hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুখতাসার সহীহ আল-বুখারী

. কিতাবুত তায়াম্মুম

مختصر صحيح البخاري

/ পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর বাণীঃ ﴾ فَلَمْ تَجِدُوا مَاءً فَتَيَمَّمُوا صَعِيدًا طَيِّبًا ﴿অর্থাৎ তোমরা পানি না পেলে পবিত্র মাটি দিয়ে তায়াম্মুম কর

২২৩

সহিহ হাদিস
عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْها، زَوْجِ النَّبِيِّ (ﷺ) قَالَتْ : خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ (ﷺ) فِي بَعْضِ أَسْفَارِهِ، حَتَّى إِذَا كُنَّا بِالْبَيْدَاءِ، أَوْ بِذَاتِ الجيش، أنْقَطَعَ عِقْدٌ لِي، فَأَقَامَ رَسُولُ الله عَلَى الْتِمَاسِهِ، وَأَقَامَ النَّاسُ مَعَهُ، وَلَيْسُوا عَلَى مَاءٍ، فَأَتَى النَّاسُ إِلَى أَبي بَكْرِ الصِّدِّيقِ، فَقَالُوا : أَلَا تَرَى مَا صَنَعَتْ عَائِشَةُ؟ أَقَامَتْ بِرَسُولِ اللَّهِ (ﷺ) وَالنَّاسِ، وَلَيْسُوا عَلَى مَاءٍ، وَلَيْسَ مَعَهُمْ مَاءٌ ، فَجَاءَ أَبُو بَكْرٍ، وَرَسُولُ اللَّهِ (ﷺ) وَاضِعٌ رَأْسَهُ عَلَى فَخِذِي قَدْ نَامَ، فَقَالَ: حَبَسْتِ رَسُولَ اللهِ (ﷺ) وَالنَّاسَ، وَلَيْسُوا عَلَى مَاءٍ، وَلَيْسَ مَعَهُم مَاءٌ، فَقَالَتْ عَائِشَةُ : فَعَاتَبَنِي أَبُو بَكْرٍ، وَقَالَ مَا شَاءَ اللهُ أَنْ يَقُولَ، وَجَعَلَ يَطْعُنُنِي بِيَدِهِ فِي خَاصِرَتِي، فَلاَ يَمْنَعُنِي مِنَ التَّحَرُّكِ إِلا مَكَانُ رَسُولِ اللهِ (ﷺ) عَلَى فَخِذِي، فَقَامَ رَسُولُ اللهِ (ﷺ) حِينَ أَصْبَحَ عَلَى غَيْرِ مَاءٍ، فَأَنْزَلَ اللهُ آيَةَ التَّيَهُم فَتَيَمَّمُوا ، فَقَالَ أُسَيْدُ بْنُ الْحُضَيْرِ : مَا هِيَ بِأَوَّلِ بَرَكَتِكُمْ يَا آلَ أَبِي بَكْرِ، قَالَتْ: فَبَعَثْنا الْبَعِيرَ الَّذِي كُنْتُ عَلَيْهِ، فَأَصَبْنَا الْعِقْدَ تَحْتَهُ.

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমি কোন এক সফরে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে বের হলাম। আমরা যখন ‘বায়দা' অথবা 'যাতুল জাইশ' নামক স্থানে পৌছলাম তখন আমার গলার হার ছিড়ে গেল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উহা তালাশ করার জন্য তথায় অপেক্ষা করলেন। লোকেরাও অপেক্ষা করল। সেখানে পানির কোন ব্যবস্থা ছিলনা। লোকেরা আবু বকর সিদ্দীক (রাঃ) এর নিকট এসে বলতে লাগলঃ আপনি কি দেখছেন না আয়েশা কি করলেন? আল্লাহর রাসূল এবং সমস্ত লোককে এমন স্থানে আটকিয়ে দিলেন যেখানে পানির কোন ব্যবস্থা নেই। এমনকি তাঁদের সাথেও পানি নেই। আয়েশা (রাঃ) বলেনঃ আবু বকর (রাঃ) আমার নিকট আগমণ করলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তখন আমার রানের উপর মাথা রেখে ঘুমিয়েছিলেন। আবু বকর (রাঃ) বললেনঃ আল্লাহর রাসূল এবং সমস্ত লোককে এমন স্থানে আটকিয়ে দিয়েছ, যেখানে পানির কোন ব্যবস্থা নেই। এমনকি তাঁদের সাথেও কোন পানি নেই। আয়েশা (রাঃ) বলেনঃ আবু বকর আমাকে দোষারোপ করলেন এবং আল্লাহর ইচ্ছায় তিনি এ ধরণের আরো কথা বললেন। অতঃপর তিনি আমার কোমরে খোঁচা মারতে লাগলেন। আঘাতের কারণে আমি নড়াচড়া করতে পারলামনা। কারণ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমার রানের উপর মাথা রেখে ঘুমিয়েছিলেন। প্রাতঃকালে যখন তিনি ঘুম থেকে জাগ্রত হলেন তখন সেখানে কোন পানি ছিলনা। এখানেই আল্লাহ তা'আলা তায়াম্মুমের আয়াত নাযিল করেন।

উসায়েদ ইবনে হুযায়ের (রাঃ) বলেনঃ হে আবু বকরের বংশধর! এটি তোমাদের প্রথম বরকত নয়। আয়েশা (রাঃ) বলেনঃ আমি যে উটে আরোহন করেছিলাম সেটি যখন উঠালাম তখন দেখতে পেলাম হারটি তার নিচে পড়ে আছে। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ২২০)

২২৪

সহিহ হাদিস
عَنْ جَابِرِ بْن عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ الله عَنْهُمَا: أَنَّ النَّبِيَّ (ﷺ) قَالَ: (أُعْطِيتُ خَمْسًا، يُعْطَهُنَّ أَحَدٌ قَبْلِي : نُصِرْتُ بِالرُّعْبِ مَسِيرَةَ شَهْرٍ، وَجُعِلَتْ لِي الْأَرْضُ مَسْجِدًا وَطَهُورًا، فَأَيُّمَا رَجُلٍ مِنْ أُمَّتِي أَدْرَكَتْهُ الصَّلَاةُ فَلْيُصَلِّ، وَأُحِلَّتْ لِيَ الْغَنَائِمُ وَ لَمْ تَحِلَّ لَأَحَدٍ قَبْلِي، وَأُعْطِيتُ الشَّفَاعَةَ، وَكَانَ النَّبِيُّ (ﷺ) يُبْعَثُ إِلَى قَوْمِهِ خَاصَّةٌ، وَبُعِثْتُ إِلَى النَّاسِ عَامَّةٌ).

জাবের বিন আব্দুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (ﷺ) বলেনঃ আমাকে এমন পাঁচটি জিনিষ প্রদান করা হয়েছে, যা পূর্বের কোন নবীকে দেয়া হয়নি। (১) এক মাসের দূরত্ব থেকে (শত্রুদের মনে আতঙ্ক ঢুকিয়ে দিয়ে আমাকে সাহায্য করা হয়েছে। (২) যমীনের মাটি আমার জন্য পবিত্র এবং মসজিদ স্বরুপ করা হয়েছে। অতএব আমার উম্মাতের কোন ব্যক্তির নিকট যদি নামাযের সমর উপস্থিত হয়, তবে সে যেন উহা আদায় করে নেয়। (৩) আমার জন্য গণীমতের মাল হালাল করা হয়েছে, যা আমার পূর্বে কারো জন্য হালাল করা হয়নি। (৪) আমাকে শাফাআতের অধিকার দেয়া হয়েছে। (৫) আমার পূর্বেকার নবীগণ প্রেরিত হতেন তাদের গোত্রের লোকদের নিকট। আর আমি প্রেরিত হয়েছি সমগ্র মানব জাতির জন্যে। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ২২১)
/ পরিচ্ছেদঃ মুকীম অবস্থায় পানি না পাওয়া গেলে এবং নামায ছুটে যাওয়ার আশঙ্কা থাকলে

২২৫

সহিহ হাদিস
عَنْ أَبِي جُهَيْمَ بْنِ الْحَارِثِ الأَنْصَارِيِّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ : أَقْبَلَ النَّبِيُّ (ﷺ) مِنْ نَحْوِ بِثْرِ جَمَلٍ، فَلَقِيَهُ رَجُلٌ فَسَلَّمَ عَلَيْهِ، فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيْهِ النَّبِيُّ (ﷺ) السَّلامَ، حَتَّى أَقْبَلَ عَلَى الْجِدَارِ، فَمَسَحَ بِوَجْهِهِ وَيَدَيْهِ، ثُمَّ رَدَّ عَلَيْهِ السَّلَامَ .

আবু জুহাইম বিন হারেছ আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ একদা নবী (ﷺ) 'বি'রে জামাল' নামক স্থান থেকে আগমণ করলেন। এ সময় তাঁর সাথে এক ব্যক্তির সাক্ষাৎ হল। সে নবী (ﷺ) কে সালাম দিল। তিনি সালামের জবাব না দিয়ে একটি দেয়ালের দিকে গেলেন। দেয়ালে হাত মেরে মুখমণ্ডল এবং উভয় হাত মাসেহ করলেন। অতঃপর সালামের উত্তর দিলেন। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ২২২)
/ পরিচ্ছেদঃ তায়াম্মুমকারী মাটিতে হাত মেরে হাতে ফুঁ দিবে কি?

২২৬

সহিহ হাদিস
عَنْ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ أَنَّهُ قَالَ لِعُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ : أَمَا تَذْكُرُ أَنَّا كُنَّا فِي سَفَرٍ أَنَا وَأَنْتَ، فَأَمَّا أَنْتَ فَلَمْ تُصَلِّ، وَأَمَّا أَنَا فَتَمَعَكْتُ فَصَلَّيْتُ، فَذَكَرْتُ ذُلِكَ لِلنَّبِيِّ ، فَقَالَ النَّبِيُّ (ﷺ): (إِنَّمَا كَانَ يَكْفِيكَ هكَذَا). فَضَرَبَ النَّبِيُّ (ﷺ) بِكَفَّيْهِ الأَرْضَ، وَنَفَخَ فِيهِمَا، ثُمَّ مَسَحَ بِهِمَا وَجْهَهُ وَكَفَّيْهِ.

আম্মার বিন ইয়ালির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি উমার বিন খাত্তাব (রাঃ) কে বললেনঃ আপনার কি মনে আছে আমি এবং আপনি একদা কোন এক সফরে ছিলাম? আমরা উভয়েই রাত্রে অপবিত্র হয়ে গিয়েছিলাম। পবিত্রতা অর্জনের জন্য পানি না পাওয়ার কারণে আপনি নামায পড়েন নি। আমি মাটিতে গড়াগড়ি দিয়ে নামায আদায় করলাম। পরবর্তীতে ঘটনাটি নবী (ﷺ)-এর কাছে বর্ণনা করা হলে তিনি আমাকে তায়াম্মুমের নিয়ম শিক্ষা দিতে গিয়ে মাটিতে হাত মেরে বললেনঃ তোমার তো এরূপ করাই যথেষ্ট ছিল। এ বলে তিনি দু'হাত যমীনে মারলেন এবং তাতে ফুঁ দিলেন। অতঃপর তাঁর মুখমণ্ডল এবং উভয় হাত কব্জি পর্যন্ত মাসেহ করলেন। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ২২৩)
টিকাঃ তায়াম্মুমের জন্য মাত্র একবার হাত মারা ও কব্জি পর্যন্ত মাসেহ করাই সঠিক পদ্ধতি। কেননা অন্য যে হাদীছে দু'বার হাত মারার ও কনুই পর্যন্ত মাসেহ করার কথা এসেছে, তা বিশুদ্ধ নয়।
/ পরিচ্ছেদঃ পবিত্র মাটি মুসলিমদের জন্য অযুর পানির হুকুম রাখে

২২৭

সহিহ হাদিস
عَنْ عِمْرَانَ بْن حُصَيْنٍ الْخُزَاعِيَّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُما قَالَ: كُنَّا في سَفَرٍ مَعَ النَّبِيِّ (ﷺ) وَإِنَّا أَسْرَيْنَا، حَتَّى كُنَّا فِي آخِرِ اللَّيْلِ، وَقَعْنَا وَقْعَةٌ، وَلا وَقْعَةَ أَحْلَى عِنْدَ المُسَافِرِ مِنْهَا ، فَمَا أَيْقَظَنَا إِلَّا حَرُّ الشَّمْسِ، وَكَانَ أَوَّلَ مَنِ اسْتَيْقَظَ فُلَانٌ ثُمَّ فُلَانٌ ثُمَّ فُلَانٌ ثُمَّ عُمَرُ بْنُ الخَطَّابِ الرَّابِعُ ، وَكَانَ النَّبِيُّ (ﷺ) إِذَا نَامَ لَمْ نُوقِظُهُ حَتَّى يَكُونَ هُوَ يَسْتَيْقِظُ ، لأَنَّا لَا نَدْرِي مَا يَحْدُثُ لَهُ في نَوْمِهِ، فَلَمَّا اسْتَيْقَظَ عُمَرُ وَرَأَى مَا أَصَابَ النَّاسَ، وَكَانَ رَجُلًا جَلِيدًا، فَكَبَّرَ وَرَفَعَ صَوْتَهُ بِالتَّكْبِيرِ، فَمَا زَالَ يُكَبِّرُ وَيَرْفَعُ صَوْتَهُ بِالتَّكْبِيرِ، حَتَّى اسْتَيْقَظَ لِصَوْتِهِ النَّبِيُّ (ﷺ) ، فَلَمَّا اسْتَيْقَظَ شَكَوْا إِلَيْهِ الَّذِي أَصَابَهُمْ، قَالَ : (لَا ضَيْرَ أَوْ لاَ يَضِيرُ، أَرْتَحِلُوا). فَارْتَحَلُوا فَسَارَ غَيْرَ بَعِيدٍ، ثُمَّ نَزَلَ فَدَعَا بِالْوَضُوءِ فَتَوَضَّأَ، وَنُودِيَ بِالصَّلَاةِ فَصَلَّى بِالنَّاسِ، فَلَمَّا انْفَتَلَ مِنْ صَلَاتِهِ، إِذَا هُوَ بِرَجُلٍ مُعْتَزِلٍ لَمْ يُصَلِّ مَعَ الْقَوْمِ، قَالَ: (مَا مَنَعَكَ يَا فُلاَنُ أَنْ تُصَلِّيَ مَعَ الْقَوْمِ؟ قَالَ: أَصَابَتْنِي جَنَابَةٌ وَلَا مَاءَ، قَالَ: (عَلَيْكَ بِالصَّعِيدِ، فَإِنَّهُ يَكْفِيكَ). ثُمَّ سَارَ النَّبِيُّ (ﷺ) فَاشْتَكَى إِلَيْهِ النَّاسُ مِنَ الْعَطَشِ، فَنَزَلَ فَدَعَا فُلَانًا وَدَعَا عَلِيًّا رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَقَالَ : اذْهَبَا فَابْتَغِيَا الْمَاءَ) . فَانْطَلَقَا، فَلَقِيَا أَمْرَأَةٌ بَيْنَ مَزَادَتَيْنِ، أَوْ سَطِيحَتَيْنِ مِنْ مَاءٍ عَلَى بَعِيرٍ لَهَا، فَقَالَا لَهَا : أَيْنَ المَاءُ؟ قَالَتْ: عَهْدِي بِالْمَاءِ أَمْسِ هَذِهِ السَّاعَةِ، وَنَفَرُنَا خُلُوفٌ، قَالاً لَها : انْطَلِقِي إِذًا، قَالَتْ: إِلَى أَيْنَ؟ قَالاً : إِلَى رَسُولِ اللهِ (ﷺ) قَالَتِ : الَّذِي يُقَالُ لَهُ الصَّابِي؟ قَالا : هُوَ الَّذِي تَعْنِينَ، فَانْطَلِقِي، فَجَاءا بِهَا إِلَى النَّبِيِّ (ﷺ) وَحَدَّثَاهُ الْحَدِيثَ، قَالَ : فَاسْتَنْزَلُوهَا عَنْ بَعِيرِهَا، وَدَعَا النَّبِيُّ (ﷺ) بِإِنَاءٍ فَفَرَّغَ فِيهِ مِنْ أَفْوَاهِ الْمَزَادَتَيْنِ، أَوِ السَّطِيحَتَيْنِ، وَأَوْكَأَ أَفْوَاهَهُمَا، وَأَطْلَقَ الْعَزَالَي، وَنُودِيَ فِي النَّاسِ : أَسْقُوا وَاسْتَقُوا، فَسَقَى مَنْ سَقَى، وَاسْتَقَى مَنْ شَاءَ، وَكَانَ آخِرَ ذَاكَ أَنْ أَعْطَى الَّذِي أَصَابَتْهُ الْجَنابَةُ إِنَاءً مِنْ مَاءٍ، قَالَ: اذْهَبْ فَأَفْرِغْهُ عَلَيْكَ) وَهِيَ قَائِمَةٌ تَنْظُرُ إِلَى مَا يُفْعَلُ بِمَائِهَا، وَأَيْمُ اللَّهِ، لَقَدْ أُقْلِعَ عَنْهَا ، وَإِنَّهُ لَيُخَيَّلُ إِلَيْنَا أَنَّهَا أَشَدُّ مِلأَةٌ مِنْهَا حِينَ ابْتَدَأَ فِيهَا ، فَقَالَ النَّبِيُّ (ﷺ): (أَجْمَعُوا) لها ). فَجَمَعُوا لَهَا مِن بَيْنِ عَجْوَةٍ وَدَقِيقَةٍ وَسَوِيقَةٍ، حَتَّى جَمَعُوا لَها طَعَامًا، فَجَعَلُوهَا فِي ثَوْبٍ، وَحَمَلُوهَا عَلَى بَعِيرِهَا ، وَوَضَعُوا التَّوْبَ بَيْنَ يَدَيْهَا ، قَالَ لَها : (تَعْلَمِينَ مَا رَزَتُنَا مِنْ مَائِكِ شَيْئًا، ولكِنَّ اللهَ هُوَ الَّذِي أَسْقَانَا). فَأَتَتْ أَهْلَهَا وَقَدِ احْتَبَسَتْ عَنْهُمْ، قَالُوا : مَا حَبَسَكِ يَا فُلانَةُ؟ قَالَتِ : الْعَجَبُ، لَقِيَنِي رَجُلانِ، فَذَهَبًا بِي إِلَى هَذَا الرَّجُلِ الَّذِي يُقَالُ لَهُ: الصَّابِيُّ، فَفَعَلَ كَذَا وَكَذَا، فَوَاللَّهِ ، إِنَّهُ لأَسْحَرُ النَّاسِ مِنْ بَيْنِ هَذِهِ وَهَذِهِ - وَقَالَتْ بِإِصْبَعَيْهَا الْوُسْطَى وَالسَّبَّابَةِ، فَرَفَعَتْهُمَا إِلَى السَّمَاءِ تعني : السَّمَاءَ وَالأَرْضَ - أَوْ إِنَّهُ لَرَسُولُ اللَّهِ حَقًّا فَكَانَ المُسْلِمُونَ بَعْدَ ذَلِكَ، يُغيرُونَ عَلَى مَنْ حَوْلَهَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ، وَلاَ يُصِيبُونَ الصِّرْمَ الَّذِي هِيَ مِنْهُ، فَقَالَتْ يَوْمًا لِقَوْمِهَا : مَا أَرَى أَنَّ هَؤُلَاءِ الْقَوْمَ يَدَعُونَكُمْ عَمْدًا، فَهَلْ لَكُمْ فِي الإسلام؟ فَأَطَاعُوهَا فَدَخَلُوا فِي الإِسْلَامِ.

ইমরান বিন হুসাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমরা এক সফরে নবী (ﷺ)এর সাথে ছিলাম। আমরা সারা রাত পথ চললাম। সারা রাত পথ চলার পর আমরা শেষ রাতে ঘুমিয়ে পড়লাম। মুসাফিরের জন্য শেষ রাতের ঘুমের চেয়ে অধিক আরামদায়ক ঘুম আর হতে পারেনা। সূর্যের তাপ ব্যতীত অন্য কিছু আমাদেরকে জাগ্রত করেনি। অর্থাৎ সূর্যের তাপ শরীরে লাগার পর আমরা ঘুম থেকে জাগ্রত হলাম। সর্বপ্রথম অমুক ব্যক্তি জাগ্রত হলেন তারপর অমুক তারপর অমুক। চতুর্থ ব্যক্তি ছিলেন উমার বিন খাত্তাব। নবী (ﷺ)যখন ঘুমাতেন তখন আমরা তাঁকে জাগাতামনা যতক্ষণ না তিনি নিজেই জাগ্রত হতেন। কেননা আমরা জানতামনা ঘুমের মধ্যে তাঁর কী ঘটছে? উমার (রাঃ) ঘুম হতে জাগ্রত হয়ে মানুষের অবস্থা দেখতে পেলেন। তিনি ছিলেন কঠোর প্রকৃতির লোক। তিনি উঁচু আওয়াজে তাকবীর পাঠ করলেন। তাঁর তাকবীরের আওয়াজ শুনে নবী (ﷺ) ঘুম হতে জাগ্রত হলেন। জাগ্রত হলে লোকেরা তাঁর নিকট তাদের সমস্যা তুলে ধরল। নবী (ﷺ) বললেনঃ কোন দোষ নেই অথবা তিনি বললেনঃ কোন ক্ষতি হবেনা। তোমরা সামনে চল। কিছু দূর গিয়ে যাত্রা বিরতি করে অযুর পানি আনতে বললেন। পানি আনা হলে তিনি অযু করলেন। অতঃপর নামাযের আযান দেয়া হল। অতঃপর লোকদেরকে নিয়ে নামায পড়লেন। নামায শেষে দেখলেন একজন লোক দূরে অবস্থান করছে৷ সে লোকদের সাথে নামায পড়েনি। নবী (ﷺ) বললেনঃ হে অমুক! লোকদের সাথে নামায পড়তে তোমাকে কিসে বারণ করল। সে বললঃ আমি নাপাক হয়ে গেছি অথচ পানি নেই। তিনি বললেনঃ তুমি পবিত্র মাটি নিয়ে তা দ্বারা তায়াম্মুম করো। এটিই তোমার জন্য যথেষ্ট।

অতঃপর নবী (ﷺ) যাত্রা শুরু করলেন। লোকেরা তাঁর নিকট পিপাসার অভিযোগ করল। যাত্রা বিরতি করে তিনি আলী (রাঃ) এবং অপর এক ব্যক্তিকে ডাকলেন। তাদেরকে বললেনঃ তোমরা যাও এবং পানি তালাশ কর। তারা উভয়ে পানির তালাশে বের হলেন। পথিমধ্যে তাঁরা জনৈক মহিলাকে দেখতে পেলেন। সে উটের পিঠে পানি ভর্তি দু'টি মশক রেখে মশক দু'টির মাঝখানে বসে আছে। তাঁরা মহিলাটিকে বললেনঃ পানি কোথায়? সে বললঃ গতকাল আমি এই সময়ে পানির কাছে ছিলাম। আমাদের লোকেরা পিছনে রয়ে গেছে। তাঁরা বললেনঃ তাহলে তুমি আমাদের সাথে চল। সে বললঃ কোথায়? তাঁরা বললেনঃ আল্লাহর রাসূলের কাছে। মহিলাটি বললঃ যাকে নারী বা বেদ্বীন বলা হয় তার নিকটে? তাঁরা বললেনঃ হ্যাঁ, তুমি যাকে উদ্দেশ্য করেছ, তার কাছেই চল। তাঁরা তাকে নবী (ﷺ) এর নিকট নিয়ে আসলেন এবং ঘটনা খুলে বললেন। সাহাবীগণ তাকে উট থেকে নামালেন।

নবী (ﷺ) একটি পাত্র নিয়ে আসতে বললেন। তিনি মশক দু'টির উপরের মুখ খুলে তা থেকে সামান্য পানি নিয়ে মশকদ্বয়ের মুখ বন্ধ করে দিলেন। তবে নিচের মুখ খোলা রাখলেন। তখন মানুষের মাঝে ঘোষণা করে দিলেনঃ তোমরা পানি পান কর এবং পশুকেও পান করাও। সুতরাং যার ইচ্ছা নিজে পান করলেন এবং যার ইচ্ছা নিজের পশুকে পান করালেন। সর্বশেষে যে লোকটি অপবিত্র হয়েছিল তাকে এক পাত্র পানি দিয়ে বললেনঃ যাও এবং তোমার শরীরে পানি ঢেলে গোসল কর। মহিলাটি দাঁড়িয়ে দেখছিল যে, তার পানি দিয়ে কি করা হচ্ছে। আল্লাহর শপথ! লোকেরা যখন তাকে ছেড়ে চলে গেল তখন আমাদের ধারণা হল পানি নেয়া শুরু করার সময়ের তুলনায় পানি নেয়া শেষ হওয়ার সময়ই মশক অধিক ভরা ছিল।

নবী (ﷺ) বলেনঃ তোমরা মহিলাটির জন্য কিছু সংগ্রহ কর। তাঁরা তার জন্য খেজুর, আটা এবং ছাতু সংগ্রহ করলেন। সুতরাং মহিলার জন্য তাঁরা কিছু খাদ্যদ্রব্য একত্রিত করে একটি কাপড়ে রাখলেন। তারপর মহিলাটিকে উটের উপর বসিয়ে দিয়ে খাদ্যের পুটলাটি মহিলার সামনে রেখে দিলেন। নবী (ﷺ) মহিলাকে বললেনঃ দেখলে তো? আমরা তোমার পানি হতে মোটেই কমাইনি; বরং আল্লাহই আমাদেরকে পান করিয়েছেন। মহিলাটি যখন বিলম্বে তার পরিবারের লোকদের কাছে পৌছল তখন তার পরিবারের লোকেরা তাকে জিজ্ঞেস করলঃ কিসে তোমাকে আটকিয়ে রেখেছিল? সে বললঃ আশ্চর্য্য ব্যাপার! দু'জন লোকের সাথে দেখা হল। তারা আমাকে ঐ লোকটির নিকট নিয়ে গেল, যাকে বেদ্বীন বলা হয়। তিনি আমার সাথে এরূপ এরূপ আচরণ করেছেন। আল্লাহর শপথ! আসমান-যমীনের সকল অধিবাসীর মধ্যে এই ব্যক্তি সবচেয়ে বড় যাদুকর। এ কথা বলে সে মধ্যমা এবং শাহাদাত অঙ্গুলী দ্বারা আকাশের দিকে ইঙ্গিত করে দেখাল। অথবা সে আল্লাহর সত্য রাসূল।

পরবর্তীতে মুসলমানেরা উক্ত মহিলার আশেপাশের এলাকার মুশরিকদের উপর আক্রমণ করতেন। কিন্তু মহিলাটি যে সমাজের লোক ছিল তাদের কোন ক্ষতি করতেন না। এক দিন সে তার গোত্রের লোকদেরকে বললঃ আমার মনে হচ্ছেনা যে, এই লোকেরা ইচ্ছা করে তোমাদেরকে ছেড়ে দিচ্ছে। তোমাদের কি ইসলাম গ্রহণ করার আগ্রহ আছে? গোত্রের লোকেরা তাঁর কথা মেনে নিয়ে ইসলামে প্রবেশ করল। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ২২৪)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন