hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

বিদআতের পরিচয়

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৩. বিদআতের স্বরূপ কী?
দ্বীনের মধ্যে নতুন কিছু প্রবেশ করানোর সুযোগ নেই। যদি করানো হয়, তবে এর অর্থ দাঁড়ায় এই যে, আল্লাহ তা‘আলা যদিও দ্বীন পরিপূর্ণ করে দিয়েছেন, কিন্তু রাসূলুল্লাহ ﷺ সেগুলো আমাদের কাছে যথাযথভাবে পৌঁছাননি। সুতরাং এর মধ্যে কিছু ত্রুটি রয়ে গেছে (নাউযুবিল্লাহ)। অথচ রিসালাতের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার জন্য রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে কুরআন মাজীদে কঠোরভাবে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। বলা হয়েছে যে,

﴿ يَاۤ أَيُّهَا الرَّسُوْلُ بَلِّغْ مَاۤ أُنْزِلَ إِلَيْكَ مِنْ رَّبِّكَ وَإِنْ لَّمْ تَفْعَلْ فَمَا بَلَّغْتَ رِسَالَتَهٗ﴾

হে রাসূল! তোমার রবের পক্ষ থেকে তোমার নিকট যা নাযিল করা হয়েছে, তা পৌঁছে দাও; আর যদি তুমি না কর, তবে তুমি যেন তাঁর রিসালাত পৌঁছালে না। (সূরা মায়েদা ৫:৬৭)

আল্লাহর এই কঠোর সতর্কবাণীর কারণেই রাসূলুল্লাহ ﷺ মৃত্যুর পূর্বে বিদায় হজ্জের ভাষণে সমগ্র জনতার উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করেছিলেন যে,

وَأَنْتُمْ تُسْأَلُوْنَ عَنِّىْ فَمَا أَنْتُمْ قَائِلُوْنَ

অর্থাৎ যখন তোমাদেরকে আমার সম্পর্কে (আমার দায়িত্ব পালন করার ব্যাপারে) জিজ্ঞেস করা হবে, তখন তোমরা (আমার ব্যাপারে আল্লাহর কাছে) কী উত্তর দিবে? সাহাবীগণ উত্তর দিলেন,

نَشْهَدُ أَنَّكَ قَدْ بَلَّغْتَ وَأَدَّيْتَ وَنَصَحْتَ . فَقَالَ بِإِصْبَعِهِ السَّبَّابَةِ يَرْفَعُهَا إِلَى السَّمَاءِ وَيَنْكُتُهَا إِلَى النَّاسِ اَللّٰهُمَّ اشْهَدْ اَللّٰهُمَّ اشْهَدْ . ثَلَاثَ مَرَّاتٍ

আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিশ্চয় আপনি আল্লাহর দেয়া রিসালাত আমাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন, (আপনার দায়িত্ব) আদায় করেছেন এবং উম্মতের জন্য কল্যাণ কামনা করেছেন। একথা শুনে তিনি শাহাদাত আঙ্গুলকে আসমানের দিকে উঠিয়ে লোকদের দিকে ইঙ্গিত করে বলেছিলেন, হে আল্লাহ তুমি সাক্ষী থাকো! হে আল্লাহ তুমি সাক্ষী থাকো- একথা তিনি তিনবার বললেন। [সহীহ মুসলিম হা/৩০০৯।]

এরপরই আল্লাহ তা‘আলা এ আয়াতটি নাযিল করলেন,

﴿اَلْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِيْنَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِيْ وَرَضِيْتُ لَكُمُ الْإِسْلَامَ دِيْنًا﴾

আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ করলাম এবং আমার নিয়ামতকে তোমাদের উপর পূর্ণ করে দিলাম; আর তোমাদের জন্য ইসলামকে দ্বীন হিসেবে মনোনীত করলাম। (সূরা মায়েদা ৫:৩)

সুতরাং দ্বীন পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়ার পরও যারা বিদআতে হাসানা নামক ইবাদাতকে ইসলামের ভিতরে ঢুকাতে চায়, তারা মূলত পরোক্ষভাবে রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে রিসালাতের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে খিয়ানতকারী হিসেবে আখ্যায়িত করে থাকে। এ কারণেই ইমাম মালেক (রহ.) বলেছেন,

مَنِ ابْتَدَعَ بِدْعَةً فَيَرَاهَا حَسَنَةً فَقَدْ زَعَمَ اَنَّ مُحَمَّدًا خَانَ فِى الرِّسَالَةِ لِاَنَّ اللهَ تَعَالٰى يَقُوْلُ ﴿ اَلْيَوْمُ اَكْمَلْتُ لَكُمْ دِيْنَكُمْ﴾ فَمَا لَمْ يَكُنْ يَوْمَئِذٍ دِيْنًا فَلَيْسَ الْيَوْمَ دِيْنًا

যে ব্যক্তি কোনো বিদআত আবিষ্কার করল, অতঃপর তাতে কল্যাণ দেখতে পেল, সে যেন দাবী করল যে- মুহাম্মদ ﷺ রিসালাতের ব্যাপারে খিয়ানত করেছেন। কেননা আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন- ‘‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ করে দিলাম’’। সুতরাং যেসব কাজ তখন দ্বীনের অন্তর্ভুক্ত ছিল না, তা বর্তমানেও দ্বীন নয়। [মুহাববাতুর রাসূল বাইনাল ইত্তিবায়ি ওয়াল ইবতিদায়ী ১/২৮৪।]

বিদআতের উদাহরণ হচ্ছে পানি ভর্তি একটি পাত্রের সাথে, যাতে অতিরিক্ত বিন্দু পরিমাণ পানি ধারণের ক্ষমতা নেই। কিন্তু এরপরও যদি তাতে আরো পানি দেয়া হয়, তাহলে যেমনিভাবে পাত্র থেকে পানি বাহিরে গড়িয়ে পড়ে যাবে, অনুরূপভাবে আল্লাহ তা‘আলা দ্বীন ইসলামকে এমনই পরিপূর্ণ করে দিয়েছেন যে, এতে নতুন কিছু প্রবেশ করানোর আর কোনো সুযোগ নেই। যদি এরূপ করা হয়, তাহলে তা অতিরিক্ত পানির মতো বাহিরে গড়িয়ে যাবে তথা বাতিল হিসেবে সাব্যস্ত হবে। আর এর থেকে সামান্যতম কম করা হলে সেটি কুফর হিসেবে সাব্যস্ত হবে। অতএব দ্বীনকে যথাযথভাবে পালন করাটাই হচ্ছে প্রকৃত ঈমানদারের পরিচায়ক।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন