hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুখতাসার সহীহ আল-বুখারী

২৪. কিতাবুয্ যাকাত

مختصر صحيح البخاري

২৪/ পরিচ্ছেদঃ যাকাত ফরয হওয়া সম্পর্কে

৭০২

সহিহ হাদিস
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا : أَنَّ النَّبِيَّ (ﷺ) : بَعَثَ مُعَاذًا رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ إِلَى الْيَمَنِ، فَقَالَ: (ادْعُهُمْ إِلَى : شَهَادَةِ أَنْ لَا إِلَهَ إِلا اللَّهُ وَأَنِّي رَسُولُ اللهِ، فَإِنْ هُمْ أَطَاعُوا لِذلِكَ، فَأَعْلِمْهُمْ أَنَّ اللَّهَ قَدِ افْتَرَضَ عَلَيْهِمْ خَمْسَ صَلَوَاتٍ فِي كُلِّ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ، فَإِنْ هُمْ أَطَاعُوا لِذلِكَ، فَأَعْلِمْهُمْ أَنَّ اللَّهَ أَفْتَرَضَ عَلَيْهِمْ صَدَقَةٌ فِي أَمْوَالِهِمْ، تُؤْخَذُ مِنْ أَغْنِيَائِهِمْ وَتُرَدُّ عَلَى فُقَرَائِهِمْ).

আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ নবী (ﷺ) যখন মুআয বিন জাবাল (রাঃ) কে ইয়ামানে পাঠালেন তখন তাঁকে বললেনঃ তুমি তাদেরকে এই কথার সাক্ষ্য দেয়ার আহবান জানাবে যে, আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন মা'বুদ নেই এবং আমি আল্লাহর রাসূল। তারা যদি এ কথা মেনে নেয় তবে তুমি তাদেরকে বলবে যে, আল্লাহ তাদের উপর দিনে ও রাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামায ফরয করেছেন। তারা যদি এ কথাও মেনে নেয় তবে তাদেরকে বল আল্লাহ তাদের সম্পদের যাকাত ফরয করেছেন। ধনীদের কাছ থেকে আদায় করে দরীদ্রদের মাঝে তা বন্টন করা হবে। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ৬৯২)

৭০৩

সহিহ হাদিস
عَنْ أَبِي أَيُّوبَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ : أَنَّ رَجُلًا قَالَ لِلنَّبِيِّ : أَخْبِرْنِي بِعَمَلٍ يُدْخِلُنِي الجَنَّةَ. قَالَ: مَالَهُ مَالَهُ. قَالَ أَرَبُ مَالَهُ، تَعْبُدُ اللَّهَ وَلاَ تُشْرِكُ بِهِ شَيْئًا، وَتُقِيمُ الصَّلَاةَ، وَتُؤْتِي الزَّكَاةَ، وَتَصِلُ الرَّحِمَ).

আবু আইয়্যুব আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ জনৈক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বললঃ আমাকে এমন আমলের কথা বলুন, যা আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে। লোকেরা বলতে লাগলঃ এই ব্যক্তির কি হয়েছে? কেন এরূপ কথা বলছে? নবী (ﷺ) বললেনঃ এ ব্যক্তি জরুরী প্রশ্ন করেছে। সে চমৎকার প্রশ্ন করেছে। (তারপর তাকে বললেনঃ) তুমি আল্লাহর ইবাদত করবে, তাঁর সাথে কোন কিছুকে শরীক করবেনা। নামায কায়েম করবে, যাকাত প্রদান করবে এবং আত্মীয়-স্বজনদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ৬৯৩)

৭০৪

সহিহ হাদিস
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ : أَنَّ أَعْرَابِيًّا أَتَى النَّبِيَّ (ﷺ) فَقَالَ : دُلَّنِي عَلَى عَمَلٍ، إِذَا عَمِلْتُهُ دَخَلْتُ الجَنَّةَ. قَالَ: تَعْبُدُ اللَّهَ وَلَا تُشْرِكُ بِهِ شَيْئًا، وَتُقِيمُ الصَّلاَةَ المَكْتُوبَةَ، وَتُؤَدِّي الزَّكَاةَ المَفْرُوضَةَ، وَتَصُومُ رَمَضَانَ). قَالَ: والَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ، لَا أَزِيدُ عَلَى هَذَا. فَلَمَّا وَلَّى، قَالَ النَّبِيُّ (ﷺ): (مَنْ سَرَّهُ أَنْ يَنْظُرَ إِلَى رَجُلٍ مِنْ أَهْلِ الجَنَّةِ، فَلْيَنْظُرْ إِلَى هَذَا).

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ জনৈক গ্রাম্য লোক নবী রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট এসে বললঃ আপনি আমাকে এমন একটি আমলের সন্ধান দিন যা করলে আমি জান্নাতে যেতে পারবো। তিনি বললেনঃ তুমি আল্লাহর ইবাদত করবে, তাঁর সাথে কোন কিছুকে শরীক করবেনা। ফরয নামায কায়েম করবে, ফরয যাকাত প্রদান করবে এবং রামাযান মাসের রোযা রাখবে। লোকটি নবী রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কথা শুনে বললঃ ঐ আল্লাহর শপথ! যার হাতে আমার প্রাণ রয়েছে, আমি এর চেয়ে বেশী করবনা। লোকটি চলে যাওয়ার সময় নবী (ﷺ) বললেনঃ যে ব্যক্তি কোন জান্নাতবাসী লোক দেখতে চায় সে যেন এই লোকটির দিকে তাকিয়ে দেখে৷ (আলোকিত প্রকাশনীঃ ৬৯৪)

৭০৫

সহিহ হাদিস
وعنه - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - قَالَ : لَمَّا تُوُفِّيَ رَسُولُ اللهِ (ﷺ) وَكَانَ أَبُو بَكْرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، وَكَفَرَ مَنْ كَفَرَ مِنَ الْعَرَبِ، فَقَالَ عُمَرُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ : كَيْفَ تُقَاتِلُ النَّاسَ وَقَدْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ (ﷺ): (أُمِرْتُ أَنْ أُقاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَقُولُوا : لَا إِلَهَ إِلا الله، فَمَنْ قَالَهَا فَقَدْ عَصَمَ مِنِّي مَالَهُ وَنَفْسَهُ إِلا بِحَقِّهِ، وَحِسَابُهُ عَلَى اللَّهِ . فَقَالَ : وَاللَّهِ لأُ قَاتِلَنَّ مَنْ فَرَّقَ بَيْنَ الصَّلَاةِ وَالزَّكَاةِ، فَإِنَّ الزَّكَاةَ حَقُّ المَالِ، وَاللَّهِ لَوْ مَنَعُونِي عَنَاقًا كانُوا يُؤَدُّونَهَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ (ﷺ) لَقَاتَلْتُهُمْ عَلَى مَنْعِهَا . قَالَ عُمَرُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ : فَوَاللَّهِ مَا هُوَ إِلا أَنْ قَدْ شَرَحَ اللَّهُ صَدْرَ أَبِي بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ لِلْقِتَالِ، فَعَرَفْتُ أَنَّهُ الْحَقُّ .

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সান্নামের মৃত্যুর পর যখন আবু বকর (রাঃ) খলীফা হলেন তখন আরবের কতিপয় সম্প্রদায় মুরতাদ হয়ে গেল (যাকাত দিতে অস্বীকার করল)। (তখন আবু বকর (রাঃ) তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলে) উমার (রাঃ) বললেনঃ আপনি কিভাবে ঐ সমস্ত লোকদের (যাকাত দিতে অস্বীকারকারীদের) সাথে যুদ্ধ করবেন? অথচ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আমাকে মানুষের সাথে যুদ্ধ করার আদেশ দেয়া হয়েছে যে পর্যন্ত না তারা লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ পাঠ করবে। সুতরাং যে ব্যক্তি তা পাঠ করবে সে আমার হাত থেকে তার জান-মাল নিরাপদ করে নিল। তবে ইসলামের দাবীর কথা ভিন্ন। অর্থাৎ ইসলামের বিধান অনুযায়ী কেউ যদি দন্ড পাওয়ার উপযোগী কোন অপরাধ করে তবে ইসলাম গ্রহণের কারণে তার উপর থেকে সে দন্ডবিধি রহিত হবেনা; বরং তাকে অবশ্যই সে শাস্তি ভোগ করতে হবে। আর তার হিসাবের ভার আল্লাহর উপর ন্যস্ত রইল।

আবু বকর (রাঃ) উমার (রাঃ) এর উপরোক্ত কথা শুনে বললেনঃ আল্লাহর শপথ! যারা নামায ও যাকাতের মধ্যে পার্থক্য করবে আমি তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই যুদ্ধ করব। কেননা যাকাত হল সম্পদের হক। আল্লাহর শপথ! তারা যদি আমাকে একটি ছাগল ছানা প্রদানেও বাঁধা দেয়, যা তারা রাসূল রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর যামানায় প্রদান করত তাহলে আমি এ অস্বীকৃতির কারণে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব। উমার (রাঃ) বলেনঃ আল্লাহর শপথ! আবু বকরের দৃঢ়তা শুধু এ জন্যই ছিল যে, আল্লাহ তা'আলা (যুদ্ধের জন্য) আবু বকরের বক্ষ প্রশস্ত করে দিয়েছেন এবং আমি সুস্পষ্টরূপে উপলদ্ধি করতে পারলাম যে আবু বকরের সিদ্ধান্তই সঠিক। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ৬৯৫)
টিকাঃ বর্তমানেও কিছু অজ্ঞ লোকের ধারণা মুসলিম হওয়ার জন্য শুধু মুখে লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলাই যথেষ্ট। চাই সে ইসলামের অন্যান্য বিধান পালন করুক বা না করুক। কোন সন্দেহ নেই যে, কালেমা তায়্যেবা পাঠ করা ঈমানের প্রধান নিদর্শন। কিন্তু এই বাক্য পাঠ করার পরও কেউ যদি ইসলামের কোন রূকন বা ছোট থেকে ছোট কাজও অস্বীকার করে তাহলে সে ইসলামের গন্ডি থেকে বের হয়ে কাফের হিসাবে গণ্য হবে। এমন কি অনেক আলেম নামায পরিত্যাগকারীকেও কাফের বলে ফাতওয়া দিয়েছেন। যদিও সে নামায অস্বীকার করেনি। আবু বকরসহ আরও কিছু সাহাবী ফরয হিসাবে স্বীকার করেও যাকাত অনাদায়কেও কুফরী বলেছেন।
২৪/ পরিচ্ছেদঃ যাকাত না দেয়ার শাস্তি

৭০৬

সহিহ হাদিস
وعنه - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - قَالَ : قَالَ النَّبِيُّ (ﷺ) : (تأتي الإبل عَلَى صَاحِبِهَا ، عَلَى خَيْرِ مَا كَانَتْ إِذَا هُوَ لَمْ يُعْطِ فِيهَا حَقَّهَا، تَطَؤُهُ بِأَخْفَافِهَا، وَتَأْتِي الْغَنَمُ عَلَى صَاحِبِهَا عَلَى خَيْرِ مَا كَانَتْ، إِذَا لَمْ يُعْطِ فِيهَا حَقَّهَا، تَطَؤُهُ بِأَظْلَافِهَا ، وَتَنْطَحُهُ بِقُرُونهَا)، قَالَ: (وَمِنْ حَقِّهَا أَنْ تُحْلَبَ عَلَى المَاءِ) . قَالَ: (وَلاَ يَأْتِي أَحَدُكُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِشَاةٍ يَحْمِلُهَا عَلَى رَقَبَتِهِ لَهَا يُعَارٌ، فَيَقُولُ : يَا مُحَمَّدُ، فَأَقُولُ : لَا أَمْلِكُ لَكَ مِنَ اللَّهِ شَيْئًا، قَدْ بَلَّغْتُ، وَلَا يَأْتِي بِبَعِيرٍ يَحْمِلُهُ عَلَى رَقَبَتِهِ لَهُ رُغَاءُ، فَيَقُولُ : يَا مُحَمَّدُ، فَأَقُولُ : لا أَمْلِكُ لَكَ مِنَ اللَّهِ شَيْئًا، قَدْ بَلَّغْتُ).

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (ﷺ) বলেনঃ উটের মালিক যদি উহার হক আদায় না করে অর্থাৎ যাকাত না দেয়, তাহলে কিয়ামতের দিন উটগুলোকে পূর্বের চেয়ে অধিক মোটা- তাজা অবস্থায় একত্রিত করা হবে। উটগুলো পা দিয়ে তাদের মালিককে পিষতে থাকবে

ছাগলের মালিক যদি উহার হক আদায় না করে অর্থাৎ যাকাত না দেয় কিয়ামতের দিন ছাগলগুলোকে একত্রিত করা হবে। খুর দিয়ে তাদের মালিককে পিষতে থাকবে এবং শিং দিয়ে তাদের মালিককে আঘাত করবে। নবী (ﷺ) আরও বলেনঃ উক্ত হকসমূহের মধ্যে পানির ঘাটে গাভী বা ছাগল দোহন করে দরিদ্রদের মধ্যে দুধ বিতরণ করাও রয়েছে।
নবী (ﷺ) আরও বলেনঃ কিয়ামতের দিন তোমাদের কেউ যেন ঘাড়ে চিৎকাররত ছাগল বহন করে উপস্থিত না হয় এবং এ কথা না বলে যে, হে মুহাম্মাদ! (আমাকে আল্লাহর শাস্তি হতে রক্ষা করুন)। আমি তখন বলবঃ আল্লাহর শাস্তি হতে আমি তোমাকে রক্ষা করতে সক্ষম নই। আমি তো আল্লাহর বিধান পূর্বেই জানিয়ে দিয়েছি।

অনুরূপভাবে কিয়ামতের দিন কেউ যেন কাঁধে চিৎকাররত উট বহন করে উপস্থিত না হয় এবং এ কথা না বলে যে, হে মুহাম্মাদ! (আমাকে আল্লাহর শাস্তি হতে রক্ষা করুন)। আমি তখন বলবঃ আল্লাহর শাস্তি হতে আমি তোমাকে রক্ষা করতে সক্ষম নই। আমি তো আল্লাহর বিধান পূর্বেই জানিয়ে দিয়েছি। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ৬৯৬)

৭০৭

সহিহ হাদিস
وعنه - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ (ﷺ) : ( مَنْ آتَاهُ اللهُ مَالًا ، فَلَمْ يُؤَدِّ زَكَاتَهُ، مُثْلَ لَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ شُجَاعًا أَقْرَعَ، لَهُ زَبِيبَتَانِ، يُطَوِّقُهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، ثُمَّ يَأْخُذُ بِلِهْزِمَتَيْهِ، يَعْنِي شِدْقَيْهِ، ثُمَّ يَقُولُ: أَنَا مَالُكَ، أَنَا كَنْزُكَ، ثُمَّ تَلَا : لَا يَحْسَبَنَّ الَّذِينَ يَبْخَلُونَ ) . الآية).

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ “আল্লাহ যাকে ধন-সম্পদ দান করেছেন সে যদি তার যাকাত না দেয় কিয়ামতের দিন তার ধন-সম্পদগুলোকে টাক মাথা বিশিষ্ট সাপে পরিণত করা হবে। তার চোখের উপরে দু'টি কালো বিন্দু থাকবে। সাপটি তাকে পেঁচিয়ে ধরবে এবং তার চিবুকে কামড়িয়ে ধরবে এবং বলবেঃ আমি তোমার মাল। আমিই তোমার গুপ্তধন”। অতঃপর রাসূল (ﷺ) কুরআনের এ আয়াতটি পাঠ করলেনঃ

(وَلَا يَحْسَبَنَّ ٱلَّذِينَ يَبْخَلُونَ بِمَآ ءَاتَىٰهُمُ ٱللَّهُ مِن فَضْلِهِۦ هُوَ خَيْرًۭا لَّهُم ۖ بَلْ هُوَ شَرٌّۭ لَّهُمْ ۖ سَيُطَوَّقُونَ مَا بَخِلُوا۟ بِهِۦ يَوْمَ ٱلْقِيَـٰمَةِ ۗ)

“যাদেরকে আল্লাহ তাঁর অনুগ্রহে ধন-সম্পদ দান করেছেন, তারা যদি তাতে কৃপণতা করে, এই কৃপণতা তাদের জন্য মঙ্গলকর হবে বলে তারা যেন ধারণা না করে। বরং এটা তাদের জন্য একান্ত ই ক্ষতিকর৷ যাতে তারা কার্পণ্য করে, সে ধন-সম্পদকে কিয়ামতের দিন তাদের গলায় বেড়ি বানিয়ে পরানো হবে”। (সূরা আল ইমরানঃ ১৮০) (আলোকিত প্রকাশনীঃ ৬৯৭)
২৪/ পরিচ্ছেদঃ যে সম্পদের যাকাত দেয়া হয় তা কান্য বা সঞ্চয়ের আওতায় পড়েনা

৭০৮

সহিহ হাদিস
عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ : قَالَ النَّبِيُّ (ﷺ): (لَيْسَ فِيمَا دُونَ خَمْسِ أَوَاقٍ صَدَقَةٌ، وَلَيْسَ فِيمَا دُونَ خَمْسِ ذَوْدٍ صَدَقَةٌ، وَلَيْسَ فِيمَا دُونَ خَمْسَةِ أَوْسُقٍ صَدَقَةٌ) .

আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (ﷺ) বলেনঃ পাঁচ উকিয়ার কম রৌপ্যে কোন যাকাত নেই। পাঁচটি উটের কম হলে তাতে যাকাত নেই এবং পাঁচ ওয়াসাকের কম শস্যের মধ্যে কোন যাকাত নেই। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ৬৯৮)
টিকাঃ এক উকিয়ার পরিমাণ চল্লিশ দিরহাম। আর পাঁচ উকিয়ার পরিমাণ দুইশত দিরহাম। বর্তমাণ হিসাবে পাঁচ উকিয়ার পরিমাণ হল সাড়ে বায়ান্ন তোলা। উল্লেখ্য যে, বিশ্ব বাজারে বহুল ব্যবহৃত পরিমাপে স্বর্ণের নেসাব ৮৫ গ্রাম ও রৌপ্যের নেসাব ৫৯৫ গ্রাম, যা বহু জটিল ও কঠিন মতানৈক্যের প্রেক্ষাপটে সর্বাধিক সতর্কপূর্ণ সিদ্ধান্ত৷

আর এক ওয়াসাকের পরিমাণ ষাট ‘সা’। আর এক ‘সা’এর পরিমাণ হল দুই কেজি একশ গ্রাম।

খালেদ বিন আসলাম (রাঃ) বলেনঃ আমরা একদা আব্দুল্লাহ বিন উমারের সাথে বের হলাম। তখন একজন গ্রাম্য লোক বললঃ আপনি আমাকে আল্লাহর বাণীঃ

(وَٱلَّذِينَ يَكْنِزُونَ ٱلذَّهَبَ وَٱلْفِضَّةَ)

অর্থাৎ যারা সোনা-রূপা পুঞ্জিভূত করে---এর মর্মার্থ বলে দিন। ইবনে উমার (রাঃ) বললেনঃ যে ব্যক্তি সোনা-রূপা সঞ্চিত করে রেখেছে এবং তার যাকাত আদায় করেনি তার পরিণতি অত্যন্ত অশুভ। আর প্রয়োজনের অতিরিক্তটুকু আল্লাহর পথে ব্যয় করার হুকুম যাকাত সম্পর্কিত নির্দেশ অবতীর্ণ হওয়ার পূর্বেকার। যাকাতের আয়াত অবতীর্ণ করে আল্লাহ তাআলা সম্পদকে পবিত্রকরণের মাধ্যম বানিয়ে দিলেন।
২৪/ পরিচ্ছেদঃ বৈধভাবে উপার্জিত সম্পদ হতে সাদকাহ করা

৭০৯

সহিহ হাদিস
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ (ﷺ): (مَنْ تَصَدَّقَ بِعَدْلِ تَمْرَةٍ مِنْ كَسْبٍ طَيِّبٍ، وَلاَ يَقْبَلُ الله إلا الطيب، فَإِنَّ اللَّهَ يَتَقَبَّلُهَا بِيَمِينِهِ، ثُمَّ يُرَبِّيهَا لِصَاحِبِهَا، كَمَا يُرَبِّي أَحَدُكُمْ فَلُوهُ، حَتَّى تَكُونَ مِثْلَ الجَبَلِ ) .

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ যে ব্যক্তি বৈধভাবে উপার্জিত সম্পদ হতে একটি খেজুর পরিমাণ সম্পদ দান করবে আর আল্লাহ তো পবিত্র ব্যতীত কোন দান কবুল করেন না, আল্লাহ ঐ দান স্বীয় ডান হাতে গ্রহণ করেন। অতঃপর তিনি তা দানকারীর জন্য বাড়াতে থাকেন। যেভাবে তোমাদের কেউ নিজের ঘোড়ার বাচ্চাকে প্রতিপালন করে থাকে। শেষ পর্যন্ত ঐ দান পাহাড় সমতুল্য হয়ে যায়। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ৬৯৯)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন