hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুখতাসার সহীহ আল-বুখারী

৮৭. কিতাবুল ইতেসাম বিল কিতাব ওয়াস্‌ সুন্নাহ

مختصر صحيح البخاري

৮৭/ পরিচ্ছেদঃ রাসূল (ﷺ)-এর সুন্নাতের অনুসরণ করা

২২১২

সহিহ হাদিস
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ : أَنَّ رَسُولَ اللهِ (ﷺ) قَالَ: (كُلُّ أُمَّتِي يَدْخُلُونَ الجَنَّةَ إِلا مَنْ أَبَى). قالُوا : يَا رَسُولَ اللَّهِ، وَمَنْ يَأْبي؟ قَالَ: مَنْ أَطَاعَنِي دَخَلَ الجَنَّةَ، وَمَنْ عَصَانِي فَقَدْ أَبيِ).

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ আমার উম্মাতের সবাই জান্নাতে প্রবেশ করবে। তবে সে ব্যক্তি নয়, যে অস্বীকার করে। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেনঃ কে অস্বীকার করে? উত্তরে তিনি বললেনঃ যে ব্যক্তি আমার অনুসরণ করবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। যে আমার নাফরমানী করল সেই অস্বীকার করল। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ২১৫৮)

২২১৩

সহিহ হাদিস
عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ : جَاءَتْ مَلَائِكَةُ إِلَى النَّبِيِّ (ﷺ) وَهُوَ نَائِمٌ، فَقَالَ بَعْضُهُمْ: إِنَّهُ نَائِمٌ ، وَقالَ بَعْضُهُمْ إِنَّ الْعَيْنَ نَائِمَةٌ وَالْقَلْبَ يَقْطَانُ، فَقَالُوا : إِنَّ لِصَاحِبِكُمْ هَذَا مَثَلًا، فَأَضْرِبُوا لَهُ مَثَلًا، فَقَالَ بَعْضُهُمْ: إِنَّهُ نَائِمٌ، وَقَالَ بَعْضُهُمْ: إِنَّ الْعَيْنَ نَائِمَةٌ، وَالْقَلْبَ يَقْطَانُ، فَقَالُوا مَثَلُهُ كَمَثَلِ رَجُلٍ بَنَى دَارًا، وَجَعَلَ فِيهَا مَادُبَةٌ وَبَعَثَ دَاعِيًا ، فَمَنْ أَجَابَ الدَّاعِيَ دَخَلَ الدَّارَ وَأَكَلَ مِنَ المَأْدُبَةِ، وَمَنْ لَمْ يُجِبِ الدَّاعِيَ لَمْ يَدْخُلِ الدَّارَ وَلَمْ يَأْكُلْ مِنَ المَأْدُبَةِ، فَقَالُوا : أَوّلُوهَا لَهُ يَفْقَهُهَا ، فَقَالَ بَعْضُهُمْ: إِنَّهُ نَائِمٌ، وَقَالَ بَعْضُهُمْ : إِنَّ الْعَيْنَ نَائِمَةٌ وَالْقَلْبَ يَقْظَانُ، فَقَالُوا : فالدَّارُ الجَنَّةُ، وَالدَّاعِيَ مُحَمَّدٌ (ﷺ) ، فَمَنْ أَطَاعَ مُحَمَّدًا (ﷺ) فَقَدْ أَطَاعَ اللَّهَ ، وَمَنْ عَطَى مُحَمَّدًا فَقَدْ عَطى الله ، وَمُحَمَّدٌ (ﷺ) فَرَّقَ بَيْنَ النَّاسِ .

জাবের বিন আব্দুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ নবী (ﷺ)-এর কাছে একদল ফেরেশতা আগমণ করল। তিনি তখন ঘুমন্ত ছিলেন। কতিপয় ফেরেশতা বললঃ তিনি তো ঘুমিয়ে আছেন। আবার কতিপয় ফেরেশতা বললঃ তার চক্ষু ঘুমন্ত, কিন্তু অন্তর জাগ্রত আছে। তারা বললঃ তোমাদের এই সাথীর জন্য একটি দৃষ্টান্ত রয়েছে। তোমরা তার জন্য বর্ণনা করো৷ তাদের কেউ বললঃ তিনি ঘুমিয়ে আছেন। আবার কতিপয় ফেরেশতা বললঃ তার চক্ষু ঘুমন্ত, কিন্তু অন্তর জাগ্রত আছে। তারা বললঃ তাঁর উদাহরণ হলো ঐ ব্যক্তির ন্যায়, যিনি একটি গৃহ নির্মাণ করলেন এবং তাতে খাদ্যের আয়োজন করলেন। খাবারের জন্য দাওয়াত দেয়ার উদ্দেশ্যে একজন আহবানকারী প্রেরণ করলেন। সুতরাং যে ব্যক্তি দাওয়াত গ্রহণ করল, সে ঘরে প্রবেশ করে খাবার গ্রহণ করল। আর যে ব্যক্তি আহবানকারীর ডাকে সাড়া দিলো না সে ঘরে প্রবেশ করল না এবং খাবারও খেতে পারল না। তারা বললঃ তার জন্য এই উদাহরণের ব্যাখ্যা প্ৰদান করো, যাতে তিনি বুঝতে পারেন। তাদের কেউ বললঃ তিনি তো ঘুমন্ত আছেন। আবার কেউ বললঃ তার চক্ষু ঘুমন্ত, কিন্তু অন্তর জাগ্রত আছে। তারা বললঃ ঘরটি হচ্ছে জান্নাত। আহবানকারী হচ্ছেন মুহাম্মাদ)। যে ব্যক্তি মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর আনুগত্য করলো, সে আল্লাহর আনুগত্য করল। আর যে ব্যক্তি মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর অবাধ্যতা করল, সে আল্লাহ্ কে অমান্য করল। মুহাম্মাদ (ﷺ) হচ্ছেন মানুষের মাঝে পার্থক্যকারী। অর্থাৎ সত্য ও মিথ্যার মাঝে পার্থক্যকারী। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ২১৫৯)
৮৭/ পরিচ্ছেদঃ অধিক প্রশ্ন করা এবং অযথা কষ্ট করা মাকরূহ্

২২১৪

সহিহ হাদিস
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ : قالَ: قالَ رَسُولُ اللَّهِ (ﷺ): (لَنْ يَبْرَحَ النَّاسُ يَتَسَاءَلُونَ حَتَّى يَقُولُوا : هَذَا اللهُ خَالِقُ كُلِّ شَيْءٍ، فَمَنْ خَلَقَ اللَّه).

আনাস বিন মালেক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ মানুষ পরস্পর জিজ্ঞেস করতে থাকবে, এই তো আল্লাহ্ সব কিছু সৃষ্টি করেছেন৷ তাহলে কে আল্লাহকে সৃষ্টি করেছে? (আলোকিত প্রকাশনীঃ ২১৬০)
টিকাঃ অন্য হাদীছে রয়েছ কারো মনে এমন প্রশ্নের সৃষ্টি হলে সে যেন শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে এবং বাম দিকে থুথু নিক্ষেপ করে। যেহেতু এ ক্ষেত্রে প্রশ্ন শুধু বিভ্রান্তি বৃদ্ধি করবে, এমনকি ঈমান নষ্টেরও কারণ হতে পারে, তাই এ ক্ষেত্রে আল্লাহর আসমা, সিফাত এবং তাঁর পরিচিতির সাথে সম্পৃক্ত জ্ঞান মানুষের ঈমান আরও সঠিকতর ও সুদৃঢ় করে বলে ঈমানদারকে সেদিকেই আগ্রহী হওয়া উচিৎ। অর্থাৎ আল্লাহর আসমা, সিফাত এবং তাঁর পরিচিতির প্রতি মনোনিবেশ করা উচিৎ।
৮৭/ পরিচ্ছেদঃ ব্যক্তিগত রায় এবং ভিত্তিহীন কিয়াস নিন্দনীয়

২২১৫

সহিহ হাদিস
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قالَ: سَمِعْتُ النَّبِيِّ (ﷺ) يَقُولُ : (إِنَّ اللَّهَ لَا يَنْزِعُ الْعِلْمَ بَعْدَ أَنْ أَعْطَاهُمُوهُ انْتِزَاعًا، وَلَكِنْ يَنْتَزِعُهُ مِنْهُمْ مَعَ قَبْضِ الْعُلَمَاءِ بِعِلْمِهِمْ، فَيَبْقَى نَاسٌ جُهَّالٌ، يُسْتَفْتَوْنَ فَيُفْتُونَ بِرَأْيِهِمْ، فَيُضِلُّونَ وَيَضِلُّونَ).

আব্দুল্লাহ্ ইবনে আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি নবী (ﷺ) কে বলতে শুনেছি, আল্লাহ্ তোমাদেরকে ইল্ম দান করার পর তা ছিনিয়ে নিবেন না। বরং তিনি আলেমদেরকে ইল্মসহ উঠিয়ে নেয়ার মাধ্যমে ইলম উঠিয়ে নিবেন। তারপর শুধু জাহেল লোকেরা অবশিষ্ট থাকবে। তাদের কাছে ফাতওয়া চাওয়া হবে। তারা স্বীয় মত অনুযায়ী ফাতওয়া দিবে। ফলে তারা লোকদেরকে গোমরাহ্ করবে এবং নিজেরাও গোমরাহ্ হবে। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ২১৬১)
টিকাঃ ফাতওয়া একটি দুরহতর সাস্ত্রীয় বিদ্যার কাজ, যা শুধু তথ্য বা প্রমাণ জানলেই আয়ত্ত্ব করা সম্ভব নয়; বরং তাতে প্রয়োগ প্রণালী সম্পর্কে জ্ঞান রাখাও অপরিহার্য বিষয়। সেই সাথে নিষ্ঠার সাথে তার বাস্তবায়নও জরুরী। বর্তমান মুসলিম বিশ্বে এর অভাবের ফলে নানা বিভ্রান্তি ও বিচ্ছিন্নতা দেখা দিয়েছে।
৮৭/ পরিচ্ছেদঃ নবী (ﷺ)-এর বাণীঃ তোমরা অবশ্যই তোমাদের পূর্ববর্তীদের সুন্নাতের (আদর্শের) অনুসরণ করবে

২২১৬

সহিহ হাদিস
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، النبي (ﷺ) قال: (لَا تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى تَأْخُذَ أُمَّتِي بِأَخْذِ الْقُرُونِ قَبْلَهَا، شيرًا بِشِبْرٍ وَذِرَاعًا بِذِرَاعٍ). فَقِيلَ: يَا رَسُولَ اللهِ، كَفَارِسَ وَالرُّومِ؟ فَقَالَ: (وَمَنِ النَّاسُ إِلا أُولئِكَ).

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (ﷺ) বলেনঃ ততক্ষণ পর্যন্ত কিয়ামত হবেনা, যতক্ষণ না আমার উম্মাত পূর্ববর্তীদের চালচলন হুবহু অনুসরণ করবে। যেমন এক বিঘত অন্য এক বিঘতের এবং এক বাহু অন্য বাহুর সমান হয়। তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলো, পূর্ববর্তী উম্মাত বলতে কাদেরকে বুঝানো হয়েছে? পারসিক ও রোমানদের? তিনি বললেনঃ তাদেরকে ছাড়া আর কারা উদ্দেশ্য হতে পারে? (আলোকিত প্রকাশনীঃ ২১৬২)
টিকাঃ বর্তমান মুসলিম সমাজে এর উজ্জ্বল প্রমাণ মিলে। মুসলিমরা একদিকে যেমন সুন্নাতের পরিবর্তে বিদআতকে প্রশ্রয় দিয়ে চলছে। ঠিক অপর দিকে সংস্কৃতির দোহাই দিয়ে বিজাতীয় অপসংস্কৃতির আমদানী করে জাতিকে নানা রকম রসম-রেওয়াজ ও দিবসাদি পালনে অভ্যস্ত করে সঠিক ইসলাম থেকে পপুলার বা তথাকথিত প্রগতিশীল ইসলামের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন