর মাখামাখিটার মাহাত্ম্য বুঝে আসল তার। তিনি জানতে পারলেন, রাহুল মূলত তাদের অবৈধ মাখামাখিরই ফসল। বীনার স্বামী মানিক (ছদ্মনাম) এ ক্ষেত্রে নীরবদর্শক। সামাজিকতার স্রোতে নিজের নাকটাকে কোনো মত উঁচিয়ে রাখার স্বার্থে সবকিছু নীরবে হজম করে যাচ্ছেন তিনি। কিন্তু ডেইজি তার স্বামীত্বের সম্ভ্রমবোধে প্রবলবেগে একটা ঝাঁকুনি দিলেন। বললেন, আপনি কেমন স্বামী যে, অন্য পুরুষ আপনার স্ত্রীর গর্ভে ঔরস রাখে আর আপনি তা নীরবে হজম করেন?
কথাটায় মানিকের পুরুষসত্তা জেগে উঠল। তিনি নাট্য সংঘ থেকে তিন দিনের মধ্যে এবং চিটাগাং থেকে পনেরদিনের মধ্যে রুলিনকে বিতাড়িত করার প্রতিশ্রুতি দিলেন। তিনি ছিলেন প্রভাবশালী লোক। যা সংকল্প তাই করে দেখালেন তিনি। এতে ডেইজির ওপর মারাত্মক ক্ষিপ্ত হলেন রুলিন। সুখ-সন্তরণের স্বাদ থেকে বঞ্চিত করার দায়ে স্ত্রীকেই এক নম্বর আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন তিনি।
ঢাকায় ফিরে এলেন রুলিন। সাথে ডেইজিও। বীনা হাত ছাড়া হওয়ায় এবার নতুন শিকার ধরার কাজে নেমে পড়লেন রুলিন। প্রবৃত্তির আহ্লাদ পূর্ণ করা তো আছেই, সেই সাথে আরও আছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেয়ার ব্যাপার! রুলিনের জন্য কাজটা কিছুমাত্র কঠিন নয়। এবার যাকে ধরবেন সেও তো ওই ডেইজিরই স্বজাত! তাকেও অভিনয় আর মুগ্ধতার জালে ফেলে শিকার করা সময়ের ব্যাপারমাত্র! তাই হলো। এবার তিনি শিকার করলেন দ্বীপান্বিতা নামের এক নাট্যকর্মীকে।
রুলিন পশ্চিমা সভ্যতার সীমাও ছাড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। পশ্চিমারা সবকিছু প্রকাশ্যে করলেও অন্তত পরকীয়াটা গোপনে করে। কিন্তু রুলিন তা করতেন না। স্ত্রীর সামনে তাকে দেখিয়ে দেখিয়ে এ কাজটি করতে হয়ত বেশি আনন্দ পেতেন তিনি। বীনার বেলায়ই সে অভিজ্ঞতা হয়েছে। এবার দ্বীপান্বিতাকে নিয়ে শুরু হলো এই অভিজ্ঞতা। রুলিন দ্বীপান্বিতাকে নিয়ে ডেইজির বিছানায় শয্যা যাপন করতেন! কে আছে এমন নারী, যে নিজ বিছানায় স্বামীর অবৈধ প্রণয়িনীকে দেখেও তার মন কাঁদবে না? তাই তিনি কখনও কাঁদেন আবার কখনও প্রতিবাদ করেন। কিন্তু প্রতিবাদ করতে গেলেই জোটে অত্যাচার। সেই পরনারীর সামনেই স্ত্রীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন রুলিন। অবলা নারীর শরীরে আঘাত করে করে নিজের পৌরুষ দেখান তিনি। এভাবে রক্তাক্ত হয় ডেইজির মন। পরনারীর কাছে পরাস্ত হওয়ার শোক তাকে কুড়ে কুড়ে খেতে থাকে।
হাজারও মন্দের এতটুকু ভালো এখানে যে, আমাদের দেশে এখনও সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় নি, যেখানে রুলিনদের মতো নারীপাগলরা যা খুশি তাই করতে পারবেন। কখনও কখনও তাদের সামনে এমন দেয়ালও পড়ে যা অতিক্রম করা সেকান্দারের দেয়াল অতিক্রম করার মতো দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। তাই তারা এদেশে বেশ অস্বস্তিতে পড়েন মাঝে মধ্যে।
রুলিন শুটিং করতে নেপাল গেছেন- ডেইজি তাই জানেন এবং তাকে তাই জানানো হয়েছে। কিন্তু সরল ডেইজির মন অভিজ্ঞতায় অভিজ্ঞতায় চতুর হতে শুরু করেছে। চুন খাওয়া জিহ্বা এখন দই দেখলেও ডরায়! তাই চুপটি মেরে বসে থাকলেন না। অনুসন্ধান করলেন এবং অনুসন্ধান করে জানতে পারলেন, আসলে শুটিং নয়; দ্বীপান্বিতাকে নিয়ে থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপন করতে নেপাল গেছেন রুলিন।
মুক্তবাসের অনাবিল স্বাদ আস্বাদন করে দেশে ফিরে এলেন রুলিন। স্ত্রীর বুক চিড়ে পরকীয়ার চর্চা করে যেতে থাকলেন অবলীলায়। প্রতিবাদ করতে গিয়ে কতভাবে যে মার খেয়েছেন ডেইজি- তার হিসেব একমাত্র সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ ছাড়া আর কেউ রাখেন না।
এভাবে কেটে যায় আরও কয়েকদিন। এবার দ্বীপান্বিতার প্রয়োজন ফুরিয়ে যাবার পালা। তাই তাকে ছেড়ে নতুন শিকারের সন্ধানে জাল নিয়ে নামেন রুলিন। রুলিন হলেন ঐসব সৌভাগ্যবান ‘শিকারী’, যারা মরাগাঙে জাল ফেললেও জালে মাছ জড়িয়ে যায়। এবারের শিকারের নাম হাসনা। দ্বীপান্বিতাকে ছাড়ানো গেল বলে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার আগেই একটা কলজে ছেঁচা আর্তনাদ বের হলো ডেইজির বুক ফেড়ে। স্বামীর পরকীয়ার আঘাতে আঘাতে নিঃশেষ হয়ে আসে তার চলৎশক্তি। একদিন তিনি অন্তরঙ্গ মুহূর্তে স্বামীকে জিজ্ঞেস করলেন- আচ্ছা, বলো তো, তুমি এসব করে বেড়াচ্ছো কেন?
রুলিন সেদিন যে জবাব দিয়েছিলেন তা শোনার পর ডেইজি আর কখনও নিজেকে এই প্রশ্নের সম্মুখীন করেন নি। রুলিন জবাবে বলেছিলেন- ‘এক নারীতে সন্তুষ্ট থাকা আমার স্বভাববিরুদ্ধ!’
হাসনাকে নিয়ে একটু বেশিই মেতে ওঠেন রুলিন। তাকে নিয়ে রাত কাটাতে শুরু করেন হোটেলে-বারে। কিন্তু স্ত্রীর প্রতিবাদ আর মানুষের চোখ-ইশারা সমালোচনায় এক পর্যায়ে হাঁপিয়ে ওঠেন তিনি। লুকোচুরির ইতি টানতে মিরপুরের ইব্রাহীমপুর এলাকায় একটা বাসা ভাড়া নেন এবং সেখানে তারা স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে বসবাস করতে থাকেন।
কথায় আছে, যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই রাত হয়। প্রবাদটা নিরঙ্কুশ সত্য প্রমাণিত হলো রুলিন-হাসনাদের বেলায়। যে বাড়িটায় তারা বসবাস করা শুরু করলেন তার নিচতলায় বাস করতেন ডেইজির এক আত্মীয়। একদিন হাসনাকে সাথে নিয়ে প্রবল হাস্যরসে সিঁড়ি ভেঙে ওপরে উঠছিলেন রুলিন। হঠাৎ তার হাস্যরসে ছেদ টেনে দিলেন মধ্যবয়সী এক মহিলা। আচানক প্রশ্ন করে মহিলা বললেন, এই যে বাবা! কোথায় যাও, সাথের মেয়েটি কে?
অপরিচিত একজন নারীর সামনে যে কোনো পরিচয়ই দেয়া যায়। সেটা মনে করেই রুলিন হাসনাকে তার স্ত্রীর পরিচয়ে ভূষিত করলেন। কিন্তু স্বল্প বিলম্বে সেখানে আরেকজন মহিলা হাজির হলেন। তিনি কোনো ভূমিকা ছাড়াই বললেন, আরে রুলিন ভাই যে! তা এই মহিলাকে তো চিনলাম না?
এই দ্বিতীয় মহিলাকে চিনতেন রুলিন। তাই তার সামনে হাসনাকে স্ত্রীর পরিচয়ে পরিচিত করা সম্ভব হলো না বলে দ্রুত কেটে পড়লেন সেখান থেকে।
ডেইজির দুটি পুত্রসন্তান। অনিন্দ্য (১৪) এবং বাবুন (৪)। বাবুন শিশুটির মানসিকতায় ভর করে আছে পৃথিবীর তাবৎ পিতৃবিদ্বেষ। চার বছরের একটি শিশু জগত দেখার আগেই দেখে ফেলেছে সকাল-বিকেল মায়ের নির্যাতিত হওয়ার সকরুণ দৃশ্য। দেখেছে অনৈতিকার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে যেয়ে মায়ের মার খাওয়ার নারকীয় দৃশ্য। সিগারেটের আগুনে দেহ দগ্ধ হওয়ার দৃশ্য। বাবুন কেবল সেদিনই প্রহারের আঘাতে মাকে চোখ মুছতে দেখত না, যেদিন বাবা রুলিন বীনা কিংবা দ্বীপান্বিতা অথবা হাসনাদেরকে নিয়ে বাইরে রাত কাটাতেন। অবুঝ শিশু তাতে স্বস্তি পেত। মায়ের কপোল গড়িয়ে পড়া অশ্রু যে কোনো শিশুর জন্যই যে বড় কষ্টের। সেদিন শিশু বাবুন এই কষ্ট থেকে রেহাই পেত বলে তার খুশি ধরত না।
কিন্তু অবুঝ শিশু বোঝে না, যেদিন মায়ের চোখ অশ্রুপাত করে না সেদিন তার আত্মা রক্তপাত ঘটায়। সে রাতের অনুপস্থিত স্বামীর শূন্যতা কারবালার রুক্ষ্মতা হয়ে মায়ের সামনে আত্মপ্রকাশ করে। কিন্তু অবুঝ শিশুর কি এসব বোঝার সময় আছে? সে বোঝে মায়ের চোখে আজ পানি নেই, ব্যস।
কতদিন সে বাবার হাতে মাকে হত্যা করতে উদ্যত দা-বটি দেখে, পিতার রুদ্রমূর্তি দেখে ক্ষোভের সাথে বলেছে- আব্বু ‘ববমাশ’, চালো তাকে জবাই করি! কতদিন মাকে নিভৃতে অশ্রুপাত করতে দেখে বলেছে- আম্মু! আর কেঁদো না, চলো আমরা ববমাশ বাবাকে ছেড়ে অন্য কোথাও চলে যাই।
রুলিনের সব অত্যাচার সহ্য করে যান ডেইজি। কিন্তু নির্যাতন, অত্যাচার, জ্বলন্ত সিগারেট দিয়ে গা পুড়িয়ে দেয়া, মানসিক নির্যাতন এবং হত্যার হুমকি দিন দিন বাড়তে থাকে। তাই শেষে হাল ছেড়ে দেন তিনি। প্রিয় মানুষ রুলিনকে ভালোবাসা দিয়ে বিনিময়ে শুধু জীবনটা নিয়েই পালাতে সক্ষম হন তিনি।
তার অন্তরে আজ ভালোবাসার ঝাঁপসা স্মৃতি। স্মৃতির বিস্তৃত মাঠ জুড়ে বীনা, দ্বীপান্বিতা আর হাসনাদের সদর্প পদচারণা, নিজ স্বামীতে উড়ে এসে জুড়ে বসা এসব অতিথি নারীদের একচ্ছত্র কর্তৃত্বের নারকীয় দৃশ্য, দুটি সন্তানের আম্মু ডাকার অস্পষ্ট প্রতিধ্বনি, ফেলে আসা শিশু বাবুনের মায়ের প্রতি অগাধ মমতার স্মৃতি আর স্বামী রুলিনের ব্যবহার্য একটি গেঞ্জি। বীনা, দ্বীপান্বিতা আর হাসনারা রুলিনের যে দেহ কুড়ে কুড়ে খায়, বৈধ স্ত্রী ডেইজি কেবল এই ব্যবহার্য গেঞ্জির গন্ধ শুঁকে সেই স্বামী রুলিনের অস্তিত্ব অনুভব করার চেষ্টা করেন! চোখের ওপর গেঞ্জিটা রেখে চোখ বুঁজে কল্পনা করেন, এই সেই গেঞ্জি যাতে রুলিনের দেহ স্পর্শ করেছে! রুলিন! তুমি কোথায়? এই দেখ, তোমার স্মৃতিকে কত আপন করে সাথে করে বেড়াচ্ছি!
ডেইজি! ঘুণেধরা এই সভ্যতায় একটি শীর্ণ বস্ত্রে তুমি তোমার দাম্পত্য জীবনের সুখস্মৃতি খুঁজে বেড়াও? এই শীর্ণ বস্ত্রটি তোমার আঁখিজলে যেদিন ছিন্নভিন্ন হয়ে যাবে, সেদিন তুমি কোথায় খুঁজে বেড়াবে এই সান্ত্বনা?
ছেলে অনিন্দ্যটা এখন কী করছে? বাবুন কী এখন আম্মু আম্মু বলে কাঁদছে আর তাকে খুঁজে বেড়াচ্ছে? এসব প্রশ্ন মা ডেইজির মনে ঘুরপাক খেতে থাকে তার শূন্য সংসারে। যখন কোনো কিছুতেই মন সরে না, তখন তিনি হাজির হন অনিন্দ্যদের স্কুলগেটে। ছেলেকে এক নজর দেখে তৃষিত বুকটা সামান্য সময়ের জন্য শীতল করে আসেন তিনি। কিন্তু তার এই ‘সুখটা’ সহ্য হয় না রুলিনদের। অনিন্দ্য যেন মায়ের সাথে দেখা করতে না পারে এবং মা যেন তাকে দেখতে না পারে- এমন একটি কঠিন বিধান রচনা করেন তিনি। শুধু তাই নয়, ডেইজি শুনতে পেলেন নিজ সন্তান তার মায়ের চরিত্র নিয়ে কথা বলছে এবং তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়ার কারণ নাকি মায়ের চরিত্র- এমন কথা প্রচার করে বেড়াচ্ছে। কথাগুলো শুনে মায়ের আত্মা বিদীর্ণ হয়। তিনি অনেক কষ্টে একদিন ছেলের সাথে দেখা করেন এবং বলেন, বাবা! তুমি নাকি মায়ের নামে এসব কথা বলে বেড়াচ্ছো?
বহুদিন পর মাকে দেখে অনিন্দ্যের অন্তরে ঝড় বইতে শুরু করে। সে মাকে আশ্বস্ত করে বলে, মা! আমি সত্যি সত্যিই একদিন তোমার কাছে ফিরে আসব। সেদিন আমি তোমাকে সব কথা বলব এবং জানাবো, কারা আমাকে দিয়ে এসব কথা বলাচ্ছে এবং কেন বলাচ্ছে।
সর্বহারা ডেইজির বুক এবার সাহারার মরুভূমি। শিশু বাবুনের জন্য তার মনটা সব সময় ছটফট করতে থাকে। পৃথিবীর সবকিছু বিসর্জন দিয়ে হলেও এক নজর ছেলেকে দেখতে চান তিনি। কিন্তু তাকে কোনোভাবেই সেই সুযোগ দেয়া হয় না। এরই মধ্যে শুনতে পান, বাবুনকে গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। হায়! কাজের লোক আর মজুরী দিয়ে বাবুনের মাতৃশূন্যতার ঘাটতি পূরণ হবে?
অনেক কষ্টে তিনি বাবুনের সাথে কথা বলার মতো একটা মোবাইল নাম্বার যোগাড় করলেন। ফোন করে কলজের টুকরোর সাথে কথা বললেন। বহুদিন পর মায়ের কণ্ঠস্বর ছোট্ট শিশু বাবুনের অন্তরে যেন অভিযোগ, অনুযোগ আর অভিমানের বান সৃষ্টি করলো। কান্নার ভাষাহীন ব্যাখ্যায় সে প্রকাশ করল তার অসহায়ত্বের কথা আর মাতৃস্নেহ বঞ্চনার দুঃখের কথা। পুনঃপুন তাগিদ দিয়ে মায়ের বুকে ফিরে আসার আর্তি জানালো সে। এমন নিষ্পাপ সন্তানের দুঃখভরা আকুতি ডেইজিকে যেন বিদ্রোহীনী করে তোলে। মন চায় একবার যেমন পেট চিড়ে সন্তানকে দুনিয়ায় নিয়ে এসেছেন এবার সমাজ আর রুলিনদের নিষ্ঠুরতার বাধা ছিন্ন করে সন্তানকে নিজের কাছে নিয়ে আসবেন। কিন্তু নিজের অক্ষমতার কথা মনে করে মুহূর্তেই চুপসে যান। তিনি জানেন, সন্তানের এই আর্তি যতই নিষ্পাপ ও অকৃত্রিম হোক না কেন, তা জালিমের রুক্ষ্মহৃদয়পাড়ে করুণার ঢেউ হয়ে আছড়ে পড়বে না। ফিরে দেয়া তো দূরের কথা, হয়ত অনিন্দ্যের মতো তার সাথেও দেখা বা কথা বলার অধিকার কেড়ে নেয়া হবে। হলোও তাই। বাবুনের সাথে গর্ভধারীনী মায়ের কথা বলার ঘটনাটি জানতে পেরে এই পথটিও রুদ্ধ করে দিলেন রুলিন।
এত লাঞ্ছনা, বঞ্চনার পরও স্বামীর প্রতি ভালোবাসায় কমতি নেই ডেইজির। যে তাকে দাম্পত্য মর্যাদা থেকে বঞ্চিত করেছে, কোল খালি করেছে, দূর থেকে তারও নিয়মিত খোঁজখবর রাখেন তিনি। কিন্তু কী হলো আজ তিনদিন হয় স্বামীর খোঁজ পাচ্ছেন না ডেইজি। অনেকের সাথে যোগাযোগ করেও সন্ধান করতে পারলেন না তিনি। অবশেষে দেবরের মাধ্যমে জানতে পারলেন রুলিন স্ট্রোক করেছেন। কিন্তু কোথায় আছেন, কী অবস্থায় আছেন তা জানাতে অস্বীকার করল সে। তিনি বারবার তার পায়ে পড়তে লাগলেন স্বামীর সর্বশেষ অবস্থা এবং তার অবস্থানস্থল জানার জন্য। কিন্তু দেবর অনঢ়। কোনো আকুতিতেই সে এরচে বেশি তথ্য দিল না।
তবে অন্য মাধ্যমে তিনি জানতে পারলেন, রুলিন স্ট্রোক করে মিরপুরের ন্যাশনাল হার্টফাউন্ডেশনে চিকিৎসাধীন আছেন। কিন্তু অসুস্থ স্বামীকে দেখতে যাওয়ার অনুমতি নেই তার। কারণ, রুলিনের আদেশ ডেইজি যেন তার মরা মুখটাও দেখার কোনো সুযোগ না পায়। তার এই আদেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে শিয়রে বসে আছে হাসনা। পৃথিবীর মস্তবড় এই রক্ষী অবিচল রয়েছেন ডেইজির আগমন ঠেকানোর জন্য। কারণ, ডেইজি দেখা করায় পাছে রোগীর যদি কোনো ক্ষতি হয়! হায় হাসনা! একেই বলে মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশি!
অনেক অনুনয় বিনয় ও কসম করেও অসুস্থ স্বামীকে দেখার অনুমতি পেলেন না ডেইজি। অধিকার বঞ্চিত ডেইজির আজ সম্বল স্বামীর ব্যবহার্য একটা গেঞ্জি, ২রা নভেম্বর ২০১০ইং থেকে সন্তান হারানোর স্মৃতি এবং ওই যে বেঞ্চের ওপর তিন ঘণ্টার সেই প্রেমপাঠ্য! শতভ্রষ্টতায় পিষ্ট ডেইজি আজও নারী পটিয়সী বহু ভালোবাসার কাঙাল স্বামীকে ভালোবেসে যান পাগলের মতো। কি জানি ডেইজিদের মতো সরল অবলা নারীদের উদ্দেশ্যই হয়ত শেখ সা’দী রহ. কাব্য গেঁথেছেন নিম্নোক্ত শব্দমালায়-
معشوق هزار دوستو را دل نه دهى
(মা’শূকে হাজার দোস্তরা দেল না দেহী)
ورمى دهى ان دل بجدائ به نهى
(ওয়ার মী দেহী আ দেল ব-জুদাঈ বা নেহী)
‘বহুভালোবাসার কাঙাল ভিখারীর থালায় ভালোবাসার ভিক্ষা দিও না। একবার দিলেও তা তুলে নিতে প্রস্তুত থেকো।’
ডেইজি! কাব্যের প্রথম লাইনটি তোমার জন্য, শেষেরটাও তাই।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/657/3
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।