hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

বিদআতের পরিচয়

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

১২
১০. বিদআতের ভয়াবহ পরিণতী কী কী?
বিদআতের ফলাফল ও পরিণতি অত্যন্ত ক্ষতিকর। নিম্নে এর কিছু চিত্র তুলে ধরা হলো :

১. বিদআত হচ্ছে আমলের ক্ষেত্রে সীমালঙ্ঘন :

ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা। এর কোনো কিছু অস্বীকার করাটা হচ্ছে কুফরী। এর বিপরীত ইসলামের মধ্যে নতুন কিছুর অনুপ্রবেশ ঘটানোই হচ্ছে বিদআত। আর উভয় প্রকার কর্মের নামই হচ্ছে সীমালঙ্ঘন। এই সীমালঙ্ঘনের কারণেই আল্লাহ তা‘আলা পূর্ববর্তী অনেক জাতিকে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন। আদ, সামুদ, নমরুদ, ফিরাউন- এরা ছিল সীমালঙ্ঘনকারী জাতিসমূহেরই অন্তর্ভুক্ত।

কুরআন মাজীদে এ ব্যাপারে কঠোর সতর্কবাণী উচ্চারণ করা হয়েছে।

﴿اِنَّ اللهَ لَا يُحِبُّ الْمُعْتَدِيْنَ﴾

নিশ্চয় আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে পছন্দ করেন না। (সূরা মায়েদা ৫:৮৭)

২. বিদআত মানে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর বিরুদ্ধে খিয়ানতের অভিযোগ :

কোনো ব্যক্তি বিদআত চালু করার মাধ্যমে অথবা বিদআতী আমল করার মাধ্যমে এটিই প্রমাণ করল যে, আল্লাহ তা‘আলা তাঁর রাসূলের উপর আমানত হিসেবে যে ইসলামকে দিয়েছিলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ তা যথাযথভাবে উম্মতের নিকট পৌঁছে দেননি; বরং তিনি খিয়ানত করেছেন। এ জন্যই বিদআত চালু করতে হলো- (নাউযুবিল্লাহ)।

৩. বিদআত শয়তানের একটি বড় অস্ত্র :

শয়তান মানুষকে অন্যান্য নিষিদ্ধ কাজে লিপ্ত করার তুলনায় খুব সহজেই বিদআতে লিপ্ত করে দেয়। কেননা বিদআতী কর্মসমূহ সাধারণ মুসলিমদের কাছে স্পষ্ট নয়, এমনকি তারা বিদআত সম্পর্কে তেমন সতর্কও নয়। ফলে দেখা যায় যে, বিদআতী আমলসমূহ এত বেশি উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালন করা হয়, যা কোনো ফরয ইবাদাতের ক্ষেত্রেও করা হয় না।

৪. বিদআত মানুষকে পথভ্রষ্ট করে দেয় :

বিদআতকারী সহজেই পথভ্রষ্ট হয়ে যায়। কেননা রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাদের জন্য যা কিছু নিয়ে এসেছেন, সেগুলোই হক্ব। এর বাহিরে যা কিছু আছে, সবই ভ্রান্ত। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿فَمَاذَا بَعْدَ الْحَقِّ اِلَّا الضَّلَالُ﴾

সত্য ত্যাগ করার পর বিভ্রান্তি ব্যতীত আর কী বাকি থাকে? (সূরা ইউনুস ১০:৩২)

হাদীসে এসেছে,

عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ قَالَ كَانَ رَسُوْلُ اللهِ - - إِذَا خَطَبَ ... يَقُوْلُ : أَمَّا بَعْدُ فَإِنَّ خَيْرَ الْحَدِيْثِ كِتَابُ اللهِ وَخَيْرُ الْهُدٰى هُدٰى مُحَمَّدٍ وَشَرُّ الأُمُوْرِ مُحْدَثَاتُهَا وَكُلُّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ

জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন খুতবা দিতেন তখন বলতেন, নিশ্চয় সর্বোত্তম কথা হলো আল্লাহর কিতাব; সর্বোত্তম হেদায়াত হলো মুহাম্মদ ﷺ এর হেদায়াত। আর সর্বনিকৃষ্ট বিষয় হলো মনগড়া নব প্রবর্তিত বিষয় বিদআত এবং এরূপ প্রতিটি বিদআত-ই পথভ্রষ্টতা। [সহীহ মুসলিম হা/২০৪২; সুনানে নাসায়ী হা/১৫৭৭; সুনানে ইবনে মাজাহ হা/৪৫।]

