hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুখতাসার সহীহ আল-বুখারী

৫১. কিতাবুস্ সুলহ

مختصر صحيح البخاري

৫১/ পরিচ্ছেদঃ বিবাহ বন্ধন সম্পন্ন করার সময় মোহরানার মধ্যে কোন শর্তারোপ করা

১১৮৯

সহিহ হাদিস
عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ رَضِيَ الله عَنْهُ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ (ﷺ): (أَحَقُّ الشُّرُوطِ أَنْ تُوفُوا بِهِ مَا اسْتَحْلَلْتُمْ بِهِ الْفُرُوج .

উকবা বিন আমের (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ সমস্ত শর্তের মধ্যে যে শর্তটি সর্বাগ্রে পূর্ণ করতে হবে, তা হচ্ছে যার মাধ্যমে তোমরা তোমাদে স্ত্রীদের যৌনাঙ্গকে হালাল করেছ। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ১১৬১)
টিকাঃ বিয়ের সাথে সম্পৃক্ত শর্তের প্রতি ইঙ্গিত করে এ কথা বলা হয়েছে।
৫১/ পরিচ্ছেদঃ হদ্দ তথা আল্লাহ তাআলা কর্তৃক নির্ধারিত শাস্তির ক্ষেত্রে শর্তারোপ করা বৈধ নয়

১১৯০

সহিহ হাদিস
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَزَيْدِ بْن خَالِدٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا أَنَّهُمَا قَالَا: إِنَّ رَجُلًا مِنَ الأَعْرَابِ أَتَى رَسُولَ اللَّهِ (ﷺ) فَقَالَ : يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَنْشُدُكَ اللَّهَ إِلا قَضَيْتَ لِي بِكِتَابِ اللهِ، فَقَالَ الخَصْمُ الآخَرُ، وَهُوَ أَفْقَهُ مِنْهُ : نَعَمْ، فَأَقْضِ بَيْنَنَا بِكِتَابِ اللهِ ، وَانْذَنْ لِي، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ : (قُلْ). قَالَ: إِنَّ أَبْنِي كَانَ عَسِيفًا عَلَى هَذَا، فَزَنَى بِأَمْرَأَتِهِ، وَإِنِّي أُخْبِرْتُ أَنَّ عَلَى ابْنِي الرَّحْمَ، فَأَفْتَدَيْتُ ابْنِي مِنْهُ بِمِائَةِ شَاةٍ وَوَلِيدَةٍ، فَسَأَلْتُ أَهْلَ الْعِلْمِ، فَأَخْبَرُونِي : أَنَّمَا عَلَى أَبْنِي جَلْدُ مَائَةٍ وَتَغْرِيبُ عَام، وَأَنَّ عَلَى امْرَأَةِ هَذَا الرَّجْمَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ (ﷺ): (وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَأَقْضِيَنَّ بَيْنَكُمَا بِكِتَابِ اللَّهِ الْوَلِيدَةُ وَالْغَنَمُ رَدُّ عَلَيْكَ، وَعَلَى أَبْنِكَ جَلْدُ مِائَةٍ وَتَغْرِيبُ عَامٍ، أَغْدُ يَا أُنَيْسُ إلَى أمْرَأَةِ هَذَا ، فَإِنِ اعْتَرَفَتْ فَأرْجُمْهَا ) . قَالَ : فَغَدًا عَلَيْهَا فَاعْتَرَفَتْ، فَأَمَرَ بِهَا رَسُولُ اللَّهِ (ﷺ) فَرُجِمَتْ .

আবু হুরায়রা এবং যায়েদ বিন খালেদ আল-জুহানী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তারা উভয়েই বলেনঃ একজন গ্রাম্য লোক রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট এসে বললঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমি আপনাকে আল্লাহর নামে শপথ দিয়ে বলছি, আপনি আমার বিষয়টি আল্লাহর কিতাব দিয়ে মীমাংসা করুন। দ্বিতীয় ব্যক্তি, যে তার চেয়ে অধিক জ্ঞানী ছিল; বললঃ হ্যাঁ, আপনি আমাদের বিষয়টি আল্লাহর কিতাব দিয়ে মীমাংসা করুন এবং আমাকে কিছু কথা বলার অনুমতি দিন।

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তোমার যা বলার তা বল। আমার ছেলে এই লোকটির বাড়ীতে কামলা ছিল। সে তার স্ত্রীর সাথে ব্যভিচার করে ফেলেছে। আমি জানতে পারলাম, আমার ছেলেকে পাথর মেরে হত্যা করা হবে। আমি একশ বকরী এবং একটি ক্রীতদাসী দিয়ে তাকে মুক্ত করে এনেছি। পরবর্তীতে আমি জ্ঞানীদেরকে জিজ্ঞেস করে জানতে পেরেছি যে, আমার ছেলেকে একশ কোড়া মারতে হবে এবং সেই সাথে এক বছর দেশান্তর করা হবে। আর এই লোকটির স্ত্রীকে রজম করতে হবে।

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ সেই সত্তার শপথ! যার হাতে আমার প্রাণ, আমি অবশ্যই তোমাদের মাঝে আল্লাহর কিতাব দিয়ে ফয়সালা করব। বকরী ও ক্রীতদাস তোমাকে ফেরত দেয়া হবে। আর তোমার ছেলেকে একশ কোড়া মারতে হবে এবং সে এক বছরের দেশান্তর হয়ে থাকবে। হে উনাইস! তুমি এই লোকের স্ত্রীর নিকট যাও। সে যদি ব্যভিচারের কথা স্বীকার করে তাহলে তুমি তাকে রজম কর। সকাল বেলা আনাস তার নিকট গেলে সে তা স্বীকার করল। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর আদেশে তাকে পাথর মেরে হত্যা করা হল। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ১১৬২)
৫১/ পরিচ্ছেদঃ ভাগচাষে শর্তারোপ করা

১১৯১

সহিহ হাদিস
عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ : لَمَّا فَدَّع أَهْلُ خَيْبَرَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، قَامَ عُمَرَ خَطِيبًا فَقَالَ : إِنَّ رَسُولَ الله (ﷺ) كَانَ عَامَلَ يَهُودَ خَيْبَرَ عَلَى أَمْوَالِهِمْ، وَقَالَ : (نُقِرُّكُمْ مَا أَقَرَّكُمُ اللَّهُ . وَإِنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ خَرَجَ إِلَى مَالِهِ هُنَاكَ، فَعُدِيَ عَلَيْهِ مِنَ اللَّيْلِ، فَفُدِعَتْ يَدَاهُ وَرِجْلاَهُ، وَلَيْسَ لَنَا هُنَاكَ عَدُوٌّ غَيْرُهُمْ، هُمْ عَدُونَا وَتُهْمَتُنَا، وَقَدْ رَأَيْتُ إِجْلاءَهُمْ، فَلَمَّا أَجْمَعَ عُمَرُ عَلَى ذلِكَ أَتَاهُ أَحَدُ بَنِي أَبِي الْحُقَيْقِ، فَقَالَ: يَا أَمِيرَ المُؤْمِنِينَ، أَتُخْرِجُنَا وَقَدْ أَقَرَّنَا مُحَمَّدٌ ، وَعامَلَنَا عَلَى الأَمْوَالِ، وَشَرَطَ ذَلِكَ لَنَا . فَقَالَ عُمَرُ : أَظَنَنْتَ أَنِّي نَسِيتُ قَوْلَ رَسُولِ اللَّهِ (ﷺ): (كَيْفَ بِكَ إِذَا أُخْرِجْتَ مِنْ خَيْبَرَ تَعْدُو بِكَ قَلوصُكَ لَيْلَةٌ بَعْدَ لَيْلَةٍ). فَقَالَ : كَانَتْ هَذِهِ هُزَيْلَةٌ مِنْ أَبِي الْقَاسِمِ، قَالَ: كَذَبْتَ يَا عَدُوَّ اللهِ ، فَأَجْلَاهُمْ عُمَرُ، وَأَعْطَاهُمْ قِيمَةَ مَا كَانَ لَهُمْ مِنَ الثَّمَرِ، مَالًا وَإِبِلًا وَعُرُوضًا مِنْ أَقْتَابٍ وِحِبَالٍ وَغَيْرِ ذُلِكَ.

আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ খায়বারবাসী যখন আব্দুল্লাহ ইবনে উমারের হাত-পা ভেঙে দিল তখন উমার (রাঃ) বক্তৃতা দিতে দাঁড়ালেন। তিনি বললেনঃ রাসূল (ﷺ) খায়বারের ইহুদীদের সঙ্গে তাদের অর্থ-সম্পদ সম্বন্ধে একটি চুক্তি করেছেন এবং তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ যতদিন তোমাদেরকে রাখবেন, আমরাও ততদিন তোমাদেরকে রাখব। আব্দুল্লাহ ইবনে উমার সেখানে তার মাল দেখাশুনা করতে গেলে রাতের বেলা তার উপর আক্রমণ করে হাত-পা ভেঙে ফেলা হয়। সেখানে তারা ব্যতীত আমাদের আর কোন শত্রু নেই। তারা আমাদের শত্রু এবং তাদের প্রতিই আমাদের সন্দেহ। আমি এখন তাদেরকে খায়বার হতে বের করে দেয়ার মনস্থ করছি। তিনি তার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করার পরিকল্পনা করলে আবু হাকীক গোত্রের এক লোক এসে বললঃ হে আমীরুল মুমিনীন! আপনি কি আমাদেরকে বের করে দিবেন। অথচ মুহাম্মাদ আমাদেরকে এখানে অবস্থানের অনুমতি দিয়েছেন, এখানকার সম্পদে তিনি আমাদেরকে নিয়োগ করেছেন এবং এই মর্মে একটি শর্ত অনুমোদন করেছেন।

উমার (রাঃ) তখন বললেনঃ তোমার কি মনে হয় যে, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সে কথা ভুলে গিয়েছি? তিনি বলেছিলেনঃ তখন তোমার অবস্থা কেমন হবে যখন তোমাকে খায়বার হতে বহিস্কার করা হবে এবং তোমার উট তোমাকে নিয়ে একাধারে কয়েক রাত পর্যন্ত পথ চলতে থাকবে? সে বললঃ আবুল কাসেম তো কথাটি ঠাট্টা-বিদ্রুপ স্বরূপ বলেছিলেন। উমার (রাঃ) বললেনঃ হে আল্লাহর দুশমন! তুমি মিথ্যা বলছ। অতঃপর উমার (রাঃ) তাদেরকে সেখান থেকে উচ্ছেদ করে দেন এবং তাদের ফল-ফসলাদি, উট ও আসবাবপত্র যেমন আলমারী, রশি ইত্যাদির মূল্য পরিশোধ করে দিলেন। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ১১৬৩)
৫১/ পরিচ্ছেদঃ জিহাদ ও অমুসলিম যোদ্ধাদের সঙ্গে শান্তি চুক্তির শর্তাবলি এবং সে শর্তাবলির লিপিবদ্ধকরণ

১১৯২

সহিহ হাদিস
عَنِ الْمِسْوَرِ بْنِ مَحْرَمَةَ وَمَرْوَانَ قَالَا : خَرَجَ رَسُولُ اللهِ (ﷺ) زَمَنَ الحُدَيْبِيَّةِ، حَتَّى إِذَا كَانُوا بِبَعْضِ الطَّرِيقِ، قَالَ النَّبِيُّ (ﷺ): (إِنَّ خَالِدُ بْنَ الْوَلِيدِ بِالْغَمِيمِ، فِي خَيْلٍ لِقُرَيْشٍ طَلِيعَةٌ، فَخُذُوا ذَاتَ الْيَمِينِ). فَوَاللَّهِ مَا شَعَرَ بِهِمْ خَالِدٌ حَتَّى إِذَا هُمْ بِقَتَرَةِ الجَيْشِ، فَانْطَلَقَ يَرْكُض نَذِيرًا لِقُرَيْشٍ، وَسَارَ النَّبِيُّ (ﷺ) حَتَّى إِذَا كَانَ بِالثَنِيَّةِ الَّتِي يُهْبَطُ عَلَيْهِمْ مِنْهَا ، بَرَكَتْ بهِ رَاحِلَتُهُ، فَقَالَ النَّاسُ : حَلْ حَلْ، فَأَلَحَتْ، فَقَالُوا : خَلَاتِ الْقَصْوَاءُ، خَلاتِ القَصْوَاءُ، فَقَالَ النَّبِيُّ (ﷺ) : (مَا خَلَاتِ الْقَصْوَاءُ، وَمَا ذَاكَ لَهَا بِخُلُقٍ، وَلكِنْ حَبَسَهَا حَابِسُ الْفِيلِ). ثُمَّ قَالَ : ( وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ، لَا يَسْأَلُونِي خُطَةٌ يُعَذِّمُونَ فِيهَا حُرُمَاتِ اللَّهِ إِلا أَعْطَيْتُهُمْ إِيَّاهَا). ثُمَّ زَجَرَهَا فَوَثَبَتْ، قَالَ : فَعَدلَ عَنْهُمْ حَتَّى نَزَلَ بِأَقْضَى الحُدَيْبِيَّةِ عَلَى ثَمَدٍ قَلِيل الْمَاءِ، يَتَبَرَّضُهُ النَّاسِ تَبَرُّضًا، فَلَمْ يُلَبِّتْهُ النَّاسُ حَتَّى نَزَحُوهُ، وَشُكِيَ إِلَى رَسُولِ اللهِ (ﷺ) الْعَطَشُ، فَأَنْتَزَعَ سَهْمَا مِنْ كِنَانَتِهِ، ثُمَّ أَمَرَهُمْ أَنْ يَجْعَلُوهُ فِيهِ، فَوَاللَّهِ مَا زَالَ يَجِيشُ لَهُمْ بِالرِّي حَتَّى صَدَرُوا عَنْهُ، فَبَيْنَما هُمْ كَذَلِكَ إِذْ جَاءَ بُدَيْلُ بْنُ وَرْقَاءَ الخُزَاعِيُّ فِي نَفَرٍ مِنْ قَوْمِهِ مِنْ خُزَاعَةَ، وَكَانُوا عَيْبَةَ نُصْح رَسُولِ اللَّهِ (ﷺ) مِنْ أَهْلِ تِهَامَةَ، فَقَالَ : إِنِّي تَرَكْتُ كَعْبَ بْنَ لوي وَعَامِرَ بْنَ لُؤَيِّ نَزَلُوا أَعْدَادَ مِيَاهِ الحُدَيْبِيَّةِ، وَمَعَهُمُ الْعُوذُ المَطَافِيلُ، وَهُمْ مُقَاتِلُوكَ وَصَادُّوكَ عَنِ الْبَيْتِ، فَقَالَ رَسُولُ اللهِ (ﷺ): (إِنَّا لَمْ نَجِی لِقِتَالِ أَحَدٍ، وَلكِنَّا جِئْنَا مُعْتَمِرِينَ، وَإِنَّ قَرَيْشًا قَدْ نَهِكَتْهُمُ الحَرْبُ، وَأَضَرَّتْ بِهِمْ، فَإِنْ شَاؤُوا مَا دَدْتُهُمْ مُدَّةً، وَيُخَلُوا بَيْنِي وَبَيْنَ النَّاسِ، فَإِنْ أَظْهَرْ فَإِنْ شَاؤُوا أَنْ يَدْخُلُوا فيما دَخَلَ فِيهِ النَّاسُ فَعَلُوا، وَإِلا فَقَدْ جَمُوا، وَإِنْ هُمْ أَبَوْا، فَوَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَأُقَاتِلَنَّهُمْ عَلَى أَمْرِي هَذَا حَتَّى تَنْفَرِد سَالِفَتِي، وَلَيُنْفِذَنَّ اللَّهُ أَمْرَهُ) . فَقَالَ بُدَيْلٌ : سَأُبَلِّغُهُمْ مَا تَقُولُ، قَالَ: فَانْطَلَقَ حَتَّى أَتَى قُرَيْشًا، قَالَ: إِنَّا قَدْ جِئْنَاكُمْ مِنْ هَذَا الرَّجُلِ، وَسَمِعْنَاهُ يَقُولُ قَوْلًا، فَإِنْ شِئْتُمْ أَنْ نَعْرِضَهُ عَلَيْكُمْ فَعَلْنَا ، فَقَالَ سُفَهَاؤُهُمْ : لَا حَاجَةَ لَنَا أَنْ تُخْبِرَنَا عَنْهُ بِشَيْءٍ، وَقَالَ ذَوُو الرَّأْيِ مِنْهُمْ هَاتِ مَا سَمِعْتَهُ يَقُولُ، قَالَ : سَمِعْتُهُ يَقُولُ كَذَا وَكَذَا، فَحَدَّثَهُمْ بِمَا قَالَ النَّبِيُّ (ﷺ) ، فَقَامَ عُرْوَةُ بْنُ مَسْعُودٍ فَقَالَ : أَيْ قَوْمٍ، أَلَسْتُمْ بِالْوَالِدِ؟ قَالُوا : بَلَى، قَالَ أَوَ لَسْتُ بِالْوَلَدِ؟ قَالُوا : بَلَى، قَالَ : فَهَلْ تَتَّهِمُونِي؟ قَالُوا : لَا ، قَالَ : أَلَسْتُمْ تَعْلَمُونَ أَنِّي اسْتَنْفَرْتُ أَهْلَ عُكاظ، فَلَمَّا بَلَّحُوا عَلَيَّ جِئْتُكُمْ بِأَهْلِي وَوَلَدِي وَمَنْ أَطَاعَنِي؟ قَالُوا : بَلَى، قَالَ : فَإِنَّ هَذَا قَدْ عَرَضَ عَلَيْكُمْ خُطَةَ رُشْدِ، أَقْبَلُوهَا وَدَعُونِي آتِيهِ، قَالُوا : التِهِ ، فَأَتَاهُ ، فَجَعَلَ يُكَلِّمُ النَّبِيَّ (ﷺ) فَقَالَ النَّبِيُّ (ﷺ) نَحْوا مِنْ قَوْلِهِ لِبُدَيْلٍ، فَقَالَ عُرْوَةُ عِنْدَ ذلِكَ : أَي مُحَمَّدُ، أَرَأَيْتَ إِنْ اسْتَأَصَلْتَ أَمْرَ قَوْمِكَ، هَلْ سَمِعْتَ بِأَحَدٍ مِنَ الْعَرَبِ أَجْتَاحَ أَهْلَهُ قَبْلَكَ، وَإِنْ تَكُنِ الأُخْرَى، فَإِنِّي وَاللَّهِ لأَرَى وُجُوهَا، وَإِنِّي لَأَرَى أَشْوَابًا مِنَ النَّاسِ خَلِيفًا أَنْ يَفِرُّوا وَيَدَعُوكَ ، فَقَالَ لَهُ أَبُو بَكْرٍ : أمْصُصْ بَطْرِ اللآتِ، أَنَحْنُ نَفِرُّ عَنْهُ وَنَدَعُهُ؟ فَقَالَ : مَنْ ذَا؟ قَالَ : أَبُو بَكْرٍ، قَالَ: أَمَا وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ، لَوْلَا يَد كَانَتْ لَكَ عِنْدِي لَمْ أَجْزِكَ بِهَا لأَجَبْتُكَ ، قَالَ : وَجَعَلَ يُكَلِّمُ النَّبِيَّ الله ، فَكُلَّمَا تَكَلَّمَ أَخَذَ بِلِحْيَتِهِ، وَالْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ قَائِمٌ عَلَى رَأْسِ النَّبِيِّ (ﷺ) ، وَمَعَهُ السَّيْفُ وَعَلَيْهِ الْمِغْفَرُ، فَكُلَّمَا أَهْوَى عُرْوَةُ بِيَدِهِ إِلَى لِحْيَةِ النَّبِيِّ (ﷺ) ضَرَبَ يَدَهُ بِنَعْلِ السَّيْفِ، وَقَالَ لَهُ : أَخُرْ يَدَكَ عَنْ لِحْيَةِ رَسُولِ اللَّهِ ، فَرَفَعَ عُرْوَةُ رَأْسَهُ، فَقَالَ : مَنْ هَذَا؟ قَالُوا : المُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ، فَقَالَ : أَيْ غُدَرُ، أَلَسْتُ أَسْعَى فِي غَدْرَتِكَ، وَكَانَ المُغِيرَةُ صَحِبَ قَوْمًا فِي الجَاهِلِيَّةِ فَقَتَلَهُمْ، وَأَخَذَ أَمْوَالَهُمْ، ثُمَّ جَاءَ فَأَسْلَمَ، فَقَالَ النَّبِيُّ (ﷺ): (أَمَّا الإِسْلامَ فَأَقْبَلُ وَأَمَّا المَالَ فَلَسْتُ مِنْهُ فِي شَيْءٍ). ثُمَّ إِنَّ عُرْوَةَ جَعَلَ يَرْمُقُ أَصْحَابَ النَّبِيِّ (ﷺ) بِعَيْنَيْهِ، قَالَ : فَوَاللَّهِ مَا تَنَخَّمَ رَسُولُ اللَّهِ (ﷺ) نُخَامَةً إِلَّا وَقَعَتْ فِي كَفَّ رَجُلٍ مِنْهُمْ، فَدَلَكَ بِهَا وَجْهَهُ وَجِلْدَهُ، وَإِذَا أَمَرَهُمُ ابْتَدَرُوا أَمْرَهُ، وَإِذَا تَوَضَّأَ كَادُوا يَقْتَتِلُونَ عَلَى وَضُوئِهِ، وَإِذَا تَكَلَّمَ خَفَضُوا أَصْوَاتَهُمْ عِنْدَهُ، وَمَا يُحِدُّونَ إِلَيْهِ الْنَّظَرَ تَعْظِيمًا لَهُ، فَرَجَعَ عُرْوَةُ إِلَى أَصْحَابِهِ فَقَالَ : أَيْ قَوْمٍ، وَاللَّهِ لَقَدْ وَقَدْتُ عَلَى المُلُوكِ، وَوَفَدْتُ عَلَى قَيْصَرَ وَكِسْرَى وَالنَّجَاشِي، وَاللَّهِ إِنْ رَأَيْتُ مَلِكًا قَط يُعَلِّمُهُ أَصْحَابُهُ مَا يُعَظِّمُ أَصْحَابُ مُحَمَّدٍ (ﷺ) مُحَمَّدًا، وَاللَّهِ إِنْ يَتَنَخَّمُ نُخَامَةً إِلا وَقَعَتْ في كَفِّ رَجُلٍ مِنْهُمْ فَدَلَكَ بِهَا وَجْهَهُ وَجِلْدَهُ، وَإِذَا أَمَرَهُمُ ابْتَدَرُوا أَمْرَهُ، وَإِذَا تَوَضَّأَ كَادُوا يَقْتَتِلُونَ عَلَى وَضُوئِهِ، وَإِذَا تَكَلَّمَ خَفَضُوا أَصْوَاتَهُمْ عِنْدَهُ، وَمَا يُحِدُّونَ إِلَيْهِ النَّظَرَ تَعْظِيمًا لَهُ، وَإِنَّهُ قَدْ عَرَضَ عَلَيْكُمْ خُطَّةَ رُشْدِ فَأَقْبَلُوهَا، فَقَالَ رَجُلٌ مِنْ بَنِي كِنَانَةَ : دَعُونِي آتِيهِ، فَقَالُوا أَنْتِهِ، فَلَمَّا أَشْرَفَ عَلَى النَّبِيِّ (ﷺ) وَأَصْحَابِهِ، قَالَ رَسُولُ اللهِ (ﷺ): (هَذَا فُلاَنٌ، وَهُوَ مِنْ قَوْمٍ يُعَظْمُونَ الْبُدْنَ، فَابْعَثُوهَا لَهُ). فَبُعِثَتْ لَهُ ، وَاسْتَقَبَلَهُ النَّاسُ يُلَبُّونَ، فَلَمَّا رَأَى ذلِكَ قالَ : سُبْحَانَ اللهِ، مَا يَنْبَغِي لِهؤُلاَءِ أَنْ يُصَدُّوا عَنِ الْبَيْتِ، فَلَمَّا رَجَعَ إِلَى أَصْحَابِهِ قَالَ : رَأَيْتُ الْبُدْنَ قَدْ قُلْدَتْ وَأُشْعِرَتْ، فَمَا أَرَى أَنْ يُصَدُّوا عَن الْبَيْتِ، فَقَامَ رَجُلٌ مِنْهُمْ، يُقَالُ لَهُ مِكْرَزُ ابْنُ حَفْصٍ، فَقَالَ: دَعُونِي آتِيهِ، فَقَالُوا التِهِ ، فَلَمَّا أَشْرَفَ عَلَيْهِمْ، قَالَ النَّبِيُّ (ﷺ) هذَا مِكْرَةٌ، وَهُوَ رَجُلٌ فاجِرٌ). فَجَعَلَ يُكَلِّمُ النَّبِيَّ ، فَبَيْنَما هُوَ يُكَلِّمُهُ إِذْ جَاءَ سُهَيْلُ بْنُ عَمْرِو . قَالَ النَّبِيُّ (ﷺ) : (لَقَدْ سَهُلَ لَكُمْ مِنْ أَمْرِكُمْ). فَقَالَ: هَاتِ أَكْتُبْ بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمْ كِتَابًا، فَدَعَا النَّبِيُّ (ﷺ) الْكَاتِبَ، فَقَالَ النَّبِيُّ (ﷺ) : (أكتب : بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ). قَالَ سُهَيْلٌ : أَمَّا الرَّحْمَنُ فَوَاللَّهِ مَا أَدْرِي مَا هِيَ، وَلكِنِ اكْتُبْ بِاسْمِكَ اللَّهُمَّ كَمَا كُنتَ تَكْتُبُ، فَقَالَ المُسْلِمُونَ : وَاللَّهِ لاَ نكتبها إلا بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ، فَقَالَ النَّبِيُّ (ﷺ) : اكْتُبْ بِاسْمِكَ اللَّهُمَّ) . قَالَ : هَذَا مَا قَاضَى عَلَيْهِ مَحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ . فَقَالَ سُهَيْلٌ : وَاللَّهِ لَوْ كُنَّا نَعْلَمُ أَنَّكَ رَسُولُ اللَّهِ مَا صَدَدْنَاكَ عَنِ الْبَيْتِ وَلا قَاتَلْنَاكَ، وَلَكِنِ اكْتُبْ : مُحَمَّدُ ابْنُ عَبْدِ اللهِ، فَقَالَ النَّبِيُّ (ﷺ) : (وَاللَّهِ إِنِّي لَرَسُولُ اللهِ وَإِنْ كَذَّبْتُمُونِي، أَكْتُبْ مُحَمَّدُ ابْنُ عَبْدِ اللَّهِ . فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ (ﷺ) : (عَلَى أَنْ تُخَلُّوا بَيْنَنَا وَبَيْنَ الْبَيْتِ فَنَطُوفَ بِهِ) . فَقَالَ سُهَيْلٌ : وَاللَّهِ لَا تَتَحَدَّثُ الْعَرَبُ أَنَّا اخِذْنَا ضُعْطَةٌ، وَلكِنْ ذلِكَ مِنَ الْعَامِ المُقْبِلِ ، فَكَتَبَ، فَقَالَ سُهَيْلٌ : وَعَلَى أَنَّهُ لاَ يَأْتِيكَ مِنَّا رَجُلٌ، وَإِنْ كَانَ عَلَى دِينِكَ إِلا رَدَدْتَهُ إِلَيْنَا . قَالَ المُسْلِمُونَ: سُبْحَانَ اللهِ ، كَيْفَ يُرَدُّ إِلَى الْمُشْرِكِينَ وَقَدْ جَاءَ مُسْلِمًا ، فَبَيْنَما هُمْ كَذَلِكَ إِذْ دَخَلَ أَبُو جَنْدَلِ بْنُ سُهَيْلِ بْنِ عَمْرٍو يَرْسُفُ فِي قُيُودِهِ، وَقَدْ خَرَجَ مِنْ أَسْفَلِ مَكَّةَ حَتَّى رَمَى بِنَفْسِهِ بَيْنَ أَظْهُرِ المُسْلِمِينَ، فَقَالَ سُهَيْلٌ : هَذَا يَا مُحَمَّدُ أَوَّلُ مَا أُقَاضِيكَ عَلَيْهِ أَنْ تَرُدَّهُ إِليَّ، فَقَالَ النَّبِيُّ (ﷺ) : (إِنَّا لَمْ نَقْضِ الْكِتَابَ بَعْدُ. قَالَ : فَوَاللَّهِ إِذًا لمْ أُصَالِحُكَ عَلَى شَيْءٍ أَبَدًا، قَالَ النَّبِيُّ (ﷺ) : (فَأَجِزْهُ لِي). قالَ : مَا أَنَا بِمُجِيزِهِ لَكَ، قَالَ : بَلَى فَأَفْعَلْ). قَالَ : مَا أَنَا بِفَاعِلٍ، قَالَ مِكْرَةٌ : بَلْ قَدْ أَجَزْنَاهُ لَكَ، قالَ أَبُو جَنْدَلٍ : أَي مَعْشَرَ المُسْلِمِينَ أُرَدُّ إِلَى المُشْرِكِينَ وَقَدْ جِئْتُ مُسْلِمًا، أَلاَ تَرَوْنَ مَا قَدْ لَقِيتُ؟ وَكَانَ قَدْ عُذْبَ عَذَابًا شَدِيدًا فِي اللَّهِ . فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الخَطَاب : فَأَتَيْتُ نَبِيَّ الله (ﷺ) فَقُلْتُ: أَلَسْتَ نَبِيَّ اللَّهِ حَقًّا؟ قَالَ : بَلَى). قُلْتُ : أَلَسْنَا عَلَى الْحَقِّ وَعَدُونَا عَلَى الْبَاطِلِ؟ قَالَ: بَلَى). قُلْتُ : فَلِمَ نُعْطِي الدَّنِيَّةَ فِي دِينِنَا إِذَا؟ قَالَ : (إِنِّي رَسُولُ اللَّهِ، وَلَسْتُ أَعْصِيهِ، وَهُوَ نَاصِرِي). قُلْتُ : أَوَ لَيْسَ كُنْتَ تُحَدِّثَنَا أَنَّا سَنَأْتِي البَيْتَ فَنَطُوفُ بِهِ؟ قَالَ : بَلَى، فَأَخْبَرْتُكَ أَنَّا نَأْتِيهِ العَامَ). قَالَ : قُلْتُ : لا ، قَالَ : فَإِنَّكَ آتِيهِ وَمُطَوِّفٌ بِهِ) قَالَ: فَأَتَيْتُ أَبَا بَكْرٍ فَقُلْتُ : يَا أَبَا بَكْرِ، أَلَيْسَ هَذَا نَبِيَّ اللَّهِ حَقًّا، قَالَ: بَلَى، قُلْتُ : أَلَسْنَا عَلَى الْحَقِّ وَعَدُونَا عَلَى الْبَاطِلِ؟ قَالَ : بَلَى، قُلْتُ : فَلِمَ نُعْطِي الدَّنِيَّةَ فِي دِينِنَا قَالَ : أَيُّهَا الرَّجُلُ، إِنَّهُ لَرَسُولُ اللهِ ، وَلَيْسَ يَعْصِي رَبَّهُ، وَهُوَ نَاصِرُهُ، فَاسْتَمْسِكْ بِغَرْزِهِ، فَوَاللَّهِ إِنَّهُ عَلَى الْحَقِّ، قُلْتُ : أَلَيْسَ كَانَ يُحَدِّثُنَا أَنَّا سَنَاتِي البَيْتَ ونَطُوفُ بِهِ؟ قَالَ: بَلَى، أَفَأَخْبَرَكَ أَنَّكَ تَأْتِيهِ العَامَ؟ قُلْتُ: لا، قَالَ : فَإِنَّكَ آتِيهِ وَمَطَوِّفٌ بِهِ . قَالَ عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ : فَعَمِلْتُ لِذلِكَ أَعْمَالًا، قَالَ : فَلَمَّا فَرَغَ مِنْ قَضِيَّةِ الْكِتَابِ، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ (ﷺ) لِأَصْحَابِهِ : (قُومُوا فَانْحَرُوا ثُمَّ أَحْلِقُوا). قَالَ : فَوَاللَّهِ مَا قَامَ مِنْهُمْ رَجُلٌ حَتَّى قَالَ ذلِكَ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ ، فَلَمَّا لَمْ يَقُمْ مِنْهُمْ أَحَدٌ دَخَلَ عَلَى أُمِّ سَلَمَةَ، فَذَكَرَ لَهَا مَا لَقِيَ مِنَ النَّاسِ، فَقَالَتْ أُمُّ سَلَمَةَ : يَا نَبِيَّ اللَّهِ ، أَتُحِبُّ ذلِكَ، أَخْرُجْ ثُمَّ لاَ تُكَلِّمْ أَحَدًا مِنْهُمْ كَلِمَةٌ، حَتَّى تَنْحَرَ بُدْنَكَ، وَتَدْعُوَ حَالِقَكَ فَيَحْلِقُكَ. فَخَرَجَ فَلَمْ يُكَلِّمْ أَحَدًا مِنْهُمْ حَتَّى فَعَلَ ذَلِكَ، نَحَرَ بُدْنَهُ، وَدَعَا حَالِقَهُ فَحَلَقَهُ، فَلَمَّا رَأَوْا ذُلِكَ قَامُوا فَنَحَرُوا وَجَعَلَ بَعْضُهُمْ يَحْلِقُ بَعْضًا، حَتَّى كَادَ بَعْضُهُمْ يَقْتُلُ بَعْضًا غَمَّا، ثُمَّ جَاءَهُ نِسْوَةٌ مُؤْمِنَاتٌ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى : يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا جَاءَكُمُ المؤمِنَاتُ مُهَاجِرَاتِ فَامْتَحِنُوهُنَّ ... حَتَّى بَلَغَ .. بِعِصَمِ الْكَوَافِرِ. فَطَلَّقَ عُمَرُ يَوْمَئِذٍ أَمْرَأَتَيْنِ، كَانَتَا لَهُ فِي الشِّرْكِ فَتَزَوَّجَ إِحْدَاهما مُعَاوِيَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ، وَالأُخْرَى صَفْوَانُ بْنُ أُمَيَّةَ، ثُمَّ رَجَعَ النَّبِيُّ (ﷺ) إِلَى المَدِينَةِ فَجَاءَهُ أَبُو بَصِيرٍ، رَجُلٌ مِنْ قُرَيْشٍ وَهُوَ مُسْلِمٌ، فَأَرْسَلُوا فِي طَلَبِهِ رَجُلَيْنِ، فَقَالُوا : الْعَهْدَ الَّذِي جَعَلْتَ لَنَا ، فَدَفَعَهُ إِلَى الرَّجُلَيْنِ، فَخَرَجَا بِهِ حَتَّى بَلَغَا ذَا الحُلَيْفَةِ، فَنَزَلُوا يَأْكلونَ مِنْ تَمْرٍ لَهُمْ، فَقَالَ أَبُو بصير لأَحَدٍ الرَّجُلَيْنِ : وَاللَّهِ إِنِّي لَأَرَى سَيْفَكَ هَذَا يَا فلانُ جيدًا، فَاسْتَلهُ الآخَرُ، فَقَالَ: أَجَلْ، وَاللَّهِ إِنَّهُ لَجَيْدٌ، لَقَدْ جَرَّبْتُ بِهِ، ثُمَّ جَرَّبْتُ، فَقَالَ أَبُو بَصِيرٍ : أَرِنِي أَنْظُرْ إِلَيْهِ ، فَأَمْكَنَهُ مِنْهُ، فَضَرَبَهُ بِهِ حَتَّى بَرَدَ، وَفَرَّ الآخَرُ حَتَّى أَتَى المَدِينَةَ، فَدَخَلَ المَسْجِدَ يَعْدُو، فَقَالَ رَسُولُ اللهِ (ﷺ) حِينَ رَآهُ: (لَقَدْ رَأَى هَذَا ذُعْرًا). فَلَمَّا أنتهى إِلَى النَّبِيِّ (ﷺ) قَالَ: قُتِلَ وَاللَّهِ صَاحِبِي وَإِنِّي لَمَقْتُولٌ، فَجَاءَ أَبُو بَصِيرٍ : فَقَالَ : يَا نَبِيَّ اللَّهِ، قَدْ وَاللَّهِ أَوْفَى اللَّهُ ذِمَّتَكَ، قَدْ رَدَدْتَنِي إِلَيْهِمْ، ثُمَّ أَنْجَانِي اللَّهُ مِنْهُمْ، قَالَ النَّبِيُّ (ﷺ): (وَيْلُ أُمِّهِ، مِسْعَرَ حَرْبٍ، لَوْ كَانَ لَهُ أَحَدٌ). فَلَمَّا سَمِعَ ذلِكَ عَرَفَ أَنَّهُ سَيَرُدُّهُ إِلَيْهِمْ، فَخَرَجَ حَتَّى أَتَى سَيْفَ الْبَحْرِ، قَالَ : وَيَنْقَلِتُ مِنْهُمْ أَبو جَنْدَلِ بْنُ سُهَيْلِ، فَلَحِقَ بَأَبِي بَصِيرٍ، فَجَعَلَ لا يَخْرُجُ مِنْ قُرَيْشٍ رَجُلٌ قَدْ أَسْلَمَ إِلا لَحِقَ بَأَبِي بَصِيرٍ، حَتَّى اجْتَمَعَتْ مِنْهُمْ عِصَابَةٌ، فَوَاللَّهِ مَا يَسْمَعُونَ بِعِيرٍ خَرَجَتْ لِقُرَيْشٍ إِلَى الشَّامِ إِلا أَعْتَرَضُوا لَهَا، فَقَتَلُوهُمْ وَأَخَذُوا أَمْوَالَهُمْ، فَأَرْسَلَتْ قُرَيْسٌ إِلَى النَّبِيِّ (ﷺ) تُنَاشِدُهُ بِاللَّهِ وَالرَّحِمِ : لَمَّا أَرْسَلَ : فَمَنْ أَتَاهُ فَهُوَ آمِنٌ، فَأَرْسَلَ النَّبِيُّ (ﷺ) إِلَيْهِمْ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى: ﴿وَهُوَ الَّذِي كَفَّ أَيْدِيهُمْ عَنْكُمْ وَأَيْدِيَكُمْ عَنْهُمْ بِبَطْنِ مَكَّةَ مِنْ بَعْدِ أَنْ أَظْفَرَكُمْ عَلَيْهِمْ... ﴿ الحَمِيَّةَ حَمِيَّةَ الجَاهِلَيّةِ. وَكَانَتْ حَمِيَّتُهُمْ أَنَّهُمْ لَمْ يُقِرُّوا أَنَّهُ نَبِيُّ اللَّهِ، وَلَمْ يُقِرُّوا بِبِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمنِ الرَّحِيمِ، وَحَالُوا بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ الْبَيْتِ .

মিসওয়ার বিন মাখরামাহ ও মারওয়ান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তারা উভয়েই একজন অন্যজনের হাদীছকে সত্যায়ন করেছেন। তারা উভয়েই বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হুদায়বিয়ার বছর মদীনা হতে বের হলেন। কিছু দূর অগ্রসর হয়ে তিনি বললেনঃ খালেদ বিন ওয়ালীদ কুরাইশদের অশ্বারোহী বাহিনীসহ গামীম নামক স্থানে অবস্থান করছে। কাজেই তোমরা ডান দিকের পথে চল। আল্লাহর শপথ! খালেদ মুসলিম বাহিনীর উপস্থিতি টের পেলনা যতক্ষণ না সে মুসলিম বাহিনীর পদধুলি উড়তে দেখল। সুতরাং কুরাইশদেরকে সতর্ক করার জন্য সে দ্রুত সেখান থেকে চলে গেল। কিন্তু নবী (ﷺ) চলতে থাকলেন। তিনি যখন ছানিয়ায় পৌঁছলেন তখন তাঁকে নিয়ে তাঁর উষ্ট্রী বসে পড়ল। লোকেরা উষ্ট্রীকে চালাবার জন্য হাল হাল বলতে লাগল। কিন্তু সকল চেষ্টাই বৃথা গেল। পরিশেষে লোকেরা বলতে লাগলঃ কাসওয়া অবাধ্য হয়ে গেছে। কাসওয়া অবাধ্য হয়ে গেছে। নবী (ﷺ) বললেনঃ কাসওয়া অবাধ্য হয়নি এবং অবাধ্য হওয়া তার স্বভাবও নয় বরং; তাকে তিনিই বসিয়েছেন যিনি হাতীকে বসিয়েছিলেন। তারপর তিনি বললেনঃ সেই সত্তার শপথ! যার হাতে আমার প্রাণ রয়েছে কুরাইশরা যদি আল্লাহর পক্ষ হতে সম্মানপ্রাপ্ত কোন জিনিষের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে তাহলে আমি তা অবশ্যই মেনে নিব।

অতঃপর তিনি কাসওয়াকে ধমক দিলেন। সে গা ঝাড়া দিয়ে উঠে চলতে লাগল। বর্ণনাকারী বলেনঃ অতঃপর নবী (ﷺ) পথ পরিবর্তন করে চলতে লাগলেন। পরিশেষে তিনি হুদায়বিয়ার শেষ প্রান্তে গর্তের নিকট অবতরণ করলেন। তাতে ছিল সামান্য পানি। লোকেরা তা থেকে অল্প অল্প করে পানি নিচ্ছিল। কিছুক্ষণের মধ্যে পানি শেষ হয়ে গেল। তারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট পিপাসার অভিযোগ করল। তিনি তখন তার তীরের থলে থেকে একটি তীর বের করলেন এবং লোকদেরকে এটি পানিতে পুঁতে দেয়ার আদেশ দিলেন। আল্লাহর শপথ! তীরটি পুঁতে দেয়ার সাথে সাথে পানি উপছে উঠল। এমনকি তারা সবাই তৃপ্তি সহকারে পান করল। এমন সময় বুদাইল বিন ওরকা তার গোত্র খুযাআর কিছু লোকসহ উপস্থিত হল। তারা ছিল তিহামা অঞ্চলে বসবাসকারী এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর শুভাকাঙ্খী। বুদাইল বললঃ আমি কা'ব বিন লুআই এবং আমের বিন লুআইকে হুদায়বিয়ার গভীর ঝরণার নিকট দেখে এসেছি। তারা সেখানে অবস্থান করছে। তাদের সাথে রয়েছে দুগ্ধবতী উষ্ট্রী। তারা আপনার সাথে যুদ্ধ করবে এবং আল্লাহর ঘরে প্রবেশ করতে বাধা দিবে।

নবী (ﷺ) বললেনঃ আমরা কারো সাথে যুদ্ধ করার জন্য আসিনি। বরং; আমরা উমরাহ পালন করতে এসেছি। তবে কুরাইশদেরকে যুদ্ধ দুর্বল করে ফেলেছে এবং তাদেরকে ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলেছে। তারা যদি চায় তাহলে আমি তাদের সাথে কিছু দিনের জন্য সন্ধি চুক্তি করতে চাই। এই সময়ের মধ্যে তারা আমাদের ও আরবের সাধারণ লোকদের মধ্যে কোন রূপ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হতে বিরত থাকবে। আমি যদি বিজয়ী হই তাহলে কুরাইশরা চাইলে অন্যান্য লোকদের মত তারা আমার ধর্মে প্রবেশ করতে পারে। আর যদি তারা তা না চায় তাহলে তারা কিছুদিন বিশ্রাম গ্রহণ করুক। তারা যদি আমার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে তাহলে ঐ সত্তার শপথ! যার হাতে আমার প্রাণ রয়েছে আল্লাহর পথে শহীদ না হওয়া পর্যন্ত আমি এই দ্বীনের জন্য লড়াই করতে থাকব। আর আল্লাহ অবশ্যই তাঁর দ্বীনকে বিজয়ী করবেন। বুদাইল বললঃ আমি তাদেরকে আপনার কথা জানিয়ে দিব। রাবী বলেনঃ বুদাইল রওয়ানা হল এবং কুরাইশদের নিকট গিয়ে বললঃ আমরা এই লোকটির নিকট হতে এসেছি এবং তাকে কিছু কথা বলতে শুনেছি। তোমরা যদি চাও তাহলে কথাটি তোমাদেরকে শুনাব। এ কথা শুনে তাদের কতিপয় নির্বোধ লোক বললঃ তার সম্পর্কে আমাদেরকে কোন সংবাদ দেয়ার প্রয়োজন নেই। তবে তাদের জ্ঞানী লোকগণ বললঃ তাকে যা বলতে শুনেছ তা আমাদেরকে শুনাও। সে বললঃ আমি তাকে এই এই কথা বলতে শুনেছি।

মোটকথা সে নবী (ﷺ) কে যা বলতে শুনেছে তার পুরো বর্ণনা দিল। তারপর উরওয়া বিন মাসউদ দাঁড়িয়ে বললঃ হে লোক সকল! তোমরা কি আমার সন্তান সমতুল্য নও? তারা বললঃ হ্যাঁ। আবার সে বললঃ আমি কি তোমাদের পিতার সমতুল্য নই? তারা বললঃ হ্যাঁ। সে পুনরায় বললঃ তোমরা কি আমাকে কোন বিষয়ে অপবাদ দিয়েছ? (তোমরা কি আমাকে অবিশ্বাস কর?) তারা সকলেই বললঃ না। সে আবার বললঃ তোমরা কি জাননা, আমি তোমাদেরকে সাহায্য করার জন্য উকাযবাসীকে ডেকেছিলাম? তারা যখন আসতে অস্বীকার করল আমি কি তখন আমার অনুগত ব্যক্তি, সন্তান ও আত্মীয়দেরকে নিয়ে তোমাদের সাহায্যে এগিয়ে আসি নি? তারা বললঃ হ্যাঁ। উরওয়া বললঃ এই ব্যক্তি তোমাদের জন্য একটি সুন্দর প্রস্তাব পেশ করেছে। তোমরা তা গ্রহণ করে নাও। আমাকে অনুমতি দাও। আমি তার কাছে যাই। তারা বললঃ তুমি যাও।

উরওয়া নবী রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট এসে কথা বলতে লাগল। নবী (ﷺ) বুদাইলকে যে ধরণের কথা বলেছিলেন তাকেও অনুরূপ কথা বললেন। উরওয়া তখন বললঃ হে মুহাম্মাদ! আপনার সম্প্রদায়ের মূলৎপাটনে আপনার লাভ কী? আপনি কি আপনার পূর্বে কোন আরব কর্তৃক তার সম্প্রদায়ের মূলৎপাটনের কথা শুনেছেন? আর যদি এর বিপরীত হয় অর্থাৎ আপনার পতন হয় তাহলে আল্লাহর শপথ! আমি আপনার সাথীদের মধ্যে কোন সম্ভ্রান্ত লোক দেখতে পাচ্ছিনা, বরং বিভিন্ন লোক জড়ো হয়েছে যারা আপনাকে নিঃসঙ্গ ফেলে রেখে পালিয়ে যাবে। আবু বকর (রাঃ) তখন বললেনঃ লাত দেবীর (মূর্তির) গুহ্যদ্বার চাঁটগে। আমরা আল্লাহর রাসূলকে ছেড়ে পলায়ন করব? উরওয়া বললঃ এই লোকটি কে? লোকেরা বললঃ আবু বকর। উরওয়া বললঃ ঐ আল্লাহর শপথ! যার হাতে আমার প্রাণ! আপনি যদি আমার এমন একটি উপকার না করতেন যার বিনিময় এখনও দিতে পারি নি তাহলে আপনার কথার কঠোর উত্তর দিতাম। বর্ণনাকারী বলেনঃ অতঃপর উরওয়া নবী (ﷺ)-এর সাথে কথা বলতে লাগল।

উরওয়া নবী রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাথে কথা বলার সময় তাঁর দাড়িতে হাত দিত। মুগীরা বিন শু'বা নবী রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর মাথার নিকট দাঁড়িয়েছিলেন। তার হাতে ছিল তরবারি এবং মাথায় ছিল লৌহবর্ম। উরওয়া নবী রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর দাড়ির দিকে হাত বাড়ালে মুগীরা (রাঃ) তরবারির বাট দিয়ে তার হাতে আঘাত করতেন এবং বলতেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর দাড়ি থেকে হাত সরিয়ে নাও। উরওয়া মাথা উঠিয়ে জিজ্ঞেস করলেনঃ লোকটি কে? তারা বললঃ মুগীরা বিন শু'বা। সে বললঃ ও হে ধোকাবাজ! আমি কি তোমার ধোকাবাজির শাস্তি থেকে তোমাকে রক্ষা করিনি? ঘটনার বিবরণ এই যে, মুগীরা জাহেলী যামানায় এক দল লোকের সাথে সফরে বের হয়েছিলেন। পথিমধ্যে তিনি তার সাথীদেরকে হত্যা করে তাদের মাল ছিনিয়ে নেন। (এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঝগড়ার সূচনা হলে উরওয়া বিন মাসউদের প্রচেষ্টায় তা মীমাংসা হয়) পরবর্তীতে মুগীরা মদীনায় আগমণ করে ইসলাম গ্রহণ করেন।

অতঃপর নবী (ﷺ) বললেনঃ তোমার ইসলাম আমার নিকট গ্রহণযোগ্য। কিন্তু তোমার মালের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই। অতঃপর উরওয়া বাঁকা দৃষ্টিতে রাসূল রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাহাবীদের দিকে দৃষ্টি দিতে থাকল। রাবী বলেনঃ আল্লাহর শপথ! রাসূল (ﷺ) থুথু ফেললে তা কোন না কোন সাহাবীর হাতে পড়ত এবং তা তাঁরা নিজের চেহারা ও শরীরে মর্দন করতেন। তিনি কোন আদেশ করলে তারা দ্রুত তা বাস্তবায়ন করতেন। তিনি অযু করলে অযুর অতিরিক্ত পানি সংগ্রহ করার জন্য সাহাবীদের মধ্যে কাড়াকাড়ি লেগে যেত এবং তিনি যখন কথা বলতেন তখন তারা তার সামনে আওয়াজ উঁচু করতেন না। তাঁর সম্মানার্থে তারা তাঁর দিকে চোখ তুলে তাকাতেন না।

অতঃপর উরওয়া গোত্রীয় লোকদের নিকট ফেরত এসে বললঃ হে আমার সম্প্রদায়! আমি অনেক বাদশার নিকট গমণ করেছি। রোম সম্রাট, পারস্য সম্রাট এবং নাজাশীর দরবারে যাওয়ারও সুযোগ আমার হয়েছে। আল্লাহর শপথ! কোন বাদশাকে দেখিনি যে, তার সভাসদরা তাকে এমন সম্মান করে যেমন সম্মান করে থাকে মুহাম্মাদ (ﷺ) কে তাঁর সাহাবীগণ। তিনি থুথু ফেললে তা কোন না কোন সাহাবীর হাতে পড়ত এবং তা তাঁরা নিজের চেহারা ও শরীরে মর্দন করতেন। তিনি কোন আদেশ করলে তারা দ্রুত তা বাস্তবায়ন করতেন। তিনি অযু করলে অযুর অতিরিক্ত পানি সংগ্রহ করার জন্য সাহাবীদের মধ্যে কাড়াকাড়ি লেগে যেত এবং তিনি যখন কথা বলতেন তখন তারা তার সামনে আওয়াজ উঁচু করতেন না। তাঁর সম্মানার্থে তারা তাঁর দিকে চোখ তুলে তাকাতেন না। তিনি তোমাদের জন্য সুন্দর এক প্রস্তাব করেছেন। তোমরা তা মেনে নাও। অতঃপর বনী কেনানা গোত্রের এক লোক বললঃ আমাকে তার কাছে যাওয়ার অনুমতি দাও। তারা বললঃ যাও।

সে যখন নবী (ﷺ) এবং তার সাহাবীদের কাছাকাছি পৌঁছল তখন তিনি বললেনঃ এ হল অমুক ব্যক্তি এবং সে এমন এক গোত্রের লোক যারা কুরবানীর জন্য প্রেরিত উটকে সম্মান প্রদর্শন করে থাকে। সুতরাং তোমরা কুরবানীর পশু তার সামনে উপস্থিত কর। তাঁরা তার সামনে কুরবানীর পশু পেশ করল এবং তালবীয়া পাঠরত অবস্থায় তাকে সম্বর্ধনা জানাল। এ দৃশ্য দেখে সে বললঃ সুবহানাল্লাহ! এ সমস্ত লোককে কাবা ঘর যিয়ারত হতে বঞ্চিত করা মোটেই শোভনীয় নয়। সে তার সাথীদের নিকট গিয়ে বললঃ আমি দেখে আসলাম, কুরবানীর পশুর গলায় মালা পরিয়ে দেয়া হয়েছে এং কুরবানীর আলামত লাগানো হয়েছে। তাদেরকে কাবা ঘর হতে বাঁধা দেয়া আমি উচিত মনে করিনা। অতঃপর মিকরাজ বিন হাফস নামক এক লোক দাঁড়িয়ে বললঃ আমাকে অনুমতি দাও। আমি গিয়ে দেখি। তারা বললঃ যাও। সে যখন তাদের নিকটবর্তী হল নবী (ﷺ) বললেনঃ এই মিকরাজ। সে একজন অসৎ লোক। সে নবী রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাথে কথা বলতে শুরু করল। কথা চলা অবস্থায় সুহাইল বিন আমর আগমণ করল।

নবী (ﷺ) তখন বললেনঃ এখন তোমাদের কাজ সহজ হয়ে গেছে। সুহাইল এসে নবী (ﷺ) কে বললঃ আপনি আমাদের ও আপনাদের মাঝে একটি সন্ধিপত্র লেখার ব্যবস্থা করুন। নবী (ﷺ) লেখক ডেকে বললেনঃ লেখ “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম”। সুহাইল বললঃ রাহমান? আল্লাহর কসম! রাহমান কে আমি জানি না। বরং আপনি “বিসমিকা আল্লাহুম্মা” লেখার আদেশ দিন। যেমনটি আপনি প্রথমে লেখতেন। মুসলিমগণ বললেনঃ আল্লাহর শপথ! আমরা “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম” ছাড়া অন্য কিছু লেখবনা। নবী (ﷺ) বললেনঃ আচ্ছা লেখঃ “বিসমিকা আল্লাহুম্মা”। অতঃপর নবী (ﷺ) বললেনঃ এটি আল্লাহর রাসূল মুহাম্মাদের পক্ষ হতে কৃত সন্ধিপত্র। তখন সুহাইল বললঃ আল্লাহর শপথ! আমরা যদি জানতাম যে আপনি আল্লাহর রাসূল তাহলে আপনাকে কখনই আমরা কাবা ঘরে প্রবেশ করতে বাঁধা দিতামনা এবং আপনার সাথে যুদ্ধও করতামনা। বরং আপনি লিখার আদেশ দিনঃ “আব্দুল্লাহর পুত্র মুহাম্মাদের পক্ষ হতে”।

তখন নবী (ﷺ) বললেনঃ আল্লাহর শপথ! আমি অবশ্যই আল্লাহর রাসূল। যদিও তোমরা আমাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছ। যাই হোক মুহাম্মাদ বিন আব্দুল্লাহ-ই লেখ। তবে শর্ত থাকবে যে, আমাদেরকে কাবা ঘরের তাওয়াফ করার জন্য তাতে প্রবেশ করতে যেন কোন প্রকার বাধা না দেয়া হয়। সুহাইল বললঃ আল্লাহর শপথ! এমন হতে পারেনা। কারণ এমন হলে আরবরা এই মর্মে সমালোচনা করবে যে, আমরা বাধ্য হয়ে এই প্রস্তাব মেনে নিয়েছি। তবে আগামী বছর আমরা এ প্রস্তাব মানতে পারি। তাই লেখা হল। অতঃপর সুহাইল বললঃ আরো শর্ত থাকে যে, আমাদের কোন লোক আপনার নিকট গমণ করলে আপনি তাকে আমাদের নিকট ফেরত দিবেন। যদিও সে আপনার দ্বীনের অনুসারী হয়ে থাকে। এ কথা শুনে মুসলিমগণ বললেনঃ সুবহানাল্লাহ! কিভাবে তাকে মুশরিকদের নিকট ফেরত দেয়া হবে? অথচ সে মুসলিম হয়ে আগমণ করেছে।

এমন সময় আবু জানদাল পায়ে বেড়ী পরা অবস্থায় মক্কার নিম্নভূমি দিয়ে খোঁড়াতে খোঁড়াতে মুসলিমদের নিকট উপস্থিত হলেন। সুহাইল বললঃ হে মুহাম্মাদ! সর্বপ্রথম যে বিষয়টির মীমাংসা করব তা এই যে, আপনি তাকে আমার নিকট ফেরত দিবেন। নবী (ﷺ) বললেনঃ আমরা এখনও চুক্তি পত্রে স্বাক্ষর করিনি। সুহাইল বললঃ আল্লাহর শপথ! তাহলে তোমার সাথে আমি কোন বিষয়ের উপরই সন্ধি করব না। নবী (ﷺ) বললেনঃ ঠিক আছে, তুমি শুধু আমাকে এই লোকটিকে আমার সাথে থাকার অনুমতি দাও। সে বললঃ আমি অনুমতি দিবনা। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দ্বিতীয়বার বললেনঃ তাকে আমার সাথে থাকার অনুমতি দাও। সুহাইল বললঃ না, আমি তা করব না। মিকরাজ বলে উঠলঃ ঠিক আছে আমরা তাকে আপনার নিকট থাকার অনুমতি দিলাম।

আবু জানদাল তখন বললেনঃ হে মুসলিমগণ! আমাকে কি মুশরিকদের নিকট ফিরিয়ে দেয়া হবে? অথচ আমি মুসলিম হিসাবে এখানে এসেছি। তোমরা কি দেখছনা, আমি কি অবস্থায় আছি? প্রকৃতপক্ষে তাঁকে আল্লাহর রাস্তায় কঠোর শাস্তি দেয়া হয়েছিল।

উমার বিন খাত্তাব (রাঃ) বলেনঃ আমি নবী (ﷺ)-এর নিকট এসে বললামঃ আপনি কি আল্লাহর সত্য নবী নন? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। আমি বললামঃ আমরা কি সত্যের উপর নই? আমাদের শত্রুরা কি বাতিলের উপর নয়? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ অবশ্যই। আমি বললামঃ তাহলে আমরা কেন আমাদের দ্বীনকে অপদস্ত করব? তিনি বললেনঃ নিশ্চয়ই আমি আল্লাহর রাসূল। আমি তার নাফরমানী করিনা। তিনি আমার সাহায্যকারী। আমি বললামঃ আপনি কি আমাদেরকে বলেন নি যে, আমরা কাবায় প্রবেশ করে কাবার তাওয়াফ করব? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, তবে আমি কি তোমাকে এই সংবাদ দিয়েছি যে, এ বছরই আসব? উমার (রাঃ) বলেনঃ আমি বললামঃ না।

তখন তিনি বললেনঃ তুমি অবশ্যই কাবায় আসবে এবং এর তাওয়াফ করবে। উমার (রাঃ) বলেনঃ অতঃপর আমি আবু বকরের নিকট গিয়ে বললামঃ হে আবু বকর! ইনি কি আল্লাহর সত্য নবী নন? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। আমি বললামঃ আমরা কি সত্যের উপর নই? আমাদের শত্রুরা কি বাতিলের উপর নয়? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। আমি বললামঃ তাহলে আমরা কেন আমাদের দ্বীনের ব্যাপারে এত অপমান সহ্য করব? আবু বকর (রাঃ) বললেনঃ হে উমার! তিনি আল্লাহর রাসূল। তিনি তাঁর প্রভুর অবাধ্য হতে পারেন না। তিনি অবশ্যই তাঁকে সাহায্য করবেন। তাই তিনি যে আদেশ করেন তা বাস্তবায়ন কর। আল্লাহর শপথ! তিনি অবশ্যই সত্যের উপর আছেন। আমি বললামঃ তিনি কি আমাদেরকে এ কথা বলেন নি যে, আমরা অচিরেই কাবায় প্রবেশ করব এবং উমরাহ পালন করব? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। তবে তিনি কি এ কথা বলেছেন তুমি এ বছরই আগমণ করবে? আমি বললামঃ না। তিনি বললেনঃ তুমি অবশ্যই আসবে এবং কাবা ঘরের তাওয়াফ করবে।

উমার (রাঃ) বলেনঃ এ সমস্ত অযথা প্রশ্ন করার কারণে আমি কতিপয় ভাল আমল করলাম। বর্ণনাকারী বলেনঃ চুক্তিপত্র লেখার কাজ শেষ করে নবী (ﷺ) সাহাবীদেরকে বললেনঃ তোমরা দাঁড়াও, কোরবানী কর এবং মাথা কামাও। বর্ণনাকারী বলেনঃ আল্লাহর শপথ! তিনি এ কথাটি তিনবার বলার পরও কেও উঠে দাঁড়াল না। যখন কেও দাঁড়ালনা তখন তিনি উম্মে সালামার কাছে প্রবেশ করলেন এবং তাঁর নিকট ব্যাপারটি বর্ণনা করলেন। উম্মে সালামা বললেনঃ হে আল্লাহর নবী! আপনি যদি তা চান তাহলে আপনি বের হোন। কারো সাথে কোন কথা না বলে আপনার কোরবানীর উট জবাই করুন এবং নাপিতকে ডেকে আপনার মাথা কামিয়ে নিন। সুতরাং তিনি বের হয়ে কারো সাথে কোন কথা না বলে তাঁর কোরবানীর জন্তু জবাই করে দিলেন এবং নাপিতকে ডেকে মাথা কামিয়ে ফেললেন। লোকেরা এ দৃশ্য দেখে উঠে দাঁড়াল এবং কোরবানী করে ফেলল। একে অপরের মাথা কামাতে লাগল। দ্রুত মাথা কামানোর দৃশ্য দেখে আশঙ্কা হল যে, একে অপরকে হত্যা করে ফেলবে। এরপর কতিপয় মুমিন মহিলা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর খেদমতে আগমণ করলেন। তখন আল্লাহর এই বাণী অবতীর্ণ হয়ঃ

(يَـٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓا۟ إِذَا جَآءَكُمُ ٱلْمُؤْمِنَـٰتُ مُهَـٰجِرَٰتٍۢ فَٱمْتَحِنُوهُنَّ ۖ ٱللَّهُ أَعْلَمُ بِإِيمَـٰنِهِنَّ ۖ فَإِنْ عَلِمْتُمُوهُنَّ مُؤْمِنَـٰتٍۢ فَلَا تَرْجِعُوهُنَّ إِلَى ٱلْكُفَّارِ ۖ لَا هُنَّ حِلٌّۭ لَّهُمْ وَلَا هُمْ يَحِلُّونَ لَهُنَّ ۖ وَءَاتُوهُم مَّآ أَنفَقُوا۟ ۚ وَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ أَن تَنكِحُوهُنَّ إِذَآ ءَاتَيْتُمُوهُنَّ أُجُورَهُنَّ ۚ وَلَا تُمْسِكُوا۟ بِعِصَمِ ٱلْكَوَافِرِ)

“হে মুমিনগণ! তোমাদের নিকট যখন ঈমানদার মহিলাগণ হিজরত করে আগমণ করে তখন তাদেরকে পরীক্ষা কর। আল্লাহ তাদের ঈমান সম্পর্কে সম্যক অবগত আছেন। যদি তোমরা জান যে, তারা ঈমানদার তবে তাদেরকে কাফেরদের কাছে ফেরত পাঠিও না। এরা তাদের জন্য হালাল নয় আর তারা (কাফেররা) এদের জন্য হালাল নয়। কাফেররা যা ব্যয় করেছে তা তাদের দিয়ে দাও। এই নারীদেরকে প্রাপ্য মোহরানা দিয়ে বিবাহ করলে তোমাদের কোন অপরাধ হবেনা। আর তোমরা কাফের নারীদের সাথে দাম্পত্য সম্পর্ক বজায় রেখোনা”। (সূরা মুমতাহানাঃ ১০)

সেদিন উমার (রাঃ) তাঁর দুই মুশরিক স্ত্রীকে তালাক দেন। তাদের একজনকে মুআবীয়া বিন আবু সুফিয়ান এবং অন্য জনকে সাফওয়ান বিন উমাইয়া বিয়ে করে নেয়।

অতঃপর নবী (ﷺ) মদীনায় ফেরত গেলেন। অতঃপর আবু বাসীর নামে কুরাইশ বংশের একজন মুসলিম তাঁর নিকট আসলেন। কুরাইশরা তার সন্ধানে দু'জন লোক পাঠায়। তারা বললঃ আপনি আমাদের সাথে কৃত সন্ধির কথা স্মরণ করুন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে আগত দু'জন লোকের কাছে ফেরত দিলেন। তারা যখন তাকে নিয়ে যুল হুলায়ফা পর্যন্ত পৌঁছল তখন তারা খেজুর খেতে লাগল। এ সময় আবু বাসীর দু'জনের একজনকে বললেনঃ আল্লাহর শপথ! হে অমুক! তোমার তরবারিটি অতি সুন্দর। এ কথা শুনে সে কোষ হতে তরবারি বের করে বললঃ হ্যাঁ, ঠিকই বলেছ। আল্লাহর কসম! এটি একটি ভাল তলোওয়ার। আমি এটিকে কয়েকবার পরীক্ষা করেছি।

আবু বাসীর বললেনঃ আমাকে একটু দেখাও। আমি তা দেখব। সে তরবারিটি তাকে দিল। তরবারিটি নিয়ে তাকে এক আঘাতে হত্যা করে ফেলল। অপর লোকটি পালিয়ে মদীনায় আসে এবং দৌঁড়াতে দৌড়াতে মসজিদে প্রবেশ করে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে দেখে বললেনঃ একে ভীত মনে হচ্ছে। সে নবী রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে গিয়ে বললঃ আল্লাহর শপথ! আমার সাথীকে নিহত করা হয়েছে এবং (সুযোগ পেলে) আমাকেও হত্যা করা হত। ইতিমধ্যেই আবু বাসীর আগমণ করে বললেনঃ হে আল্লাহর নবী! আল্লাহ আপনার অঙ্গীকার পূর্ণ করেছেন। আপনি আমাকে কাফেরদের নিকট সোপর্দ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু আল্লাহ আমাকে তাদের হাত থেকে মুক্তি দিয়েছেন। এই কথা শুনে নবী (ﷺ) বললেনঃ তোমার মায়ের অকল্যাণ হোক! এখন তো যুদ্ধের জন্য আগুন জ্বলে উঠবে। তার যদি কোন সাহায্যকারী থাকত! এ কথা শুনে তিনি বুঝতে পারলেন যে, অচিরেই রাসূল (ﷺ) তাকে পুনরায় মুশরিকদের নিকট ফিরিয়ে দিবেন। তাই তিনি সেখান থেকে বের হয়ে সমুদ্র তীরে চলে গেলেন।

রাবী বলেনঃ এদিকে আবু জানদাল বিন সুহাইল তাদের নিকট থেকে পালিয়ে এসে আবু বাসীরের সাথে মিলিত হন। এরপর থেকে কুরাইশদের নিকট হতে কোন মুসলিম পালিয়ে আসতে সক্ষম হলে সেও আবু বাসীরের সাথে মিলিত হত। পরিশেষে তাদের একটি দল তৈরী হয়ে গেল। আল্লাহর শপথ! যখন তারা শুনত কুরাইশদের কোন কাফেলা সিরিয়ার দিকে যাচ্ছে, তখন তারা তাদের গতিরোধ করে তাদেরকে হত্যা করতেন এবং তাদের মালামাল লুট করে নিতেন। তাই কুরাইশরা নবী রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে আল্লাহ এবং আত্মীয়তার দোহাই দিয়ে কিছু লোক পাঠাল যে, তিনি যেন আবু বাসীর ও তার লোকজনকে লুটতরাজ থেকে বিরত রাখেন। এখন থেকে যে কোন লোক মুসলিম হয়ে মদীনায় গেলে আর তাকে ফেরত দিতে হবেনা।

অতএব নবী (ﷺ) তাদের ডেকে পাঠান। আল্লাহ তাআলা তখন এই আয়াত নাযিল করেনঃ

(وَهُوَ ٱلَّذِى كَفَّ أَيْدِيَهُمْ عَنكُمْ وَأَيْدِيَكُمْ عَنْهُم بِبَطْنِ مَكَّةَ مِنۢ بَعْدِ أَنْ أَظْفَرَكُمْ عَلَيْهِمْ ------ ٱلْحَمِيَّةَ حَمِيَّةَ ٱلْجَـٰهِلِيَّةِ)


“তিনি সেই মহান সত্তা যিনি মক্কা উপত্যকায় কাফেরদের হাতকে তোমাদের থেকে এবং তোমাদের হাতকে তাদের হাত থেকে বিরত রেখেছেন তাদের উপর তোমাদের বিজয়ী করার পর ------ কেননা কাফেররা তাদের অন্তরে মূর্খতাযুগের জেদ পোষণ করত”। (সূরা ফাত্হঃ ২৪-২৬)

তাদের জেদের কারণেই তাঁরা এ কথার স্বীকৃতি দেয়নি যে, মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূল। তারা “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম বাক্যটিও গ্রহণ করেনি"। এমনকি তারা মুসলিম ও কাবা ঘরের মধ্যে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ১১৬৪)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন