hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুখতাসার সহীহ আল-বুখারী

২১. নামাযের ভিতরে নামাযের বাইরের কাজ করা

مختصر صحيح البخاري

২১/ পরিচ্ছেদঃ নামাযের মধ্যে কথা বলা নিষেধ

৬২৪

সহিহ হাদিস
عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ : كُنَّا نُسَلِّمُ عَلَى النَّبِيِّ (ﷺ) ، وَهُوَ فِي الصَّلاَةِ، فَيَرُدُّ عَلَيْنَا، فَلَمَّا رَجَعْنَا مِنْ عِنْدِ النَّجَاشِي، سَلَّمْنَا عَلَيْهِ فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيْنَا ، وَقَالَ: (إِنَّ فِي الصَّلاَةِ شُغْلًا) .

আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমরা নবী (ﷺ) কে সালাম দিতাম। অথচ তিনি নামাযে থাকতেন। তিনি আমাদের সালামের উত্তর দিতেন। আমরা যখন নাজ্জাশীর নিকট থেকে ফেরত আসলাম তখন তাঁকে (নামায অবস্থায়) সালাম দিলাম। কিন্তু তিনি আমাদের সালামের উত্তর দিলেন না; বরং (নামায শেষে) তিনি বললেনঃ নিশ্চয়ই নামাযের মধ্যে বিরাট ব্যস্ততা রয়েছে। (সুতরাং তাতে সাধারণ কথা বলার কোন সুযোগ নেই) (আলোকিত প্রকাশনীঃ ৬১৫)

৬২৫

সহিহ হাদিস
وفي رواية عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ : كَانَ أَحَدُنا يُكَلِّمُ صَاحِبَه فِي الصَّلاةِ، حَتَّى نَزَلَتْ : ﴿حَافِظُوا عَلَى الصَّلَوَاتِ) . الآيَةَ، فَأُمِرْنَا بِالسُّكُوتِ .

যায়েদ বিন আরকাম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যায়েদ বিন আরকাম (রাঃ) হতে অন্য এক বর্ণনায় এসেছে, তিনি বলেনঃ (ইসলামের প্রাথমিক যুগে) আমাদের কেউ কেউ নামাযরত অবস্থায় তার সাথীর সাথে কথা বলত। অতঃপর যখন কুরআনের এ আয়াত নাযিল হলঃ “তোমরা তোমাদের নামাযসমূহের প্রতি যত্নবান হও। বিশেষ করে মধ্যবর্তী (আসরের) নামাযের প্রতি”। আর তোমরা একাগ্রো চিত্তে (নিরবে) আল্লাহর জন্য দণ্ডায়মান হও” তখন আমাদেরকে চুপ থাকার আদেশ দেয়া হল। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ৬১৬)
২১/ পরিচ্ছেদঃ নামাযের মধ্যে কঙ্কর সরানো

৬২৬

সহিহ হাদিস
عَنْ مُعَيْقِبٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ : أَنَّ النَّبِيَّ (ﷺ) قَالَ فِي الرَّجُلِ يُسَوِّي التُّرَابَ حَيْثُ يَسْجُدُ، قَالَ: إِنْ كُنْتَ فَاعِلا فَوَاحِدَةٌ) .

মুআইকীব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ নবী (ﷺ) এক ব্যক্তিকে সিজদার স্থান সমান করতে দেখে বললেনঃ তুমি যদি তা করতে চাও তাহলে মাত্র একবার করতে পার। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ৬১৭)
২১/ পরিচ্ছেদঃ নামায অবস্থায় যদি কারো পশু ছাড়া পেয়ে পালাতে শুরু করে তখন কী করবে?

৬২৭

সহিহ হাদিস
عن أَبي بَرْزَة الأسلمي رضي الله عنه : صَلَّى يومًا في غزوة ولجامُ دابته بيده فجعلتِ الدَّابة تُنازِعُه وجعل يتبعها، فقيل له في ذلك، فقال : إِنِّي غَزَوْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ (ﷺ) سِتَّ غَزَوَاتٍ، أَوْ سَبْعَ غَزَوَاتٍ، وَثَمَانَ، وَشَهَدْتُ تَيْسِيرَهُ، وَإِنِّي إِنْ كُنْتُ أَنْ أَرَاجِعَ مَعَ دَابَّنِي، أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ أَنْ أَدَعَهَا تَرْجِعُ إِلَى مَأْلَفِهَا ، فَيَشُقُ عَلَيَّ .

আবু বারযাহ আল-আসলামী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি কোন এক যুদ্ধে একদিন তার বাহনের লাগামটি হাতে নিয়ে নামায আদায় করছিলেন। এমন সময় বাহনটি ছুটে যাওয়ার জন্য তাঁকে টানতে শুরু করল। তিনিও বাহনের পিছনে চলতে থাকলেন। তাঁকে এ ব্যাপারে বলা হলে তিনি বললেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাথে ছয়টি বা সাতটি বা আটটি যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছি। (এ সমস্ত যুদ্ধে) আমি তাকে (মানুষের জন্য) সহজ করতে দেখেছি। বাহনের সাথে টানাটানি করা আমার কাছে তাকে গোয়ালে ফিরে যেতে দেয়ার চেয়ে অধিক পছন্দনীয়৷ (কারণ পশুটিকে ছেড়ে দিলে আমাকে পায়ে হেঁটে ঘরে ফিরতে হবে) তাই আমার উপর কঠিন হবে। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ৬১৮)
টিকাঃ মানুষ যেহেতু নিজের অবস্থা সম্পর্কে অবগত, তাই বিশেষ প্রয়োজনে নামায অবস্থায় সে এরূপ করতে পারে। এ হাদীছ থেকে জানা গেল যে, বিশেষ প্রয়োজনে নামায অবস্থায় সামান্য হাঁটলে নামায নষ্ট হবেনা। তবে হাঁটতে হাঁটতে যদি কিবলা বিমুখ হয়ে যায় তাহলে নামায বাতিল হয়ে যাবে এবং নতুন করে নামায শুরু করতে হবে।

৬২৮

সহিহ হাদিস
عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا ذكرت حديث الخسوف وقال في هذه الرواية بعد قوله : ولقد رَأَيتُ النَّارَ يخطم بعضها بَعْضًا : (وَرَأَيْتُ فِيهَا عَمْرَو بْنَ لُحَيِّ، وَهُوَ الَّذِي سَيَّبَ السَّوَائِبَ).

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি সূর্যগ্রহণের নামাযের হাদীছটি বর্ণনা করেছেন, যা পূর্বে অতিক্রান্ত হয়েছে। এই বর্ণনায় রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর বাণী “আমি জাহান্নাম দেখতে পেলাম, তার এক অংশ অন্য অংশকে গ্রাস করে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে ফেলছে” এর পরে শুধু এতটুকু অতিরিক্ত এসেছে যে, তিনি বলেছেনঃ আমি তাতে আমর বিন লুহাইকে দেখতে পেলাম। কারণ সেই প্রথম সায়েবা প্রথা চালু করেছিল। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ৬১৯)
টিকাঃ ‘সায়েবা' প্রথা এরূপ ছিল যে, জাহেলী যুগে দেবতার নামে উট ছেড়ে দেয়া হত। সে উটের দুধ পান করা হতনা এবং উটের উপর কোন বোঝা চাপানো হতনা। আর আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদীছটির পূর্ণ বিবরণ নিম্নরূপঃ

আয়েশা (রাঃ) বলেনঃ নবী রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর যামানায় একদা সূর্যগ্রহণ শুরু হলে তিনি নামাযে দাঁড়িয়ে লম্বা একটি সূরা পাঠ করলেন। সূরা পাঠ শেষে রুকূতে গিয়ে দীর্ঘসময় রুকূতে থাকলেন। রুকূ হতে মাথা উঠিয়ে অন্য একটি সূরা পাঠ করা শুরু করলেন। অতঃপর পুনরায় রুকূ করলেন। রুকূ শেষ করে সিজদায় গেলেন। অনুরূপভাবে তিনি দ্বিতীয় রাকআত পূর্ণ করলেন। তারপর বললেনঃ চন্দ্র এবং সূর্য আল্লাহর নিদর্শনসমূহের মধ্যে অন্যতম দু'টি নিদর্শন। যখন তোমরা এরূপ (চন্দ্রগ্রহণ বা সূর্যগ্রহণ) দেখবে তোমরা নামায পড়তে থাকবে। যতক্ষণ না তোমাদের থেকে অন্ধকার উঠিয়ে নেয়া হয়। আমাকে যেসমস্ত বস্তুর প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে এখানে দাঁড়িয়ে আমি তার সবই অবলোকন করেছি। এমনকি তোমরা যখন আমাকে অগ্রসর হতে দেখতে পেলে তখন আমি বেহেশতের একটি ফলের ছড়া নেয়ার ইচ্ছা করছিলাম। আর যখন তোমরা আমাকে পেছনে হটতে দেখলে তখন আমি জাহান্নাম দেখতে পেলাম, তার এক অংশ অন্য অংশকে গ্রাস করে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে ফেলছে। আমি তাতে আমর বিন লুহাইকে দেখতে পেলাম। কারণ সেই প্রথম সায়েবা প্রথা চালু করেছিল।
২১/ পরিচ্ছেদঃ নামায অবস্থায় সালামের উত্তর দেয়া যাবেনা

৬২৯

সহিহ হাদিস
عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ : بَعَثَنِي رَسُولُ اللَّهِ (ﷺ) فِي حاجَةٍ، فَانْطَلَقْتُ، ثُمَّ رَجَعْتُ وَقَدْ قَضَيْتُهَا، فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ (ﷺ) فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيَّ، فَوَقَعَ فِي قَلْبِي مَا اللَّهُ أَعْلَمُ بِهِ، فَقُلْتُ فِي نَفْسِي : لَعَلَّ رَسُولَ الله (ﷺ) وَجَدَ عَلَيَّ أَنِّي أَبْطَأْتُ؟. ثُمَّ سَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيَّ، فَوَقَعَ فِي قَلْبِي أَشَدُّ مِنَ المَرَّةِ الأُوْلِيَ، ثُمَّ سَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَرَدَّ عَلَيَّ، فَقَالَ: (إِنَّمَا مَنَعَنِي أَنْ أَرُدَّ عَلَيْكَ أَنِّي كُنْتُ أُصَلِّي). وَكَانَ عَلَى رَاحِلَتِهِ، مُتَوَجِّهَا إِلَى غَيْرِ الْقِبْلَةِ .

জাবের বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমাকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কোন প্রয়োজনে প্রেরণ করলেন। আমি সেখানে যাত্রা করলাম। কাজটি সমাধা করে ফেরত এনে আমি নবী (ﷺ)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে তাঁকে সালাম দিলাম। তিনি আমার সালামের উত্তর দিলেন না। এতে আমার অন্তরে এত দুঃখ হল যা একমাত্র আল্লাহই ভাল জানেন। আমি মনে মনে স্থির করলাম যে, হয়ত আমি দেরী করেছি। সেজন্য তিনি আমার উপর রাগ করেছেন। আমি পুনরায় সালাম দিলাম। কিন্তু তিনি এবারো আমার সালামের উত্তর দিলেন না। এতে আমার মনে পূর্বের চেয়ে অধিক কষ্ট লাগল। আমি পুনরায় তাঁকে সালাম দিলাম। এবার তিনি আমার সালামের উত্তর দিয়ে বললেনঃ আমাকে তোমার সালামের উত্তর দিতে এ বিষয় বাধা প্রদান করেছে যে, আমি নামায আদায় করছিলাম। তখন তিনি কিবলা বিমুখ হয়ে বাহনের উপর বসা ছিলেন। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ৬২০)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন