hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুখতাসার সহীহ আল-বুখারী

৪৯. হিবা (দান) করার বর্ণনা

مختصر صحيح البخاري

৪৯/ পরিচ্ছেদঃ হিবার ফজীলত এবং এ ব্যাপারে উৎসাহিত করা

১১৫১

সহিহ হাদিস
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ (ﷺ) قَالَ: (يَا نِسَاءَ المُسْلِمَاتِ، لَا تَحْقِرَنَّ جَارَةٌ لِجَارَتِهَا ، ولَوْ فِرْسِنَ شَاةٍ) .

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (ﷺ) বলেনঃ হে মুসলিম নারীগণ! একজন প্রতিবেশিনী যেন আরেক প্রতিবেশিনীকে অবজ্ঞা না করে। সে যদি হাদীয়া স্বরূপ বকরীর একটি খুরও পাঠিয়ে দেয় তবে তা গ্রহণ করা উচিত। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ১১২৪)

১১৫২

সহিহ হাদিস
عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا أَنَّهَا قَالَتْ لِعُرْوَةَ ، يَا ابْنَ أُخْتِي، إِنْ كُنَّ لَنَنْظُرُ إلى الهلالِ، ثُمَّ الهلالِ، ثَلَاثَةَ أَهِلَّةِ فِي شَهْرَيْنِ، وَمَا أُوقِدَتْ فِي أَبْيَاتِ رَسُولِ اللهِ (ﷺ) نَارٌ . فَقُلْتُ : يَا خَالَهُ، مَا كَانَ يُعَيْشُكُمْ؟ قَالَتْ الأَسْوَدَانِ : التَّمْرُ وَالمَاءُ، إِلا أَنَّهُ قَدْ كَانَ لِرَسُولِ اللَّهِ جيرَانٌ مِنَ الأَنْصَارِ، كَانَتْ لَهُمْ مَنَائِحُ، وَكَانُوا يَمْنَحُونَ رَسُولَ اللَّهِ مِنْ أَلْبَانِها فَيَسْقِينَا .

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি তাঁর ভাগ্নে উরওয়াকে বললেনঃ হে আমার বোনের পুত্র! আমরা মাসের শুরুতে নতুন চাঁদ দেখতাম। অতঃপর আরেকটি চাঁদ দেখতাম৷ এভাবে দুই মাসে তিনটি চাঁদ দেখতাম। দুই দুইটি মাস কেটে যেত। কিন্তু রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর ঘরে আগুন জ্বলতনা। উরওয়া (রাঃ) বললেনঃ হে খালা! তোমাদের জীবন কিভাবে অতিবাহিত হত? তিনি বললেনঃ দু'টি কালো বস্তুর উপর নির্ভর করে আমরা বেঁচে থাকতাম। তার একটি হল পানি আর অপরটি হল খেজুর। তবে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কয়েকজন আনসারী প্রতিবেশী ছিল। তাদের ছিল দুধের বকরী। তারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর জন্য দুধ পাঠাতেন। তিনি তা থেকে আমাদেরকেও পান করাতেন। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ১১২৫)

১১৫৩

সহিহ হাদিস
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ، عَنِ النَّبِيِّ (ﷺ) قَالَ: (لَوْ دَعِيتُ إِلَى ذِرَاعٍ، أَوْ كُرَاعٍ، لَأَجَبْتُ، وَلَوْ أُهْدِيَ إِلَيَّ ذِرَاعٌ أَوْ كُرَاعٌ لَقَبِلْتُ) .

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (ﷺ) বলেনঃ আমাকে যদি খুর অথবা বাহুর সামান্য গোশতের দাওয়াত দেয়া হয় তাতেও আমি যাবো। আর যদি খুর অথবা বাহুর গোশত হাদীয়া স্বরূপ দেয়া হয় আমি তাও গ্রহণ করবো। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ১১২৬)
৪৯/ পরিচ্ছেদঃ শিকার থেকে হাদীয়া গ্রহণ করা

১১৫৪

সহিহ হাদিস
عَنْ أَنَسٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ : أَنْفَجْنَا أَرْنَبا بِمَرُ الظَّهْرَانِ، فَسَعَى القَوْمُ فَلَغَبُوا ، فَأَدْرَكْتُهَا فَأَخَذْتُهَا ، فَأَتَيْتُ بهَا أَبَا طَلْحَةَ فَذَبَحَهَا، وَبَعَثَ بِهَا إِلَى رَسُولِ اللهِ (ﷺ): بِوَرِكِهَا أَوْ فَخِذَيْهَا، فَقَبِلَهُ ، وَفي رواية : وَأَكَلَ مِنْهُ .

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

“মারুরুয যাহরান' নামক স্থানে আমরা একটি খরগোশকে তাড়া করলাম। লোকেরা তার পিছনে দৌড়াতে দৌড়াতে ক্লান্ত হয়ে গেল। অবশেষে আমি সেটি পাকড়াও করলাম। আমি সেটি নিয়ে আবু তালহার নিকট গেলাম। আবু তালহা সেটিকে যবাই করে তার পেছনের অংশ অথবা তার রান দু'টি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট পাঠিয়ে দিলেন। নবী (ﷺ) তা গ্রহণ করলেন। অন্য বর্ণনায় আছে, তিনি তা থেকে খেলেন। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ১১২৭)
৪৯/ পরিচ্ছেদঃ হাদীয়া গ্রহণ করা

১১৫৫

সহিহ হাদিস
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: أَهْدَتْ أُمُّ حُفَيْدٍ، خَالَةُ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ الله عَنْهَا ، إِلَى النَّبِيِّ (ﷺ) أَقِطا وَسَمْنًا وَأَضُبّا، فَأَكَلَ النَّبِيُّ (ﷺ) مِنَ الأَقِطِ وَالسَّمْنِ، وَتَرَكَ الأَضُبَّ تَقَذَّرًا . قَالَ ابْنُ عَبَّاسِ : فَأُكِلَ عَلَى مَائِدَةِ رَسُولِ اللهِ ، وَلَوْ كَانَ حَرَامًا مَا أُكِلَ عَلَى مَائِدَةِ رَسُولِ اللَّهِ (ﷺ).

আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, উম্মে হুফায়েদ তথা ইবনে আব্বাসের খালা নবী রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট পনির, ঘি এবং যব্ব (সাণ্ডা) উপহার দিলেন। নবী (ﷺ) পনির এবং ঘি খেলেন। এবং ঘৃণিত হওয়ার কারণে সান্ডা প্ৰত্যাখ্যান করলেন। ইবনে আব্বাস বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর দস্তরখানে সান্ডা খাওয়া হয়েছে। তা যদি হারাম হত তবে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর দস্তরখানে তা খাওয়া হত না৷ (আলোকিত প্রকাশনীঃ ১১২৮)
টিকাঃ সাণ্ডা দেখতে অনেকটা গুই-সাপের মত। তবে উভয়ের মধ্যে পার্থক্য সুস্পষ্ট। গুই-সাপ জলে ও স্থলে বাস করে। কিন্তু সাণ্ডা কখনও পানিতে নামেনা। আরবের মরুভূমিতে এটি সাধারণত দেখা যায়। আরবীতে এটিকে ‘যব্ব' বলা হয়। সাণ্ডা খাওয়া হালাল। আর গুই সাপ ভক্ষণ করা নিষিদ্ধ।

১১৫৬

সহিহ হাদিস
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ : كَانَ رَسُولُ اللَّهِ (ﷺ) إِذَا أُتِيَ بِطَعَامٍ سَأَلَ عَنْهُ : (أَهَدِيَّةٌ أَمْ صَدَقَةٌ). فَإِنْ قِيلَ صَدَقَةٌ، قَالَ لِأَصْحَابِهِ: (كَلُوا). وَلَمْ يَأْكُلْ، وَإِنْ قِيلَ هَدِيَّةٌ، ضَرَبَ بِيَدِهِ (ﷺ) فَأَكَلَ مَعَهُمْ .

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট খাদ্য আনয়ন করা হলে তিনি জিজ্ঞেস করতেন, উহা সাদকা না হাদীয়া? যদি বলা হত সাদকা তাহলে তিনি তার সাহাবীদের বলতেনঃ খাও, কিন্তু নিজে খেতেন না। আর যদি বলা হতঃ হাদীয়া বা উপহার তাহলে দ্রুত হাত বাড়িয়ে তাদের সাথে খাওয়া শুরু করতেন। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ১১২৯)

১১৫৭

সহিহ হাদিস
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ : أُتِيَ النَّبِيُّ (ﷺ) بِلَحْمٍ، فَقِيلَ: تُصُدِّقَ عَلَى بَرِيرَةَ، قَالَ: (هُوَ لَهَا صَدَقَةٌ، وَلَنَا هَدِيَّةٌ) .

আনাস বিন মালেক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ নবী রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট একদা কিছু গোশত আনা হল। বলা হল এ গোশত বারীরাকে সাদকা করা হয়েছে। তিনি তখন বললেনঃ তার জন্য সাদকা, কিন্তু আমাদের জন্য তা উপহার। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ১১৩০)
৪৯/ পরিচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি বন্ধুকে উপহার দিল, কিন্তু শুধু কিছু স্ত্রীর ঘরে থাকাকালীনই দিল, অন্য স্ত্রীর ঘরে থাকাকালে দেয়নি

১১৫৮

সহিহ হাদিস
عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا : أَنَّ نِسَاءَ رَسُولِ اللهِ (ﷺ) كُنَّ حِزْبَيْنِ : فَحِزْبُ فِيهِ عَائِشَةُ وَحَفْصَةُ وَصَفِيَّةٌ وَسَوْدَةُ، وَالْحِرْبُ الآخَرُ فِيهِ أُمُّ سَلَمَةَ وَسَائِرُ نِسَاءِ رَسُولِ اللهِ (ﷺ) وَكَانَ المُسْلِمُونَ قَدْ عَلِمُوا حُبَّ رَسُولِ اللَّهِ (ﷺ) عَائِشَةَ، فَإِذَا كَانَتْ عِنْدَ أَحَدِهِمْ هَدِيَّةٌ، يُرِيدُ أَنْ يُهْدِيَهَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ (ﷺ) أَخَّرَهَا ، حَتَّى إِذَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ (ﷺ) فِي بَيْتِ عَائِشَةَ، بَعَثَ صَاحِبُ الْهَدِيَّةِ بِهَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ في بَيْتِ عَائِشَةَ، فَكَلَّمَ حِزْبُ أُمِّ سَلَمَةَ، فَقُلْنَ لَهَا : كَلِّمِي رَسُولَ اللَّهِ (ﷺ) يُكَلِّمُ النَّاسَ، فَيَقُولُ : مَنْ أَرَادَ أَنْ يُهْدِيَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ (ﷺ) هَدِيَّةٌ، فَلْيُهْدِهَا إِلَيْهِ حَيْثُ كَانَ مِنْ نِسَائِهِ ، فَكَلَّمَتْهُ أُمُّ سَلَمَةَ بِمَا قُلْنَ لَهَا فَلَمْ يَقُلْ لَهَا شَيْئًا، فَسَأَلْنَهَا، فَقَالَتْ: مَا قَالَ لِي شَيْئًا، فَقُلْنَ لَهَا : فَكَلِّمِيهِ، قَالَتْ : فَكَلَّمَتْهُ حِينَ دَارَ إِلَيْهَا أَيْضًا فَلَمْ يَقُلْ لَهَا شَيْئًا، فَسَأَلْنَها فَقَالَتْ : مَا قَالَ لِي شَيْئًا، فَقُلْنَ لَهَا : كَلِّمِيهِ حَتَّى يُكَلِّمَكِ، فَدَارَ إِلَيْهَا فَكَلَّمَتْهُ، فَقَالَ لَهَا : (لَا تُؤْذِينِي فِي عَائِشَةَ، فَإِنَّ الْوَحْيَ لَمْ يَأْتِنِي وَأَنَا فِي تَوْبِ أَمْرَأَةٍ إِلا عَائِشَةَ . قَالَتْ : فَقُلْتُ: أَتُوبُ إِلَى اللَّهِ مِنْ أَذَاكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، ثُمَّ إِنَّهُنَّ دَعَوْنَ فَاطِمَةَ بِنْتَ رَسُولِ اللَّهِ (ﷺ) فَأَرْسَلَتْ إِلَى رَسُولِ اللهِ (ﷺ) تَقُولُ : إِنَّ نِسَاءَكَ يَنْشُدُنَكَ اللَّهَ الْعَدْلَ فِي بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ، فَكَلَّمَتْهُ فَقَالَ: (يَا بُنَيَّةُ، أَلاَ تُحِينَ مَا أُحِبُّ؟). قَالَتْ : بَلَى، فَرَجَعَتْ إِلَيْهِنَّ فَأَخْبَرَتْهُنَّ ، فَقُلْنَ : ارْجِعِي إِلَيْهِ فَأَبَتْ أَنْ تَرْجِعَ، فَأَرْسَلْنَ زَيْنَبَ بِنْتَ جَحْشٍ، فَأَتَتْهُ فَأَغْلَظَتْ، وَقَالَتْ: إِنَّ نِسَاءَكَ يَنْشُدُنَكَ اللهُ الْعَدْلَ فِي بِنْتِ ابْنِ أَبِي قُحَافَةَ، فَرَفَعَتْ صَوْتَهَا حَتَّى تَنَاوَلَتْ عائِشَةَ وَهِيَ قَاعِدَةٌ فَسَبِّتْهَا، حَتَّى إِنَّ رَسُولَ اللهِ (ﷺ) لَيَنْظُرُ إِلَى عَائِشَةَ هَلْ تَكَلَّمُ ، قَالَ : فَتَكَلَّمَتْ عَائِشَةُ تَرُدُّ عَلَى زَيْنَبَ حَتَّى أَسْكَتَتْهَا ، قَالَتْ : فَنَظَرَ النَّبِيُّ (ﷺ) إِلَى عَائِشَةَ، وَقَالَ: (إِنَّهَا بِنْتُ أَبِي بَكْرٍ).

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর স্ত্রীগণ দুই ভাগে বিভক্ত ছিলেন। এক গ্রুপে ছিলেন আয়েশা, হাফসা, সাফিয়া এবং সাওদা এবং আরেক গ্রুপে ছিলেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর অন্যান্য স্ত্রীগণ। মুসলিমগণ জানতেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আয়েশাকে সবচেয়ে বেশী ভালবাসতেন। কেউ যদি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে হাদীয়া দেয়ার ইচ্ছা করতেন তখন বিলম্ব করতেন। যেদিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আয়েশা (রাঃ) এর বাড়ীতে থাকতেন সে দিন তারা হাদীয়া পাঠাতেন। উম্মে সালামার দল উম্মে সালামাকে বললেনঃ আপনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলুনঃ তিনি যেন মানুষকে বলে দেন, যে ব্যক্তি রাসূল (ﷺ) কে হাদীয়া দিতে চায় সে যেন তা পাঠিয়ে দেয়। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর যে কোন স্ত্রীর ঘরেই অবস্থান করুন না কেন। উম্মে সালামা তাদের কথা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে জানালেন। তিনি তখন কিছু বললেন না। উম্মে সালামার সাথীগণ উম্মে সালামাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে এ ব্যাপারে কিছুই বলেন নি।

তাঁরা পুনরায় বললেনঃ আপনি আবার কথা বলুন। তাঁর ঘরে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এলে তিনি আবারও কথা বললেন। এবারও তিনি তার কথার কোন জবাব দিলেন না। তাঁরা তাকে পুনরায় এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেনঃ তিনি আমার কথার কোন উত্তর দেন নি। তাঁরা বললেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আপনার কথার জবাব না দেয়া পর্যন্ত আপনি কথাগুলো তাঁর কাছে পেশ করতে থাকুন। এবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর পালা তাঁর ঘরে হলে তিনি ঐ কথাগুলো আবার বললেন। এবার তিনি তাঁকে বললেনঃ আয়েশার ব্যাপারে তুমি আমাকে কষ্ট দিওনা। কেননা একমাত্র আয়েশা ব্যতীত অন্য কোন স্ত্রীর সাথে এক বিছানায় থাকাকালে আমার নিকট অহী আসেনি।

আয়েশা (রা) বলেনঃ উম্মে সালামা বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমি আপনাকে কষ্ট দেয়া থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। অতঃপর তারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কন্যা ফাতেমাকে ডেকে রাসূল রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে এ কথা বলার জন্য পাঠালেন যে, আপনার স্ত্রীগণ আল্লাহর শপথ দিয়ে আবু বকরের কন্যার ব্যাপারে আপনাকে ইনসাফ করতে বলেছেন। ফাতেমা তাদের কথা নবী রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে বর্ণনা করলে তিনি বললেনঃ হে প্রিয় কন্যা! আমি যা ভালবাসি তুমি কি তা ভালবাস না। তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, অবশ্যই। ফাতেমা ফেরত গিয়ে তাদেরকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর মনোভাব জানিয়ে দিলেন। তাঁরা বললেনঃ আপনি আবার যান।

ফাতেমা দ্বিতীয়বার যেতে অস্বীকার করলেন। পরবর্তীতে তারা জয়নব বিনতে জাহশকে পাঠালেন। তিনি গিয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাথে কঠোর ভাষায় কথা বললেন। তিনি বললেনঃ ইবনে আবি কুহাফার কন্যার ব্যাপারে ইনসাফ করার জন্য আপনার স্ত্রীগণ আপনাকে আল্লাহর কসম দিচ্ছেন। এ কথা বলে তিনি আওয়াজ উঁচু করলেন এবং আয়েশাকে গালি দিলেন। আয়েশা (রাঃ) সেখানেই বসা ছিলেন। শেষ পর্যন্ত রাসূল (ﷺ) আয়েশার দিকে তাকিয়ে থাকলেন যে, আয়েশা কিছু বলছে কিনা? বর্ণনাকারী বলেনঃ পরিশেষে আয়েশা (রাঃ) কথা বললেন এবং যয়নবের উত্তর দিয়ে তাকে চুপ করিয়ে দিলেন। তখন নবী (ﷺ) আয়েশার দিকে তাকিয়ে বললেনঃ নিশ্চয়ই সে আবু বকরের কন্যা। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ১১৩১)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন