মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কায় মানুষকে কুরআনের প্রতি আহবান করতে শুরু করলেন। বুদ্ধিমান, সত্যান্বেষী একদল মানুষ তার আহবানে সাড়াও দিলেন। তাদের সততা, চরিত্রমাধুর্য্যে সুন্দর হয়ে উঠতে শুরু করল মক্কার পরিবেশ। যুবকরা চরিত্রবান হওয়া শুরু করল। নারীরা পেতে শুরু করল তাদের কাঙ্ক্ষিত অধিকার। কিন্তু এক শ্রেণীর মানুষের জন্মই হয়েছে সত্যের বিরুদ্ধে লড়বার, মিথ্যার ডামাডোলে নিজের জীবন গড়বার জন্য। সঙ্গত কারণেই মক্কাতেও এর ব্যতিক্রম দেখা গেল না। আল্লাহ তা‘আলার কুরআনের বিরুদ্ধে, তার আদেশের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লাগল মক্কার ক্ষমতাসীন নেতারা। তারা শুধু কুরআনের বিরুদ্ধে কথাই বলল না বরং জাতির সামনে তারা কুরআনের বিকল্প রূপও পেশ করল। সেই ঘটনাটিই বর্ণিত হয়েছে সূরা নামলের ৬নং আয়াতে-
‘আর মানুষের মধ্য থেকে কেউ কেউ না জেনে আল্লাহর পথ থেকে মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য বেহুদা কথা খরিদ করে, আর তারা ঐগুলোকে হাসি-ঠাট্টা হিসেবে গ্রহণ করে; তাদের জন্য রয়েছে লাঞ্ছনাকর আযাব’। {সূরা লুকমান, আয়াত : ৬}
উতবা নামক মক্কার এই প্রভাবশালী নেতা পারস্য দেশে গিয়ে সেখান থেকে একটা নর্তকী কিনে এনে মক্কার যুবকদেরকে উস্কে দিল। সে নর্তকীকে কুরআনের বিকল্প হিসেবে পেশ করে যুবক ও মক্কাবাসীকে কুরআন শোনা থেকে নিবৃত রাখার চেষ্টা করল। ক্ষমতা আর দাপটের মদমত্তে উন্মাদ হয়ে ভুলেই গেল যে, সে মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ তা‘আলার বিরুদ্ধে এক অসম লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছে। এই লড়াইয়ে তার ব্যর্থতা, পরাজয়, লাঞ্ছনা আর অভিশম্পাত অবশ্যাম্ভাবী। ক্ষমতা মানুষকে এভাবেই উন্মাদ করে দেয়?
বলতে পারেন, পৃথিবীর সবচেয়ে উত্তপ্ত পাত্র কোনটি? তেলের কড়াই? লোহা জ্বালানোর ব্রয়লার? কিংবা অন্য কিছু? এর কিছুই নয়। পৃথিবীর সবচেয়ে উত্তপ্ত পাত্র হচ্ছে ক্ষমতার মসনদ। স্বর্ণখচিত আর রেশমের ঝালরযুক্ত এসব মসনদ দূর থেকে দেখতে খুব চমৎকৃত মনে হয়। কিন্তু পৃথিবীর কত শাসক, রাজা বাদশা আর দোর্দণ্ডপ্রতাপশালী ক্ষমতার অধিকারী যে এই উত্তপ্ত আসনে উপবিষ্ট হয়ে পুড়ে ছাই হয়েছেন- কয়জন ‘দর্শক’ সেসবের খবর রাখেন? আসনের উত্তপ্ততায় বিমূর্তরূপ ধারণ করেছিল ফিরাউন, নমরুদ, শাদ্দাদ, হামান, আলেকজান্ডার, গণেশ, দাহিররা। কোথায় গেল তাদের প্রতাপ? আজ যে তাদের উত্তপ্ত আসনে উপবেশনের খাকটুকুরও চিহ্নি নেই! ইতিহাস তাদেরকে মানুষের শ্রদ্ধার দৃষ্টি থেকে অনেক দূরে নিক্ষেপ করেছে। আজ তারা হারানো ও ঘৃণ্যঅতীত। কারণ, তারা ক্ষমতার অস্থায়ীত্ব অনুধাবন করেনি, রাজাসনের ধ্বংসযজ্ঞ উত্তপ্ততা টের পায়নি। আজও আছে এমন শাসক, যারা সাময়িক ক্ষমতার উষ্ণতায় আল্লাহর বিরুদ্ধে কথা বলে, আল্লাহর বিধানকে তাচ্ছিল্য করে চড়া গলায় কথা বলে। ফলে ধ্বংস হয় নিজে। ধ্বংস করে দেশ, জাতি ও মানবতাকে।
বাংলাদেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ। ধর্মের প্রতি গভীর অনুরাগ এদেশের মানুষের দুধে চিনির মতো ব্যাপার। একারণে এদেশে ইসলামবিরোধী শক্তি বহু আগ থেকে তৎপর হলেও আশানরূপ ফলাফল পায়নি। আলেম-উলামা, তালাবা-মাশায়েখ, দাওয়াত-তাবলীগ ইত্যাদি দ্বীনি প্রতিষ্ঠানের কারণে মুসলিমরা এখনও তাদের শিকড়ের সাথেই যুক্ত থাকার বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে চলেছে। কিন্তু সময়ের স্রোতে ভেসে যেতে বসেছে এমন গৌরবময় হাজারও ঐতিহ্য। ক্ষমতার মদমত্তে আক্রান্ত এক শ্রেণীর মানুষ জাতিকে বিভ্রান্ত করতে বেছে নিয়েছে ফিরাউন নমরুদদের ভূমিকা। কথা বলছে তাদের সুরে, তাদেরই ভাষায়।
১৫ই জুলাই ২০১১ইং সালে দেখা গেল এমনি এক দাম্ভিকতা। এ দাম্ভিকতা কোনো সাধারণ শাসকের বিরুদ্ধে নয়। অস্থায়ী ক্ষমতার সাময়িক কোনো শাসকেরও বিরুদ্ধে নয়। স্বয়ং আহকামুল হাকিমীনের বিরুদ্ধে এই দম্ভোক্তি, ফিরাউনী উচ্চারণ। সেদিন নরসিংদীর টাউন হল মাঠটি আসমানী গযবের আশঙ্কায় কেঁপে উঠেছিল নিশ্চয়। কেননা, ‘বুদ্ধিমান’ মানুষ আল্লাহর বিরুদ্ধে কথা বলতে পারে, কিন্তু অন্য কোনো মাখলুক তা পারে না। সে সাহস তারা করে না। আল্লাহর ভয় তাদের নির্বিঘ্ন থাকতে দেয় না। আসমানী শক্তি ও নির্দেশের বিরুদ্ধে কোনো উচ্চারণ হলে তারা নিশ্চিন্তও থাকতে পারে না। সেদিন জনৈক মন্ত্রী হাজারও জনতার সামনে আল্লাহর বিধান পর্দার বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়ী হওয়ার কৌশল বাতলে দিয়ে বলেন- ‘বোরকা থেকে বাঁচতে হলে ছেলেমেয়েদেরকে নাচগান শিক্ষা দিন।’
কত বড় স্পর্ধা! ফিরাউন, নমরুদ, কারুন, আবূ জাহলরা আল্লাহ তা‘আলার নাফরমানী করত তা আমরা জানি, কিন্তু কোন্ ভাষায় কোন্ স্পর্ধায় তা করত তার বাস্তব অভিজ্ঞতার সাথে কখনও সাক্ষাত ঘটেনি। এই মন্ত্রীর কথায় সেই অভিজ্ঞতা হলো। একটি মুসলিম দেশের মন্ত্রী হয়ে হাজারও মুসলিম জনতাকে সম্বোধন করে কোন্ জ্ঞানে তিনি কথাটা বলার সাহস করলেন তা ভাবতেও কষ্ট লাগে। এদেশটা তবে এতই স্বাধীন হয়ে গেল যে, যে যেভাবে ইচ্ছা প্রকাশ্যে আল্লাহর বিধানের বিরুদ্ধে কথা বলবে? পর্দা তো তাদের দৃষ্টির কোনো মাওলানা মুফতীর কথা না। স্বয়ং আল্লাহ তা‘আলার কথা।
তবে কি তিনি জাতিকে এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে এই ম্যাসেজ দিলেন যে, মাওলানা মুফতীদের সাথে লড়াইয়ের দিন শেষ। এবার লড়াই হবে স্বয়ং আল্লাহ তা‘আলার সাথে? তিনিও কি তবে আগের যুগের নির্বোধ বাদশাহদের মতো আল্লাহ তা‘আলার বিরুদ্ধে লড়বার শক্তি সঞ্চয় ও তার প্রস্তুতি গ্রহণ করে ফেলেছেন এবং এখন সেই অসম যুদ্ধে লড়বার জন্য লোক সংখ্যা বাড়াচ্ছেন? ফিরাউন, নমরুদরা যেভাবে প্রকাশ্যে ভাষণ দিয়ে নিজেদের দল ভারি রাখতে সচেষ্ট থাকত তেমন করে? এযুদ্ধে পরাজয় যে অবশ্যাম্ভবী! ব্যর্থতা অবধারিত! লাঞ্ছনা অত্যাবশ্যক!
দেশ এমনিতেই রসাতলে যাচ্ছে। বেপর্দা, উচ্ছৃঙ্খলা আর মুক্তবাসের ছোবলে নিত্যদিন পুড়ছে হাজার তরুণী-যুবতীর জীবন। লাঞ্ছনার শিকার মেয়েগুলো ‘ঘরে’ ফেরার আকুতি জানাচ্ছে, অভিশপ্ত জীবনের গ্লানি মুছে পবিত্র জীবনে ফিরে আসার জোর চেষ্টা চালাচ্ছে। বখাটেদের উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। শিক্ষকদের হাতে সম্ভ্রম খুইয়ে দিশেহারা উদ্ভান্ত হয়ে উঠছে। ভিকারুননিসার ঘটনায় সারা দেশে যখন তোলপাড় চলছে সেরকম একটি নাযুক মুহূর্তে তিনি এই ঘোষণা দিলেন? এর অর্থ তিনি বখাটেদেরকে আরও উস্কে দিতে চান? পর্দাহীন মুক্তবাসের একজন তরুণী-যুবতীর উদ্বাহু নৃত্য, অর্ধনগ্ন দেহের যৌবনদীপ্ত নারীর কোমর সঞ্চালন কি যুবকদের সাধু বানিয়ে দেবে? নাকি তাদেরকে আরও বেসামাল করে দেবে? একজন রিক্সাচালক ভোটার কথাটা বোঝেন আর ভোটগ্রহীতা মন্ত্রী তা বোঝেন না, একথা আমাদেরকে বিশ্বাস করতে হবে? আসলে তারা সবই বোঝেন। কিন্তু ক্ষমতার মসনদের সাময়িক উত্তেজনায় তারা চিরস্থায়ী বাদশাহ আল্লাহর রাজত্বের মর্যাদার কথা ভুলে যান এবং সে কারণেই স্বয়ং আল্লাহর বিরুদ্ধে কথা বলার ধৃষ্টতা দেখান।
বোন! নালায়েক এসব মন্ত্রীদের কথায় কান পেত না। যিনি পর্দা পালনের আদেশ দিয়েছেন তিনি আল্লাহ তা‘আলা, তিনি স্রষ্টা। আর যিনি পর্দার পরিত্যাগ করার আদেশ দিচ্ছেন তিনি সামান্য মন্ত্রী, তিনি সৃষ্ট। তুমি কার কথায় কান দেবে? মাখলুকের না খালেকের? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-
একটা কথা বলি, আল্লাহ তা‘আলার বিধানে তোমার শান্তি অনিবার্য। কিন্তু এসব মন্ত্রীদের আদেশে কী তাই হবে? শোনো, তুমি যদি এদের কথায় কান দাও এবং তাদের আদেশ মোতাবেক নর্তকী হয়ে যাও তখন তোমার পরিণতি কী হবে জানো? তোমার উদ্বাহু নৃত্যের অনৈতিক বিমুগ্ধতায় যুবকরা যখন তোমার সম্ভ্রমের দেহে লাঞ্ছনার নখর বসিয়ে দেবে তখন কিন্তু তারা তোমার আক্রান্ত দেহে প্রলেপ দিতে আসবে না বরং আক্রমণকারীর নখ সুস্থ আছে কিনা সেই চিন্তা করবে।
বিশ্বাস হয় না? তবে কষ্ট করে একবার তাকিয়ে দেখ ভিকারুন্নিসা নূন স্কুল এণ্ড কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ আর জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে। ওদের ছেলেরা এসব প্রতিষ্ঠানে কী ঘটিয়েছিল এবং পরে ঘটনার নায়কদের কীভাবে প্রশ্রয় দিয়ে তাদেরকে উল্টো প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল। সে সময়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দুটি গ্রুপ বিশেষ নাম কুড়িয়েছিল। রেপিস্ট গ্রুপ এবং কিলার গ্রুপ। প্রথম গ্রুপের কাজ ছিল জ্ঞান আহরণ করতে আসা ছাত্রীদের শিকারে পরিণত করা। শুধু কি তাই? তারা যার ভক্ত, অনুসারী তার মৃত্যুমাসেই তারা ধর্ষণের সেঞ্চুরি উদযাপন করেছিল! মনে রেখো, ওদের আদর্শের ছেলেগুলো ব্যাটসম্যান লারাদের মতো অপরাজিত ইনিংসে বিশ্বাসী। তাই মানিকরা সেঞ্চুরিতে থেমে থাকবে মনে করে প্রতারিত হয়ো না। হয়ত জুনিয়ররা মানিকের রেকর্ড এতদিনে ভেঙেও ফেলেছে। অতএব সাবধান! তুমি যেন ওদের সেঞ্চুরির রেকর্ডে পরিণত না হও।
তোমাকে নগদ একটি উদাহরণ দিই। তারা তোমাদেরকে নাচগান শিখিয়ে কার উপকার করতে চাচ্ছে সেটার উদাহরণ। জানোই তো, রাজনীতি করতে লোক পুষতে হয় এবং পোষা লোকদের বিভিন্নভাবে চাহিদা পুরণ করতে হয়। আর জৈবিক চাহিদার চেয়ে কঠিন ও অপ্রতিরোধ্য চাহিদা পৃথিবীতে আর কি থাকতে পারে? সেই চাহিদাও ওরা আমাদের বোনদের থেকে উসুল করতে চায় এবং এজন্যই ওরা এই দীক্ষা দিচ্ছে!
সাতক্ষীরা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে একটি নৃত্যানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানের আকর্ষণ খুলনার আযম খান কমার্স কলেজের বিবিএর ছাত্রী লুনা (ছদ্মনাম)। সাথে স্বামীও আছে তার। নাচের বাহারীতে মুগ্ধ করেছেন আগত দর্শকদের। এর প্রতিক্রিয়া লেগে আছে প্রতিটি দর্শকের চোখে-মুখে। উন্মত্তনাচের আগুনের জ্বলছে প্রতিটি লোকের প্রবৃত্তি। নেশায় চূর হয়ে আছে তারা। সবাইকে ছাড়িয়ে আছেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুয়েল হাসান এবং সম্পাদক পলাশ। রাত এগারটায় অনুষ্ঠান শেষ হলে জুয়েল লুনাকে হোটেলে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে জোর করে মোটরসাইকেলে উঠায়।
স্বামী বাধা দিলেও তাতে কাজ হয় না। স্বামীর কাছ থেকে জোর করে ওই নেতা লুনাকে হোটেলের কথা বলে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায়। অসহায় দর্শকের মতো স্ত্রীর সম্ভ্রমুলুটের যাত্রাপথে তাকিয়ে থাকেন তিনি। বাড়িতে নেয়ার পর জুয়েল তাকে ধর্ষণ করে এবং খবর পেয়ে রাস্তার টহল পুলিশের সহায়তায় তাকে বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জুয়েল ও পলাশ পালিয়ে যায় আর থানায় গিয়ে অঝোরে কাঁদতে থাকেন লুনা। [তথ্যসূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন ও অন্যান্য জাতীয় দৈনিক ০৬/০১/১২ ইং]
এবার বুঝলে তো ওরা কেন তোমাদেরকে নাচগান শিখতে বলে? আচ্ছা বোন, আরেকটি কথা বলি। তুমি যদি গান শেখো আর নাচ রপ্ত করো তবে এতে তোমার উপকারিতা কী হবে? লোকে তোমাকে নর্তকী বলবে, গায়িকা বলবে। যুবকরা তোমার মোহনীয় ভঙ্গির নাচে মুগ্ধ হবে, চোখ শীতল করবে আর গান শুনে কানে মধু ঢালবে। আর যদি বিশেষ পারদর্শীতা অর্জন করতে পারো তবে কিছু পয়সা কামাতে পারবে। কিন্তু কী ছেড়ে কী ধরছ সেটারও তো হিসেব করতে হবে, নাকি বলো? তাই ওদের কথায় কান দেয়ার আগে তুমি পর্দার কিছু উপকারীতা জেনে নাও।
১. পর্দা নারীর সম্মান ও ইজ্জত আব্রুর হিফাযত করে। লাঞ্ছিত হওয়া থেকে রক্ষা করে। বাঁচিয়ে রাখে ফিতনা-ফাসাদের শিকার হওয়া থেকে।
২. পর্দা নারী ও পুরুষ উভয়ের অন্তরকে পবিত্র রাখে। উভয়কে তাকওয়ার ওপর অবিচল তাকতে সহায়তা করে। কথাটি বলেছেন স্বয়ং আল্লাহ তা‘আলাই। ইরশাদ হয়েছে-
‘এই পর্দা ব্যবস্থা তোমাদের ও তাদের অন্তরের পবিত্রতা বিধায়ক।’ {সূরা আল-আহযাব, আয়াত : ৫৩}
পর্দা যদিও বাহ্যিক বিষয় কিন্তু বাহ্যিক এই পরিশুদ্ধিই আভ্যন্তরীণ পরিশুদ্ধির পরিচায়ক। আর আভ্যন্তরীণ পরিশুদ্ধি ও নিষ্কলুষতা নারীর সবচেয়ে ঈর্ষণীয় গুণ। যে নারীর আত্মিক পরিশুদ্ধতা অর্জিত হয়, সে নারীর সতীত্বও রক্ষিত হয় এবং সেই নারীর সংসারে শান্তি অবশ্যম্ভাবী হয়।৩. পর্দা কতিপয় চারিত্রিক গুণাবলীকে সমুন্নত করে। শালীনতা, লজ্জাবোধ, আত্মমর্যাদাবোধ ইত্যাদি পর্দারই সুফল। আর বাঁচিয়ে রাখে ঘৃণিত অনেক স্বভাব থেকে। যেমন, বেহায়াপনা, নির্লজ্জতা, উলঙ্গপনা ইত্যাদি।
৪. পর্দা নারীর আভিজাত্যের প্রতীক। এটা একথার প্রমাণ বহন করে যে, পর্দানশীন নারীটি ভদ্র ও সম্ভ্রান্ত। আপত্তিকর জীবনাচার থেকে সে বহু দূরে।
৫. পর্দা শয়তানের প্ররোচনার দুয়ার রুদ্ধ করে দেয়। নারী-পুরুষ উভয়কে আত্মিক ব্যাধি ও যন্ত্রণা থেকে সুরক্ষা দেয়। তাদেরকে অপবিত্র লালসা ও লোলুপ দৃষ্টি থেকে বাঁচিয়ে রাখে। উভয়ের মর্যাদা ও সম্ভ্রমবোধ রক্ষা করে।
৬. পর্দা ‘হায়া’ তথা লজ্জাশীলতা ধরে রাখে। ‘হায়াত’ (জীবন) শব্দটি এসেছে ‘হায়া’ থেকে। এর দ্বারা একথা বোঝানো হয়েছে যে, হায়া ছাড়া জীবন চলতে পারে না। অতএব সুন্দর জীবনাচারের জন্য হায়া বা লজ্জাশীলতা অপরিহার্য। আর এই অপরিহার্য গুণ অর্জিত হয় পর্দার দ্বারা। আল্লাহ তা‘আলা যাকে মর্যাদা দিতে চান তাকে লজ্জাশীলতার গুণ দ্বারা গুণান্বিত করেন।
৭. পর্দা নারীকে নির্লজ্জভাবে বাইরে বের হওয়া থেকে রক্ষা করে। ফলে সমাজ রক্ষিত হয় নারীঘটিত নানাবিধ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে। আজকাল নারীর উদ্ভট চলাফেরার কারণেই তো সৃষ্টি হয়েছে বিপর্যয়, দেখা দিয়েছে নানা রকমের জটিলতা।
৮. পর্দা একটি সুদৃঢ়দূর্গ। যা নারীকে ব্যভিচার, ধর্ষণ এবং এসিডে দগ্ধ হওয়াসহ নানা রকম ধ্বংসযজ্ঞ থেকে রক্ষা করে। আর তাকে রাখে বখাটে-লম্পটদের কদর্য আচরণ থেকে নিরাপদে।
৯. আরবীতে নারীকে ‘আওরাত’ বলে অভিহিত করা হয়েছে। যার অর্থ লুকায়িত বস্তু। কথাটার অর্থ হচ্ছে; মূল্যবান ও দামি বস্তুর মতো নারীও লুকায়িত ও গুপ্ত থাকা সত্তা। এতেই তার নিরাপত্তা ও সম্মান। এটাই তাদের তাকওয়া ও আল্লাহভীতির দাবি। আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন-
‘হে আদম সন্তান! আমি তোমাদের লজ্জাস্থান ঢাকা ও বেশ-ভূষার জন্য পোশাক দিয়েছি। আর তাকওয়ার পোশাকই সর্বোৎকৃষ্ট পোশাক।’ {সূরা আরাফ, আয়াত : ২৬}
১০. পর্দার বিধান পালনের মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে আত্মমর্যাদাবোধ জেগে ওঠে এবং নিয়মিত পর্দাপালনে তা সুদৃঢ় হয়। মর্যাদাহানীকে মর্যাদাহানী বলেই বুঝতে পারার উপলব্ধি শক্তিকে বলা হয় আত্মমর্যাদাবোধ। রাস্তায় সেজে-গুঁজে বের হবে আর পুরুষরা তার দিকে লোলুপদৃষ্টিতে থাকাবে এটা নারীর আত্মমর্যাবোধে আঘাত না করে পারে না। আর এই উপলব্ধি শক্তি আসবে পর্দা বিধান পালনের মাধ্যমে।
বোন! আমি তো কথাগুলো বললাম। এবার তুমি এর সত্যতা যাচাই করে দেখ। যদি সত্যতা খুঁজে পাও তবে নিজের মনের সাথে শলাপরামর্শ করো এবং কেবল তখনই এসব লোকদের কথায় কান দিও। নিজের বিবেককে ব্যবহার না করে কারও কথায় কান দেয়া কি বুদ্ধিমানের কাজ?
কারও সমালোচনায় তো আমার লাভ নেই। সেটার অভিপ্রায়ও নেই আমার। কেউ ধর্ম চর্চা করুক বা না করুক, পর্দা মেনে চলুক বা না চলুক সেটা তার নিজের ব্যাপার। কিন্তু নিজের ধ্বংসের ব্যাপারেও কি কেউ আপসকামী হতে পারে। আমি তোমাকে বিশেষ ভাবে বলছি কথাগুলো। কেননা তুমি আমার বোন। মূল সূত্রে আমরা অভিন্ন। যে দেশ বা ধর্মেরই হও না কেন মূল সূত্রের এই সম্পর্ক ছিন্ন করে তুমি তোমার কল্যাণকামী ও উপদেশদাতার বিরুদ্ধে বিদ্বেষী হতে পারো না। ‘উমর রাদিআল্লাহু ‘আনহু বলেন-
لا خير في قوم ليسوا بناصحين ولا يحبون الناصحين
‘সেই কওমে কোনো কল্যাণ নেই যেখানে কোনো উপদেশদাতা নেই এবং যারা উপদেশদাতাকে পছন্দ করে না।’ [রিসালাতুল মুস্তারশিদীন]
বিখ্যাত বুযুর্গ হারেছ মুহাছিবী রহ. বলেন-
من اوصاك فقد احبك
‘যে তোমাকে উপদেশ করে মনে রেখো সে তোমার কল্যাণ কামনা করে।’
অতএব আমার কথাগুলো তুমি ভেবে দেখ। আচ্ছা, তুমি কি একথা ভাবছ কিংবা মন্ত্রীরা তোমাদেরকে ভাবাচ্ছে যে, পৃথিবী আজ অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে। সাফল্য ও সমৃদ্ধির চূড়া ছুঁয়ে ফেলেছে। ধূলির ধরা ছাড়িয়ে মানুষ এখন পৌঁছে গেছে নানা গ্রহে-উপগ্রহে। সারাবিশ্ব এখন মানুষের হাতের মুঠোয়। সুতরাং এই যুগে পর্দা করা যাবে না। কেননা পর্দা করা মানে মধ্যযুগে ফিরে যাওয়া! নিজেকে সুখসাগর থেকে বঞ্চিত করা। আমাদের মুক্তিতো নারী স্বাধীনতায়, ইসলাম উপক্ষোয়!
‘শিক্ষিতা বোনটি আমার! তুমি পাশ্চাত্যের জাল স্বাধীনতায় প্রলুদ্ধ হয়ো না। স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলোর হৃদয়কাড়া চিত্র দেখে নিজেকে প্রবঞ্চিত ভেবো না। ওদেরকে সুখসাগরে ভাসতে দেখে নিজেকে হতভাগী মনে করো না। পশ্চিমা নারীদের ভেতরের খবর নাও। তবেই তাদের সুখের মাজেযা ধরা পড়বে। তোমাকে হলফ করে বলতে পারি, ওরা মোটেও ভালো নেই।
নিয়মিত পত্রিকায় সংবাদ আসছে, পশ্চিমা নারীরা তথাকথিত স্বাধীনতার বোঝায় নুয়ে পড়ছে। সব ছেড়ে ছুটছে ইসলামের রুজ্জুর দিকে। এভাবে ইসলাম গ্রহণের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। Daughter of another নামক বইয়ে (বইটি ‘অন্যপথের মেয়েরা’ শিরোনামে বাংলায় অনূদিত হয়েছে) চল্লিশজন মার্কিন তরুণীর কথিত নারী স্বাধীনতার ধর্ম পরিহার করে পর্দার ধর্ম ইসলাম গ্রহণের ইতিহাস লেখা হয়েছে। তারা সবাই নারী স্বাধীনতার প্রকৃত রূপ দেখে আসা মানুষ। তাদের কাছ থেকে দীক্ষা নাও। বৃটেনের সান ডে এক্সপ্রেস পত্রিকার নারী সাংবাদিক রিডলি আফগান নারীদের বোরকা নিয়ে বাড়াবাড়ি রকমের সমালোচনা করেছিলেন। কিন্তু পরে তিনি নিজেই সেই পর্দার ছায়ায় আশ্রয় গ্রহণ করেছেন। যে ভারত তসলিমার মতো একটা কুলটা নারীকে আশ্রয় দিয়েছে সেই ভারতেই আরেক নারী মালায়লম ও ইংরেজি ভাষায় খোলামেলা ধরনের লেখিকা কমলা দাস এখন সে সব লেখেন না। লেখেন পর্দার কথা। কেননা তিনিও পর্দার আশ্রয়ে খুব ভালো আছেন এখন। মনে রেখো এদের কেউই অশিক্ষিত নয়। শিক্ষিত এবং জেনেবুঝেই তারা ইসলাম গ্রহণ করেছেন এবং এখন পর্দা করছেন।
উচ্চাভিলাষী বোন আমার, ইসলামের সীমানায় থেকে তুমি সবই করতে পার। যদি পড়তে চাও তবে যত ইচ্ছে পড়তে পার। ব্যবসা, চাকুরি কিংবা যা ইচ্ছে তা-ই করতে পার। শুধু পর্দা লঙ্ঘন করো না। শরীয়তের গণ্ডি অতিক্রম করো না। মনে রেখো, ইসলাম তোমার অগ্রযাত্রায় বাধা নয়। পর্দাও অন্তরায় নয় প্রগতির পথে। ইসলাম চায় তুমি যেখানেই থাক তোমার সতীত্ব, শ্রেষ্ঠত্ব এবং সম্মান রক্ষা হোক। তোমার কোমলতা, সৌন্দর্য এবং ভদ্রতা বজায় থাকুক। ইসলাম তোমাকে বন্দি করতে ইচ্ছুক নয়। কোনো চরিত্রহীন যেন তোমাকে কলংকিত না করতে পারে, ছলে-বলে-কৌশলে তথা কোনোভাবেই তোমাকে অপমানিত না করতে পারে- এই ইসলামের অন্বেষা।
আমার স্কুল-কলেজগামী বোন, বখাটেদের ইভটিজিং থেকে বাঁচতে চাও? এসো পর্দার আশ্রয়ে। অমানুষদের এসিড সন্ত্রাস থেকে বাঁচতে চাইলেও এসো পর্দার নিরাপত্তায়। যৌতুক তোমাকে দিতে হবে না বরং নগদ মোহরানা দিয়ে তোমাকে নিয়ে যেতে বাধ্য হবে যদি তুমি হিজাবে সুশোভিত হও। এ আমার দাবি নয়; বাস্তবতা। পরিসংখ্যান দেখলেই জানতে পারবে পর্দানশীনদের অল্পজনই এসব অমানবিকতার শিকার হয়।
বোন, আধুনিকতার নামে তুমি নিজেকে অসম্মান ও অনিরাপদ করো না। হেদায়েতের আলো বঞ্চিতদের প্রচার-প্রপাগাণ্ডায় বিভ্রান্ত হয়ো না। ওরা বুঝাতে চায়, সভ্যতা ও বিজ্ঞানের অভূতপূর্ব উৎকর্ষের এই যুগে আবার ধর্ম কেনো? সভ্যতাগর্বী এসব মানুষের অপপ্রচারে তুমি প্রভাবিত হয়ো না। ওরা জানে না এর আগেও পৃথিবীতে তাদের মত সভ্যতাগর্বী জাতি ছিল। তারা আজ কোথায়? বল, সপ্তমাশ্চর্যের তাজ মহল এবং পিরামিড যারা গড়েছে তাদের কেউ কি পৃথিবীতে বেঁচে আছে? দয়াময় আল্লাহ কত সুন্দর করে ইরশাদ করেছেন-
তারা কি পৃথিবী ভ্রমণ করে নি, তাহলে তারা দেখত, তাদের পূর্ববর্তীদের পরিণাম কেমন হয়েছিল? তারা পৃথিবীতে ছিল তাদের চেয়ে সংখ্যায় অধিক। আর শক্তিতে ও কীর্তিতে তাদের চেয়ে অধিক প্রবল। অতপর তারা যা অর্জন করত তা তাদের কাজে আসে নি। (গাফির : ৮২)
আমার প্রিয় বোন, রূপ বা তারুণ্যের জোয়ারে ভেসে যেও না। দেহের শক্তি ও সৌন্দর্যের কোনো স্থায়ীত্ব নেই। তিনি চাইলে যে কোনো সময় তা কেড়ে নিতে পারেন। দেখ কত সুন্দরী রোগ বা দুর্ঘটনার শিকার হয়ে চিরবিদায় নেয়। কতজন না মরে পঙ্গুত্ব বা অন্ধত্বের অভিশাপ নিয়ে বেঁচে থাকে। তুমি যে এর অসহায় শিকারে পরিণত হবে না তার কি কোনো নিশ্চয়তা আছে? পৃথিবীতে কত সুন্দরীই তো ইতিহাস হয়ে আছে; কিন্তু তারা কি কেউ মৃত্যুর দংশন থেকে বাঁচতে পেরেছে? হৃদয়কাড়া চেহারা দেখিয়ে অহংকারের সঙ্গে পথ চলো না। জগতঅধিপতির ভাষায় :
তোমরা ভূ-পৃষ্ঠে বড়াই করে চলো না; তুমি তো কখনো ভূমিতে ফাটল ধরাতে পারবে না এবং কখনো পাহাড় সমান উচ্চতায় পৌঁছতেও পারবে না। {সূরা আল-ইসরা : ৩৭}
প্রাণপ্রিয় বোন, তুমি কি জান বেপর্দার কুফল কী? পর্দার প্রতি যত অবহেলা করা হচ্ছে নারীর প্রতি সহিংসতা ততই বাড়ছে। জাতি হিসেবে আজ আমরা আগের চেয়ে বেশি শিক্ষিত। কিন্তু বল, নারীদের প্রতি সামাজিক অনাচার বেড়েছে না কমেছে? নিত্য-নতুন পন্থায় নারীদের ওপর নির্যাতন করা হচ্ছে। এই পর্দা লঙ্ঘনই কিন্তু অবৈধ যৌন সম্পর্কের প্রথম ধাপ আর নারী-পুরুষের অবৈধ মেলামেশাই যে নিশ্চিত মৃত্যুর পরোয়ানা নিয়ে এইডস্-এর মতো নানা রোগ ডেকে আনে, তা তো আজ অমুসলিমরাও স্বীকার করছে।
অতএব এসো মুক্তির পতাকাতলে। নিরাপত্তার সুরক্ষিত গণ্ডিতে। পর্দা শুধু তোমার ইহকালীন জীবনকে নিরাপদই করবে না, নিশ্চিত করবে তোমার সম্মান-সমৃদ্ধি। আখিরাতে নাজাত পাবে তুমি জাহান্নামের কল্পনাতীত শাস্তি থেকে। মনে রেখো :
‘জাহান্নামের আগুন অনেক কঠিন। যদি তারা বোঝে। {সূরা আত-তাওবা : ৮১}
জাহান্নাম থেকে তো বাঁচবেই সেই সাথে চির শান্তির ঠিকানা জান্নাত হবে তোমার আবাস। আল্লাহ তা‘আলা আমাদের সবাইকে সঠিক বুঝ দিন। আমীন। (আলী হাসান তৈয়ব, মুসলিম বোনদের প্রতি খোলা চিঠি, সূত্র : www.islamhouse.com)
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/657/15
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।