মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
হিজাব মানবজাতির আত্মমর্যাদা রক্ষার এক অমূল্য সম্পদ। নারী-পুরুষ সকলের জন্য তা সমানহারে প্রযোজ্য। কুরআনে পাকে এই উভয় শ্রেণীকে হিজাব বা পর্দার ব্যাপারে তাগিদ এসেছে। ইরশাদ হয়েছে-
‘মুমিন পুরুষদেরকে বল, তারা তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখবে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করবে। এটাই তাদের জন্য অধিক পবিত্র। নিশ্চয় তারা যা করে সে সম্পর্কে আল্লাহ সম্যক অবহিত। আর মুমিন নারীদেরকে বল, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করে। আর যা সাধারণত প্রকাশ পায় তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য তারা প্রকাশ করবে না। তারা যেন তাদের ওড়না দিয়ে বক্ষদেশকে আবৃত করে রাখে। {সূরা আন-নূর, আয়াত : ৩১-৩২}
বস্তুত হিজাবের বিধানটি এত তাৎপর্যপূর্ণ যে, কেউ যদি বিষয়টি নিয়ে গভীর মনোযোগসহ ভাবে তবে সে কুরআনের এই বিধানের কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হবেই। হিজাব সম্পর্কে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী বিভিন্ন রকম ভাবনা করে থাকেন। কেউ বিরূপ মনোভাব পোষণ করেন আবার কেউ শ্রদ্ধা পোষণ করেন। আসলে এটি এমন এক বিধান যার প্রতি বিবেকবান প্রতিটি মানুষকে শ্রদ্ধা পোষণ করতেই হবে। এখানে হিজাব সম্পর্কে অবসরপ্রাপ্ত একজন বিগ্রেডিয়ার- এর অনুভূতি তুলে ধরা হলো :
সমাজে হিজাব হলো সম্মান, আত্মমর্যাদা ও সার্বিক নিরাপত্তা রক্ষার একমাত্র কার্যকর ব্যবস্থা। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আজকাল হিজাব বিষয়টি ব্যক্তি পর্যায় থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় পর্যায় পর্যন্ত সব সময়ই বারবার ব্যক্তি স্বার্থ, দলীয় স্বার্থ তথা রাজনৈতিক স্বার্থে বিভিন্নভাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বিশ্ব রাজনীতিতেও সুবিধাবাদীদের দ্বারা হিজাবের মতো আত্মমর্যাদার প্রতীকটি নিয়ে নিয়মিত টানাহেঁচড়া চলছে।...
শালীনতাবোধের প্রশ্নে আমাদের বর্তমান সমাজব্যবস্থা এখন মোটামুটি ধ্বংসের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে বলা যায়। এহেন পরিস্থিতির প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সবচেয়ে নির্মম শিকার হলো নারীজাতি। আজকের বাংলাদেশে সম্মানিত মা জাতির প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ দুর্দশা দৃষ্টে ‘ধরনী দ্বিধাবিভক্ত হও’ বলা ছাড়া উপায় নেই।
হিজাব সম্পর্কে প্রথমেই নিবেদন প্রয়োজন যে, হিজাব মূলত মনস্তাত্ত্বিক উপলব্ধির বিষয়। তবে একই সাথে নিত্যকর ব্যবহারিক বিষয়ও বটে। কোনো অবস্থাতেই আনুষ্ঠানিক এমন কিছু নয়। হিজাব মানে বিশেষ কোনো পোশাকও নয়। আর হিজাব কোনোভাবেই শুধু নারীর জন্য নয়।
উল্লিখিত আয়াতেই সেটা পরিষ্কার করে বলা হয়েছে। কিন্তু জ্ঞানে স্বল্পতা ও কোনো কোনো ক্ষেত্রে উদ্দেশ্যপ্রোণদিতভাবে হিজাব বলতে শুধু বিশেষ পোশাককেই বোঝানো হয়ে থাকে এবং তা শুধু নারীর জন্যই। অথচ হিজাবের মূল কথা হলো মানুষে মানুষে সম্মানজনক নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা। আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে কিন্তু পুরুষদেরকেই আগে হিজাবের আদেশ দেয়া হয়েছে। তারপর নারীজাতিকে। বিষয়টি এজন্য উল্লেখ করা হলো যে, কেউ কেউ ঢালাও মন্তব্য করে যে হিজাব মানেই বিশেষ ধরনের পোশাক এবং তা কেবলই নারীজাতির জন্য।
বর্তমান দিনগুলোতে আমরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি নারী, যুবা মহিলা ও উঠতি বয়সী মেয়েদের ওপর একের পর এক নির্যাতন ও সহিংসতার ঘটনাবলী নিয়ে। যাকে মুখরোচকভাবে ইভটিজিং হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। অনেকের অভিমত, বস্তুত: ইভটিজিং শব্দটি প্রয়োগ করে উঠতি বয়সী ছেলেদের আরও বেশি করে নিজের অজান্তেই অনৈতিক কাজে উৎসাহিত করে। যাকে অনেকেই হালকাভাবে বোঝাতে চান, উল্লাস/উৎফুল্লতার অজান্তেই অপরাধ। আমি মনে করি এহেন ঘৃণ্য ও ন্যক্কারজনক কাজকে ইভটিজিং নামে অভিহিত করে পাপের গুরুত্ব কমিয়ে দেয়ার এই প্রবণতা সর্বমহলের প্রচেষ্টায় বন্ধ করা হোক।
হিজাবের যথাযথ গুরুত্ব না থাকায় এমন সব ভয়ানক ও ঘৃণ্য ঘটনা সংঘটিত হতে চলেছে যার কল্পনা করাও এক সময় কষ্ট ছিল মানুষের জন্য। সম্প্রতি পরিমলের ঘটনা এর জ্বলন্ত প্রমাণ। এসবের পেছনে মূল কারণ হলো হিজাব সম্পর্কে আমাদের অপরিপক্ক ধারণা অথবা সম্যক-যথেষ্ট জ্ঞানের অভাব এবং কোনো ক্ষেত্রে নিশ্চিত অজ্ঞতা। অরেকটি কারণ হলো নিজেকে স্মার্ট ও অতি আধুনিক ভাবার নিম্নমানের রুচির প্রবণতা।
হিজাবের প্রতি অনীহা ও অনেক ক্ষেত্রে অবজ্ঞা-অবহেলা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবেই করা হয়ে থাকে। আর এক্ষেত্রে আমরা দাবার ঘুঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছি পশ্চিমা সভ্যতা দ্বারা। পশ্চিমাদের ধারণা ও বিশ্বাস হচ্ছে; ‘পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করেছো, খাও-দাও ফূর্তি করো এবং একদিন পৃথিবী থেকে ফুট্রুস করে বিদায় নাও।’
সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব মানুষ সম্পর্কে তাদের কী জঘন্য অনুভূতি তাই না? আর তাদের এই রুচিহীন অনুভূতি ও দর্শন-বিশ্বাস দ্বারাই আমরা অনুপ্রাণিত হয়ে হিজাবের বিরুদ্ধে কী যুদ্ধই না বাঁধাচ্ছি! কিন্তু আমরা কি কখনও একথা মনে করেছি যে, হিজাবের মূলবার্তা হলো আচার-আচরণ, চাল-চলন, কথাবার্তা ইত্যাদি কাজে পরিমিতিবোধ ও সন্তুষ্টি।
মানুষের জীবনের অর্থবহ পরিমিতিবোধ ও সন্তুষ্টি থেকেই হিজাবের পরিপূর্ণতা প্রদর্শিত হয়। এই পরিমিতিবোধে অনেকে অস্বস্তি বোধ করেন বলেই হিজাবের বিরুদ্ধে তাদের এত কথা। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে শুধু ইসলাম নয় বরং বিশ্বের অবিকৃত সকল ধর্মের বাণী হচ্ছে হিজাবের পক্ষে। ইসলাম, হিন্দু, খ্রিস্টান ধর্মসহ অন্যান্য রক্ষণশীল ধর্মের দিকে তাকালেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে ধরা দেয়। হিজাবের মূল ও প্রধান কথাই হলো নারী ও পুরুষ নিজ নিজ স্থানে অবস্থান করে যথাযথ মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করা। সমাজকে সচেতন করতে হলে ছোট-বড় সকলের সামনে হিজাবের মূল বার্তাকে আনতেই হবে। এহেন সমাজ সচেতনতার মধ্য দিয়েই কিন্তু নারীর প্রকৃত মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।’
এই হলো একজন বিগ্রেডিয়ারের বক্তব্য। ইসলামের শাশ্বত বাস্তবতার সামনে তিনি অতীত জীবনে অভিজ্ঞতাকে সমর্পিত করে এই অভিব্যক্তি তুলে ধরেছেন। আসলে প্রতিটি মানুষের এমন সত্য অনুভূতি থাকা ও তা প্রকাশ করা দরকার। বিশেষ করে শিক্ষিত শ্রেণীর জন্য বিষয়টি আবশ্যক করে নেয়া উচিত বলে আমি মনে করি। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো এখন এর উল্টো ঘটছে সবখানে। যুগটাই যেন পায়ে ছাতা দিয়ে, ঘোড়াকে পিঠ চড়িয়ে আর নৌকাকে শুকনোয় টেনে নেয়ার যুগ। আদর্শ ও নৈতিকতা শিক্ষালাভের প্রাণকেন্দ্র স্কুল-বিদ্যালয়গুলোতে ঘটছে এমন সব অপকীর্তি। স্বয়ং শিক্ষকরা হিজাবের বিরুদ্ধে আদাজল খেয়ে নেমে পড়েছেন। আসলে কেন এসব করছেন তারা তা তলিয়ে দেখা মনে হয় অভিভাবকদের জন্য আবশ্যক করণীয় তালিকায় পড়েছে।
আসলে বর্তমান সময়ে কিছু কিছু শিক্ষক অতিমাত্রায় সম্ভ্রমখেকোর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। তাই যে যেভাবে পারছেন শিক্ষার্থীদেরকে লাঞ্ছিতা করতে তৎপর হচ্ছেন। আর পর্দা যেহেতু এই ‘কর্মের’ পথে প্রধান বাধা তাই তারাই হিজাবের বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছেন। নিচের কয়েকটি ঘটনা এর জ্বলন্ত প্রমাণ :
১। নড়াইলের লক্ষ্মীপাশা কলেজের সমাজকল্যাণ বিভাগের প্রভাষক শরীফুল ইসলাম গত ৮ই সেপ্টেম্বর দ্বাদশ দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রীকে কলেজে ক্লাশ চলাকালীন হিজাব পরতে বাধা দেন এবং তাকে জোর করে বোরকা তথা মুখের নিকাব খুলতে বাধ্য করেন। আসলে এটা এই মহান শিক্ষকের ভূমিকা। আর কাজের পরিণতি ঘটাচ্ছেন এরাই এবং এদের অনুসারীরাই দেশের বিভিন্ন
প্রান্তরে- যার খবর আমরা অহরহ পাই দৈনিকগুলোতে প্রতিদিন। তাই জনাব শরীফুল ইসলামের পথ ধরে যারা নিয়মিত ছাত্রীদেরকে লাঞ্ছিতা করে চলেছেন তাদের দুয়েকজনের কাহিনী সম্মানিত পাঠকদের সামনে তুলে ধরার প্রয়াস পাবো।
২। ঘটনা রাজশাহীর। জনৈক ভদ্রমহোদয় তার ছাত্রীকে শুধু লাঞ্ছিতা করেন নি বরং শেষে তার জীবনকেও কেড়ে নিয়েছেন। একজন শিক্ষিকের হাতে ছাত্রীর শুধু সম্ভ্রমই অরক্ষিত নয় জীবনও অরক্ষিত! হায় সমাজ! তবে এই সমাজে হিজাবের বিরুদ্ধে লাগবে না কেন?
৩। এই ঘটনাও রাজশাহীর খুব কাছের এক জেলার। ঘটনাটা ধর্মপুর এলাকার হলে কী হবে, ঘটনার মধ্যে ধর্মের ধ-ও নেই। একজন শিক্ষক মাত্র আট বছরের একটা শিশুকে কামনার বাহন বানাবে একথা কি খুব বেশিদিন আগের মানুষ বিশ্বাস করতে পারতো? কিন্তু যুগের সব অসম্ভাব্যতাকে সম্ভব করেই আমরা এগিয়ে চলেছি আগামীর পথে। তাই আমাদের অভিধানে অসম্ভব বলে কোনো বস্তু নেই। সব অসম্ভবকে সম্ভব করে আমরা এক অজানা পরিণতির দিকে এগিয়ে যেতে চাই! তাই এত সব আয়োজন! শিক্ষক কর্তৃক মাত্র আট বছরের শিশুকে ধর্ষণ! যাহোক, ঘটনা সুন্দরগঞ্জের। গাইবান্ধা জেলার ধর্মপুর আ: জাব্বার ডিগ্রি কলেজের। এই কলেজের উপাধ্যক্ষ মাহাবুবুর রহমানকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তার অপরাধ খুব ‘ছোট’! মাত্র আট বছরের শিশু ফেন্সী (৮) ধর্ষণ ও হত্যা করা! হতভাগা মেয়েটি সম্মানিত শিক্ষকের হাতে সম্ভ্রম খুইয়ে শেষ পর্যন্ত জীবনটা নিয়েও বাড়ি ফিরতে পারেনি। বরং ওই কলেজের সেফটি ট্যাঙ্কি থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। [বাংলাদেশ প্রতিদিনি, ১৬/০৯/১১]
৪। ঝালকাঠির ঘটনা। মেয়েটির বয়স মাত্রই দশ। এরই মধ্যে পেটে টিউমার বাঁধিয়েছে বলে হাসপাতাল, কমপ্লেক্স, ডাক্তার, বদ্যি সবার ধারণা। বিভিন্নজন বিভিন্ন রকমের পরামর্শ দিচ্ছেন। বেশিরভাগ পরামর্শই অপারেশনের। শেষে অভিজ্ঞ একজন ডাক্তারের কাছে নেয়া হলো। তিনি প্রথমে আল্ট্রাসনোগ্রাম করালেন। রিপোর্টটা হাতে আসলে ডাক্তার তো ছানাবড়া! বারবার তিনি রোগীর দিকে তাকাচ্ছেন আর তার বয়স নির্ণয়ের চেষ্টা করছেন। কিন্তু কোনোটার হিসেবই মিলছ না তার। দশ বছর বয়সী একজন মেয়ে যদি পাঁচ মাসের গর্ভবতী হয় তবে সেটা সহজে বিশ্বাসই বা হবে কি করে? তাই ডাক্তার সাহেবের হিসেব মিলাতে বেগ পেতে হচ্ছিল। শেষে হিসেব মিলল। অবসরপ্রাপ্ত ষাটোর্ধ্ব এক স্কুল শিক্ষককে নানা বলে ডাকত সে। টেলিভিশন দেখানোর কথা বলে এই গুণধর শিক্ষকই মেয়েটিকে ঘরে ডেকে নিত আর পাশবিকতার চর্চা করত। সেই পাশবিক চর্চারই ফল হচ্ছে ডাক্তারের হাতের এই রিপোর্টটি! যা দেখে তিনি বারবার বিস্মিত হচ্ছেন এবং অবিশ্বাস্যভাবে মেয়েটির বয়সের হিসেব মিলাচ্ছেন।
শিক্ষকতা হচ্ছে সবচেয়ে সম্মানিত পেশা। এর মতো মহান পেশাকে এভাবে কলঙ্কিত করা কি ঠিক হচ্ছে এবং যারা কলঙ্কিত করছে তাদের সুযোগ দেয়া উচিত হচ্ছে? আমরা কেন বুঝি না যে, কিছু শিক্ষক এসব ঘটনা ঘটাবেন বলেই হিজাবের বিরুদ্ধে এত করে লেগেছেন? আল্লাহ মাফ করুন, শিক্ষকরা যেন রক্ষক হন, সম্ভ্রমের ভক্ষক না হন। আর পর্দার বিরুদ্ধে তারা উস্কানি না দেন বরং পর্দাপালনে উৎসাহিত করেন।
নারী নির্যাতন এখন আর গতানুগতিক বা স্বাভাবিক পদ্ধতিতে নয়। বরং প্রযুক্তির ব্যবহারে তা আরও আধুনিক রূপ ধারণ করেছে। বেড়ে চলেছে এর মাত্রা। প্রযুক্তিবিদ্যায় অভিজ্ঞ চতুররা চালিয়ে যাচ্ছে এসব অপরাধ। মুঠোফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহার করে সামাজিক ভাবে মূল্যবোধবর্জিত এই ব্যধি খুব দ্রুত ছড়াচ্ছে বলে মত দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। ছেলেরা প্রথমে মেয়েদের সাথে বন্ধুত্ব করার কথা বলে এক সময় প্রেম নিবেদন করে। কতিপয় ছেলে মুঠোফোন মোবাইল ব্যবহার করে এবং কতিপয় ছেলে ইন্টারনেট ফেসবুক ব্যবহার করে মেয়েদের ঘায়েল করতে নিরন্তর চেষ্টা চালায়। বন্ধুত্বের দোহাই দিয়ে প্রথমে মেয়েদের সাথে বন্ধুত্ব পরে প্রেম অতঃপর অন্তরঙ্গভাবে মেলামেশা। এই মেলামেশার এই স্মৃতিগুলো ধরে রাখতে চতুর ছেলেটি কখনও কখনও মেয়ের সম্মতি নিয়ে কখনও বা গোপনে মোবাইলে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের দৃশ্যাবলী ধারণ করে। পরে প্রতারক ছেলেটি সেই দৃশ্যগুলোকে পুঁজি করে মেয়েটিকে ঘায়েল করে নানাভাবে। নিম্নে মুক্তবাসের এই কঠিন ছোবলের কয়েকটি খণ্ড ঘটনা তুলে ধরছি :
ঘটনা-১ : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত হোম ইকনোমিক্স কলেজের শেষ বর্ষের ছাত্রী শ্রীদেবী (ছদ্মনাম)। পড়াশোনার সুবাদে তার সঙ্গে পরিচয় হয় জামালপুর সদর উপজেলার আরামবাগ বোসপাড়ার প্রদীপ কুমার দে’র ছেলে সঞ্জয় দে রিপনের সাথে। সঞ্জয় শ্রদেবীর সাথে ঘনিষ্ঠ হয়ে তার প্রতি প্রেম নিবেদন করে। শ্রীদেবী প্রত্যাখ্যান করায় রিপন তা ভালোভাবে নেয়নি। সে শ্রদেবীকে আলোর ছায়া ম্যাগাজিন (দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকার অংশ) অফিসে নিয়ে যায়, সেখানে পরিচয় হয় ম্যাগাজিনের প্রকাশক ও সম্পাদক আবূ রেজার (৩০) সঙ্গে। এক্ষেত্রে শ্রীদেবীকে কাঁটা ভাবে প্রদীপ কুমার এবং কাঁটা তোলার জন্যই আবূ রেজার আশ্রয় নেয় সে।
সম্পাদক আবূ রেজা প্রথম দর্শনেই বিগলত হন, জাতিকে একখানা ‘প্রেম আখ্যান ম্যাগাজিন’ উপহার দেয়ার উৎসব শুরু করেন। তিনি ভুলে যান যে, যে পদে যে আর যে স্থানে তিনি আছেন, এটা মানুষের বাজার। হাজার রকমের লোক আসবে এখানে। আসবে, যাবে এবং প্রতিমুহূর্তে ঘটবে এসব সাময়ীক ঘটনা। অতএব নিজেকে সবসময় ধরে রাখতে হবে। নিজেকে রাখতে হবে আবেগ ও ভেঙে পড়া স্বভাবের ঊর্ধ্বে। সাময়িক উত্তেজনাকে কখনই বাস্তবতার মতো অপরিহার্য ভাবা যাবে না। কিন্তু একটা বড় পদে থেকেও তিনি নিজেকে হারিয়ে ফেললেন। একজন ভিন্নধর্মের নারীর কিঞ্চিত রূপ তাকে বিমোহিত করল। আকুণ্ঠে প্রেমে জড়ালেন তিনি। প্রেমের গভীরতা এত বেশি হলো, শ্রদেবীকে পাওয়ার জন্য নিজের ধর্ম পর্যন্ত পরিত্যাগ করলেন!
এভাবে এক অসীম লড়াইয়ে বীরবিক্রমে লড়তে হলো তাকে। কিন্তু এত কিছুর পরও তিনি ফলাফল শূন্য দেখতে পেলেন। শুনলেন অন্য এক ছেলের সাথে শ্রীদেবীর বিয়ে ঠিক হয়েছে। মাথা ঘুরে গেল তার। প্রতিশোধ নিতে কৌশলের পথে এগুলেন তিনি। কোনো এক সময়ে হয়ত ঘনিষ্ঠ হয়ে শ্রীদেবীর সাথে কয়েকটা ছবি তুলেছিলেন। সেগুলোকে হাতিয়ার বানালেন এই বীরযোদ্ধা! ছবিগুলো এডিট করে, অশালীন ও অন্তরঙ্গ আকারে ইন্টারনেটে প্রকাশ করে দিলেন। প্রেম প্রেম খেলার সুবাধে ইউটিউবে জমা পড়ল আরো কয়েকটি নোংরা ছবি। ভাঙল ঘর। অতিষ্ঠ হয়ে উঠল নতুনে শুরু করতে যাওয়া একজন নারীর অনভিজ্ঞ জীবন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/657/22
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।