hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুখতাসার সহীহ আল-বুখারী

৫৪. সৃষ্টির সূচনা

مختصر صحيح البخاري

৫৪/ পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর বাণীঃ তিনিই তো আল্লাহ, যিনি সৃষ্টির সূচনা করেন। অতঃপর তিনিই তা পুনরুজ্জীবিত করবেন। এটি তাঁর পক্ষে অতি সহজ

১৩৪৮

সহিহ হাদিস
عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا ، قَالَ : جَاءَ نَفَرٌ مِنْ بَنِي تَمِيمٍ إِلَى النَّبِيِّ (ﷺ) فَقَالَ: (يَا بَنِي تَمِيم أَبْشِرُوا ) . قالُوا : بَشَرْتَنَا فَأَعْطِنَا، فَتَغَيَّرَ وَجْهُهُ، فَجَاءَهُ أَهْلُ الْيَمَنِ، فَقَالَ: (يَا أَهْلَ الْيَمَنِ، أَقْبَلُوا الْبُشْرَى إِذْ لَمْ يَقْبَلْهَا بَنُو تَمِيمٍ). قالُوا : قَبِلْنَا ، فَأَخَذَ النَّبِيُّ (ﷺ) يُحَدِّثُ بَدْءَ الخَلْقِ وَالْعَرْشِ، فَجَاءَ رَجُلٌ فَقَالَ : يَا عِمْرَانُ رَاحِلَتُكَ تَفَلَّتَتْ، لَيْتَنِي لَمْ أَقُمْ .

ইমরান বিন হুসাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ বনী তামীম গোত্রের কিছু লোক রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট আগমণ করলে তিনি বললেনঃ হে বনী তামীম! তোমরা সুসংবাদ গ্রহণ কর। তারা বললঃ আপনি তো আমাদেরকে সুসংবাদ দিলেন এখন কিছু দান করুন। একথায় রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর চেহারার রং পরিবর্তন হয়ে গেল। অতঃপর ইয়ামানের কিছু লোক তাঁর নিকট আসল। তিনি বললেনঃ হে ইয়ামানবাসী বনী তামীম তো সুসংবাদ গ্রহণ করল না। সুতরাং তোমরা সুসংবাদ গ্রহণ কর। তারা বললঃ আমরা সুসংবাদ গ্রহণ করলাম। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সৃষ্টির সূচনা ও আরশ সম্পর্কে আলোচনা শুরু করলেন। এমন সময় এক লোক এসে বলতে লাগলঃ হে ইমরান! তোমার উটনী পালিয়ে গেছে। (ইমরান বলেন) হায় আমি যদি একথায় উঠে না যেতাম! (আলোকিত প্রকাশনীঃ ১৩১৯)
টিকাঃ ইমরান বিন হুসাইন থেকে অপর বর্ণনায় এসেছে, নবী (ﷺ) বলেনঃ আদিতে একমাত্র আল্লাহ-ই ছিলেন। তিনি ছাড়া আর কিছুই ছিলনা। তাঁর আরশ ছিল পানির উপর। তারপর তিনি প্রত্যেক জিনিষ লাওহে মাহফুযে লিপিবদ্ধ করলেন এবং তিনি আসমান ও যমিন সৃষ্টি করলেন। এ সময় এক ব্যক্তি হাঁক ছাড়লঃ হে ইবনে হুসাইন! তোমার উটনী চলে গেছে। তাই আমি চলে গেলাম। দেখলাম উটনীটি মরীচিকাময় প্রান্তর পিছনে ফেলে আরও সামনে অগ্রসর হচ্ছে। আল্লাহর শপথ! আমার ইচ্ছা ছিল, আমি যদি উটনীটিকে একেবারেই পরিত্যাগ করতাম!

১৩৪৯

সহিহ হাদিস
وَعَنْهُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - في رواية قالَ: قالَ رَسُولُ اللَّهِ (ﷺ): (كَانَ اللَّهُ وَلَمْ يَكُنْ شَيْءٌ غَيْرُهُ، وَكَانَ عَرْشُهُ عَلَى المَاءِ، وَكَتَبَ فِي الذِّكْرِ كُلَّ شَيْءٍ، وَخَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضَ فَنَادَى مُنَادٍ : ذَهَبَتْ نَاقَتُكَ يَا ابْنَ الحُصَيْنِ، فَانْطَلَقْتُ فَإِذَا هِيَ يَقْطَعُ دُونَهَا السَّرَابُ، فَوَاللَّهِ لَوَدِدْتُ أَنِّي كُنْتُ تَرَكْتُهَا .

ইমরান বিন হুসাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বললেন, একমাত্র আল্লাহই ছিলেন, আর তিনি ছাড়া আর কোন কিছুই ছিল না। তাঁর আরশ ছিল পানির উপরে। অতঃপর তিনি লাওহে মাহফুজে সব কিছু লিপিবদ্ধ করলেন এবং আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টি করলেন। এ সময় একজন ঘোষণাকারি ঘোষণা করল, হে ইব্‌নু হুসাইন! আপনার উটনী পালিয়ে গেছে। তখন আমি এর খোঁজে চলে গেলাম। দেখলাম তা এত দূরে চলে গেছে যে, তার এবং আমার মধ্যে মরীচিকাময় ময়দান দূরত্ব হয়ে পড়েছে। আল্লাহ‌্‌র কসম! আমি তখন উটনীটিকে একেবারে ছেড়ে দেয়ার ইচ্ছা করলাম। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ১৩১৯)

১৩৫০

সহিহ হাদিস
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ الله عَنْهُ قَالَ : قَالَ النَّبِيُّ (ﷺ) : (قَالَ اللهُ تعالى : يَشْتِمُنِي ابْنُ آدَمَ، وَمَا يَنْبَغِي لَهُ أَنْ يَشْتِمَنِي، وَيُكَذِّبُنِي، وَمَا يَنْبَغِي لَهُ. أَمَّا شَتْمُهُ فَقَوْلُهُ : إِنَّ لِي وَلَدًا، وَأَمَّا تَكْذِيبُهُ فَقَوْلُهُ : لَيْسَ يُعِيدُنِي كَمَا بَدَأَنِي).

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (ﷺ) বলেনঃ আল্লাহ্ তাআলা বলেনঃ আদম সন্তান আমাকে গালি দেয়। অথচ আমাকে গালি দেয়া তার শোভা পায়না। আর আদম সন্তান আমাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে। অথচ আমাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করা তার অনুচিত। আমাকে গালি দেয়ার অর্থ হচ্ছে, সে বলে আমার সন্তান আছে। (নাউযুবিল্লাহ) আমাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করার অর্থ হচ্ছে, সে বলে তিনি আমাকে যেভাবে সৃষ্টি করেছেন, সেভাবে পুনঃসৃষ্টি করবেন না। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ১৩২০)

১৩৫১

সহিহ হাদিস
وعَنْهُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ (ﷺ): (لَمَّا قَضَى اللَّهُ الخَلْقَ كَتَبَ في كِتَابِهِ، فَهُوَ عِنْدَهُ فَوْقَ الْعَرْشِ : إِنَّ رَحْمَتِي غَلَبَتْ غَضَبِي) .

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ আল্লাহ্ তাআলা যখন সৃষ্টিকর্ম সমাধা করলেন তখন লাওহে মাহফুযে লিখে রাখলেন যে, আমার রহমত আমার ক্রোধের উপর জয়লাভ করেছে। আর এ কিতাবটি আল্লাহর নিকট আরশের উপর বিদ্যমান। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ১৩২১)
৫৪/ পরিচ্ছেদঃ সাত যমীনের ব্যাপারে যা বর্ণিত হয়েছে

১৩৫২

সহিহ হাদিস
عَنْ أَبِي بَكْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ (ﷺ) قَالَ: (الزَّمَانُ قَدِ اسْتَدَارَ كَهَيْئَتِهِ يَوْمَ خَلَقَ اللهُ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضَ ، السَّنَةُ اثْنَا عَشَرَ شَهْرًا، مِنْهَا أَرْبَعَةٌ حُرُمٌ، ثَلَاثَةٌ مُتَوَالِيَاتٌ : ذُو الْقَعْدَةِ وَذُو الْحِجَّةِ وَالْمُحَرَّمُ، وَرَجَبُ مُضَرَ، الَّذِي بَيْنَ جُمَادَى وَشَعْبَانَ).

আবু বাকরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (ﷺ) বলেনঃ আল্লাহ তাআলা আসমান-যমীন সৃষ্টি করার সময় যামানা যে রকম ছিল ঘুরে ফিরে আজও সে অবস্থায় অবিচল রয়েছে। বার মাসে এক বছর। তা থেকে চারটি হচ্ছে সম্মানিত মাস। তা থেকে তিনটি আসে পরপর। যুল-কাদ, যুল-হজ্জ ও মুহাররাম। আর বাকী মাসটি হচ্ছে মুযার গোত্রের রজব মাস। তা হচ্ছে, জুমাদাস্ সানী ও শাবানের মাঝখানে অবস্থিত। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ১৩২২)
টিকাঃ রজব মাসকে মুযার গোত্রের মাস বলার কারণ এই যে, মুযার গোত্র এমাসকে অধিক সম্মান করত৷
৫৪/ পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর বাণীঃ সূর্য ও চন্দ্র একটি নির্দিষ্ট হিসাবের অনুগামী

১৩৫৩

সহিহ হাদিস
عَنْ أَبِي ذَرِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قالَ: قالَ النَّبِيُّ (ﷺ) لِابِي ذَرِّ حِينَ غَرَبَتِ الشَّمْسُ : (تَدْرِي أَيْنَ تَذْهَبُ؟) قُلْتُ : اللهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ، قَالَ: (فَإِنَّهَا تَذْهَبُ حَتَّى تَسْجُدَ تَحْتَ الْعَرْشِ، فَتَسْتَأْذِنَ فَيُؤْذَنُ لَهَا ، وَيُوشِكُ أَنْ تَسْجُدَ فَلَا يُقْبَلَ مِنْهَا ، وَتَسْتَأْذِنَ فَلاَ يُؤْذَنُ لَهَا ، يُقَالَ لَهَا : ارْجِعِي مِنْ حَيْثُ جِنْتِ، فَتَطْلُعُ مِنْ مَغْرِبِهَا ، فَذلِكَ قَوْلُهُ تَعَالَى : وَالشَّمْسُ تَجِرْي لِمُسْتَقَرٌّ لَهَا ذَلِكَ تَقْدِيرُ الْعَزِيزِ الْعَلِيم).

আবু যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ একদা সূর্যাস্তের সময় নবী (ﷺ) আমাকে বললেনঃ হে আবু যাহ্! তুমি কি জান সূর্য কোথায় যায়? আমি বললামঃ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই অধিক জানেন। তিনি বললেনঃ তা যেতে যেতে আরশের নীচে সিজদাবনত হয়ে আল্লাহর নিকট পুনরায় উদিত হওয়ার অনুমতি প্রার্থনা করে। তাকে অনুমতি দেয়া হয়। এমন এক সময় আসবে যখন সিজদাহ করবে, কিন্তু তার সেই সিজদাহ গ্রহণ করা হবে না, সে অনুমতি চাইবে। কিন্তু তাকে অনুমতি দেয়া হবে না। তাকে বলা হবে যেখান থেকে এসেছ সেখানে ফেরত যাও। অতঃপর সে পশ্চিম দিকে উদিত হবে। এটাই হল আল্লাহ তা'আলার বাণীর মর্মার্থঃ সূর্য তার নির্ধারিত ঠিকানার উদ্দেশ্যে চলমান। ওটিই সর্বশক্তিমান মহাজ্ঞানী আল্লাহর নির্ধারিত বিধান। (সূরা ইয়াসীনঃ ৩৮) (আলোকিত প্রকাশনীঃ ১৩২৩)

১৩৫৪

সহিহ হাদিস
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ (ﷺ) قَالَ: (الشَّمْسُ وَالْقَمَرُ مُكَوَّرَانِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ)

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (ﷺ) বলেনঃ কিয়ামতের দিন সূর্য ও চন্দ্রকে গুটিয়ে নেয়া হবে। অর্থাৎ জ্যোতিহীন ও আলোহীন করে দেয়া হবে। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ১৩২৪)
৫৪/ পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর বাণীঃ তিনিই রহমত (বারি) বর্ষণের পূর্বে সুসংবাদ বহনকারী বায়ু প্রবাহিত করে থাকেন

১৩৫৫

সহিহ হাদিস
عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ : كانَ النَّبِيُّ (ﷺ) إِذَا رَأَى مَخِيلَةٌ في السَّمَاءِ أَقْبَلَ وَأَدْبَرَ ، وَدَخَلَ وَخَرَجَ وَتَغَيَّرَ وَجْهُهُ، فَإِذَا أَمْطَرَتِ السَّمَاءُ سُرِّيَ عَنْهُ، فَعَرَّفَتْهُ عَائِشَةُ ذلِكَ، فَقَالَ النَّبِيُّ (ﷺ) : مَا أَدْرِي لَعَلَّهُ كما قالَ قَوْمٌ: فَلَمَّا رَأَوْهُ عَارِضًا مُسْتَقْبِلَ أَوْدِيَتِهِمْ) . الآيَةَ) .

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ নবী (ﷺ) যখন আকাশে মেঘ দেখতেন তখন তিনি কখনও সামনে অগ্রসর হতেন আবার পিছপা হতেন। কখনও ঘরে প্রবেশ করতেন আবার বের হতেন এবং তাঁর চেহারা মোবারক পরিবর্তন হয়ে যেত। পরে বারি বর্ষণ হলে তাঁর এ অবস্থার পরিসমাপ্তি ঘটত। আয়েশা (রাঃ) তাঁর এ অবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে নবী (ﷺ) বললেনঃ জানি না, আযাবের মেঘ দেখে ‘আদ জাতি' যে কথা বলেছিল এ মেঘ অনুরূপ মেঘও তো হতে পারে। আল্লাহর বাণীঃ অতঃপর যখন তারা মেঘমালা তাদের উপত্যকা অভিমুখে অগ্রসর হতে দেখল, তখন তারা বলে উঠলঃ এ তো মেঘমালা। আমাদের উপর তা বর্ষিত হবে; বরং এটি সেই বস্তু যা তোমরা ত্বড়িৎ পেতে চেয়েছিলে। এটি তো সেই হাওয়া, যাতে যন্ত্রণা দায়ক আযাব রয়েছে। (সূরা আহকাফঃ ২৪) (আলোকিত প্রকাশনীঃ ১৩২৫)

১৩৫৬

সহিহ হাদিস
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ : حَدَّثَنَا رَسُولُ اللهِ - - وَهُوَ الصَّادِقُ المَصْدُوقُ، قَالَ : (إِنَّ أَحَدَكُمْ يُجْمَعُ خَلْقُهُ فِي بَطْنِ أُمِّهِ أَرْبَعِينَ يَوْمًا ، ثُمَّ يَكُونُ عَلَقَةٌ مِثْلَ ذلِكَ، ثُمَّ يَكُونُ مُضْغَةً مِثْلَ ذلِكَ، ثُمَّ يَبْعَثُ اللَّهُ مَلَكًا فَيُؤْمَرُ بِأَرْبَعِ كَلِمَاتٍ، وَيُقَالُ لَهُ : اكْتُبْ عَمَلَهُ، وَرِزْقَهُ، وَأَجَلَهُ، وَشَقِيٌّ أَوْ سَعِيدُ، ثُمَّ يُنْفَخُ فِيهِ الرُّوحُ، فَإِنَّ الرَّجُلَ مِنْكُمْ لَيَعْمَلُ حَتَّى ما يَكُونُ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الجَنَّةِ إِلَّا ذِرَاعٌ، فَيَسْبِقُ عَلَيْهِ كِتَابُهُ، فَيَعْمَلُ بِعَمَلِ أَهْلِ النَّارِ. وَيَعْمَلُ حَتَّى ما يَكُونُ بَيْنَهُ وَبَيْنَ النَّارِ إِلا ذِرَاعٌ، فَيَسْبِقُ عَلَيْهِ الكِتَابُ، فَيَعْمَلُ بِعَمَلِ أَهْلِ الجَنَّةِ).

আবদুল্লাহ্ বিন মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাদের নিকট বর্ণনা করেন, তিনি সত্যবাদী এবং সত্যবাদী হিসাবে সমর্থিতঃ তোমাদের কারো সৃষ্টি তার মাতৃগর্ভে প্রথমে চল্লিশ দিন বীর্য আকারে সঞ্চিত থাকে। পরবর্তী চল্লিশ দিনে উহা জমাট রক্তে পরিণত হয়। এরপর আরো চল্লিশ দিনে উহা মাংশ পিন্ডে রূপান্তরিত হয়। অতঃপর আল্লাহ্ তা'আলা একজন ফেরেশতা প্রেরণ করেন। এসময় তাকে চারটি বিষয় লিখার নির্দেশ দেয়া হয়ঃ (১) সে কি পরিমাণ রিযিক পাবে। (২) বয়স কত হবে। (৩) কর্ম কি হবে এবং (৪) পরিণামে সে ভাগ্যবান হবে না হতভাগ্য। অতঃপর তাতে রূহ ফুঁকে দেয়া হয়।

তোমাদের মধ্যে একজন আমল করতে থাকে, এমনকি তার মাঝে এবং জান্নাতের মাঝে মাত্র এক হাতের দূরত্ব অবশিষ্ট থাকে, এমন সময় (তদীরের) লিখন সামনে চলে আসে। অতঃপর সে জাহান্নামবাসীদের মত আমল করে। এমনিভাবে একজন আমল করতে থাকে, এমনকি তার মাঝে এবং জাহান্নামের মাঝে মাত্র এক হাতের দূরত্ব অবশিষ্ট থাকে, এমন সময় (তদীরের) লিখন সামনে চলে আসে। অতঃপর সে জান্নাতবাসীদের মত আমল করে। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ১৩২৬)

১৩৫৭

সহিহ হাদিস
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ، عَنِ النَّبِيِّ (ﷺ) قَالَ : (إِذَا أَحَبَّ اللَّهُ الْعَبْدَ نادَى جِبْرِيلَ : إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ فُلانا فَأَحْبيهُ، فَيُحِبُّهُ جِبْرِيلُ، فَيُنَادِي جِبْرِيلُ في أَهْلِ السَّمَاءِ : إِنَّ اللهَ يُحِبُّ فُلانا فَأَحِبُوهُ، فَيُحِبُّهُ أَهْلُ السَّمَاءِ، ثُمَّ يُوضَعُ لَهُ الْقَبُولُ في الأَرْضِ).

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (ﷺ) বলেনঃ আল্লাহ্ যখন কোন বান্দাকে ভালবাসেন তখন জিবরীলকে ডেকে বলেনঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ্ অমুককে ভালবাসেন। সুতরাং তুমিও তাঁকে ভালবাস। তাই জিবরীলও তাঁকে ভালবাসেন। তারপর জিবরীল আকাশের অধিবাসীকে ডেকে বলেনঃ আল্লাহ্ অমুককে ভালবাসেন। সুতরাং তোমরাও তাঁকে ভালবাস। তখন আকাশবাসীও তাঁকে ভালবাসেন। অতঃপর যমীনেও তাঁর জন্য কবুলিয়ত (গ্রহণযোগ্যতা) স্থাপন করা হয়৷ (আলোকিত প্রকাশনীঃ ১৩২৭)

১৩৫৮

সহিহ হাদিস
عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا ، زَوْجِ النَّبِيِّ (ﷺ) : أَنَّهَا سَمِعَتْ رَسُولَ اللَّهِ - - يَقُولُ : (إِنَّ المَلائِكَةَ تَنْزِلُ في الْعَنَانِ، وَهُوَ السَّحَابُ، فَتَذْكُرُ الأَمْرَ قُضِيَ في السَّمَاءِ، فَتَسْتَرِقُ الشَّيَاطِينُ السَّمْعَ فَتَسْمَعُهُ، فَتُوحِيهِ إِلَى الكُهَّانِ، فَيَكْذِبُونَ مَعَهَا مِائَةَ كَذَّبَةٍ مِنْ عِنْدِ أَنْفُسِهِمْ) .

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি নবী (ﷺ) কে বলতে শুনেছেন যে, ফেরেশতাগণ মেঘমালার আড়ালে অবতরণ করেন এবং আসমানে ফয়সালাকৃত বিধান সম্পর্কে আলোচনা করতে থাকেন। শয়তানেরা গোপনে চোরা পথে তা শুনার চেষ্টা করে এবং তা শুনেও ফেলে। অতঃপর কথাটি গণক ও জ্যোতিষীদের কাছে পৌছিয়ে দেয় এবং তাদের পক্ষ থেকে তার সাথে একশটি মিথ্যা কথার মিশ্রণ ঘটায়। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ১৩২৮)

১৩৫৯

সহিহ হাদিস
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قالَ: قالَ النَّبِيُّ (ﷺ): (إِذَا كَانَ يَوْمُ الجُمُعَةِ، كَانَ عَلَى كُلِّ بَابٍ مِنْ أَبْوَابِ المَسْجِدِ المَلائِكَةُ يَكْتُبُونَ الأَوَّلَ فَالأَوَّلَ، فَإِذَا جَلَسَ الإِمَامُ طَوَوا الصُّحُفَ، وَجَاؤُوا يَسْتَمِعُونَ الذِّكْرَ).

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (ﷺ) বলেনঃ যখন জুমআর দিন হয় তখন ফেরেশতাগণ মসজিদের প্রতিটি দরজায় দাঁড়িয়ে যায়। ফেরেশতাগণ প্রথম আগমণকারীর নাম লিখে নেয়। অতঃপর পর্যায়ক্রমে পরবর্তীদের নাম লিখে নেয়। ইমাম যখন মিম্বারে বসেন তখন তারা খাতা বন্ধ করে খুৎবা শ্রবণ করা শুরু করেন। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ১৩২৯)

১৩৬০

সহিহ হাদিস
عَنِ الْبَرَاءِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قالَ النَّبِيُّ (ﷺ) لِحَسَّانَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ : أَهْجُهُمْ - أَوْ هَاجِهِمْ – وَجِبْرِيلُ مَعَكَ ) .

বারা বিন আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (ﷺ) হাস্সান বিন ছাবিতকে বললেনঃ তুমি মুশরিকদের কুৎসা বর্ণনা কর। জিবরীল ফেরেশতা তোমার সাথে আছেন। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ১৩৩০)

১৩৬১

সহিহ হাদিস
عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا : أنَّ النَّبِيَّ (ﷺ) قَالَ لَهَا : (يَا عَائِشَةُ، هَذَا جِبْرِيلُ يَقْرَأُ عَلَيْكِ السَّلَامَ). فَقَالَتْ: وَعَلَيْهِ السَّلَامُ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ، تَرَى ما لا أَرَى تُرِيدُ النَّبِيَّ .

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদা নবী (ﷺ) তাঁকে বললেনঃ হে আয়েশা! এ তো জিবরীল! তিনি তোমাকে সালাম দিচ্ছেন। আয়েশা (রাঃ) তখন বললেনঃ তাঁর উপরও সালাম এবং আল্লাহর রহমত ও বরকত। নবী (ﷺ) কে উদ্দেশ্য করে বললেনঃ আপনি তো এমন কিছুও দেখছেন, যা আমরা দেখতে পাচ্ছি না। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ১৩৩১)

১৩৬২

সহিহ হাদিস
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قالَ : قالَ رَسُولُ اللَّهِ (ﷺ) لِجِبْرِيلَ: أَلاَ تَزُورُنا أَكْثَرَ مِمَّا تَزُورُنَا ؟ قَالَ : فَنَزَلَتْ : وَمَا نَتَنَزَّلُ إِلَّا بِأَمْرِ رَبِّكَ لَهُ مَا بَيْنَ أَيْدِينَا وَمَا خَلْفَنَا) . الآيَةَ .

ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জিবরীলকে বললেনঃ আপনি যতবার আমাদের নিকট আসেন তার চেয়ে অধিকবার আসেন না কেন? বর্ণনাকারী বলেনঃ তখন এই আয়াত নাযিল হয়। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ১৩৩২)

১৩৬৩

সহিহ হাদিস
وعَنْهُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ : أَنَّ رَسُولَ اللهِ (ﷺ) قال: (أَقْرأْنِي جِبْرِيلُ عَلَى حَرْفٍ، فَلَمْ أَزَلْ أَسْتَزِيدُهُ، حَتَّى انْتَهَى إِلَى سَبْعَةِ أَحْرُفٍ) .

ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ জিবরীল আমাকে মাত্র একটি কিরআতে কুরআন পড়াচ্ছিলেন। আমি তাঁর কাছে আরো অধিক কিরাআতে পড়ানোর আবদার করে আসছিলাম। শেষ পর্যন্ত তিনি সাতটি কিরাআতে পড়িয়েছেন। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ১৩৩৩)

১৩৬৪

সহিহ হাদিস
عَنْ يَعْلَى رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ : سَمِعْتُ النَّبِيِّ (ﷺ) يَقْرَأُ عَلَى الْمِنْبَرِ : وَنَادَوْا يَا مَالِ.
ইয়ালা (রাঃ) বলেনঃ আমি নবী (ﷺ) কে মিম্বারের উপরে পড়তে শুনেছিঃ

(وَنَادَوْا۟ يَـٰمَـٰلِكُ)

“তারা ডেকে বলতে থাকবেঃ হে মালেক!” (সূরা যুখরুফঃ ৭৭) (আলোকিত প্রকাশনীঃ ১৩৩৪)

১৩৬৫

সহিহ হাদিস
عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا زَوْجِ النَّبِيِّ (ﷺ) : أَنَّهَا قَالَتْ لِلنَّبِيِّ (ﷺ) : هَلْ أَتَى عَلَيْكَ يَوْمٌ كَانَ أَشَدَّ مِنْ يَوْمٍ أَحدٍ ؟ قال : (لَقَدْ لَقِيتُ مِنْ قَوْمِكِ ما لَقِيتُ، وَكانَ أَشَدُّ ما لَقِيتُ مِنْهُمْ يَوْمَ الْعَقَبَةِ، إِذْ عَرَضْتُ نَفْسِي عَلَى أَبْنِ عَبْدِ يَالِيلَ بْنِ عَبْدِ كُلالٍ، فَلَمْ يُجِبْنِي إِلَى مَا أَرَدْتُ، فَانْطَلَقْتُ وَأَنَا مَهْمومٌ عَلَى وَجْهِي، فَلَمْ أَسْتَفِقُ إِلا وَأَنَا بِقَرْنِ التَّعَالِبِ، فَرَفَعْتُ رَأْسِي، فَإِذَا أَنَا بِسَحَابَةٍ قَدْ أَظَلَّتْنِي، فَنَظَرْتُ فَإِذَا فِيهَا جِبْرِيلُ، فَنَادَانِي فَقَالَ : إِنَّ اللَّهَ قَدْ سَمِعَ قَوْلَ قَوْمِكَ لَكَ، وَما رَدُّوا بِهِ عَلَيْكَ، وَقَدْ بَعَثَ اللَّهُ إِلَيْكَ مَلَكَ الْجِبَالِ، لِتَأْمُرَهُ بِمَا شِئْتَ فِيهِمْ، فَنَادَانِي مَلَكُ الْجِبَالِ، فَسَلَّمَ عَلَيَّ، ثُمَّ قَالَ: يَا مُحَمَّدُ، فَقَالَ: ذلِكَ فِيمَا شِئْتَ، إِنْ شِئْتَ أَنْ أَطْبَقَ عَلَيْهِمُ الأَخْشَبَيْنِ؟ فَقَالَ النَّبِيُّ (ﷺ) : بَلْ أَرْجُو أَنْ يُخْرِجَ اللَّهُ مِنْ أَصْلَابِهِمْ مَنْ يَعْبُدُ اللهَ وَحْدَهُ، لَا يُشْرِكُ بِهِ شَيْئًا) .

উরওয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আয়েশা (রাঃ) তাঁকে সংবাদ দিয়েছেন যে, তিনি নবী (ﷺ) কে জিজ্ঞেস করেছেন। উহুদ যুদ্ধের দিনের চেয়ে অধিক কঠিন দিন আপনার নিকট কি কখনও আগমণ করেছে? তিনি বললেনঃ তোমার গোত্রের লোকদের নিকট থেকে আমি অনেক কঠিন দিনের সম্মুখীন হয়েছি। তাঁর মধ্যে সবচেয়ে কঠিন দিন হচ্ছে আকাবার দিন। সে দিন যখন আমি নিজে ইবনে আবদে ইয়ালীল বিন আবদে কুলালের নিকট হাজির হই। তাদের কেউই আমার কথায় সাড়া দেয়নি। অতএব, আমি মনক্ষুন্ন হয়ে ফিরে আসলাম। কোন দিকে যাচ্ছিলাম, আমার হুশ ছিল না। কারনুস্ সাআলিবে গিয়ে আমার হুশ ফিরল। অতঃপর মাথা উঠিয়ে দেখলামঃ এক খন্ড মেঘ আমাকে ছায়া দিচ্ছে। আমি দেখলাম তাতে জিবরীল ফেরেশতা অবস্থান করছেন। তিনি আমাকে ডাক দিয়ে বললেনঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ্ আপনার সাথে আপনার জাতির লোকদের কথা-বার্তা এবং তাদের প্রতি উত্তর শুনেছেন। তিনি পাহাড়ের দায়িত্বে নিয়োজিত ফেরেশতাকে আপনার নিকট পাঠিয়েছেন। এসব (কাফেরদের) উদ্দেশ্যে আপনি যা ইচ্ছা হুকুম দিতে পারেন। তখন পাহাড়ের ফেরেশতা আমাকে ডাকলেন এবং সালাম দিলেন। অতঃপর তিনি বললেনঃ হে মুহাম্মাদ। এসব ব্যাপার আপনার ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল। আপনি চাইলে আখশাবাইন তথা মক্কার দু'পাশের দু'টি পাহাড় তাদের উপর চাপিয়ে দিতে পারি। নবী (ﷺ) বললেনঃ বরং আমি আশা করি, আল্লাহ্ তাদের বংশে এমন সন্তান সৃষ্টি করবেন, যারা এক আল্লাহর ইবাদত করবে এবং তাঁর সাথে কাউকে শরীক করবে না। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ১৩৩৫)

১৩৬৬

সহিহ হাদিস
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فِي قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: ﴿فَكَانَ قابَ قَوْسَيْن أَوْ أَدْنَى فَأَوْحَى إِلَى عَبْدِهِ مَا أَوْحَى أَنَّهُ رَأَى جِبْرِيلَ، لَهُ سِتَّمَائَةِ جَنَّاحٍ .

আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি আল্লাহর বাণীঃ

(فَكَانَ قَابَ قَوْسَيْنِ أَوْ أَدْنَىٰ فَأَوْحَىٰٓ إِلَىٰ عَبْدِهِۦ مَآ أَوْحَىٰ)

“তখন দুই ধনুক অথবা তার চেয়েও কম ব্যবধান ছিল। তখন আল্লাহ্ তার বান্দার প্রতি যা প্রত্যাদেশ করবার ছিল তা প্রত্যাদেশ করলেন।”-এর তাফসীর করতে গিয়ে বলেছেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জিবরীলকে দেখেছেন। তাঁর ছয়শত পাখা ছিল। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ১৩৩৬)

১৩৬৭

সহিহ হাদিস
وَعَنْهُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فِي قَوْلِهِ تعالى: ﴿لَقَدْ رَأَى مِنْ آيَاتِ رَبِّهِ الْكُبْرَى. قالَ : رَأَى رَفْرَفًا أَحْضَرَ سَدَّ أُفُقَ السَّمَاءِ .

আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি আল্লাহর বাণীঃ

(لَقَدْ رَأَىٰ مِنْ ءَايَٰتِ رَبِّهِ ٱلْكُبْرَىٰٓ)

“নিশ্চয়ই তিনি তাঁর রবের বড় বড় নিদর্শনাবলী দেখেছেন” -এর তাফসীর করতে গিয়ে বলেছেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একটি সবুজ রঙ্গের বিছানা দেখেছেন, যা দিগন্ত ব্যাপী আকাশকে ঢেকে রেখেছিল। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ১৩৩৭)
টিকাঃ উপরে বর্ণিত হাদীছ থেকে বুঝা যায়, নবী (ﷺ) জিবরীলকে দেখেছেন। এই হাদীছ থেকে বুঝা যাচ্ছে তিনি সবুজ রঙ্গের বিছানা দেখেছেন। উভয় বর্ণনার মধ্যে সামঞ্জস্য বিধান এভাবে করা যেতে পারে যে, মূলত উভয় বর্ণনার মধ্যে কোন দ্বন্দ নেই। তিনি সবুজ রঙ্গের বিছানা দেখেছেন। তাতে জিব্রীল উপবিষ্ট ছিলেন।

১৩৬৮

সহিহ হাদিস
عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قالَتْ : مَنْ زَعَمَ أَنَّ مُحَمَّدًا رَأَى رَبَّهُ فَقَدْ أَعْظَمَ، وَلكِنْ قَدْ رَأَى جِبْرِيلَ في صُورَتِهِ، وَخَلْقِهِ سَادًا مَا بَيْنَ الْأُفُقِ.

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ যে ব্যক্তি এ ধারণা করবে যে, মুহাম্মাদ তাঁর প্রভুকে দেখেছেন সে বড় ভুল করবে। বরং তিনি জিবরীলকে তাঁর আসল আকৃতিতে দেখেছেন। তখন তার শরীর আকাশের দিগন্তসমূহকে ঢেকে রেখেছিল। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ১৩৩৮)

১৩৬৯

সহিহ হাদিস
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قالَ: قالَ رَسُولُ اللَّهِ (ﷺ) : (إِذَا دَعا الرَّجُلُ امْرَأَتَهُ إِلَى فِرَاشِهِ فَأَبَتْ، فَبَاتَ غَضْبَانَ عَلَيْهَا، لَعَنَتْهَا المَلائِكَةُ حَتَّى تُصْبحَ).

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ যখন কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীকে নিজের বিছানায় ডাকে এবং স্ত্রী আসতে অস্বীকার করে; অতঃপর সে ব্যক্তি ক্রোধ নিয়ে রাত কাটায় তখন ভোর পর্যন্ত ফেরেশতাগণ ঐ স্ত্রীর উপর লা'নত করতে থাকেন। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ১৩৩৯)

১৩৭০

সহিহ হাদিস
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا ، عَنِ النَّبِيِّ (ﷺ) قَالَ : رَأَيْتُ لَيْلَةَ أُسْرِيَ بِي مُوسى رَجُلًا آدَمَ طُوَالا جَعْدًا، كَأَنَّهُ مِنْ رِجَالِ شَنُوءَةَ، وَرَأَيْتُ عِيسَى رَجُلًا مَرْبُوعًا، مَرْبُوعَ الْخَلْقِ إِلَى الحُمْرَةِ وَالْبَيَاضِ، سَبطَ الرَّأْسِ، وَرَأَيْتُ مَالِكًا خَازِنَ النَّارِ، وَالدَّجَّالَ، في آيَاتٍ أَرَاهُنَّ اللَّهُ إِيَّاهُ : ﴿فَلَا تَكُنْ فِي مِرْيَةٍ مِنْ لقَائِهِ)) .

আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (ﷺ) বলেনঃ মিরাজের রাতে আমি মুসাকে দেখতে পেলাম। তাঁর শরীরের রং ছিল গন্দমের মত, দেহ ছিল দীর্ঘ, মাথার চুল ছিল কোঁকড়া দেখতে তাঁকে শানুয়া গোত্রের একজন লোকের মত মনে হচ্ছিল। আর আমি ঈসাকে দেখতে পেলাম। তাঁর দেহ ছিল মাঝারি উচ্চতা সম্পন্ন, মধ্যম অবয়ব বিশিষ্ট, শরীরের রং ছিল লাল-সাদা মিশ্রিত এবং মাথার চুল ছিল খাড়া। আর আমি দোযখের প্রহরী মালেক ও দাজ্জালকেও দেখেছি। এসমস্ত নিদর্শন আল্লাহ আমাকে দেখিয়েছেন। আল্লাহ আমাকে বলেছেনঃ “সুতরাং তুমি তাঁর সাথে সাক্ষাতের ব্যাপারে কোনরূপ সন্দেহ পোষণ করবেনা”। (সূরা সিজদাহঃ ২৩) (আলোকিত প্রকাশনীঃ ১৩৪০)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন