তিনি বলেনঃ তিনি একবার রাত্রিতে সূরা বাকারা পাঠ করছিলেন। তাঁর পাশেই তাঁর ঘোড়াটি বাঁধা ছিল। তখন হঠাৎ ঘোড়াটি লাফাতে শুরু করল। তিনি কুরআন তেলওয়াত ছেড়ে দিয়ে চুপ হওয়ার সাথে সাথে ঘোড়াটিও চুপ হয়ে গেল। আবার পড়তে শুরু করলে ঘোড়াটিও লাফাতে লাগল। তিনি চুপ হয়ে গেলেন। ঘোড়াটিও শান্ত হলো। তিনি পুনারায় পড়তে শুরু করলে ঘোড়াটিও লাফাতে ছটফট করতে লাগলো। তিনি কুরআন পড়া বাদ দিলেন। কারণ তাঁর ছেলে ইয়াহইয়া ঘোড়ার নিকটেই ঘুমিয়ে ছিল। তাঁর ভয় হলো যে, তাঁর ছেলের শরীরে ঘোড়ার পায়ের আঘাত লাগতে পারে। তাই তিনি ছেলেকে নিজের দিকে টেনে নিলেন এবং আকাশের দিকে মাথা উঠালেন। কিন্তু তিনি আকাশ দেখতে পেলেন না; বরং দেখলেন আলোক বর্তিকার ন্যায় অসংখ্য বস্তু আকাশ ঢেকে রেখেছে। সকাল বেলা সে নবী রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট এসে ঘটনা বর্ণনা করলে তিনি বললেনঃ হে ইবনে হুযায়ের! যদি তুমি পড়তে থাকতে! যদি তুমি পড়তে থাকতে! (তাহলে খুব ভাল হত) তিনি বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমার ভয় হলো ঘোড়াটি ইয়াহুয়াকে পা দিয়ে পিষে ফেলবে। কারণ সে ঘোড়ার নিকটেই ছিল। তাই আমি মাথা উঠিয়ে তার প্রতি দৃষ্টি দিলাম এবং আকাশের দিকে মাথা উঠিয়ে মেঘমালার ন্যায় অসংখ্য বস্তু দেখতে পেলাম। তাতে ছিল বাতির ন্যায় অসংখ্য বস্তু। বাইরে এসে আমি কিছুই দেখতে পেলাম না। তিনি বললেনঃ তুমি কি জান উহা কি ছিল? আমি বললাম না। তিনি বললেনঃ তারা ছিলেন ফেরেশতা। তোমার আওয়াজ শুনে তাঁরা তোমার নিকটবর্তী হয়েছিল। তুমি যদি সকাল পর্যন্ত কুরআন পড়তে থাকতে তাহলে লোকেরা তাদেরকে দেখতে পেত। কুরআন শোনা ছেড়ে দিয়ে তাদের থেকে পলায়ন করতে পারতো না। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ১৭৬৯)