মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
প্রকৃতিগতভাবে মানুষ সৌন্দর্যপূজারী। সুন্দর বস্তুর প্রতি মুগ্ধতা সকলের অস্তিমজ্জায় সংযুক্ত স্বভাব! মোহতাড়িত হয়ে জীবনকে বাঁকাপথে নেয়াও দুর্বলচিত্তের দুর্বল দিক। বিশেষ করে নারীর সৌন্দর্য পুরুষকে এক আশ্চর্য ও ভয়ঙ্কর পথে নিয়ে যায়। মানুষের হিসেবে আগে দর্শনদারী পরে গুণবিচারী। একারণে বহু যোগ্য কিন্তু অসুন্দরী নারী সহসা বিয়ের পিঁড়িতে বসার সুযোগ পায় না। অনেকের ধারণা, অসুন্দর স্ত্রী নিয়ে কোথাও চলাফেরা করা ও গৌরববোধ করা যায় না। কালো হরিণ চোখের মধ্যে পৃথিবীর সব সৌন্দর্য লুকানো থাকলেও সৌন্দর্যপিয়াসী পুরুষরা তা দেখতে পায় না। তবে আল্লাহ তা‘আলা সব মেয়েকে কালো হরিণ চোখ দেন না। ফলে কালো তথা অসুন্দর মেয়েদের বিড়ম্বনার শেষ নেই। শরীরী সৌন্দর্য না থাকলে আজকের নারী স্বাধীনতার যুগেও চাকরির বাজার সুবিধার নয়। সুন্দরী মেয়ে তার সৌন্দর্য দিয়ে চারপাশকে মোহাবিষ্ট করবে কামুকদুনিয়ার এটাই বড় প্রত্যাশা। তাই বাণিজ্যিক নারীরা কালো হলে তারা খরিদ্দার পায় না। মোটকথা, সর্বত্রই সুন্দরের জয়জয়কার।
তবে বাহ্যিক শাহপুরুস্তীরা আভ্যন্তরীণ একটা সৌন্দর্যের অন্বেষণ করে। সেটা আলো-আঁধারীর সৌন্দর্য। এই সৌন্দর্যের অভাবে অনেক পরমা সুন্দরী নারীও সাধারণ একটা কাজের কালো মেয়ের কাছে হার মানতে বাধ্য হয়। সমাজে এধরনের উদাহরণ খুঁজে পেতে মোটেও কষ্ট হয় না। বাস্তব ঘটনা বলি। জনৈক ব্যক্তি অনিন্দ্য সুন্দরী উচ্চ শিক্ষিতা স্ত্রীকে ছেড়ে যখন একটি কালো মেয়েকে বিয়ে করল তখন সবাই তো হতবাক। ঠিক কী কারণে কাজের মহিলা সমতুল্য মেয়েকে চোখ ধাঁধানো সুন্দরী স্ত্রী ছেড়ে বিয়ে করল তা কারো মাথায় ধরল না।
পরে জানা গেল, প্রকৃতিগত সৌন্দর্যে সে ঐশ্বর্যমণ্ডিত ছিল না। স্বামীকে নিজের দিকে আকৃষ্ট করে রাখার সামর্থ্য ছিল না। দিনের পর দিন এভাবে চলতে থাকায় এক সময় স্বামী কাজের মেয়ের দিকে আকৃষ্ট হয়। এখানে এসে সে স্বামী আবিষ্কার করে এক ভিন্ন জগত। আজ নারীসত্তার বাহ্যিক সৌন্দর্যের বাইরে আরেকটি সৌন্দর্যের সাথে তার পরিচিত ঘটে। সেই পরিচয় থেকে অবৈধ পথ এবং একদিন স্ত্রী ত্যাগ করে কাজের মেয়ের বাহুবন্ধনে আবদ্ধ!
নারীর বেলায় কথাটা যেমন প্রযোজ্য, পুরুষের বেলায়ও তাই। স্বামী শহরে চাকরি করে। মোটা মাইনে। স্ত্রী থাকে তিন সন্তান নিয়ে গ্রামের বাড়িতে। একদিন শোনা গেল গ্রামের মাটিকাটা এক লোকের সাথে ভেগে গেছে মহিলাটি। গল্পপ্রিয় নারীদের খোরাক জুটে যায়। তাদের গল্পের রসদ বাড়ে। প্রবীণ মহিলারা টিপ্পনী কেটে বলে, সচ্ছল সংসার, সুন্দর স্বামী ও সন্তান রেখে ওই নারী ভাইগা গেল কেনরে? আরেকজন রস যুক্ত করে উত্তর দেয়- ব্যাটার মর্দামী শক্তির কারণে!
যাহোক, মানুষ সৃষ্টিরই একটা অংশ। আর সৃষ্টিতে আল্লাহ তা‘আলা জৈবিক চাহিদা ও কামনা যেমন রেখেছেন তেমনিভাবে আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে মানুষের মধ্যে সৌন্দর্যপ্রিয়তার স্বভাবও দান করেছেন। কিন্তু সেই সাথে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার আদেশও দেয়া হয়েছে তাকে। কেবল সৌন্দর্যের পেছনে ছোটা আশরাফুল মাখুলকাত হিসেবে একজন মানুষের আদৌ নৈতিক কাজ নয়। তাই সৌন্দর্যের যতটুকু সহজ পথে পাওয়া যায় তাতে সন্তুষ্ট থেকে অবশিষ্ট সৌন্দর্যের জন্য বক্রপথ অবলম্বন না করে ধৈর্য্যধারণ করা বুদ্ধিমানের কাজ।
‘ডিএইচ লরেন্স বলেছেন, যৌনক্ষুধা পৃথিবীতে মানুষের সবচেয়ে বড় ক্ষুধা। এই ক্ষুধার আবেগ দমন করা মানুষের অসাধ্য। এই ক্ষুধার তীব্রতা এমনই সর্বগ্রাসী যে, মানুষ অনেক সময় অপমানসহ যেকোনো ধরনের কঠিন শাস্তি এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত মেনে নেয়। যৌনক্ষুধা ও পেটের ক্ষুধা মানুষের জন্য অপরিহার্য। তবে কঠিন আত্মসংযমের মাধ্যমে যৌনক্ষুধা দমন করা সম্ভব হলেও পেটের ক্ষুধা দমন করা সম্ভব নয়। দুটো ক্ষুধার কারণেই মানুষ লড়াই-সংগ্রাম করে। জীবনযুদ্ধে লিপ্ত হয়ে কেউ জয়ী অথবা পরাজিত হয়।’
মিস্টার লরেন্সের প্রায় সবগুলো কথাই মেনে নেয়া যায়। কারণ তিনি যৌনক্ষুধাকে পৃথিবীর সর্বগ্রাসী ক্ষুধা বলে উল্লেখ করেছেন সেই সাথে একথাও বলেছেন যে, মানুষ তার কঠিন আত্মসংযম দ্বারা এই ক্ষুধার অবৈধ চাহিদা থেকে বিরত ও বেঁচে থাকতে পারে। তাই যদি শুধু সৃষ্টিগত সূত্রে প্রাপ্ত জৈবিক চাহিদাকেই গুরুত্ব দেয়া হয় কিন্তু নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সংযমের গুরুত্ব না দেয়া হয় তবে বিপর্যয় ঘটা খুব স্বাভাবিক। কারণ, আল্লাহ তাআলা মানুষকে জৈবিক চাহিদা দিয়েছেন অনেকটা প্রয়োজনে আর কিছুটা পরীক্ষার জন্য। তাই প্রয়োজন ও পরীক্ষা দুটোতেই উতরাতে হবে আল্লাহপ্রদত্ত নীতিমালার আলোকে। একারণেই জৈবিক চাহিদার তীব্রতা স্বীকার করেই তা নিয়ন্ত্রণ করার গুরুত্ব দেয়া হয়েছে হাদীসে নববীতে। রাসূলুল্লাহ আলাইহি সালাম ইরশাদ করেন-
‘যে ব্যক্তি তার দুই চোয়ালের মধ্যবর্তী অঙ্গ তথা যবান ও দুই রানের মধ্যবর্তী অঙ্গ তথা লজ্জাস্থান হেফাযত করার দায়িত্ব নেবে আমি আল্লাহ তা‘আলার কাছ থেকে তার জান্নাতের দায়িত্ব নেব।’ [সহীহ বুখারী : ৬৪৭৪]
ইবন বাত্তাল রহ. বলেন, হাদীসের ভাষ্য মতে দুনিয়ার মানুষের সবচেয়ে বড় বিপদ হচ্ছে দুটি অঙ্গ। যবান ও লজ্জাস্থান। অতএব যে এই দুটি অঙ্গের অকল্যাণ থেকে বাঁচতে পারবে সে বড় বিপদ থেকে বাঁচতে পারবে। [ফাতহুল বারী]
এই হাদীস দ্বারা জানা যায়, জৈবিক চাহিদা মানুষের মধ্যে আল্লাহ স্থাপিত গুণ। এটা প্রত্যেকের মধ্যে থাকবেই। কিন্তু অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। অন্যথায় সামাজিক শান্তি বিনষ্ট হবে এবং অবিশ্বাস্য রকমের অপ্রীতিকর ঘটনা সংঘটিত হবে। হয়ত এমনি কোনো অনৈতিক সৌন্দর্য অন্বেষণের কারণেই ঘটল বড় অসম প্রেমের অদ্ভুত একটা ঘটনা।
বৃদ্ধ জনার উদ্দিনের বয়স ৬৩। বার্ধক্যের সবকিছুই তাকে আলিঙ্গন করেছে। মাথার চুল পেকেছে। নাতি-নাতনী হয়েছে। অনেকগুলো দাঁত পড়ে মুখটা প্রায় ফাঁকা হয়ে গেছে। মৃত্যু ফেরেশতা সালাম করি করি করে করেন না! তবু নিবৃত হন না তিনি। সমাপ্তি ঘটেনা সৌন্দর্য অন্বেষণের লড়াইয়ের। বরং প্রেমযুদ্ধে এক শক্তিশালী লড়াইয়ে হিসেবে অবাক করে দেন সকলকে। লড়াইয়ে সকলকে পরাস্ত করে জয় করে নেন এক দুর্লভ ‘পুরস্কার’।
ডালিম বেগম। বয়স মাত্র ১৩। জনারুদ্দিনের প্রায় পাঁচভাগের মাত্র একভাগ। ঝালকাঠির হরিণাকুণ্ড থানায় বাড়ি। নাতনী বয়সী এই মেয়েটাকেও ঘায়েল করেন তিনি। মেয়েটিকে তাকে নানা বলে ডাকত। আর তিনি তাকে ডাকতেন ‘ও নাতনী’ বলে। কিন্তু কী এক সৌন্দর্য অন্বেষণের নেশায় পেয়ে বসে বৃদ্ধ জনারুদ্দিন ও অবুঝ খুকি ডালিমকে। থুবড়ে যাওয়া চামড়ার হাতে কচি-কোমল হাত রেখে অজানার উদ্দেশ্যে হারিয়ে যায় ডালিম। [তথ্যসূত্র : সমকাল, আগস্ট ২০১১ ইং]
অবাক পৃথিবী তাকিয়ে থাকে বৃদ্ধের হাত ধরে পালিয়ে যাওয়া ডালিমের এই প্রেমআখ্যান দেখে। সত্যি প্রেমের হরণ ক্ষমতা দুর্বার! দায়িত্বের মুখ থেকে করণীয় কেড়ে নিতে পারে। চোখের পর্দা থেকে কর্তব্য সরিয়ে দিতে পারে। আবেগের তাড়না ও উচ্ছ্বাসের আতিশয্য বয়সের সীমারেখা তুলে দিতে পারে। যাযাবরী ভাষায়- ‘প্রেম আপন গভীরতায় নিজের মধ্যে একটি মোহাবেশ রচনা করে। সেই মোহের দ্বারা যাকে ভালোবাসি তাকে আমরা নিজের মনে মনে মনের মতো করে গঠন করি। যে সৌন্দর্য তার নেই সেই সৌন্দর্য তাতে আরোপ করি। যে-গুণ তার অভাব, সে গুণ তার কল্পনা করি। সে তো বিধাতার সৃষ্ট কোনো ব্যক্তি নয়; সে আমাদের নিজ মানসোদ্ভুত এক নতুন সৃষ্টি। তাই কুরূপা নারীর জন্য রূপবান, বিত্তবান তরুণেরা যখন সর্বস্ব ত্যাগ করে, অপর লোকেরা অবাক হয়ে ভাবে, ‘আছে কী ওই মেয়েতে, কী দেখে ভুলল?’ যা আছে তা সে তো ওই মেয়েতে নয়,- সে ভুলেছে তার বিমুগ্ধ মনের সৃজনধর্মী কল্পনায়। আছে তার প্রণয়াঞ্জনলিপ্ত নয়নের দৃষ্টিতে। সে যে আপন মনের মাধুরী মিশায়ে করেছে তাহারে রচনা।’
কিন্তু খুকী ডালিমের কতদিন থাকবে সে-অঞ্জন? খুব স্বল্প ব্যবধানেই তা হবে মন থেকে বিলুপ্ত। মন থেকে অপসৃত হবে সে মোহাবেশ। একদিন জগতের সমস্ত কবিকুলের কল্পলোক থেকে আহৃত যে সৌন্দর্য, যে সুষমা, যে বর্ণসম্ভার দ্বারা সে বৃদ্ধ জনারুদ্দিনকে রচনা করেছিল তিলে তিলে তা নিঃশেষ হয়ে যাবে। তার লেশমাত্রও বাকি থাকবে না। তখন কোথায় গিয়ে উঠবে ডালিম?
তাই একজন মানুষ হিসেবে যে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার বেলায় অনেক ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। মোহে পড়ে এমন কিছু করা উচিত নয় যা ভবিষ্যত জীবনে বড় ধরনের বিপর্যয় ডেকে আনে। তাই মোহকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারাই হবে একজন খাঁটি মুমিনের অন্যতম গুরুদায়িত্ব। যে মোহে পড়ে জনারুদ্দিন আজ ১৩ বছরের একটা কিশোরীকে নিয়ে পথে নামল একদিন এই মোহই তার জন্য কাল হবে। নিশ্চয় মোহ নামের এই ক্ষণস্থায়ী বস্তুটা সারাজীবন ডালিমকে আচ্ছন্ন করে রাখবে না। জনারুদ্দিনের বার্ধক্যের কাছে হার মানবে এই মোহ। তাই মোহে পড়ে এমন একটি স্থায়ী সম্পর্কে এত ব্যবধান থাকা ঠিক নয়। মানুষের সংযম থাকা যেমন কাম্য তেমনিভাবে সংযমের পথেও হাঁটাও বুদ্ধিমানের কাজ।
বিয়ের ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বয়সের ব্যবধান থাকা উচিত। তবে তা পরিমিত। যেমন স্বামীর বয়স স্ত্রীর চেয়ে আট-দশ বছর বেশি হতে পারে এবং এমন হওয়াই উচিত। তাই বলে ৫০ বছরের ব্যবধান! কাজী নজরুল ইসলামের একটি বিখ্যাত উক্তির কথা স্মরণ হলো। তার সেই বিখ্যাত উক্তিটি হচ্ছে- ‘বহু বৃদ্ধিকে দেখিয়াছি- যাহাদের বার্ধক্যের জীর্ণাবরণের তলে মেঘলুপ্ত সূর্যের মতো প্রদীপ্ত যৌবন।’
তবে জীবনের প্রয়োজনে যে কোনো মানুষ এই উক্তির বাস্তবায়ন করতে পারে। কিন্তু নিশ্চয় তা সরল পথে হওয়া চাই। ইসলাম কখনই কারো প্রয়োজনকে খাটো করে দেখে না। জনারুদ্দিনের যদি এই বয়সে এসেও সেরকম কোনো প্রয়োজন থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই ইসলাম তার সেই প্রয়োজন পূরণ করবে এবং এর উত্তম ব্যবস্থা রেখেছে তার পবিত্র সংবিধানে। সে পথে হাঁটলেই তো হয়। কোনো সমালোচনা নেই, নিন্দা নেই কেবলই প্রশংসাই পেতেন তিনি। বৈধ ভাবে ৬৩ বছরে কেন, ১২০ বছরেও যদি কেউ বিয়ের পিঁড়িতে বসে তাতেও বাধ সাধবে না কেউ।
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সী ‘বরের’ কথা বলি। আসামের করিমগঞ্জের ষাটঘোড়ি গ্রামের হাজী আবদুন নূর। জীবন ও বয়সের খাতায় যোগ করেছেন দশ দশটি যুগ। ১২০ বছরেও থমকে যায় না তার জীবন। ছয় বছর আগে স্ত্রী সালিমা মারা যাওয়ার পর তীব্রভাবেই অনুভূত হতে থাকে একজন নতুন সঙ্গীনীর। রাখঢাক না করে ছেলেমেয়ে আর নাতীনাতনীর ভরা মজলিসে প্রকাশই করে দিলেন তিনি মনের কথাটা। ‘তার দেখাশোনার জন্য একজন লোক প্রয়োজন। আর তাই তিনি আবারও বিয়ে করতে চান।’ বললেন ছেলেদের কাছে।
পাক্কা শরয়ীপন্থা। প্রশংসিত উদ্যোগ। ছেলে হাজী আজিরউদ্দিন বলেন, আমরা বাবার প্রস্তাব খুব খুশি মনেই মেনে নিই। কিন্তু শতবর্ষী একজন ‘বরের’ জন্য পাত্রী পাওয়াও সমস্যা। তবে শরীয়তকে সাথে নিয়ে চললে ভাগ্য ভালো থাকে। সামোনি বিবি নামের ৬০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা আব্দুর নূরের বধূ হতে রাজি হলেন। ৫০০ অতিথির উপস্থিতিতে জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সী বরের বিয়ের অনুষ্ঠান সংঘটিত হলো। অতীতকে এতদূর ফেলে এসেও শরীয়তের শীতল আবহে খুশিতে গা জুড়িয়ে যায় আব্দুর নূরের। তিনি বলেন, ‘বিয়ের কথা পাকা হতেই অসুস্থতা অনেকটা কমে গেছে।’ এদিকে স্বামী আর ঘরভর্তি ছেলেমেয়ে ও নাতী নাতনীদের নিয়ে বেশ আনন্দের সঙ্গেই সংসার শুরু করেছেন সামোনি বিবি। [তথ্যসূত্র : দৈনিক সকালের খবর ৩০/১০/১১ইং]
এতো হলো অস্বাভাবিক ঘটনা। স্বাভাবিক ঘটনায় বয়সের ব্যবধান বেশি হওয়া যেমন উচিত নয় তেমনি একেবারে সমান সমান হওয়াও উচিত নয়। অনেককে দেখা যায় ক্লাসমেট বা সমবয়সী নারী বা পুরুষকে বিয়ে করে। বয়সের সমতাটা এক সময় তাদের জন্য বিপদ হয়ে দেখা দিতে পারে। কারণ খুব স্বাভাবিক ভাবেই নারীরা দ্রুত বুড়িয়ে যায়। পুরুষের বেলায় তা ঘটে অনেক পরে। ফলে সমবয়সী হলে স্ত্রী আগেই বুড়িয়ে গেলে সে ক্ষেত্রে স্বামী অতি সংযমী না হলে অন্য নারীর প্রতি ঝুঁকে পড়তে পারে। তাই সব সত্যের মধ্যে এই বাস্তবতাগুলো মেনে চলারও দরকার আছে। অন্যথায় সংযমের পথ অনেকটাই বাধাগ্রস্থ হতে পারে।
ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও এসব বিষয়ে কথা বলতে হলো। পাঠকগণের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। বাস্তবতা শুনতে কটু হলেও নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার স্বার্থে তা শুনতে হয় এবং একই কারণে বলতেও হয়। আল্লাহ যেন এই বলার ত্রুটি মার্জনা করে উদ্দেশ্যের সততার কারণে প্রতিদান দেন।
ডাকাতির রকমফের
বাংলাদেশের মানুষের গায়ে দুর্নীতির গন্ধটা বেশি মাত্রায় উৎকট। প্রশাসনের কয়েক শ্রেণীর লোকের দুর্গন্ধটা কারো চোখের আড়ালে নয়। কিন্তু আরেক শ্রেণীর মানুষ আছেন যাদের দুর্নীতির ধরন ও প্রকার আরও ভয়ানক ও মারাত্মক। কিন্তু মানুষ তা জানে না। আর যারা জানে তারাও একে দুর্নীতি বলে জ্ঞান করে না। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তা সাধারণ দুর্নীতির চেয়ে ভয়ানক। এদের মধ্যে ডাক্তারদের কথা আসে সবার আগে। বাংলাদেশে চিকিৎসার নামে যে মহাদুর্নীতি হয় তার নযীর পৃথিবীর আর কোনো দেশে আছে বলে মনে হয় না। একজন অসহায়, অভাবগ্রস্থ, নিঃস্বলোকও কোনো কোনো ডাক্তারের কাছে করুণার পাত্র হওয়ার যোগ্যতা রাখে না! তার কাছে আগে হিসেব অর্থের, তারপরে মানবতার। মানবতার প্রশ্নটা কিছু কিছু ডাক্তারদের কাছে যেন কেমন গুমরে কাঁদে!
কতক ডাক্তারের কাছে জিম্মি মানবতা নামের মহামূল্যবান সম্পদ। আর্থিক অনৈতিকার এই আলোচনা থাকগে। এবার আসল কথায় আসি। মুক্তবাসের এই দুনিয়ায় সমাজের কোনো অংশ নিজেকে পাপের কুফল থেকে দূরে রাখতে পেরেছে বলার সাহস আর হয় না আমার।
সিরাজগঞ্জ : বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কামারখন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোয়ার্টারে এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে মেডিক্যাল অফিসার হাফিযুর রহমান। একারণে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে।
পিরোজপুর : পিরোজপুরের শহরের আম্বিয়া হাসপাতালের চিকিৎসক নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অপারেশন কক্ষে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ অভিযুক্ত চিকিৎসককে রাতেই আটক করেছে। [তথ্যসূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন ১৬/০৯/১১ইং]
খুব সংখ্যক ঘটনাই মানুষের দৃষ্টিতে আসে। তাতেই আমাদের দৃষ্টি বিকল হয়ে যায়। কিন্তু ঘটমান সব ঘটনাই যদি আমাদের দৃষ্টিগোচর হতো তবে মানুষ হিসেবে অনেকেই আমরা নিজেদেরকে ঘৃণা করতাম। বড় করে নিজেদের পরিচয় দেয়ার ধৃষ্টতা দেখাতাম না। কত ধরনের অনাচার, গর্হিত কাজ যে আমাদের সমাজের পবিত্রতাকে কলুষিত করছে তা বলতে গেলেও কলম ধরে যায়, বিবেক আচ্ছন্ন হয়ে আসে।
আধুনিক যুগ বলে কথা। জীবনের সবক্ষেত্রে কৃত্রিমতার ছড়াছড়ি। কখনও স্বেচ্ছায় কখনও বা ভান করে। একাধিক সন্তান নিও না- এ হলো হালআমলের সবচেয়ে বড় হিতোপদেশ! নানাভাবে এর ওপর আমল করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মহিলারা নিজেই কম বাচ্চা নেয়ার জন্য কিংবা শারীরীকি ফিটনেস ধরে রাখার জন্য ডাক্তারের ছুরির নিচে শুইছে। আবার উদ্বুদ্ধ-উৎসাহিত করার সাথে সাথে একাজের জন্য জোরও করা হচ্ছে কোথাও কোথাও। একারণে কোনো ক্লিনিকে নরমলে বাচ্চা হলেও স্বার্থপর ডাক্তাররা মায়ের পেট কেটে দিচ্ছে সিজার হয়েছে বলে।
প্রসব বেদনায় বেহুঁশ একজন অসহায়, অক্ষম নারীকে নিয়ে ডাক্তাররা কী ছিনিমিনি খেলাই না খেলে থাকে! সিজারের এক রোগীর ভাষ্য। খুব আক্ষেপ করে তিনি মহিলা মহলে কথাটা বলতেন। তিনি নিজের করুণ ইতিহাসের আখ্যান দিতে গিয়ে বলেন, ইঞ্জেকশন দিয়ে পুরো শরীর অবশ করলেও আমি টের পাচ্ছিলাম আমার শরীরের সাথে কী করা হচ্ছে। অপারেশন হলে কোনো মহিলা ডাক্তার বা নার্স নেই। তিনজনই পুরুষ ডাক্তার। একজন সিনিয়র আর বাকি দুইজন শিক্ষার্থী। গুরুর ইশারায় কিছুক্ষণের জন্য ল্যাবের বাইরে চলে গেলো শিষ্যরা। সেই নাযুক সময়ে মুমূর্ষ রোগীর দেহের সাথে খেয়ানত করলেন ডাক্তার!
ঘৃণায় শরীর ফুঁসতে থাকলেও করার কিছু ছিল না মহিলার। প্রতিবাদ করে নরাধমের গালে শক্ত করে একটা চড় বসিয়ে দেবেন সেই শক্তিও কেড়ে নিয়েছে ইঞ্জেকশন। তাই তিনি শরীরের অক্ষমতার কারণে শরীরের খেয়ানত মেনে নিতে বাধ্য হলেন। অক্ষমতার এই লাঞ্ছনাকর স্মৃতি তাকে সাড়া জীবন বিব্রত করে...
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/657/21
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।