৫. বিদআত সমাজে ফিতনা সৃষ্টি করে :

আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেন, তোমাদের তখন কী অবস্থা হবে, যখন ফিতনা তোমাদেরকে আচ্ছাদিত করে নেবে? যখন ফিতনা বা বিদআত অপসারিত করা হবে তখন লোকেরা বলবে, সুন্নাত অপসারিত হল। একজন জিজ্ঞেস করল, হে আবু আবদুর রহমান! এরূপ কখন হবে? তিনি বললেন, যখন তোমাদের ক্বারীর সংখ্যা অধিক হবে এবং ফকীহ (অভিজ্ঞ আলেমের) সংখ্যা কম হবে, তোমাদের নেতার সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে এবং আমানতদারের সংখ্যা কমে যাবে ও আখিরাতের কর্ম দ্বারা দুনিয়ার সম্পদ অন্বেষণ করা হবে। [দারেমী ১/৬৪।]

৬. বিদআত মুসলিম উম্মাহর ঐক্য বিনষ্ট করে :

যেহেতু বিদআত সাধারণ দৃষ্টিকোণ থেকে উত্তম ও নেকীর কর্ম হিসেবেই মনে হয়। ফলে সাধারণ মানুষ প্রাথমিকভাবে এটিকে বিদআত হিসেবে চিহ্নিত করতে পারে না। অতঃপর যখন কোনো জ্ঞানী ব্যক্তির কাছে বিষয়টি ধরা পড়ে এবং তিনি এ ব্যাপারে জাতিকে সতর্ক করতে চান, তখন কিছু লোক তার পক্ষাবলম্বন করে এবং কিছু লোক তার বিরুদ্ধাচরণ শুরু করে। এভাবে মুসলিম উম্মাহ বিভক্ত হয়ে যায়।

৭. বিদআত আল্লাহর দ্বীনকে বিকৃত করে দেয় :

ইসলাম হচ্ছে একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা। এর মধ্যে কোনোরূপ পরিবর্তন বা পরিবর্ধনের সুযোগ নেই। কিন্তু বিদআতের অনুপ্রবেশ দ্বীনের মধ্যে পরিবর্তন-পরিবর্ধন বা বিকৃতি ঘটায়। অতঃপর দ্বীনকে এমন পর্যায়ে নিয়ে যায় যে, ইসলামের প্রকৃত অবস্থা নির্ণয় করা-ই কঠিন হয়ে পড়ে। যেমনটি করেছিল পূর্ববর্তী পথভ্রষ্ট জাতি ইয়াহুদি ও নাসারাগণ। তারা আল্লাহর বিধান পাওয়ার পরও দ্বীনকে বিকৃত করে ফেলেছিল।

৮. বিদআত সুন্নাতের বিলুপ্তি ঘটায় :

যেখানে ভালো উপস্থিত থাকে না, সেখানে মন্দ এমনিতেই জায়গা করে নেয়। এজন্যই হাস্সান (রাঃ) বলেছিলেন,

قَالَ مَا ابْتَدَعَ قَوْمٌ بِدْعَةً فِى دِيْنِهِمْ إِلَّا نَزَعَ اللهُ مِنْ سُنَّتِهِمْ مِثْلَهَا ثُمَّ لَا يُعِيْدُهَا إِلَيْهِمْ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ

যখন কোনো জাতি তাদের দ্বীনের মধ্যে বিদআতের অনুপ্রবেশ ঘটায় তখন আল্লাহ তা‘আলা ঐ পরিমাণ সুন্নাত তাদের থেকে তুলে নেন, যা কিয়ামত পর্যন্ত আর কখনো তাদের নিকট ফিরে আসে না। [সুনানে দারেমী হা/৯৯; মিশকাতুল মাসাবীহ হা/১৮৮।]

অনুরূপভাবে ইবনে সিরীন (রহ.) বলেন,

مَا اَخَذَ رَجُلٌ بِبِدْعَةٍ فَرَاجَعَ سُنَّةً

কোনো ব্যক্তি যে পরিমাণ বিদআত করে সেই পরিমাণ সুন্নাত তার থেকে বিলীন হয়ে যায়। [সুনানে দারেমী হা/২১৪।]

এর উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যে, ফরয সালাতের পর রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সুন্নাত হলো বিভিন্ন মাসনূন দু‘আ পৃথক পৃথকভাবে পাঠ করা। এখন যদি সালাতের পর ইমাম সাহেব হাত তুলে দু‘আ করেন এবং সকলে তার সাথে দু‘আয় শরীক হন, তাহলে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর উপরোক্ত সুন্নাতটির বিলুপ্ত হয়ে যায়।

৯. বিদআতের কারণে আমল বিনষ্ট হয়ে যায় :

বিদআত মানুষের জন্য এতটাই মারাত্মক যে, এর কারণে ব্যক্তির সমস্ত আমল বরবাদ হয়ে যাবে। হাদীসে এসেছে,

عَنْ عَلِيٍّ قَالَ مَا عِنْدَنَا شَيْءٌ إِلَّا كِتَابُ اللّٰهِ وَهٰذِهِ الصَّحِيْفَةُ عَنِ النَّبِيِّ الْمَدِيْنَةُ حَرَمٌ مَا بَيْنَ عَائِرٍ إِلٰى كَذَا مَنْ أَحْدَثَ فِيْهَا حَدَثًا أَوْ اٰوٰى مُحْدِثًا فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللّٰهِ وَالْمَلَائِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِيْنَ لَا يُقْبَلُ مِنْهُ صَرْفٌ وَلَا عَدْلٌ

আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, আমাদের কাছে আল্লাহর কিতাব ও নাবী ﷺ এর পক্ষ থেকে এ সহীফা (পুস্তিকা) ছাড়া আর কিছুই নেই। এতে বর্ণিত আছে, মদীনার ‘আয়ির’ নামক স্থান থেকে অমুক স্থান পর্যন্ত হারাম বা সম্মানিত। এখানে যদি কেউ (কুরআন ও সুন্নাহ বিরোধী) নতুন কিছু (বিদআত) করে কিংবা বিদআত সৃষ্টিকারীকে আশ্রয় দেয় তবে তার প্রতি আল্লাহ, সকল ফেরেশতা ও মানবকুলের অভিশাপ বর্ষিত হবে। তার কোনো ফরয বা নফল ইবাদাত (আল্লাহর কাছে) কবুল হবে না। [সহীহুল বুখারী হা/১৮৭০, সহীহ মুসলিম হা/১৩৭০।]

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿قُلْ هَلْ نُنَبِّئُكُمْ بِالْاَخْسَرِيْنَ اَعْمَالًا اَلَّذِيْنَ ضَلَّ سَعْيُهُمْ فِى الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَهُمْ يَحْسَبُوْنَ اَنَّهُمْ يُحْسِنُوْنَ صُنْعًا﴾

তাদেরকে বলে দাও, আমি কি তোমাদেরকে আমলের দিক থেকে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সম্পর্কে সংবাদ দেব? তারা তো ঐসব লোক, পার্থিব জীবনে যাদের সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে গেছে; অথচ তারা মনে করে যে, তারা সৎকর্মই করছে। (সূরা কাহফ- ১০৩, ১০৪)

অত্র আয়াতের তাফসীরে আল্লামা ইবনে কাসীর (রহ.) লিখেছেন,

وَاِنَّمَا هِيَ عَامَّةٌ فِيْ كُلِّ مَنْ عَبَدَ اللهَ عَلٰى غَيْرِ طَرِيْقَةٍ مَّرْضِيَّةٍ يَّحْسَبُ اَنَّه مُصِيْبٌ فِيْهَا، وَاِنَّ عَمَلُه مَقْبُوْلٌ، وَهُوَ مُخْطِئٌ، وَعَمَلُه مَرْدُوْدٌ

এ আয়াত সাধারণভাবে এমন সব লোকের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য, যারা আল্লাহর ইবাদাত করে আল্লাহর পছন্দনীয় পন্থার বিপরীত পন্থায়। তারা যদিও মনে করছে যে, তারা ঠিক কাজই করছে এবং আশা করছে যে, তাদের আমল আল্লাহর নিকট স্বীকৃত ও গৃহীত হবে। অথচ প্রকৃতপক্ষে তারা ভুল নীতির অনুসারী এবং তাদের আমল আল্লাহর নিকট প্রত্যাখ্যাত। [তাফসীরে ইবনে কাসীর, অত্র আয়াতের তাফসীর দ্রষ্টব্য।]

১০. বিদআতী আমলকারীর পক্ষে তওবা করার সুযোগ হয় না :

যে কোনো পাপের ক্ষেত্রেই পাপী এটা জানে যে, সে যা করতে যাচ্ছে তা একটি অপরাধ। এর জন্য নিশ্চিত শাস্তির বিধান রয়েছে। পাপীর মধ্যে যখন এরূপ কোনো অনুভূতি জাগবে, ঠিক তখনই সে অনুতপ্ত হয়ে সৎপথে ফিরে আসার জন্য তওবার দিকে ধাবিত হবে। কিন্তু বিদআত হচ্ছে এমন একটি আমল, যা পালন করলে আমলকারীর মনে এ ধারণা কখনো জাগ্রত হয় না যে, সে যেটা করতে যাচ্ছে সেটি একটি অপরাধ। বরং সে উক্ত আমলটিকে অধিক সওয়াবের কাজ হিসেবেই মনে করে থাকে। অতঃপর তাকে এ ব্যাপারে সতর্ক করা হলেও সে সেটিকে গুরুত্ব দেয় না। বরং এর বিরোধিতায় লিপ্ত হয়ে যায়, দায়ীকে হেয় প্রতিপন্ন করে। আর এ অবস্থাতেই সে মৃত্যুবরণ করে। সুতরাং তার পক্ষে তওবা করার কোনো সুযোগ হয়ে উঠে না। হাদীসে এসেছে,

عَنْ اَنَسٍ بْنِ مَالِكٍ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ ا للهِ إنّ اللّٰهَ احْتَجَرَ التَّوْبَةَ عَلٰى كُلِّ صَاحِبِ بِدْعَةٍ

আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক বিদআতী হতে তওবা সরিয়ে নিয়েছেন। [সিলসিলা সহীহাহ হা/১৬২০; জামেউল আহাদীস হা/৬৬১৪; শু‘আবুল ঈমান হা/৯৪৫৬; ইসহাক ইবনে রাহওয়াইহ হা/৩৯৮; মু‘জামুল আওসাত, হা/৪২০২।]

১১. বিদআতীর উপর আল্লাহ ও ফেরেশতাদের অভিশাপ বর্ষিত হয় :

বিদআতীদের উপর স্বয়ং আল্লাহ তা‘আলা ও সমগ্র ফেরেশতাও অভিশাপ বর্ষণ করেন। আর কিয়ামতের দিন সমগ্র মানবজাতিও তাদের উপর অভিশাপ বর্ষণ করবে। হাদীসে এসেছে,

عَنْ اَنَسٍ عَنِ النَّبِيِّ قَالَ : مَنْ اَحْدَثَ فِيهَا حَدَثًا فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللهِ وَالْمَلَائِكَةِ وَالنَّاسِ اَجْمَعِيْنَ لَا يَقْبَلُ اللهُ مِنْهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ صَرْفًا وَلَا عَدْلًا

আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি দ্বীনের মধ্যে নতুন কিছু আবিষ্কার করবে তার উপর আল্লাহ, তাঁর ফেরেশতা এবং সমগ্র মানবকুলের অভিশাপ পড়বে। কিয়ামতের দিন তার কোনো ফরয ও নফল ইবাদাত কবুল হবে না। [সহীহুল বুখারী হা/১৮৬৭, সহীহ মুসলিম হা/৩৩৮৯।]

১২. বিদআতীরা হাউজে কাউসারের পানি পান করা থেকে বঞ্চিত হবে :

কিয়ামতের দিন যখন সমস্ত মানুষ চরম পিপাসায় কাতরাতে থাকবে, তখন একমাত্র হাউজে কাউসারই হবে পিপাসা মিটানোর একমাত্র মাধ্যম। কেবল উম্মতে মুহাম্মাদীকেই এ পানি পান করার সুযোগ দেয়া হবে। কিন্তু বিদআতীদেরকে তা হতে তাড়িয়ে দেয়া হবে। হাদীসে এসেছে,

عَنْ سَهْلَ بْنَ سَعْد ، يَقُوْلُ سَمِعْتُ النَّبِيَّ يَقُوْلُ : ‏ اَنَا فَرَطُكُمْ، عَلَى الْحَوْضِ، مَنْ وَرَدَهٗ شَرِبَ مِنْهُ، وَمَنْ شَرِبَ مِنْهُ لَمْ يَظْمَأْ بَعْدَهٗ اَبَدًا، لَيَرِدُ عَلَىَّ اَقْوَامٌ اَعْرِفُهُمْ وَيَعْرِفُوْنِيْ، ثُمَّ يُحَالُ بَيْنِيْ وَبَيْنَهُمْ ‏‏ . قَالَ اَبُوْ حَازِمٍ فَسَمِعَنِي النُّعْمَانُ بْنُ اَبِيْ عَيَّاشٍ، وَاَنَا اُحَدِّثُهُمْ، هٰذَا فَقَالَ هٰكَذَا سَمِعْتَ سَهْلًا، فَقُلْتُ نَعَمْ‏ . ‏ قَالَ وَاَنَا اَشْهَدُ، عَلٰى اَبِيْ سَعِيْدٍ الْخُدْرِيِّ لَسَمِعْتُهٗ يَزِيْدُ فِيْهِ قَالَ : ‏ اِنَّهُمْ مِنِّيْ‏ . ‏ فَيُقَالُ اِنَّكَ لَا تَدْرِيْ مَا بَدَّلُوْا بَعْدَكَ فَاَقُوْلُ سُحْقًا سُحْقًا لِمَنْ بَدَّلَ بَعْدِيْ

সাহল ইবনে সা‘দ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী ﷺ-কে বলতে শুনেছি, আমি হাউজে কাউসারে তোমাদের অগ্রগামী প্রতিনিধি হব। যে ব্যক্তি সেখানে উপস্থিত হবে সে তা হতে পানি পান করবে; আর যে পান করবে সে আর কখনো তৃষ্ণার্ত হবে না। আর এমন সব লোকদেরকে আমার নিকট উপস্থিত করা হবে, যাদেরকে আমি (উম্মত হিসেবে) চিনতে পারব, আর তারাও আমাকে চিনতে পারবে। তারপর আমার এবং তাদের মাঝে পর্দা পড়ে যাবে। আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) অতিরিক্ত শব্দে বর্ণনা করেন, তখন নবী ﷺ বলবেন, তারা তো আমার (উম্মত)। বলা হবে আপনি জানেন না, আপনার পর তারা (দ্বীনের বিষয়ে) কী কী পরিবর্তন করেছে। তখন আমি বলব, দূর হও দূর হও! যারা আমার পরে (দ্বীনের মধ্যে) পরিবর্তন এনেছ। [সহীহ বুখারী হা/৭০৫১; সহীহ মুসলিম হা/৬১০৮-৯; মুসনাদে আহমাদ হা/২৬৫৮৮।]

১৩. বিদআতীদেরকে কিয়ামতের দিন জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে :

কোনো বিদআতী আমলের উপর আমল করার অর্থ হচ্ছে স্বয়ং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরোধিতা করা। আর তাদের বিরোধিতা করাই জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হওয়ার একটি বড় কারণ। কুরআন মাজীদে বলা হয়েছে,

﴿وَمَنْ يُّشَاقِقِ الرَّسُوْلَ مِنْ ۢبَعْدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُ الْهُدٰى وَيَتَّبِعْ غَيْرَ سَبِيْلِ الْمُؤْمِنِيْنَ نُوَلِّه مَا تَوَلّٰى وَنُصْلِه جَهَنَّمَؕ وَسَآءَتْ مَصِيْرًا﴾

কারো নিকট সৎপথ প্রকাশিত হওয়ার পর সে যদি রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করে এবং মুমিনদের পথ ব্যতীত অন্য পথ অনুসরণ করে, তবে যেদিকে সে ফিরে যায় সেদিকেই তাকে ফিরিয়ে দেব; অবশেষে তাকে জাহান্নামে দগ্ধ করব। আর তা কতই না মন্দ আবাস! (সূরা নিসা ৪:১১৫)

পরিশেষে বলা যায় যে, বিদআতের পরিণাম অত্যন্ত ভয়াবহ। বিদআত মানুষের এমন ক্ষতি সাধন করে, যার শেষ পরিণতি হিসেবে জাহান্নাম ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট থাকে না। সুতরাং আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে এ গুনাহ থেকে সর্বদা সুরক্ষিত থাকার তাওফিক দান করুন। আমীন

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন