তিনি বলেনঃ আমাদেরকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দু'টি হাদীছ শুনিয়েছেন। এ দু'টি হাদীছের একটি দেখেছি অন্যটির জন্য অপেক্ষায় আছি। প্রথম হাদীছাট হলো রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ মুমিনদের অন্তরের গহীনে প্রথমে আমানত আল্লাহর পক্ষ হতে অবতীর্ণ হয়েছে। অতঃপর কুরআন ও সুন্নাহ্ থেকে তারা এ সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান অর্জন করেছেন। রাসূল (ﷺ) আমানত উঠিয়ে নেয়ার হাদীছও বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ এমন হবে যে, মানুষ ঘুমাবে। ঘুমন্ত অবস্থাতেই তার অন্তর থেকে আমানতদারী উঠিয়ে নেয়া হবে। সেই স্থানে শুধু একটু আলামত থাকবে। অতঃপর যখন দ্বিতীয়বার ঘুমাবে, তখন আবার অবশিষ্ট আমানতটুকুও উঠিয়ে নেয়া হবে। আগুনের অঙ্গারকে পা দিয়ে নাড়া দিলে ফোসকা পড়ে যায় এবার শুধু সেই ফোসকার মত একটু চিহ্ন বাকী থাকবে। তুমি দেখবে তা ফুলে আছে। অথচ তাতে কোন কিছুই নেই। মানুষেরা কেনা-বেচা করবে। তাদের কেউ আমানতদারী রক্ষা করবে না। বলা হবে অমুক গোত্রে একজন আমানতদার লোক আছে। লোকটিকে বলা হবেঃ সে কতই না বুদ্ধিমান! কতই না চতুর সেই ব্যক্তি! কতই না দৃঢ় মানুষ! অথচ তার অন্তরে সরিষার দানা পরিমাণ ঈমানও নেই।

হুযায়ফা বলেনঃ আমি এমন একটি যুগ পার করেছি, যাতে কারো সাথে ক্রয়-বিক্রয় করতে কোন ভয় করি নি। সে মুসলিম হলে ইসলামই তাকে আমার হক ফেরত দিতে বাধ্য করেছে। আর সে নাসরানী হলে তার শাসক তার নিকট থেকে আমার হক ফেরত এনে দিয়েছে। আর আজকে আমি এমন সময় পার করছি, যাতে অমুক অমুক ব্যক্তি তথা বিশেষ কতিপয় ব্যক্তি ছাড়া আর কারো সাথে ক্রয়বিক্রয় করিনা। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ২০৬০)