hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুখতাসার সহীহ আল-বুখারী

১৯. কিতাবুত্ তাহাজ্জুদ (তাহাজ্জুদ নামায)

مختصر صحيح البخاري

১৯/ পরিচ্ছেদঃ রাত্রিতে তাহাজ্জুদ নামায পড়া

৫৯০

সহিহ হাদিস
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ : كانَ النَّبِيُّ (ﷺ) إِذَا قَامَ مِنَ اللَّيْلِ يَتَهَجَّدُ قَالَ: (اللَّهُمَّ لَكَ الحَمْدُ، أَنْتَ قَيْمُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَنْ فِيهِنَّ، وَلَكَ الحَمْدُ، أَنْتَ نُورُ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَنْ فِيهِنَّ، وَلَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ مَلِكُ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَنْ فِيهِنَّ، وَلَكَ الحَمْدُ، أَنْتَ الحَقُّ ، وَوَعْدُكَ الحَقُّ ، وَلَقَاؤُكَ حَقٌّ، وَقَوْلُكَ حَقٌّ، وَالجَنَّةُ حَقٌّ، وَالنَّارُ حَقٌّ، وَالنَّبِيُّونَ حَقٌّ، وَمُحَمَّدٌ حَقٌّ، وَالسَّاعَةُ حَقٌّ، اللَّهُمَّ لَكَ أَسْلَمْتُ، وَبِكَ آمَنْتُ، وَعَلَيْكَ تَوَكَّلْتُ، وَإِلَيْكَ أَنَبْتُ، وَبِكَ خَاصَمْتُ، وَإِلَيْكَ حَاكَمُتُ، فَاغْفِرْ لِي مَا قَدَّمْتُ وَمَا أَخَرْتُ، وَمَا أَسْرَرْتُ وَمَا أَعْلَنْتُ، أَنْتَ المُقَدِّمُ، وَأَنْتَ المُؤَخِّرُ، لَا إِلَهَ إِلا أَنْتَ، أَوْ لَا إِلَهَ غَيْرُكَ.

আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ নবী (ﷺ) রাত্রিতে যখন তাহাজ্জুদের নামায পড়ার জন্য ঘুম থেকে উঠতেন তখন এই দু'আ পাঠ করতেনঃ হে আল্লাহ! তোমার জন্য সমস্ত প্রশংসা। তুমি আসমান-যমীন এবং এ দুই-এর মধ্যে যা আছে সব কিছুর ব্যবস্থাপক। তোমার জন্য সমস্ত প্রশংসা। আসমান-যমিন এবং এদুই-এর মধ্যে অবস্থিত সকল বস্তুর রাজত্ব তোমার। তোমার জন্য সমস্ত প্রশংসা। তুমি আসমান-যমীন এবং এ দু'য়ের মধ্যস্থিত সকল বস্তুর আলো। তোমার জন্য সকল প্রশংসা। তুমি আসমান-যমীনের বাদশাহ। তোমার জন্য সকল প্রশংসা। তুমি সত্য, তোমার মুহাম্মাদ (ﷺ) সত্য এবং কিয়ামত সত্য। হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট আত্মসমর্পন করেছি। তোমার প্রতি ঈমান আনয়ন করেছি। তোমার উপর ভরসা করেছি। তোমার নিকট প্রত্যাবর্তন করেছি। তোমার জন্যই বিবাদে লিপ্ত হয়েছি। তোমার নিকটই সকল বিষয় মীমাংসার জন্য পেশ করেছি। তুমি আমার পূর্বের ও পরের সমস্ত গুনাহ ক্ষমা কর। যা আমি গোপনে ও প্রকাশ্যে করেছি। তুমি প্রথম হতেই আছ এবং তুমিই শেষে থাকবে। তুমি ছাড়া কোন সত্য মাবূদ নেই। আল্লাহর সাহায্য ব্যতীত গুনাহ হইতে বিরত থাকা ও আনুগত্য করার ক্ষমতা লাভ করা যায়না। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ৫৮২)
১৯/ পরিচ্ছেদঃ রাত্রিতে নামায পড়ার ফজীলত

৫৯১

সহিহ হাদিস
عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ : كانَ الرَّجُلُ فِي حَيَاةِ النَّبِيِّ (ﷺ) إِذَا رَأَى رُؤيَا قَصَّهَا عَلَى رَسُولِ اللهِ (ﷺ) فَتَمَنَّيْتُ أَنْ أَرَى رُؤْيَا، فَأَقُصَّهَا عَلَى رَسُولِ اللهِ ، وَكُنْتُ غُلَامًا شَابًا، وَكُنْتُ أَنَامُ فِي المَسْجِدِ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللهِ (ﷺ) فَرَأَيْتُ فِي النَّوْمِ كَأَنَّ مَلَكَيْنِ أَخَذَانِي فَذَهَبًا بِي إِلَى النَّارِ، فَإِذَا هِيَ مَطْوِيَّةٌ كَطَيِّ الْبِثْرِ، وَإِذَا لَهَا قَرْنَانِ، وَإِذَا فِيهَا أُنَاسٌ قَدْ عَرَفْتُهُمْ، فَجَعَلْتُ أَقُولُ : أعوذ باللهِ مِنَ النَّارِ، قَالَ: فَلَقِينَا مَلَكٌ آخَرُ ، فَقَالَ لِي : لَمْ تُرَعْ فَقَصَصْتُها عَلَى حَفْصَةَ، فَقَصَّتْهَا حَفْصَةُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ فَقَالَ : (نِعْمَ الرَّجُلُ عَبْدُ اللَّهِ، لَوْ كَانَ يُصَلِّي مِنَ اللَّيْلِ. فَكانَ بَعْدُ لَا يَنَامُ مِنَ اللَّيْلِ إِلا قَلِيلًا.

আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ নবী (ﷺ) জীবিত থাকতে লোকেরা যখন কোন স্বপ্ন দেখত, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে তা বর্ণনা করত। আমিও আকাঙ্খা করলাম যে, কোন স্বপ্ন দেখলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট তা বর্ণনা করবো। আমি ছিলাম তখন যুবক। রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর যামানায় আমি মসজিদেই নিদ্রা যেতাম। একদা আমি ঘুমন্ত অবস্থায় দেখলাম যে, দু'জন ফেরেশতা আমাকে ধরে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আমি দেখলাম জাহান্নাম যেন বাঁধাই করা কূপের মত পেঁচানো অবস্থায় রয়েছে। আর তাতে রয়েছে শিং-এর মত (খাড়া) দু'টি স্তম্ভ। তাতে এমন কতিপয় লোক দেখলাম যাদেরকে আমি চিনি। আমি বলতে লাগলামঃ আমি আল্লাহর কাছে জাহান্নামের আযাব থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। ইবনে উমার (রাঃ) বলেনঃ অপর একজন ফেরেশতা আমাদের সাথে সাক্ষাত করলেন। তিনি আমাকে বললেনঃ ভয় করোনা। আমি এ ঘটনা আমার বোন হাফসাকে বললাম। আর হাফসা তা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট বর্ণনা করলেন। ঘটনা শুনে নবী (ﷺ) বললেনঃ আব্দুল্লাহ কতই না ভাল মানুষ! সে যদি রাত্রিতে নামায আদায় করত তাহলে কতইনা ভাল হত। এ কথা শুনার পর তিনি রাতে মাত্র সামান্য সময় নিদ্রা যেতেন। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ৫৮৩)
১৯/ পরিচ্ছেদঃ অসুস্থ ব্যক্তি রাতের নামায ছেড়ে দিতে পারে

৫৯২

সহিহ হাদিস
عَنْ جُنْدَبِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ : اشْتَكَى النَّبِيُّ (ﷺ) ، فَلَمْ يَقُمْ لَيْلَةٌ أَوْ لَيْلَتَيْنِ .

জুন্দুব বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ নবী (ﷺ) অসুস্থ হয়ে যাওয়ার কারণে এক বা দু'রাত কিয়াম (তাহাজ্জুদ আদায়) করতে পারেন নি। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ৫৮৪)
১৯/ পরিচ্ছেদঃ রাতের ও নফল নামায পড়ার জন্য নবী (ﷺ)-এর উৎসাহ প্রদান, তবে তিনি তা ওয়াজিব করেন নি

৫৯৩

সহিহ হাদিস
عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ : أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ (ﷺ) طَرَقَهُ وَفَاطِمَةَ بنتَ النَّبِيِّ (ﷺ) لَيْلَةٌ، فَقَالَ: (ألا تُصَلِّيانِ . فَقُلْتُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَنْفُسُنَا بِيَدِ اللهِ، فَإِذَا شَاءَ أَنْ يَبْعَثَنَا بَعَثَنَا، فَانْصَرَفَ حِينَ قُلْنَا ذُلِكَ وَلَمْ يَرْجِعْ إِلَيَّ شَيْئًا، ثُمَّ سَمِعْتُهُ وَهُوَ مُوَلّ، يَضْرِبُ فَخِذَهُ، وَهُوَ يَقُولُ : وَكَانَ الإِنْسَانُ أَكْثَرَ شَيْءٍ جَدَلًا».

আলী বিন আবী তালেব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ এক রাতে নবী (ﷺ) তাঁর নিকট এবং নবী রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কন্যা ফাতেমার নিকট আগমণ করে বললেনঃ তোমরা কি নামায পড়বেনা? আলী (রাঃ) বললেনঃ আমাদের প্রাণসমূহ আল্লাহর হাতে। তিনি যখন আমাদেরকে জাগ্রত করার ইচ্ছা করবেন তখন জাগিয়ে দিবেন। আমরা যখন এ কথা বললাম তখন তিনি কোন উত্তর না দিয়ে চলে গেলেন। পরে আমি শুনতে পেলাম, তিনি পিঠ ফিরিয়ে চলে যাওয়ার সময় স্বীয় রানের উপর হাত মেরে বলছিলেনঃ “নিশ্চয়ই মানুষ অতিশয় ঝগড়া প্রিয়”। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ৫৮৫)

৫৯৪

সহিহ হাদিস
عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قالَتْ: إِنْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ (ﷺ) لَيَدَعُ الْعَمَلَ، وَهُوَ يُحِبُّ أَنْ يَعْمَلَ بِهِ، خَشْيَةَ أَنْ يَعْمَلَ بِهِ النَّاسُ فَيُفْرَضَ عَلَيْهِمْ، وَمَا سَبَّحَ رَسُولُ اللهِ سُبْحَةَ الضُّحى قَطُّ، وَإِنِّي لَأُسَبِّحُهَا .

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কোন আমল পছন্দ করা সত্ত্বেও এ ভয়ে তা ছেড়ে দিতেন যে, মানুষেরা তার উপর আমল করা শুরু করবে। ফলে তাদের উপর তা ফরয করে দেয়া হবে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কখনও চাশতের নামায আদায় করেন নি, কিন্তু আমি তা আদায় করি। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ৫৮৬)
টিকাঃ সম্ভবতঃ নবী রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর চাশতের নামায আদায়ের কথা আয়েশা (রাঃ) এর জানা ছিলনা। তাই তিনি বলেছেনঃ, নবী (ﷺ) কখনও চাশতের নামায আদায় করেন নি। অথচ তিনি প্রায় দিনই চাশতের নামায আদায় করেছেন। দ্বিতীয়তঃ আরেকটি জ্ঞাতব্য বিষয় হচ্ছে কখনও হ্যাঁ সূচক কিংবা হালকা হ্যাঁ সূচককে না দ্বারা আখ্যায়িত করা আরবী ভাষার অন্যতম একটি রীতি। যেমন ইতিপূর্বে অতিক্রান্ত হাদীছে হালকা অযু করাকে অযু করেন নি বলে অর্থাৎ হালকা হ্যাঁ সূচককে সরাসরি না সূচক দ্বারা ব্যাখ্যা করা হয়েছে। (আল্লাহই ভাল জানেন)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন