hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুখতাসার সহীহ আল-বুখারী

৫৯. কুরআনের ফজীলত

مختصر صحيح البخاري

৫৯/ পরিচ্ছেদঃ অহী নাযিলের পদ্ধতি এবং প্রথম যা নাযিল হয়

১৮০৬

সহিহ হাদিস
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قالَ: قالَ النَّبِيُّ (ﷺ): (مَا مِنَ الأَنْبِيَاءِ نَبِيٌّ إِلا أُعْطِيَ مَا مِثْلُهُ آمَنَ عَلَيْهِ الْبَشَرُ، وَإِنَّمَا كَانَ الَّذِي أُوتِيتُهُ وَحْيا أَوْحَاهُ اللَّهُ إِلَيَّ، فَأَرْجُو أَنْ أَكُونَ أَكْثَرَهُمْ تَابِعًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ)

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (ﷺ) বলেনঃ পৃথিবীতে যত নবী এসেছেন, তাদের প্রত্যেককেই এমন এমন মুজেযা দেয়া হয়েছে, যা দেখে লোকেরা ঈমান আনয়ন করেছে। আর আল্লাহ্ তাআলা আমাকে কুরআন মজীদ অহী আকারে প্রদান করেছেন। আমি আশা করি কিয়ামতের দিন আমার অনুসারীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশী হবে। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ১৭৬০)

১৮০৭

সহিহ হাদিস
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ : أَنَّ اللَّهَ تَعَالَى تَابَعَ عَلَى رَسُولِهِ (ﷺ) الْوَحْيَ قَبْلَ وَفَاتِهِ، حَتَّى تَوَفَّاهُ أَكْثَرَ مَا كانَ الْوَحْيُ، ثُمَّ تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ (ﷺ) بَعْدُ.

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আল্লাহ্ তাআলা তাঁর রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর শেষ জীবনে বিরতিহীনভাবে অহী নাযিল করতে থাকলেন। আর তাঁর ওফাতের নিকটবর্তী সময়ে ব্যাপক আকারে অহী নাযিল হতে থাকলো। অতঃপর তিনি মৃত্যু বরণ করলেন। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ১৭৬১)
৫৯/ পরিচ্ছেদঃ সাতটি পঠন পদ্ধতিতে কুরআন নাযিল হয়েছে

১৮০৮

সহিহ হাদিস
عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ : سَمِعْتُ هِشَامَ بْنَ حَكِيمٍ. يَقْرَأُ سُورَةَ الْفُرْقانِ فِي حَيَاةِ رَسُولِ اللَّهِ ، فَاسْتَمَعْتُ لِقِرَاءَتِهِ، فَإِذَا هُوَ يَقْرَأُ عَلَى حُرُوفٍ كَثِيرَةٍ لَمْ يُقْرِتُنِيهَا رَسُولُ اللَّهِ فَكِدْتُ أُسَاوِرُهُ في الصَّلاةِ، فَتَصَبَّرْتُ حَتَّى سَلَّمَ، فَلَبَّيْتُهُ بِرِدَائِهِ فَقُلْتُ : مَنْ أَقْرَأَكَ هَذِهِ السُّورَةَ الَّتِي سَمِعْتُكَ تَقْرَأُ؟ قَالَ : أَقْرَأَنِيهَا رَسُولُ اللَّهِ ، فَقُلْتُ : كَذَبْتَ، فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ (ﷺ) قَدْ أَقْرَأْنِيهَا عَلَى غَيْرِ مَا قَرَأَتَ، فَانْطَلَقْتُ بِهِ أَقُودُهُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ (ﷺ) ، فَقُلْتُ: إِنِّي سَمِعْتُ هَذَا يَقْرَأُ بِسُورَةِ الْفُرْقَانِ عَلَى حُرُوفٍ لَمْ تُقْرِئُنِيهَا، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ أَرْسِلْهُ، أَقْرَأْ يَا هِشَامُ). فَقَرَأَ عَلَيْهِ الْقِرَاءَةَ الَّتِي سَمِعْتُهُ يَقْرَأُ، فَقَالَ رَسُولُ اللهِ (ﷺ): (كَذلِكَ أُنْزِلَتْ). ثُمَّ قَالَ: (اقْرَأْ يَا عُمَرُ). فَقَرَأَتُ القِرَاءَةَ الَّتِي أَقْرَأَنِي، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ (ﷺ): (كَذَلِكَ أُنزِلَتْ إِنَّ هَذَا الْقُرْآنَ أُنْزِلَ عَلَى سَبْعَةِ أحرف، فَأَقْرَؤُوا مَا تَيَسَّرَ مِنْهُ .

উমার বিন খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর জীবদ্দশায় আমি হিশাম বিন হাকীমকে সূরা ফুরকান তেলাওয়াত করতে শুনলাম। আমি মনোযোগ সহকারে তার কিরাআত শুনে বুঝতে পারলাম যে, সে তা এমনভাবে পাঠ করছে, যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে শিক্ষা দেন নি। আমি নামাযেই তাকে পাকড়াও করার ইচ্ছা করলাম। কিন্তু আমি ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে সালাম ফিরানো পর্যন্ত অপেক্ষা করলাম।

সালাম ফিরানোর পর তার গলায় চাদর পেঁচিয়ে জিজ্ঞেস করলামঃ আমি এই সূরাটি তোমাকে যেভাবে পড়তে শুনলাম, সেভাবে তোমাকে কে শিক্ষা দিয়েছে? সে বললঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে এভাবে শিক্ষা দিয়েছেন। আমি বললামঃ তুমি মিথ্যা বলছো। কেননা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে তা অন্যভাবে শিক্ষা দিয়েছেন। অতঃপর আমি তাঁকে টেনে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নিকট নিয়ে গেলাম। আমি বললামঃ আমি এই লোকটিকে সূরা ফুরকান এমনভাবে পড়তে শুনেছি, যেভাবে আপনি আমাকে তা শিক্ষা দেন নি।

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তুমি তাঁকে ছেড়ে দাও। ওহে হিশাম! তুমি তা পড়ে শুনাও। সে উক্ত সূরাটি সেভাবেই পড়লো, যেভাবে আমি তাঁকে একটু আগে পড়তে শুনেছিলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ এভাবেই নাযিল হয়েছে। অতঃপর তিনি বললেনঃ হে উমার তুমি পড়ো। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে যেভাবে শিক্ষা দিয়েছেন, আমি তা সেভাবেই পড়লাম। তিনি বললেনঃ এভাবেই নাযিল হয়েছে। অতঃপর তিনি বললেনঃ এই কুরআন সাতটি পদ্ধতিতে নাযিল হয়েছে। যেভাবে পড়া তোমাদের জন্য সহজ হয়, তোমরা সেভাবেই পড়। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ১৭৬২)
৫৯/ পরিচ্ছেদঃ জিবরীল (আঃ) নবী (ﷺ) কে কুরআন পড়ে শুনাতেন

১৮০৯

সহিহ হাদিস
عَنْ فَاطِمَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا ، قالَتْ : أَسَرَّ إِلَيَّ النَّبِيُّ (ﷺ) : (أَنَّ جِبْرِيلَ كانَ يُعَارِضُنِي بِالْقُرْآنِ كُلَّ سَنَةٍ، وَإِنَّهُ عَارَضَنِي الْعَامَ مَرَّتَيْنِ، وَلَا وَلَا أَرَاهُ إِلا حَضَرَ أَجَلِي).

ফাতেমা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ নবী (ﷺ) একবার আমার কানে কানে বললেন যে, জিবরীল ফেরেশতা প্রতি বছর আমার কাছে কুরআন মজীদ একবার পেশ করে থাকেন। তবে এবার আমার নিকট দুইবার পেশ করেছেন। আমার ধারণা এইযে, আমার মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে এসেছে। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ১৭৬৩)

১৮১০

সহিহ হাদিস
عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ : وَاللَّهِ لَقَدْ أَخَذْتُ مِنْ فِي رَسُولِ اللَّهِ بِضْعًا وَسَبْعِينَ سُورَةٌ.

আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আল্লাহর কসম! আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর পবিত্র জবান থেকে সত্তরের অধিক সূরা মুখস্থ করেছি। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ১৭৬৪)

১৮১১

সহিহ হাদিস
وعَنْهُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَنَّهُ كَانَ بِحِمْصَ، فَقَرَأَ سُورَةَ يُوسُفَ، فَقَالَ رَجُلٌ : مَا هَكَذَا أُنْزِلَتْ، قَالَ : قَرَأْتُ عَلَى رَسُولِ اللهِ (ﷺ) فَقَالَ : (أَحْسَنْتَ). وَوَجَدَ مِنْهُ رِيحَ الخَمْرِ، فَقَالَ : أَتَجْمَعُ أَنْ تُكَذِّبَ بِكِتَابِ اللهِ وَتَشْرَبَ الخَمْرَ؟ فَضَرَبَهُ الحَدَّ.

আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি একদা সিরিয়ার হেমস শহরে ছিলেন। তিনি তখন সূরা ইউসুফ পাঠ করলেন। সেখানকার এক লোক বললঃ তা এভাবে নাযিল হয়নি৷ ইবনে মাসউদ বললেনঃ আমি এই সূরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সামনে পাঠ করেছি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ তিনি তাকে বললেনঃ তুমি খুব সুন্দর তেলাওয়াত করেছো। তারপর ইবনে মাসউদ (রাঃ) তাঁর মুখ থেকে মদের গন্ধ পেলেন। তুমি এক দিকে আল্লাহর কিতাবকে মিথ্যা মনে করছ, আর অন্য দিকে মদ পান করছো। অতঃপর তার উপর মদ পানের শাস্তি প্রয়োগ করা হলো। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ১৭৬৫)
৫৯/ পরিচ্ছেদঃ قُلْ هُوَ ٱللَّهُ أَحَدٌ (সূরা ইখলাস)-এর ফজীলত

১৮১২

সহিহ হাদিস
عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ : أَنَّ رَجُلًا سَمِعَ رَجُلًا يَقْرَأُ وقُلْ هُوَ اللهُ أَحَدٌ يُرَدِّدُهَا ، فَلَمَّا أَصْبَحَ جَاءَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ (ﷺ) فَذَكَرَ ذَلِكَ لَهُ، وَكَأَنَّ الرَّجُلَ يَتَقَالُهَا ، فَقَالَ رَسُولُ الله (ﷺ): (وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ، إِنَّهَا لَتَعْدِلُ ثُلُثَ الْقُرْآنِ.

আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক ব্যক্তি অন্য এক ব্যক্তিকে قُلْ هُوَ ٱللَّهُ أَحَدٌ তথা সূরা ইখলাস বার বার পাঠ করতে শুনল। সকাল হলে সে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে এসে বিষয়টি জানালো। লোকটি শুধু সূরা ইখলাস পাঠকে খুব অল্প মনে করছিল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তখন বললেনঃ ঐ সত্ত্বার শপথ, যার হাতে আমার প্রাণ, নিশ্চয়ই ইহা কুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমান। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ১৭৬৬)

১৮১৩

সহিহ হাদিস
وعَنْهُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ : قالَ النَّبِيُّ (ﷺ) لِأَصْحَابِهِ : أَيَعْجِرُ أَحَدُكُمْ أَنْ يَقْرَأَ ثُلُثَ الْقُرْآنِ في لَيْلَةٍ) . فَشَقَّ ذَلِكَ عَلَيْهِمْ وَقَالُوا : أَيُّنَا يُطِيقُ ذَلِكَ يَا رَسُولَ اللهِ؟ فَقَالَ: (اللَّهُ الْوَاحِدُ الصَّمَدُ ثُلُثُ الْقُرْآنِ) .

আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (ﷺ) একদা তাঁর সাহাবীদেরকে বললেনঃ তোমাদের মধ্যে কেউ কি এক রাতে কুরআনের এক তৃতীয়াংশ পাঠ করতে অক্ষম হতে পারে? সাহাবীদের কাছে বিষয়টি খুব কঠিন মনে হলো। তারা বললঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের মধ্যে কার এমন ক্ষমতা আছে? নবী (ﷺ) বললেনঃ সূরা ইখলাস, যাতে রয়েছে আল্লাহ্ এক অদ্বিতীয় এবং অমূখাপেক্ষী- কুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমান। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ১৭৬৭)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন