hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুখতাসার সহীহ আল-বুখারী

১৬. কিতাবুল কুসুফ (সূর্যগ্রহণের বর্ণনা)

مختصر صحيح البخاري

১৬/ পরিচ্ছেদঃ সূর্যগ্রহণের নামায

৫৬১

সহিহ হাদিস
عَنْ أَبِي بَكْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ :كُنَّا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ (ﷺ) فَانْكَسَفَتِ الشَّمْسُ فَقَامَ النَّبِيُّ (ﷺ) يَجُرُّ رِدَاءَهُ حَتَّى دَخَلَ المَسْجِدَ، فَدَخَلْنَا، فَصَلَّى بِنَا رَكْعَتَيْنِ حَتَّى انْجَلَتِ الشَّمْسُ، فَقَالَ : (إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ لَا يَنْكَسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ، فَإِذَا رَأَيْتُمُوهُمَا فَصَلُّوا وَادْعُوا، حَتَّى يُكْشَفَ ما بِكُمْ). وفي رواية عَنْهُ قَالَ: (وَلَكِنَّ اللَّهَ تَعَالَى يُخَوِّفُ بِهِمَا عِبَادَهُ) . وتكرر حديث الكسوف كثيرًا ففي رواية عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ : كَسَفَتِ الشَّمْسُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللهِ (ﷺ) يَوْمَ مَاتَ إِبْرَاهِيمُ، فَقَالَ النَّاسُ : كَسَفَتِ الشَّمْسُ لِمَوْتِ إِبْرَاهِيمَ، فَقَالَ رَسُولُ اللهِ (ﷺ): (إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ لاَ يَنْكَسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلَا لِحَيَاتِهِ، فَإِذَ رَأَيْتُمْ فَصَلُّوا وَادْعُوا الله).

আবু বাকরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমরা একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট অবস্থান করছিলাম। এ সময় সূর্যগ্রহণ শুরু হল। তখন নবী (ﷺ) উঠে চাদর টানতে টানতে মসজিদে প্রবেশ করলেন। আমরাও প্রবেশ করলাম। তিনি আমাদেরকে নিয়ে দু'রাকআত নামায আদায় করলেন। ততক্ষণে সূর্য পরিষ্কার হয়ে গেল। নবী (ﷺ) তখন বললেনঃ নিশ্চয়ই কারো মৃত্যুর কারণে সূর্যগ্রহণ বা চন্দ্রগ্রহণ হয়না। সুতরাং তোমরা যখন সূর্যগ্রহণ বা চন্দ্ৰগহণ লাগতে দেখবে তখন নামায আদায় কর এবং আল্লাহর কাছে দু'আ কর। যতক্ষণ না তোমাদের থেকে উহা (অন্ধকার) উঠিয়ে নেয়া হয়।

আবু বাকরার অপর বর্ণনায় এসেছে, সূর্যগ্রহণ বা চন্দ্রগ্রহণের মাধ্যমে আল্লাহ তাঁর বান্দাদেরকে ভয় দেখান৷

সূর্য গ্রহণের হাদীছ সহীহ বুখারীতে অনেকবার বর্ণিত হয়েছে। মুগীরা বিন শু'বা (রাঃ) হতে এক বর্ণনায় এসেছে, নবী (ﷺ)-এর যামানায় যেদিন তাঁর পুত্র ইবরাহীম ইন্তেকাল করলেন, সে দিন সূর্যগ্রহণ হল। এতে লোকেরা বলতে লাগলঃ ইবরাহীম মৃত্যু বরণ করার কারণে সূর্যগ্রহণ লেগেছে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তখন বললেনঃ কারো মৃত্যু ও জন্মের কারণে চন্দ্র ও সূর্যগ্রহণ হয়না। তোমরা যখন চন্দ্র ও সূর্যগ্রহণ লাগতে দেখবে তখন নামায আদায় করবে এবং আল্লাহর কাছে দু'আ করবে৷ (আলোকিত প্রকাশনীঃ ৫৫৩)
১৬/ পরিচ্ছেদঃ সূর্যগ্রহণের সময় সাদকাহ করা

৫৬২

সহিহ হাদিস
وفي رواية عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ : خَسَفَتِ الشَّمْسُ فِي عَهْدِ رَسُولِ الله فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ (ﷺ) بِالنَّاسِ فَقَامَ فَأَطَالَ الْقِيَامَ، ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ ، ثُمَّ قَامَ فَأَطَالَ الْقِيَامَ، وَهُوَ دُونَ الْقِيَامِ الأَوَّلِ، ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ، وَهُوَ دُونَ الرُّكُوعِ الأَوَّلِ، ثُمَّ سَجَدَ فَأَطَالَ السُّجُودَ ، ثُمَّ فَعَلَ فِي الرَّكْعَةِ الثَّانِيَةِ مِثْلَ ما فَعَلَ فِي الأُولَى، ثُمَّ انْصَرَفَ، وَقَدِ انْجَلَتِ الشَّمْسُ ، فَخَطَبَ النَّاسَ، فَحَمِدَ اللهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ : (إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ، لَا يَنْخَسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلَا لِحَيَاتِهِ، فَإِذَا رَأَيْتُمْ ذَلِكَ فَادْعُوا الله ، وَكَبِّرُوا وَصَلُّوا وَتَصَدَّقُوا) . ثُمَّ قَالَ : (يَا أُمَّةَ مُحَمَّدٍ، وَاللَّهِ مَا مِنْ أَحَدٍ أَغْيَرُ مِنَ اللَّهِ أَنْ يَزْنِيَ عَبْدُهُ أَوْ تَزْنِي أَمَتُهُ، يَا أُمَّةَ مُحَمَّدٍ، وَاللَّهِ لَوْ تَعْلَمُونَ ما أَعْلَمُ لَضَحِكْتُمْ قَلِيلًا وَلَبَكَيْتُمْ كَثِيرًا) .

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আয়েশা (রাঃ) হতে এক বর্ণনায় এসেছে, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর যুগে একদা সূর্যগ্রহণ হলে তিনি লোকদেরকে নিয়ে নামায আদায় করলেন। তিনি দাঁড়িয়ে লম্বা কিয়াম করলেন। তারপর লম্বা করে রুকূ করলেন। পুনরায় দাঁড়িয়ে লম্বা কিয়াম করলেন। তবে প্রথমবারের চেয়ে কম দেরী করলেন। তিনি পুনরায় রুকূ করলেন। তবে প্রথম রুকূর চেয়ে এবার রুকূ সংক্ষেপ করলেন। তারপর তিনি দীর্ঘ সিজদা করলেন। অতঃপর প্রথম রাকআতের ন্যায় দ্বিতীয় রাকআত আদায় করে নামায শেষ করলেন। ইতিমধ্যেই সূর্যগ্রহণ শেষ হয়ে গেল।

তারপর নবী (ﷺ) মানুষদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন। প্রথমে তিনি আল্লাহর প্রশংসা এবং তাঁর গুণগান বর্ণনা করলেন। অতঃপর তিনি বললেনঃ সূর্য এবং চন্দ্র আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্যতম নিদর্শন। কারো মৃত্যু ও জন্ম গ্রহণের কারণে চন্দ্র ও সূর্যগ্রহণ হয়না। যখন চন্দ্র ও সূর্যগ্রহণ লাগতে দেখ তখন আল্লাহর কাছে দু'আ কর, তাকবীর পাঠ কর, নামায আদায় কর এবং সাদকা কর। তারপর নবী (ﷺ) বললেনঃ “হে উম্মাতে মুহাম্মাদ! আল্লাহর শপথ! আল্লাহর কোন বান্দা বা বান্দীর ব্যভিচারে আল্লাহর চেয়ে অধিক ক্রোধান্বিত ও আত্মসম্ভ্রমী আর কেউ হতে পারেনা। হে উম্মতে মুহাম্মাদ! আল্লাহর শপথ! আমি যা জানি তোমরা যদি তা জানতে তাহলে হাসতে কম, কাঁদতে বেশী। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ৫৫৫)
১৬/ পরিচ্ছেদঃ আস্সালাতু জামিআহ বলে সূর্যগ্রহণের নামাযের ঘোষণা দেয়া

৫৬৩

সহিহ হাদিস
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ : لَمَّا كَسَفَتِ الشَّمْسُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللهِ (ﷺ) نُودِيَ : أَنِ الصَّلاة جامعة.

আব্দুল্লাহ বিন আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর যামানায় যখন সূর্যগ্রহণ হল তখন এ মর্মে ঘোষণা দেয়া হল যে, আস্সালাতু জামিআতুন্। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ৫৫৬)
টিকাঃ নবী (ﷺ)-এর যুগে জামাআতের সাথে সূর্যগ্রহণের নামাযের ঘোষণা দেয়া হত। মদীনা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে একদিন আমি মসজিদে নববীতে অবস্থান করছিলাম। তখন সূর্যগ্রহণ লাগলে মসজিদের মুআযযিনের কণ্ঠে الصلاة جامعة বাক্যটি উচ্চারণ করতে শুনেছি। আলহামদু লিল্লাহ। এখনও মদীনাতে সুন্নাতী আমলগুলো বিদ্যমান রয়েছে।
১৬/ পরিচ্ছেদঃ সূর্যগ্রহণের সময় কবরের আযাব থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করা

৫৬৪

সহিহ হাদিস
عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا : أَنَّ يَهُودِيَّةٌ جَاءَتْ تَسْأَلُهَا ، فَقَالَتْ لَهَا : أَعَاذَكِ اللَّهُ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ. فَسَأَلَتْ عائِشَةُ رَضِيَ الله عَنْهَا رَسُولَ اللَّهِ (ﷺ) : أَيُعَذِّبُ النَّاسُ فِي قُبُورِهِمْ؟ فَقَالَ رَسُولُ الله (ﷺ) عَائِذَا بِاللَّهِ مِنْ ذُلِكَ ثُمَّ ذكرت حديث الكسوف، ثُمَّ قالت في آخره: ثُمَّ أَمَرَهُمْ أَنْ يَتَعَوَّذُوا مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ .

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ একদা জনৈক ইহুদী মহিলা আগমণ করে কিছু সাহায্য প্রার্থনা করল। তখন সে আয়েশা (রাঃ) কে বললঃ আল্লাহ আপনাকে কবরের আযাব থেকে রক্ষা করুন। আয়েশা (রাঃ) পরবর্তীতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে জিজ্ঞেস করলেনঃ কবরে কি মানুষের আযাব হবে? নবী (ﷺ) কবরের আযাব থেকে আশ্রয় প্রার্থনাকারী অবস্থায় বললেনঃ হ্যাঁ, আযাব হবে। অতঃপর আয়েশা (রাঃ) সূর্যগ্রহণের হাদীছটি উল্লেখ করলেন। হাদীছের শেষাংশে এসেছে, নবী (ﷺ) তাদেরকে কবরের আযাব থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করার আদেশ দিলেন৷ (আলোকিত প্রকাশনীঃ ৫৫৭)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন