রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ ততক্ষণ পর্যন্ত কিয়ামত হবে না, যতক্ষণ না দু'টি বৃহৎ দল যুদ্ধে লিপ্ত হবে। তাদের মাঝে তুমুল যুদ্ধ হবে। অথচ তাদের উভয় দলের দাবী হবে এক। ত্রিশজন মিথ্যুক আগমণের পূর্বে কিয়ামত প্রতিষ্ঠিত হবেনা। তারা সকলেই দাবী করবে যে, সে আল্লাহর রাসূল। এবং যতক্ষণ না ইলম উঠিয়ে নেয়া হবে, ভূমিকম্প বৃদ্ধি পাবে, সময় দ্রুত চলে যাবে, ফিতনা বৃদ্ধি পাবে এবং হত্যা বৃদ্ধি পাবে। ততক্ষণ পর্যন্ত কিয়ামত প্রতিষ্ঠিত হবেনা যতক্ষণ না মানুষের ধন-সম্পদ বৃদ্ধি পাবে। মানুষ যাকাতের মাল নিয়ে সংকটে পড়বে। যাকাতের মাল মানুষের কাছে পেশ করা হলে সে বলবেঃ এতে আমার কোন প্রয়োজন নেই। ততক্ষণ পর্যন্ত কিয়ামত হবে না, যতক্ষণ না লোকেরা দালানকোঠা বানানোতে প্রতিযোগিতা করবে। ততদিন পর্যন্ত কিয়ামত হবেনা যতদিন না লোকেরা কবরের পাশ দিয়ে অতিক্রম করবে এবং বলবেঃ হায় আফসোস! আমি যদি এ কবরের অধিবাসী হতাম।

যে দিন পর্যন্ত পশ্চিম দিক থেকে সূর্য উদিত হবেনা ততদিন কিয়ামত হবেনা। যখন পশ্চিম দিক থেকে সূর্য উদিত হবে এবং মানুষ তা দেখতে পাবে তখন সকলেই ঈমান আনবে। তখন এমন ব্যক্তির ঈমান কোন উপকারে আসবেনা, যে পূর্ব থেকে বিশ্বাস স্থাপন করেনি কিংবা স্বীয় বিশ্বাস অনুযায়ী কোন সৎকাজ করেনি। কিয়ামত এমন পরিস্থিতি ও এমন অবস্থায় কায়েম হবে যে, দু'জন লোক ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে তাদের কাপড় একে অপরের সামনে পেশ করবে কিন্তু তারা তা ক্রয়-বিক্রয় বা ছড়ানো কাপড় ভাঁজ করার সময় পাবেনা। কিয়ামত এমন পরিস্থিতে কায়েম হবে যে, এক ব্যক্তি উটনী দোহন করে নিয়ে আসবে কিন্তু তা পান করার সুযোগ পাবেনা। কিয়ামত এমন পরিস্থিতে কায়েম হবে যে, এক ব্যক্তি হাউজ (পশুকে পানি পান করানোর জন্য চাড়ি) প্রস্তুত করতে যাবে, কিন্তু তা থেকে (পশুকে) পান করাতে পারবেনা। কিয়ামত এমন পরিস্থিতে কায়েম হবে যে, এক ব্যক্তি মুখে খাদ্যের লোকমা উঠাবে কিন্তু তা মুখে দিয়ে খাবার সুযোগ পাবেনা। (আলোকিত প্রকাশনীঃ ২১৪৫)