তিনি বলেনঃ একদা ফযল বিন আব্বাস নবী রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর পিছনে একই বাহনে বসা ছিলেন। তখন খাছআম গোত্রের জনৈক মহিলা আগমণ করলে ফযল তার দিকে তাকাতে লাগল এবং মহিলাটিও ফযলের দিকে তাকাচ্ছিল। নবী (ﷺ) ফযলের চেহারা অন্য দিকে ঘুরিয়ে দিচ্ছিলেন। মহিলাটি প্রশ্ন করলঃ হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহ কর্তৃক বান্দার উপর আরোপিত হজ্জ আমার বৃদ্ধ পিতার উপর ফরয হয়েছে। কিন্তু তিনি বাহনের উপর বসতে পারেন না। আমি কি তাঁর পক্ষ হতে হজ্জ করব? উত্তরে নবী (ﷺ) বললেনঃ হ্যাঁ। আর এটি ছিল বিদায় হজ্জের ঘটনা। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ৭৫৭)

তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যুল-হুলায়ফার বাতহা নামক স্থানে (ইহরাম বাঁধার জন্য) উট বসালেন। তিনি সেখানে নামায আদায় করলেন। আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) এ রকমই করতেন। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ৭৬৩)

তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে যুল- হুলায়ফা নামক স্থানে সাওয়ারীতে আরোহন করতে দেখেছি। সাওয়ারী যখন তাঁকে নিয়ে ঠিক হয়ে দাঁড়াত তখন তিনি তালবীয়া পাঠ করতেন। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ৭৫৮)

তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উটের উপর আরোহন করে হজ্জ করেছেন। তাঁর সফর সামগ্রী উটের উপরই ছিল। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ৭৫৯)

তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের ধারণা জেহাদ করা সবচেয়ে উত্তম আমল। আমরা কি জেহাদ করবো না? তিনি বললেনঃ না। উত্তম জেহাদ হচ্ছে হজ্জে মাবরুর। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ৭৬০)

তিনি বলেনঃ আমি নবী (ﷺ) কে বলতে শুনেছি, “যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য হজ্জ করবে, অতঃপর স্ত্রী সহবাসে লিপ্ত হবেনা এবং পাপাচারে লিপ্ত হবেনা, সে এমন নিষ্পাপ অবস্থায় ফিরে আসবে যেমন তার মাতা তাকে ভূমিষ্ট করেছিল।” (আলোকিত প্রকাশনীঃ ৭৬১)