hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুখতাসার সহীহ আল-বুখারী

১৩. কিতাবুল ঈদাইন (দুই ঈদের নামায)

مختصر صحيح البخاري

১৩/ পরিচ্ছেদঃ ঈদের দিন বর্শা এবং ঢাল নিয়ে খেলা করা

৫২৭

সহিহ হাদিস
عَنْ عَائِشَةَ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا - قالَتْ : دَخَلَ عَلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ (ﷺ) وَعِنْدِي جارِيَتَانِ، تُغَنِّيَانِ بِغِنَاءِ بُعَاثٍ، فَأَضْطَجَعَ عَلَى الْفِرَاشِ وَحَوَّلَ وَجْهَهُ، وَدَخَلَ أَبُو فَانْتَهرَنِي، وَقَالَ: مِزْمارَةُ الشَّيْطَانِ عِندَ النَّبِيِّ (ﷺ) ، فَأَقْبَلَ عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ (ﷺ) فَقَالَ: (دَعْهُمَا). فَلَمَّا غَفَلَ غَمَرْتُهُمَا فَخَرَجَتَا .

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার ঘরে প্রবেশ করলেন। তখন দু'টি বালিকা বুআছের যুদ্ধের বীরত্ব গীত গাচ্ছিল। নবী (ﷺ) ঘরে প্রবেশ করে শুয়ে পড়লেন এবং অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে রাখলেন। ইতিমধ্যে আবু বকর (রাঃ) প্রবেশ করে আমাকে ধমকাতে শুরু করলেন। তিনি বললেনঃ নবীর ঘরে শয়তানের বাদ্যযন্ত্র বাজানো হচ্ছে? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তখন আবু বকরের দিকে তাকিয়ে বললেনঃ তাদেরকে ছেড়ে দাও। আবু বকর (রাঃ) যখন অন্য মনস্ক হলেন তখন আমি তাদেরকে ইঙ্গিত করলাম। তারা বের হয়ে চলে গেল। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ৫১৯)
১৩/ পরিচ্ছেদঃ ঈদুল ফিতরের দিন ঈদগাহে যাওয়ার পূর্বে কিছু খেয়ে নেয়া

৫২৮

সহিহ হাদিস
عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ : كانَ رَسُولُ اللَّهِ (ﷺ) لَا يَغْدُو يَوْمَ الْفِطْرِ حَتَّى يَأْكُلَ تَمَرَاتٍ . وَفِي رواية عَنْهُ قَالَ : وَيَأْكُلُهُنَّ وِثْرًا .

আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ নবী (ﷺ) ঈদুল ফিতরের দিন কয়েকটি খেজুর না খেয়ে বের হতেন না। আনাস (রাঃ) থেকে অপর বর্ণনায় এসেছে বেজোড় সংখ্যায় খেতেন। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ৫২০)
১৩/ পরিচ্ছেদঃ ঈদুল আযহার দিন খাওয়ার বিবরণ

৫২৯

সহিহ হাদিস
عَنِ الْبَرَاءِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: سَمِعْتُ النَّبِيَّ (ﷺ) يَخْطُبُ، فَقَالَ : (إِنَّ أَوَّلَ مَا نَبْدَأُ بِهِ فِي يَوْمِنَا هَذَا أَنْ نُصَلِّي، ثُمَّ نَرْجِعَ فَتَنْحَرَ، فَمَنْ فَعَلَ، فَقَدْ أَصَابَ سُنَّتَنَا)

বারা' বিন আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে খুতবায় বলতে শুনেছি, আজকের এই দিনে প্রথমে আমরা নামায আদায় করব। অতঃপর ফিরে গিয়ে কুরবানী করবো। যে ব্যক্তি এরূপ করল সে আমাদের সুন্নাত সঠিকভাবে পালন করল। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ৫২১)

৫৩০

সহিহ হাদিস
وعَنْهُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ، قَالَ : خَطَبَنَا النَّبِيُّ (ﷺ) يَوْمَ الأَضْحَى بَعْدَ الصَّلاَةِ، فَقَالَ: (مَنْ صَلَّى صَلَاتَنَا ، وَنَسَكَ نُسُكَنَا ، فَقَدْ أَصَابَ النُّسُكَ، وَمَنْ نَسَكَ قَبْلَ الصَّلَاةِ، فَإِنَّهُ قَبْلَ الصَّلَاةِ وَلاَ نُسُكَ لَهُ. فَقَالَ أَبُو بُرْدَةَ بْنُ نِيَارٍ، خَالُ الْبَرَاءِ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَإِنِّي نَسَكْتُ شَاتِي قَبْلَ الصَّلاةِ، وعَرَفْتُ أَنَّ الْيَوْمَ يَوْمُ أَكْلِ وَشُرْبٍ، وَأَحْبَبْتُ أَنْ تَكُونَ شَاتِي أَوَّلَ شَاةٍ تُذْبَحُ فِي بَيْتِي، فَذَبَحْتُ شَاتِي وَتَغَدَّيْتُ قَبْلَ أَنْ آتِيَ الصَّلاةَ، قَالَ : شَاتُكَ شَاءُ لَحْم). قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ ، فَإِنَّ عِنْدَنَا عَنَاقًا لَنَا جَذَعَةٌ، أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ شَاتَيْنِ، أَفَتَجْزِي عَنِّي؟ قَالَ : نَعَمْ، وَلَنْ تَجْزِيَ عَنْ أَحَدٍ بَعْدَكَ ) .

বারা' বিন আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ একবার নবী (ﷺ) ঈদুল আযহার নামায আদায় করে আমাদের জন্য খুতবা দিলেন। তিনি খুতবায় বললেনঃ যে ব্যক্তি আমাদের নামাযের ন্যায় নামায পড়ল এবং আমাদের কুরবানীর ন্যায় কুরবানী করল সে অবশ্যই আমাদের তরীকা অবলম্বন করল। আর যে ব্যক্তি নামাযের পূর্বে কুরবানী করল তার কুরবানী নামাযের পূর্বে হওয়ার কারণে কুরবাণী হিসেবে গণ্য হবেনা। (বরং; সাধারণ যবেহ হিসেবে গণ্য হবে)।

এ কথা শুনে বারা' বিন আযিব (রাঃ) এর খালু আবু বুরদা (রাঃ) বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমি নামাযের পূর্বে আমার ছাগল যবেহ করে নিয়েছি। আমার ধারণা ছিল আজকের দিন শুধু পানাহারের দিন। তাই আমি চাইলাম আমার ঘরে সর্বপ্রথম আমার ছাগলই যবেহ করা হোক। সুতরাং ছাগল যবেহ করেছি এবং নামাযে আসার আগে খেয়েও নিয়েছি।

নবী (ﷺ) তখন বললেনঃ তোমার ছাগল গোশত খাওয়ার ছাগল হিসেবেই পরিণত হয়েছে (কুরবানী হয়নি)। আবু বুরদাহ বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের কাছে এমন একটি ভেড়ার বাচ্চা আছে যা আমার নিকট দু'টি ছাগলের চেয়েও অধিক প্রিয়। এটি কি আমার পক্ষ হতে কুরবানী হিসেবে যথেষ্ট হবে? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, তোমার পরে আর কারো জন্য জায়েয হবেনা। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ৫২২)
টিকাঃ উক্ত হাদীছে ইজতেহাদের প্রক্রিয়া ব্যবহৃত হয়নি। বরং সাহাবী নিজের মতকে প্রাধান্য দিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ফলে তা সঠিকও হয়নি এবং স্বীকৃতিও পায়নি। চিন্তার বিষয় হচ্ছে, পরবর্তী যুগে কেউ নীতি বহির্ভূত নিয়মে গবেষণা করলে কী না হতে পারে! সঠিক প্রমাণ হাতে না থাকার ফলে বিশ্বস্ত ও মুসলিম জাতির নিকট নির্ভরযোগ্য ইমামগণ যে সমস্ত ইজতেহাদ করেছেন, তারাও ভুলের উর্ধ্বে ছিলেন না। সুপ্রসিদ্ধ চারজন ইমামের উক্তিতে এ কথার প্রমাণ মিলে। তাদের প্রত্যেকেই অত্যন্ত সহজ ভাষায় বলেছেন যে, হাদীছ উপস্থিত হয়ে গেলে তাদের বক্তব্য পরিহার করতে হবে এবং হাদীছ অনুযায়ী আমল করতে হবে। তারা সবাইকে সুস্পষ্ট ও সহজ ভাষায় এই নির্দেশই দিয়েছেন।
১৩/ পরিচ্ছেদঃ মিম্বার ছাড়া ঈদগাহের উদ্দেশ্যে বের হওয়া

৫৩১

সহিহ হাদিস
عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ : كَانَ رَسُولُ اللَّهِ (ﷺ) يَخْرُجُ يَوْمَ الْفِطْرِ وَالأَضْحَى إِلَى المُصَلَّى، فَأَوَّلُ شَيْءٍ يَبْدَأُ بِهِ الصَّلَاةُ، ثُمَّ يَنْصَرِفُ، فَيَقُومُ مُقَابِلَ النَّاسِ، وَالنَّاسُ جُلوس عَلَى صُفُوفِهِمْ، فَيَعِظُهُمْ وَيُوصِيهِمْ وَيَأْمُرُهُمْ : فَإِنْ كانَ يُرِيدُ أَنْ يَقْطَعَ بَعْثًا قَطَعَهُ، أَوْ يَأْمُرَ بِشَيْءٍ أَمَرَ بِهِ، ثُمَّ يَنْصَرِفُ . قَالَ أَبُو سَعِيدٍ : فَلَمْ يَزَلِ النَّاسُ عَلَى ذلِكَ حَتَّى خَرَجْتُ مَعَ مَرْوَانَ، وَهُوَ أَمِيرُ المَدِينَةِ، فِي أَضْحَى أَوْ فِطْرِ، فَلَمَّا أَتَيْنَا المُصَلَّى، إِذَا مِنْبَرٌ بَنَاهُ كَثِيرُ بْنُ الصَّلْتِ، فَإِذَا مَرْوانُ يُرِيدُ أَنْ يَرْتَقِيَهُ قَبْلَ أَنْ يُصَلِّي، فَجَبَلْتُ بِثَوْبِهِ، فَجَبَدَنِي، فَارْتَفَعَ فَخَطَبَ قَبْلَ الصَّلَاةِ، فَقُلْتُ لَهُ: غَيَّرْتُمْ وَاللَّهِ، فَقَالَ : يا أَبَا سَعِيدٍ، قَدْ ذَهَبَ ما تَعْلَمُ، فَقُلْتُ : ما أَعْلَمُ وَاللَّهِ خَيْرٌ مِمَّا لا أَعْلَمُ ، فَقَالَ : إِنَّ النَّاسَ لَمْ يَكُونُوا يَجْلِسُونَ لَنَا بَعْدَ الصَّلَاةِ، فَجَعَلْتُهَا قَبْلَ الصَّلَاةِ .

আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহার দিন ঈদগাহে গমণ করতেন। তিনি প্রথমে নামায আদায় করতেন। অতঃপর মানুষের দিকে ফিরে দাঁড়াতেন। তারা কাতারেই বসা থাকত। তিনি তাদেরকে উপদেশ দিতেন এবং আদেশ দিতেন। কোন সেনা প্রেরণের ইচ্ছা পোষণ করলে তা প্রেরণ করতেন অথবা কোন কাজের ফরমান জারী করতেন। অতঃপর তিনি বাড়ীতে ফিরতেন।

আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেনঃ মানুষেরা এ নিয়মের উপরই চলছিল। পরিশেষে একদা আমি মারওয়ানের সাথে ঈদুল ফিত্র অথবা ঈদুল আযহার দিন ঈদগাহের উদ্দেশ্যে বের হলাম। তিনি তখন মদীনার আমীর ছিলেন। যখন আমরা ঈদগাহে পৌঁছলাম তখন দেখলাম কাছীর বিন সান্ত একটি মিম্বার বানিয়ে রেখেছে। মারওয়ানও নামায আদায়ের পূর্বেই মিম্বারের উপর আরোহনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল৷ আমি তার কাপড় ধরে টান দিলাম। সেও টান দিল।

অতঃপর সে মিম্বারে উঠে নামাযের পূর্বে খুতবা দিলেন। আমি তাকে বললামঃ আল্লাহর শপথ! তোমরা (রাসূলের সুন্নাতকে) পরিবর্তন করে ফেলেছ। সে বললঃ হে আবু সাঈদ! তুমি যা জান তার দিন চলে গেছে। আবু সাঈদ বলেনঃ আমি বললামঃ আল্লাহর শপথ! যা আমি জানি তা ঐ বিষয় হতে উত্তম, যা আমি জানি না। তারপর মারওয়ান বললঃ লোকেরা নামাযের পরে আমাদের খুতবা শুনার জন্য বসেনা। তাই আমি নামাযের পূর্বে খুতবা দিয়েছি। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ৫২৩)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন