hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুখতাসার সহীহ আল-বুখারী

৫৬. নবী (ﷺ) এর সাহাবীদের ফজীলত

مختصر صحيح البخاري

৫৬/ পরিচ্ছেদঃ

১৫২০

সহিহ হাদিস
عَنْ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِم رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ : أَتَتِ امْرَأَةٌ النَّبِيَّ (ﷺ) فَأَمَرَهَا أَنْ تَرْجِعَ إِلَيْهِ، قَالَتْ: أَرَأَيْتَ إِنْ جِئْتُ وَلَمْ أَجِدُكَ ؟ كَأَنَّهَا تَقُولُ : المَوْتَ، قَالَ : إِنْ لَمْ تَجِدِينِي فَأُتِي أَبَا بَكْرٍ) رَضِيَ اللهُ عَنْهُ.

জুবাইর ইবনে মুতইম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ একদা এক মহিলা নবী (ﷺ) এর নিকট আগমণ করল। তিনি মহিলাকে ফেরত যাওয়ার আদেশ দিলেন। মহিলাটি বলতে লাগলঃ আমি যদি দ্বিতীয়বার এসে আপনাকে না পাই, তাহলে আমি কার কাছে আসবো? অর্থাৎ আপনার মৃত্যুর পর কার কাছে যাব? নবী (ﷺ) বললেনঃ তুমি যদি আমাকে না পাও, তাহলে আবু বকরের কাছে আসবে। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ১৪৮২)

১৫২১

সহিহ হাদিস
عَنْ عَمَّارٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ : رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ (ﷺ) وَمَا مَعَهُ إِلا خَمْسَةُ أَعْبُدِ وَامْرَأَتَانِ، وَأَبُو بَكْرٍ.

আম্মার বিন ইয়াসির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাথে (মুসলিম হিসাবে) এক সময় মাত্র পাঁচজন ক্রীতদাস, দুইজন মহিলা ও আবু বকরকে দেখেছি। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ১৪৮৩)

১৫২২

সহিহ হাদিস
عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ رَضِيَ الله عَنْهُ قالَ: كُنْتُ جَالِسًا عِنْدَ النَّبِيِّ (ﷺ) إِذْ أَقْبَلَ أَبُو بَكْرٍ آخِذًا بِطَرَفِ ثَوْبِهِ، حَتَّى أَبْدَى عَنْ رُكْبَتِهِ، فَقَالَ النَّبِيُّ (ﷺ) : (أَمَّا صَاحِبُكُمْ فَقَدْ غَامَرَ) فَسَلَّمَ وَقالَ: يا رَسولَ اللهِ إِنَّهُ كَانَ بَيْنِي وَبَيْنَ أَبْنِ الخَطَّابِ شَيْءٌ، فَأَسْرَعْتُ إِلَيْهِ ثُمَّ نَدِمْتُ، فَسَأَلْتُهُ أَنْ يَغْفِرَ لِي فَأَبي عَلَيَّ، فَأَقْبَلتُ إِلَيْكَ، فَقَالَ: (يَغْفِرُ اللَّهُ لَكَ يَا أَبَا بَكْر ثَلَاثًا، ثُمَّ إِنَّ عُمَرَ نَدِمَ فَأَتَى مَنْزِلَ أَبِي بَكْرٍ، فَسَأَلَ : أَثَمَّ أَبُو بَكْرٍ؟ فَقَالُوا : لا ، فَأَتَى إِلَى النَّبِيِّ (ﷺ) فَسَلَّمَ عَلَيْهِ، فَجَعَلَ وَجْهُ النَّبِيِّ (ﷺ) يَتَمَعْرُ، حَتَّى أَشْفَقَ أَبُو بَكْرٍ، فَجَثَا عَلَى رُكْبَتَيْهِ فَقَالَ : يَا رَسُولَ اللهِ، وَالله أَنَّا كُنْتُ أَظْلَمَ ، مَرَّتَيْنِ، فَقَالَ النَّبِيُّ (ﷺ): (إِنَّ اللَّهَ بَعَثَنِي إِلَيْكُمْ فَقُلْتُمْ: كَذَبْتَ، وَقَالَ أَبُو بَكْرٍ : صَدَقَ وَوَاسَانِي بِنَفْسِهِ وَمَالِهِ، فَهَلْ أَنْتُمْ تَارِكُو لِي صَاحِبِي). مَرَّتَيْنِ، فَمَا أُوذِيَ بَعْدَهَا .

আবু দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ একদা আমি নবী রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট বসা ছিলাম। হঠাৎ আবু বকর (রাঃ) তাঁর লুঙ্গির একপাশ এমনভাবে ধরে উপস্থিত হলেন যে, তাঁর জানু পর্যন্ত দেখা যাচ্ছিল। নবী (ﷺ) বললেনঃ তোমাদের এই সাথীটি রাগ করেছে। অতঃপর আবু বকর সালাম করলেন এবং বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল আমার ও উমার ইবনে খাত্তাবের মধ্যে সামান্য ঝগড়া হয়ে গেছে। আমার মনে হয় আমি প্রথমেই তাঁকে কটু কথা বলে ফেলেছি। পরে আমি অনুতপ্ত হয়ে তাঁর কাছে ক্ষমা চাইলাম। কিন্তু তিনি আমাকে ক্ষমা করতে অস্বীকৃতি জানালেন। তাই আমি আপনার কাছে এসেছি। তখন নবী (ﷺ) তিনবার বললেনঃ হে আবু বকর! আল্লাহ্ তোমাকে ক্ষমা করবেন৷

অতঃপর উমার (রাঃ) অনুতপ্ত হয়ে আবু বকরের বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞেস করলেনঃ এখানে আবু বকর আছেন কি? ঘরের লোকেরা বললঃ না। অতঃপর তিনি নবী রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট গিয়ে সালাম দিলেন। উমারকে দেখে নবী রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর চেহারা বিবর্ণ হতে লাগল। এতে আবু বকর ভয় পেয়ে গেলেন এবং নতজানু হয়ে আরয করলেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহর কসম! আমিই অধিকতর অন্যায় আচরণ করেছি। কথাটি দুইবার বললেন। অতঃপর নবী (ﷺ) বললেনঃ “আল্লাহ আমাকে তোমাদের নিকট প্রেরণ করেছেন। তোমরা বলেছঃ তুমি মিথ্যুক। আর আবু বকর বলেছেঃ আপনি সত্যবাদী। সে তাঁর জান-মাল দিয়ে আমাকে সহযোগিতা করেছে। সুতরাং তোমরা কি আমার জন্য আমার সাথীকে কষ্ট দেয়া থেকে বিরত থাকবে না? কথাটি দু'বার বলেছেন। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ১৪৮৪)

১৫২৩

সহিহ হাদিস
عَنْ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ : أَنَّ النَّبِيَّ (ﷺ) بَعَثَهُ عَلَى جَيْشِ ذَاتِ السَّلاسل، فَأَتَيْتُهُ فَقُلْتُ: أَيُّ النَّاسِ أَحَبُّ إِلَيْكَ؟ قَالَ: (عَائِشَةُ). فَقُلْتُ: مِنَ الرِّجالِ؟ فَقَالَ: (أَبُوهَا). قُلْتُ : ثُمَّ مَنْ؟ قالَ: (ثُمَّ عَمَرُ بْنُ الخَطَابِ). فَعَدَّ رِجَالًا .

আমর ইবনে আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ নবী (ﷺ) আমাকে যাতুস্ সালাসিল যুদ্ধে আমীর নিযুক্ত করে পাঠালেন। ফেরত এসে আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলামঃ মানব জাতির মধ্যে কোন্ লোকটি আপনার নিকট অধিক প্রিয়? তিনি বললেনঃ আয়েশা। আমি বললামঃ পুরুষদের মধ্যে হতে কে? তিনি বললেনঃ আয়েশার পিতা। আমি বললামঃ তারপর কে? তিনি বললেনঃ উমার ইবনুল খাত্তাব। অতঃপর তিনি আরো কয়েকজন লোকের নাম উল্লেখ করলেন। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ১৪৮৫)

১৫২৪

সহিহ হাদিস
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْن عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قالَ: قالَ رَسُولُ اللهِ (ﷺ) : (مَنْ جَرَّ ثَوْبَهُ خُيَلاَءَ، لَمْ يَنْظُرِ اللَّهُ إِلَيْهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ). فَقَالَ أَبُو بَكْو: إِنَّ أَحَدَ شِقَّيْ ثَوْبِي يَسْتَرْخِي إِلَّا أَنْ أَتَعَاهَدَ ذلِكَ مِنْهُ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ (ﷺ): (إِنَّكَ لَسْتَ تَصْنَعُ ذَلِكَ خُيَلاء) .

আব্দুল্লাহ্ ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ যে ব্যক্তি অহংকারের সাথে নিজের কাপড় ঝুলিয়ে মাটিতে টেনে টেনে চলে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ তার দিকে (রহমতের দৃষ্টিতে) তাকাবেন না। এ কথা শুনে আবু বকর (রাঃ) বললেনঃ বিশেষভাবে লক্ষ্য না রাখলে আমার কাপড়ের এক পার্শ্ব যে ঝুলে পড়ে? নবী (ﷺ) বললেনঃ তুমি তো এটা অহংকার বশতঃ করছনা। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ১৪৮৬)

১৫২৫

সহিহ হাদিস
عَنْ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِي رَضِيَ اللهُ عَنْهُ : أَنَّهُ تَوَضَّأَ فِي بَيْتِهِ، خَرَجَ ، قالَ : فَقُلْتُ : لأَلْزَمَنَّ رَسُولَ اللَّهِ وَلا كُونَنَّ مَعَهُ يَوْمِي هَذَا، قَالَ: فَجَاءَ المَسْجِدَ، فَسَأَلَ عَنِ النَّبِيِّ (ﷺ) فَقَالُوا : خَرَجَ وَوَجَّه هَا هُنَا، فَخَرَجْتُ عَلَى إِثْرِهِ، أَسْأَلُ عَنْهُ، حَتَّى دَخَلَ بِثْرَ أرِيسٍ، فَجَلَسْتُ عِنْدَ البَابِ، وَبَابُهَا مِنْ جَرِيدٍ، حَتَّى قَضَى رَسُولُ اللَّهِ (ﷺ) حَاجَتَهُ فَتَوَضَّأَ فَقُمْتُ إِلَيْهِ، فَإِذَا هُوَ جَالِسٌ عَلَى بِثْرِ أَرِيسٍ وَتَوَسَّطَ قُفَّهَا، وَكَشَفَ عَنْ سَاقَيْهِ وَدَلَاهُمَا فِي الْبِثْرِ، فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ، ثُمَّ انْصَرَفْتُ فَجَلَسْتُ عِنْدَ البَابِ، فَقُلْتُ : لَأَكُونَنَّ بَوَّابَ رَسُولِ اللهِ (ﷺ) الْيَوْمَ فَجَاءَ أَبُو بَكْرٍ فَدَقَ الْبَابَ، فَقُلْتُ : مَنْ هَذَا؟ فَقَالَ: أَبُو بَكْرٍ، فَقُلْتُ: عَلَى رِسْلِكَ، ثُمَّ ذَهَبْتُ، فَقُلْتُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَذَا أَبُو بَكْرٍ يَسْتَأْذِنُ؟ فَقَالَ: (الذَنْ لَهُ وَبَشِّرْهُ بِالجَنَّةِ). فَأَقْبَلْتُ حَتَّى قُلْتُ لِأَبِي بَكْرٍ : ادْخُلْ، وَرَسُولُ اللَّهِ (ﷺ) يُبَشِّرُكَ بِالجَنَّةِ، فَدَخَلَ أَبُو بَكْرٍ فَجَلَسَ عَنْ يَمِينِ رَسُولِ اللهِ (ﷺ) مَعَهُ فِي الْقُفٌ، وَدَلَّى رِجْلَيْهِ فِي الْبِثْرِ كَمَا صَنَعَ النَّبِيُّ (ﷺ) ، وَكَشَفَ عَنْ سَاقَيْهِ، ثُمَّ رَجَعْتُ فَجَلَسْتُ، وَقَدْ تَرَكْتُ أَخِي يَتَوضَّأُ وَيَلْحَقُنِي، فَقُلْتُ: إِنْ يُرِدِ اللهُ بِفُلانٍ خَيْرًا - يُرِيدُ أَخَاهُ - يَأْتِ بِهِ، فَإِذَا إِنْسانٌ يُحَرِّكُ الْبَابَ، فَقُلْتُ: مَنْ هذَا؟ فَقَالَ: عُمَرُ بْنُ الخَطَّابِ، فَقُلْتُ عَلَى رِسْلِكَ، ثُمَّ جِئْتُ إِلَى رَسُولِ اللهِ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ، فَقُلْتُ : هَذَا عُمَرُ بْنُ الخَطَّابِ يَسْتَأْذِنُ؟ فَقَالَ: انْذَنَ لَهُ وَبَشِّرْهُ بِالجَنَّةِ). فَجِئْتُ فَقُلْتُ: ادْخُلُ، وَبَشَّرَكَ رَسُولُ اللَّهِ (ﷺ) بِالجَنَّةِ، فَدَخَلَ فَجَلَسَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ (ﷺ) فِي الْقُفْ عَنْ يَسَارِهِ، وَدَلَّى رِجْلَيْهِ فِي الْبِثْرِ، ثُمَّ. رَجَعْتُ فَجَلَسْتُ، فَقُلْتُ: إِنْ يُرِدِ اللهُ بِفُلانٍ خَيْرًا يَأْتِ بِهِ، فَجَاءَ إِنْسَانٌ يُحَرِّكُ الْبَابَ ، فَقُلْتُ : مَنْ هَذَا؟ فَقَالَ : عُثْمَانُ ابْنُ عَفَّانَ، فَقُلْتُ عَلَى رِسْلِكَ، فَجِئْتُ إِلَى رَسُولِ اللهِ (ﷺ) فَأَخْبَرْتُهُ، فَقَالَ: أنْذَنْ لَهُ وَبَشِّرْهُ بِالجَنَّةِ، عَلَى بَلْوَى تُصِيبُهُ) فَجِئْتُهُ فَقُلْتُ لَهُ: ادْخُلْ وَبَشَّرَكَ رَسُولُ اللَّهِ (ﷺ) بِالجَنَّةِ، عَلَى بَلْوَى تُصِيبُكَ، فَدَخَلَ فَوَجَدَ الْقُفَّ قَدْ مُلِي ، فَجَلَسَ وِجَاهَهُ مِنَ الشَّقِّ الآخَرِ .

আবু মুসা আশআরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি একদা স্বীয় গৃহে অযু করে বের হলেন। তিনি বলেনঃ আমি মনে মনে বললামঃ আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে যাব এবং আজকের দিনটি তাঁর সাথে থেকেই কাটাব। তিনি মসজিদে এসে নবী (ﷺ) সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। লোকেরা বললঃ তিনি বের হয়ে ঐ দিকে গেছেন। তখন তাঁর সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতে করতে তাঁর গমণ পথে বের হলাম৷ তিনি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়ার জন্যে আরীস কূপের নিকটস্থ একটি বাগানে পৌঁছলেন। তখন বাগানের দরজায় বসে গেলাম। দরজাটি ছিল খেজুর গাছের শাখা দিয়ে তৈরী। অতঃপর নবী (ﷺ) প্রয়োজন শেষ করে অযু করলেন। তখন আমি তাঁর নিকট গেলাম। গিয়ে দেখলাম, তিনি আরীস কূপের একপারে মাঝামাঝি একটি উঁচু স্থানে বসে দু'পায়ের গোছা উন্মুক্ত করে তা কূপের মধ্যে ঝুলিয়ে রেখেছেন। আমি তাঁকে সালাম করলাম। তারপর ফিরে গিয়ে আবার দরজায় বসে গেলাম এবং মনে মনে বললামঃ আজ আমি অবশ্যই রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর দারোয়ান হিসাবে থাকব।

তারপর আবু বকর এসে দরজায় আঘাত করলেন। আমি বললামঃ কে? তিনি বললেনঃ আবু বকর। আমি বললামঃ অপেক্ষা করুন। তারপর আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট গিয়ে বললামঃ হে আল্লাহর রাসূল! আবু বকর প্রবেশের অনুমতি চাচ্ছেন। নবী (ﷺ) বললেনঃ তাঁকে আসার অনুমতি দাও এবং তাঁকে জান্নাতের সুসংবাদ দাও। আমি আবু বকর (রাঃ) এর কাছে এসে বললামঃ আপনি প্রবেশ করুন। রাসূল (ﷺ) আপনাকে জান্নাতের সুসংবাদ দিচ্ছেন। আবু বকর (রাঃ) বাগানে প্রবেশ করে রাসূল রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর ডান পাশে কৃপের পারে বসে পড়লেন এবং রাসূল রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর মতই দু'পায়ের গোছা উন্মুক্ত করে তা কূপের মধ্যে ঝুলিয়ে দিলেন। আবু মুসা আশআরী বলেনঃ আমি পুনরায় দরজার নিকট গিয়ে বসে পড়লাম। আমি বাড়ি থেকে বের হয়ে আসার সময় আমার ভাইকে (আবু দারদাকে) অযু করা অবস্থায় রেখে এসেছি। সেও আমার সাথে আসার কথা ছিল। আমি মনে মনে বললামঃ আল্লাহ্ যদি তাঁর কল্যাণ চান, তাহলে আল্লাহ্ তাআলা অবশ্যই তাকে এখানে নিয়ে আসবেন। এমন সময় হঠাৎ একজন লোক দরজা নাড়াতে লাগল। আমি বললামঃ কে? তিনি বললেনঃ উমার ইবনুল খাত্তাব।

আমি বললামঃ অপেক্ষা করুন। তারপর আমি রাসূল রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট গিয়ে সালাম দিলাম এবং বললামঃ হে আল্লাহর রাসূল! উমার (রাঃ) প্রবেশের অনুমতি চাচ্ছেন। নবী সান্নাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ তাঁকে আসার অনুমতি দাও এবং তাঁকে জান্নাতের সুসংবাদ দাও। আমি উমার (রাঃ) এর কাছে এসে বললামঃ আপনি প্রবেশ করুন। রাসূল (ﷺ) আপনাকে জান্নাতের সুসংবাদ দিচ্ছেন। উমার (রাঃ) বাগানে প্রবেশ করে রাসূল সান্নাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাম পাশে কূপের পারে বসে পড়লেন এবং তাঁর পা দু'টি কূপের মধ্যে ঝুলিয়ে দিলেন।

আবু মুসা আশআরী বলেনঃ আমি মনে মনে বললামঃ আল্লাহ্ যদি তাঁর কল্যাণ চান, তাহলে আল্লাহ্ তাআলা অবশ্যই তাকে এখানে নিয়ে আসবেন। এমন সময় হঠাৎ আরো একজন লোক দরজা নড়াতে লাগল। আমি বললামঃ কে? তিনি বললেনঃ উছমান বিন আফ্ফান। আমি বললামঃ অপেক্ষা করুন। তারপর আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট গিয়ে বললামঃ হে আল্লাহর রাসূল! উছমান (রাঃ) প্রবেশের অনুমতি চাচ্ছেন। নবী (ﷺ) বললেনঃ তাঁকে আসার অনুমতি দাও এবং তাঁকে জান্নাতের সুসংবাদ দাও। আর বলে দাও দুনিয়াতে তাঁর উপর কঠিন বিপদ আসবে। আমি তাঁর কাছে এসে বললামঃ আপনি প্রবেশ করুন। রাসূল (ﷺ) আপনাকে জান্নাতের সুসংবাদ দিচ্ছেন আর বলছেনঃ দুনিয়াতে আপনার উপর কঠিন বিপদ আসবে। তিনি বাগানে প্রবেশ করে দেখলেন কূপের ঐ পারটি পূর্ণ হয়ে গেছে। তাই তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সান্নামের দিকে মুখ করে কূপের অপর পারে বসে পড়লেন। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ১৪৮৭)

১৫২৬

সহিহ হাদিস
عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قالَ: قالَ النَّبِيُّ (ﷺ): (لا تسبوا أَصْحَابِي، فَلَوْ أَنَّ أَحَدَكُمْ أَنْفَقَ مِثْلَ أُحُدٍ ذَهَبًا ، مَا بَلَغَ مُدَّ أَحَدِهِمْ وَلَا نَصِيفَهُ).

আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (ﷺ) বলেনঃ তোমরা আমার সাহাবীদেরকে গালি দিওনা। কেননা তোমাদের কেউ যদি উহুদ পাহাড়ের সমপরিমাণ স্বর্ণও আল্লাহর পথে ব্যয় করে, তবুও আমার কোন একজন সাহাবীর এক মুদ কিংবা আধা মুদ খাদ্য দ্রব্য দান করার ছাওয়াব পর্যন্ত পৌঁছতে পারবে না। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ১৪৮৮)
টিকাঃ এক মুদ্র সমান প্রায় আধা কিলোগ্রাম মাত্র। আল্লাহর নিকট সাহাবীদের আমলের ওজন কত ছিল এখান থেকে তা সহজেই অনুমেয়।

১৫২৭

সহিহ হাদিস
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ : أَنَّ النَّبِيَّ (ﷺ) صَعِدَ أُحُدًا، وَأَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَعُثْمَانُ، فَرَجَفَ بِهِمْ، فَقَالَ : اثْبُتْ أُحُدُ، فَإِنَّمَا عَلَيْكَ نَبِيٌّ وَصِدِّيقُ، وَشَهِيدَانِ).

আনাস বিন মালেক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদা নবী (ﷺ), আবু বকর, উমার এবং উছমান (রাঃ) উহুদ পাহাড়ের উপর আরোহণ করলে পাহাড় তাদেরকে নিয়ে কাঁপতে লাগল। তিনি বললেনঃ উহুদ স্থির হও। কারণ তোমার উপর একজন নবী, একজন সিদ্দীক ও দু'জন শহীদ রয়েছেন। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ১৪৮৯)

১৫২৮

সহিহ হাদিস
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ الله عَنْهُمَا ، قَالَ : إِنِّي لَوَاقِفٌ في قوم، نَدْعَوُ اللَّهَ لِعُمَرَ بْنِ الخَطَّابِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ، وَقَدْ وُضِعَ عَلَى سَرِيرِهِ، إِذا رَجُلٌ مِنْ خَلْفِي قَدْ وَضَعَ مِرْفَقَهُ عَلَى مَنْكِبِي يَقُولُ : رَحِمَكَ اللَّه ، إِنِّي كُنْتُ لأَرْجُو أَنْ يَجْعَلَكَ اللَّهُ مَعَ صَاحِبَيْكَ، لِأَنِّي كَثِيرًا مِمَّا كُنْتُ أَسْمَعُ رَسُولَ اللَّهِ (ﷺ) يَقُولُ : كُنْتُ أَنَا وَأَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ، وَفَعَلْتُ وَأَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ، وَانْطَلَقْتُ وَأَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ ) . فَإِنْ كُنْتُ لأَرْجُو أَنْ يَجْعَلَكَ اللَّهُ مَعَهُمَا ، فَالْتَفَتُ ، فَإِذَا هُوَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ.

আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমি একদল লোকের মধ্যে দাঁড়িয়েছিলাম। লোকেরা সকলেই উমার ইবনুল খাত্তাবের জন্যে আল্লাহর কাছে দুআ করছিল। তখন তাঁর লাশ খাটের উপর রাখা ছিল। এমন সময় আমার পেছন থেকে একজন লোক তাঁর কনুই আমার কাঁধের উপর রেখে উমার (রাঃ) কে লক্ষ্য করে বলতে লাগলঃ আল্লাহ্ আপনার উপর রহম করুন। নিঃসন্দেহে আমি এ আশাই করছিলাম যে, আল্লাহ্ আপনাকে আপনার সাথীদ্বয়ের সাথেই রাখবেন। কেননা আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে প্রায়ই এরূপ বলতে শুনতামঃ আমি, আবু বকর ও উমার (রাঃ) একসাথে ছিলাম। আমি, আবু বকর ও উমার (রাঃ) একসাথে করেছি। আমি, আবু বকর ও উমার (রাঃ) এক সাথে যাত্রা করেছি। তাই আমি আশা করেছিলাম যে, আল্লাহ্ আপনাকে তাদের দু'জনের সাথেই রাখবেন। ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেনঃ আমি পিছনে ফিরে তাকিয়ে আলী ইবনে আবু তালিবকে দেখতে পেলাম। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ১৪৯০)
৫৬/ পরিচ্ছেদঃ উমার বিন খাত্তাব (রাঃ) এর ফজীলত

১৫২৯

সহিহ হাদিস
عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قالَ: قالَ النَّبِيُّ (ﷺ): (رَأَيْتُنِي دَخَلْتُ الْجَنَّةَ، فَإِذَا أَنَا بِالرُّمَيْصَاءِ، أَمْرَأَةِ أَبِي طَلْحَةَ، وَسَمِعْتُ خَشَفَةٌ، فَقُلْتُ : مَنْ هَذَا؟ فَقَالَ: هَذَا بِلاَلٌ، وَرَأَيْتُ قَصْرًا بِفِنَائِهِ جَارِيَةٌ، فَقُلْتُ: لِمَنْ هُذَا؟ فَقَالُوا : لِعُمَرَ، فَأَرَدْتُ أَنْ أَدْخُلَهُ فَأَنْظُرَ إِلَيْهِ ، فَذَكَرْتُ غَيْرَتَكَ). فَقَالَ عُمَرُ : بِأَبِي وَأُمِّي يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَعَلَيْكَ أَغَارُ.

জাবের বিন আব্দুল্লাহ্ থেকে বর্ণিতঃ

নবী (ﷺ) বলেনঃ একদা আমি স্বপ্নে দেখলামঃ আমি যেন জান্নাতে প্রবেশ করেছি। সেখানে আমি আবু তালহার স্ত্রী রুমায়সাকে দেখতে পেলাম এবং একজন মানুষের পথ চলার আওয়াজ শুনে জিজ্ঞেস করলামঃ এই ব্যক্তি কে? কেউ উত্তর দিল যে, ইনি হলেন বেলাল (রাঃ)। আর আমি সেখানে একটি প্রাসাদও দেখতে পেলাম, যার আঙ্গিনায় একজন কিশোরী বসা ছিল। আমি জিজ্ঞেস করলামঃ এই প্রাসাদটি কার? একজন বললঃ এটি উমারের। আমার ইচ্ছা হয়েছিল যে, প্রাসাদে প্রবেশ করে একবার দেখে নেই। কিন্তু হে উমার ! তোমার আত্মাভিমানের (রাগান্বিত হওয়ার) কথা আমার মনে পড়ে গেল। (তাই আমি আর প্রাসাদে প্রবেশ করলাম না) উমার (রাঃ) তখন বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমার পিতামাতা আপনার জন্য কোরবান হোক। আমি কি আপনার প্রতি আত্মাভিমান দেখাতে (রাগ করতে) পারি? (আলোকিত প্রকাশনীঃ ১৪৯১)

১৫৩০

সহিহ হাদিস
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ : أَنَّ رَجُلًا سَأَلَ النَّبِيَّ (ﷺ) عَنِ السَّاعَةِ، فَقَالَ : مَتى السَّاعَةُ؟ قَالَ: (وَمَاذَا أَعْدَدْتَ لَهَا؟ قَالَ: لاَ شَيْءَ، إِلا أَنِّي أُحِبُّ اللهَ وَرَسُولَهُ ، فَقَالَ : أَنْتَ مَعَ مَنْ أَحْبَبْتَ . قَالَ أَنَسٌ : فَمَا فَرِحْنَا بِشَيْءٍ فَرَحَنَا بِقَوْلِ النَّبِيِّ (ﷺ): (أَنْتَ مَعَ مَنْ أَحْبَبْتَ . قالَ أَنَسٌ : فَأَنَا أُحِبُّ النَّبِيَّ (ﷺ) وَأَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ، وَأَرْجُو أَنْ أكُونَ مَعَهُمْ بِحُبِّي إِيَّاهُمْ، وَإِنْ لَمْ أَعْمَلْ بِمِثْلِ أَعْمَالِهِمْ .

আনাস বিন মালেক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে জিজ্ঞেস করলঃ কিয়ামত কখন হবে? উত্তরে তিনি বললেনঃ কিয়ামতের জন্য তুমি কি প্রস্তুতি নিয়েছ? সে বললঃ কিছুই না, তবে আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলকে ভালবাসি। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ তুমি কিয়ামতে তার সাথেই থাকবে, যাকে তুমি ভালবাস। আনাস (রাঃ) বলেনঃ আমরা কোন বিষয়েই ততটা আনন্দিত হয়নি, যতটা আনন্দিত হয়েছি রাসূল (ﷺ)-এর উক্ত কথায়: “ভূমি কিয়ামতে তার সাথেই থাকবে, যাকে তুমি ভালবাস”। আনাস বলেনঃ আমি নবী ((ﷺ) আবু বকর ও উমারকে ভালবাসি। তাদেরকে ভালবাসার কারণে আমি আশা করি কিয়ামতের দিন তাদের সাথেই থাকব। যদিও আমি তাদের আমলের মত আমল করতে পারি নি। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ১৪৯২)

১৫৩১

সহিহ হাদিস
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قالَ: قالَ النَّبِيُّ (ﷺ): (لَقَدْ كَانَ فِيمَنْ كانَ قَبْلَكُمْ مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ رِجَالٌ، يُكَلَّمُونَ مِنْ غَيْرِ أَنْ يَكُونُوا أَنْبِيَاءَ، فَإِنْ يَكُنْ مِنْ أُمَّتِي مِنْهُمْ أَحَدٌ فَعُمَرُ).

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (ﷺ) বলেনঃ তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মাতদের মধ্যে কিছু লোক এমন ছিল যে, যাদেরকে আল্লাহর তরফ থেকে কিছু কথা বলা হত। অথচ তারা নবী ছিলেন না। আমার উম্মাতের মধ্যে তাদের মত কেউ থাকলে তিনি উমারই হবেন। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ১৪৯৩)
৫৬/ পরিচ্ছেদঃ উছমান বিন আফ্ফান (রাঃ) এর ফজীলত

১৫৩২

সহিহ হাদিস
عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا : أَنَّهُ جَاءَهُ رَجُلٌ مِنْ أَهْل مِصْرَ فَقَالَ لَهُ : هَلْ تَعْلَمُ أَنَّ عُثْمَانَ فَرَّ يَوْمَ أُحُدٍ؟ قالَ : نَعَمْ . فَقَالَ: تَعْلَمُ أَنَّهُ تَغَيَّبَ عَنْ بَدْرٍ وَلَمْ يَشْهَدْ؟ قَالَ: نَعَمْ قالَ: تَعْلَمُ أَنَّهُ تَغَيَّبَ عَنْ بَيْعَةِ الرَّضْوَانِ فَلَمْ يَشْهَدْهَا؟ قَالَ : نَعَمْ قالَ: اللَّهُ أَكْبَرُ . قالَ ابْنُ عُمَرَ : تَعَالَ أُبَيِّنْ لَكَ، أَمَّا فِرَارُهُ يَوْمَ أُحُدٍ ، فَأَشْهَدُ أَنَّ اللَّهَ عَفَا عَنْهُ وَغَفَرَ لَهُ، وَأَمَّا تَغَيَّبُهُ عَنْ بَدْرٍ فَإِنَّهُ كَانَتْ تَحْتَهُ بِنْتُ رَسُولِ اللَّهِ (ﷺ) وَكَانَتْ مَرِيضَةً، فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ (ﷺ): (إِنَّ لَكَ أَجْرَ رَجُلٍ مِمَّنْ شَهِدَ بَدْرًا وَسَهْمَهُ) وَأَمَّا تغيبه عَنْ بَيْعَةِ الرَّضْوَانِ، فَلَوْ كَانَ أَحَدٌ أَعَزَّ بِبَطْنِ مَكَّةَ مِنْ عُثْمَانَ لَبَعَثَهُ مَكَانَهُ، فَبَعَثَ رَسُولُ اللهِ (ﷺ) عُثمَانَ، وَكَانَتْ بَيْعَةُ الرَّضْوَانِ بَعْدَ مَا ذَهَبَ عُثْمَانُ إِلَى مَكَّةَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ (ﷺ) بِيَدِهِ الْيُمْنَى : ( هَذِهِ يَدُ عُثْمَانَ). فَضَرَبَ بِهَا عَلَى يَدِهِ، فقَالَ : هَذِهِ لِعُثْمَانَ). فَقَالَ لَهُ ابْنُ عمرَ : اذْهَبْ بِهَا الآنَ مَعَكَ.

আব্দুল্লাহ্ ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তাঁর কাছে মিশরবাসীদের কোন এক লোক এসে বললঃ আপনার কি জানা আছে যে, উছমান (রাঃ) উহুদ যুদ্ধের দিন পলায়ন করেছিল? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, আমার জানা আছে। মিশরী আবার বললেনঃ আপনার জানা আছে কি উছমান বদরের যুদ্ধে অনুপস্থিত ছিলেন? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, জানি। মিশরী লোকটি পুনরায় জিজ্ঞেস করলঃ আপনি জানেন কি তিনি বায়আতে রিযওয়ানেও হাজির হন নি? ইবনে উমার (রাঃ) বললেনঃ হ্যাঁ।

লোকটি যেহেতু উছমান (রাঃ) এর শত্রুপক্ষের ছিল, তাই সে বললঃ আল্লাহু আকবার! ইবনে উমার তখন বললেনঃ কাছে এসো। প্রকৃত ব্যাপার তোমাকে খুলে বলছি। প্রথমতঃ উহুদ যুদ্ধের দিন তাঁর পলায়নের ব্যাপার সম্পর্কে আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ্ তাআলা তাঁর ঐ ব্যাপারটি মিটিয়ে দিয়েছেন এবং তাঁকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। আর বদরের যুদ্ধের দিন তাঁর অনুপস্থিত থাকার ব্যাপারে কথা হল রাসূল রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কন্যা রুকাইয়া উছমান (রাঃ) এর স্ত্রী ছিলেন। তিনি অসুস্থ ছিলেন।

রাসূল (ﷺ) তাঁকে রোগীর সেবা করার জন্যে মদীনায় থেকে যাওয়ার অনুমতি দিয়ে বলেছিলেনঃ বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী একজন মুজাহিদের সমপরিমাণ ছাওয়াব ও গণীমতের অংশ তুমি পাবে। বাইআতুর রিয়ানের সময় উছমান (রাঃ) হাজির না থাকার বিষয়ে কথা হল মক্কার অধিবাসীদের নিকট উছমানের চেয়ে অধিকতর সম্মানিত ব্যক্তি যদি থাকত, তবে উছমানের স্থলে নিশ্চয়ই তাকেই পাঠাতেন। সুতরাং নবী (ﷺ) উছমানকে পাঠালেন। আর বাইআতুর রিয়ান সংঘটিত হয় উছমান (রাঃ) মক্কা অভিমুখে যাত্রা করার করার পর। নবী (ﷺ) ডান হাতের দিকে ইঙ্গিত করে বললেনঃ এটি হচ্ছে উছমানের হাত। তারপর তিনি ঐ হাতটি তাঁর অপর হাতের উপর রেখে বললেনঃ এই বাইআতটি হচ্ছে উছমানের। অতঃপর ইবনে উমার (রাঃ) লোকটিকে বললেনঃ এবার তুমি এই বিবরণটি সাথে নিয়ে যেতে পার। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ১৪৯৪)
৫৬/ পরিচ্ছেদঃ আলী বিন আবী তালেব (রাঃ) এর ফজীলত

১৫৩৩

সহিহ হাদিস
عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ : أَنَّ فَاطِمَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا شَكَتْ مَا تَلْقَى مِنْ أَثَرِ الرَّحَى، فَأَتَى النَّبِيَّ (ﷺ) سَبي، فَانْطَلَقَتْ فَلَمْ تَجِدْهُ فَوَجَدَتْ عَائِشَةَ فَأَخْبَرَتْهَا ، فَلَمَّا جَاءَ النَّبِيُّ (ﷺ) أَخْبَرَتْهُ عَائِشَةُ بِمَجِيء فَاطِمَةَ، فَجَاءَ النَّبِيُّ (ﷺ) إِلَيْنَا وَقَدْ أَخَذْنَا مَضَاجِعَنَا، فَذَهَبْتُ لأقومَ ، فَقَالَ: (عَلَى مَكَانِكُمَا). فَقَعَدَ بَيْنَنَا، حَتَّى وَجَدْتُ بَرْدَ قَدَمَيْهِ عَلَى صَدْرِي، وَقالَ : أَلا أُعَلِّمُكُمَا خَيْرًا مِمَّا سَأَلْتُمَانِي، إِذَا أَخَذْتُمَا مَضَاجِعَكُمَا، تكبرا أَرْبَعًا وَثَلاثِينَ، وَتُسَبِّحَا ثَلَاثًا وَثَلاثِينَ، وَتَحْمَدَا ثَلَاثًا وَثَلاثِينَ، فَهُوَ خَيْرٌ لَكُمَا مِنْ خَادِم .

আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ যাঁতা চালাবার কারণে ফাতিমা (রাঃ) তাঁর কষ্ট সম্পর্কে একদা অভিযোগ করলেন। সে সময় নবী রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট কিছু যুদ্ধবন্দী এসে পৌঁছলে ফাতেমা তাঁর কাছে গেলেন। কিন্তু তাঁকে গৃহে না পেয়ে আয়েশাকে পেয়ে তাঁকেই বলে দিলেন। অতঃপর নবী (ﷺ) যখন আসলেন তখন আয়েশা (রাঃ) ফাতেমার আগমণ সম্পর্কে তাঁকে অবহিত করলেন।

আলী (রাঃ) বলেনঃ অতঃপর নবী (ﷺ) আমাদের নিকট হাজির হলেন। তখন আমরা নিজেদের বিছানায় শুয়ে পড়েছিলাম। আলী (রাঃ) বলেনঃ আমি উঠতে যাচ্ছিলাম। কিন্তু তিনি বললেনঃ তোমরা উভয়ে নিজ নিজ স্থানে থাক। তিনি আমাদের উভয়ের মাঝে এমনভাবে বসে পড়লেন যে, আমি আমার বক্ষস্থলে তাঁর পদদ্বয়ের শীতলতা অনুভব করলাম। এরপর তিনি বললেনঃ তোমরা আমার নিকট যা চেয়েছ তার চেয়ে উত্তম কিছু কি আমি তোমাদেরকে শিক্ষা দিবনা? তোমরা যখন নিদ্রার জন্যে শয্যা গ্রহণ করবে তখন চৌত্রিশবার আল্লাহু আকবার, তেত্রিশ বার সুবহানাল্লাহ্ এবং তেত্রিশবার আল্ হামদুলিল্লাহ্ পাঠ করবে। এই আমলটি তোমাদের জন্যে খাদেম অপেক্ষা উত্তম। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ১৪৯৫)

১৫৩৪

সহিহ হাদিস
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ : كُنْتُ يَوْمَ الْأَحْزَابِ جُعِلْتُ أَنَا وَعُمَرُ ابْنُ أَبِي سَلَمَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا فِي النِّسَاءِ، فَنَظَرْتُ فَإِذَا أَنَا بِالزُّبَيْرِ عَلَى فَرَسِهِ يَخْتَلِفُ إِلَى بَنِي فُرَيْظَةَ مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاثًا ، فَلَمَّا رَجَعْتُ قُلْتُ : يَا أَبَتِ رَأَيْتُكَ تَخْتَلِفُ؟ قالَ: أَوَ هَلْ رَأَيْتَنِي يَا بُنَيَّ؟ قُلْتُ : نَعَمْ، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ (ﷺ) قالَ : مَنْ يَأْتِ بَنِي قُرَيْظَةَ فَيَأْتِينِي بِخَبَرِهِمْ ؟ فَانْطَلَقْتُ، فَلَمَّا رَجَعْتُ جَمَعَ لِي رَسُولُ اللَّهِ (ﷺ) أَبَوَيْهِ فَقَالَ: (فِدَاكَ أَبِي وَأُمِّي).

আব্দুল্লাহ্ ইবনে যুবায়ের (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ খন্দকের যুদ্ধের সময় আমাকে ও আবু সালামার পুত্র উমারকে মহিলাদের দেখা-শুনো করার জন্য নিযুক্ত করা হয়েছিল। সে সময় আমি যুবাইরকে তাঁর ঘোড়ায় চড়ে বনু কুরায়যার দিকে দু'তিনবার যেতে দেখলাম৷ পরে যখন আমি ফিরে আসলাম তখন বললামঃ হে আমার পিতা! আমি আপনাকে যাতায়াত করতে দেখেছিলাম। তিনি বললেনঃ হে পুত্র! তুমি কি আমাকে দেখেছিলে? আমি বললামঃ হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছিলেনঃ এমন কে আছে যে, বনী কুরায়া গোত্রে গিয়ে আমাকে তাদের খবর এনে দিতে পারবে? এ জন্যেই আমি গিয়েছিলাম। অতঃপর আমি যখন ফিরে আসলাম তখন রাসূল (ﷺ) তাঁর পিতামাতা উভয়কে একত্রে উল্লেখ করে আমার উদ্দেশ্যে বললেনঃ আমার পিতা ও আমার মাতা তোমার জন্য কোরবান হোক। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ১৪৯৬)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন