তিনি বলেনঃ নবী (ﷺ) উম্মে হারাম বিনতে মিলহানের নিকট প্রবেশ করতেন। তিনি ছিলেন উবাদা বিন সামেতের বিবাহধীন। সুতরাং তিনি একদিন তাঁর নিকট গেলে তিনি তাঁকে খানা খাওয়ালেন। উম্মে হারাম নবী রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর মাথা থেকে উকুন বাছতে শুরু করলেন। নবী (ﷺ) ঘুমিয়ে পড়লেন। অতঃপর তিনি হাসতে হাসতে জাগ্রত হলেন। উম্মে হারাম বলেনঃ আমি জিজ্ঞেস করলামঃ হে আল্লাহর রাসূল! আপনি কি কারণে হেসে উঠলেন? তিনি বললেনঃ আমার উম্মাতের কিছু লোককে আমার সামনে পেশ করা হলো। তারা আল্লাহর রাস্তায় জেহাদ করছিল। মাঝ দরিয়ায় জাহাজের উপর সওয়ার হয়ে বাদশার মত তারা সিংহাসনে বসা ছিল। উম্মে হারাম বলেনঃ আমি বললামঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমার জন্য আল্লাহর কাছে দুআ করুন? তিনি যেন আমাকে তাদের অন্তর্ভুক্ত করে দেন।

রাসূল (ﷺ) তার জন্য দুআ করলেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়লেন এবং জাগ্রত হয়ে হাসতে লাগলেন। উম্মে হারাম বলেনঃ আমি বললামঃ হে আল্লাহর রাসূল! আপনি কি কারণে হাসছেন? তিনি প্রথম বারের মতই বললেনঃ আমার উম্মাতের কিছু লোককে আমার সামনে পেশ করা হলো। তারা আল্লাহর রাস্তায় জেহাদ করছিল। মাঝ দরিয়ায় জাহাজের উপর সওয়ার হয়ে বাদশার মত তারা সিংহাসনে বসা ছিল। উম্মে হারাম বলেনঃ আমি বললামঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমার জন্য আল্লাহর কাছে দুআ করুন? তিনি যেন আমাকে তাদের অন্তর্ভুক্ত করে দেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তুমি প্রথম দলের লোকদের সাথেই রয়েছো। উম্মে হারাম মুআবীয়া বিন আবু সুফিয়ানের আমলে জাহাজে আরোহন করেন। সমুদ্র থেকে প্রত্যাবর্তন করার সময় আপন সওয়ারী থেকে পড়ে গিয়ে তিনি মৃত্যু বরণ করেন। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ২১২৮)