রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ এক উমরাহ হতে অন্য উমরাহ উভয়ের মধ্যবর্তী গুনাহসমূহের জন্য কাফ্ফারা স্বরূপ। আর মাকবুল হজ্জের এক মাত্র পুরস্কার (আলোকিত প্রকাশনীঃ ৮৪৯)

তাঁকে একদা হজ্জের পূর্বে উমরাহ করা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বললেনঃ এতে কোন অসুবিধা নেই। তিনি আরো বলেনঃ নবী (ﷺ) হজ্জ করার পূর্বে উমরাহ করেছেন। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ৮৫০)

তাঁকে একদা প্রশ্ন করা হল, নবী (ﷺ) কয়টি উমরাহ করেছেন? তিনি বললেনঃ চারটি। সেগুলোর মধ্যে একটি ছিল রজব মাসে। প্রশ্নকারী বলেনঃ আমি আয়েশা (রাঃ) কে বললামঃ হে মা! আপনি আবু আব্দুর রাহমানের কথা শুনছেন না? তিনি বললেনঃ আবু আব্দুর রাহমান (ইবনে উমার) কি বলেন? প্রশ্নকারী বললেনঃ তিনি বলছেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) চারবার উমরাহ করেছেন। তার মধ্যে একটি করেছেন রজব মাসে। আয়েশা (রাঃ) বলেনঃ আল্লাহ তা'আলা আবু আব্দুর রাহমানের উপর রহম করুন! নবী (ﷺ) যখনই কোন উমরাহ করেছেন তখনই তিনি সাথে ছিলেন। তিনি রজব মাসে কোন উমরাহ করেন নি। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ৮৫১)

তাঁকে একদা প্রশ্ন করা হল, নবী (ﷺ) কয়টি উমরাহ করেছেন? তিনি বললেনঃ চারটি। (১) হুদায়বিয়ার উমরাহ, যা তিনি যুল-কাদ মাসে আদায় করেছিলেন, যে সময় মুশরিকরা তাঁকে মক্কায় প্রবেশ করতে বাঁধা দিয়েছিল। (২) পরের বছর যুল-কাদ মাসের (কাযা) উমরাহ, যে বছর তিনি মুশরিকদের সাথে সন্ধি করেছিলেন। (৩) জি'রানার উমরাহ, যখন তিনি হুনাইন যুদ্ধের গণীমত বন্টন করেছিলেন। বর্ণনাকারী বলেনঃ আমি জিজ্ঞেস করলামঃ তিনি কয়টি হজ্জ করেছেন? উত্তরে তিনি বললেনঃ মাত্র একটি। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ৮৫২)

আনাস (রাঃ) হতে অপর এক বর্ণনায় এসেছে, তিনি বলেনঃ নবী (ﷺ)-এর এক উমরাহ তো ছিল ঐ বছর যখন তাঁকে মুশরিকরা ফিরিয়ে দিয়েছিল। দ্বিতীয় উমরাহ ছিল পরের বছর হুদায়বিয়ার উমরাতুল কাযা, তৃতীয় উমরাহ ছিল যুল-কাদ মাসের (জি'রানার) উমরাহ এবং চতুর্থ উমরা ছিল হজ্জের সাথে। (আলোকিত প্রকাশনীঃ )

তিনি বলেনঃ নবী (ﷺ) হজ্জের পূর্বে যুল-কাদ মাসে দু'বার উমরা করেছেন। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ৮৫৩)

নবী (ﷺ) তাঁকে আদেশ দিলেন, তিনি যেন তাঁর বাহনের পিছনে আয়েশাকে বসিয়ে তানঈম হতে উমরা করান।

জাবের বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ সুরাকা বিন মালেক বিন জু’শুম জামারায়ে আকাবার নিকট নবী রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাথে সাক্ষাৎ করলেন। নবী (ﷺ) তখন জামারায়ে আকাবায় কংকর নিক্ষেপ করছিলেন। তখন সুরাকা বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! এটা কি (হজ্জের সাথে উমরাহ করা) শুধু আপনাদের (এই বছরের) জন্য নির্দিষ্ট? তিনি বললেনঃ না; বরং চিরদিনের জন্য। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ৮৫৪)