hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

বিদআতের পরিচয়

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

১৩
১১. বিদআত দূরীকরণে সালাফদের ভূমিকা কেমন ছিল?
সাহাবায়ে কেরাম থেকে নিয়ে পরবর্তী হকপন্থী আলেমগণ সবসময় বিদআতের বিরোধিতা করেছেন। নিচের ঘটনাসমূহ থেকে এর প্রমাণ পাওয়া যায় :

১. আমর ইবনে ইয়াহইয়া (রহ.) বলেন, আমি আমার পিতাকে বলতে শুনেছি। তিনি বলেন, একদা আমরা ফজরের সালাতের পূর্বে আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) এর দরজায় বসা ছিলাম। অতঃপর তিনি মসজিদের দিকে হেঁটে বের হলেন। এমন সময় আবু মুসা আশআরী (রাঃ)ও আমাদের কাছে আসলেন এবং বললেন, আবু আবদুর রহমান কি তোমাদের নিকট এসেছে? আমরা বললাম, না- আসেনি। অতঃপর তিনি আবু আবদুর রহমান না আসা পর্যন্ত আমাদের সাথে বসলেন। পরে যখন তিনি আসলেন তখন আমরা সকলে তার দিকে অগ্রসর হলাম। অতঃপর আবু মুসা (রাঃ) বললেন, হে আবু আবদুর রহমান! আমি এখনি মসজিদের মধ্যে এমন কিছু দেখতে পেলাম, যা আমি পছন্দ করিনি এবং ইতঃপূর্বে আমি তা কখনো দেখিনি। তবে আমি এর মধ্যে ভালো ছাড়া আর কিছু দেখতে পাচ্ছি না। তিনি বললেন, সেটা কী? আবু মুসা (রাঃ) বললেন, তুমি বেঁচে থাকলে দেখতে পাবে। এরপর বললেন, আমি মসজিদে দেখলাম যে, কিছু লোক একসাথে বসে আছে। তারা সালাতের জন্য অপেক্ষা করছে আর তাদের প্রত্যেকের হাতে পাথরকণা রয়েছে এবং প্রত্যেক হালকাতে একজন লোক রয়েছে যে বলছে, তোমরা একশ’ বার সুবহানাল্লাহ, একশ’ বার আল্লাহু আকবার এবং একশ’ বার লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহ পড়ো। তাই তারা এ পাথর দ্বারা তাসবীহ পাঠ করছিল।

এটা শুনে তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তুমি তাদেরকে কী বলেছ? আবু মুসা (রাঃ) বললেন, আপনার মতামত জানার আগে আমি কিছুই বলিনি। তিনি বললেন, তুমি কি তাদেরকে এটা বলতে পারলে না যে, তারা যেন তাদের পাপসমূহ গণনা করে? আর তাদের নেক আমলসমূহ নষ্ট না হওয়ার জন্য তুমি জামিন হতে পারলে না? এরপর আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) তাদের সামনে আসলেন এবং আমরাও তার সাথে গেলাম। তিনি বললেন, আমি তোমাদের মধ্যে এটা কী দেখতে পেলাম। তারা বলল,

يَا اَبَا عَبْدِ الرَّحْمٰنِ حَصًى نَعُدُّ بِهٖ التَّكْبِيْرَ وَالتَّهْلِيْلَ وَالتَّسْبِيْحَ

‘‘হে আবু আবদুর রহমান! এগুলো হলো পাথরকণা, যা দ্বারা আমরা তাসবীহ গণনা করি।’’ তারপর তিনি বললেন,

فَعُدُّوْا سَيِّئَاتِكُمْ فَاَنَا ضَامِنٌ اَنْ لَا يَضِيْعَ مِنْ حَسَنَاتِكُمْ شَيْءٌ وَيْحَكُمْ يَا أُمَّةَ مُحَمَّدٍ مَا اَسْرَعَ هَلَكَتَكُمْ هٰؤُلَاءِ صَحَابَةُ نَبِيِّكُمْ مُتَوَافِرُوْنَ وَهٰذِهٖ ثِيَابُهٗ لَمْ تَبْلَ وَاٰنِيَتُهٗ لَمْ تُكْسَرْ وَالَّذِيْ نَفْسِيْ بِيَدِهٖ اِنَّكُمْ لَعَلٰى مِلَّةٍ هِيَ اَهْدٰى مِنْ مِلَّةِ مُحَمَّدٍ اَوْ مُفْتَتِحُوْا بَابِ ضَلَالَةٍ قَالُوْا وَاللهِ يَا اَبَا عَبْدِ الرَّحْمٰنِ مَا اَرَدْنَا اِلَّا الْخَيْرَ قَالَ وَكَمْ مِنْ مُرِيْدٍ لِلْخَيْرِ لَنْ يُصِيْبَهٗ اِنَّ رَسُوْلَ اللهِ حَدَّثَنَا اَنَّ قَوْمًا يَقْرَؤُوْنَ الْقُرْاٰنَ لَا يُجَاوِزُ تَرَاقِيَهُمْ , وَايْمُ اللهِ مَا اَدْرِيْ لَعَلَّ اَكْثَرَهُمْ مِنْكُمْ ، ثُمَّ تَوَلّٰى عَنْهُمْ

তাহলে তোমরা তোমাদের পাপসমূহ গণনা করো। আমি জামিন হচ্ছি যে, তোমাদের কোনো নেক আমল নষ্ট হবে না। শোনো হে মুহাম্মাদ ﷺ এর উম্মত! তোমরা এত দ্রুত কীভাবে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছ। অথচ নবীর সাহাবীরা এখনো জীবিত, তাঁর পোষাকগুলো এখনো নষ্ট হয়ে যায়নি, তাঁর বাসনগুলো এখনো ভেঙ্গে যায়নি। আল্লাহর কসম! তোমরা মুহাম্মাদের আদর্শের চেয়ে উত্তম কোনো আদর্শ পেয়ে গেছো? নাকি তোমরা কোনো গোমরাহীর দরজা খুলে দিচ্ছ? তখন তারা বলল, হে আবু আবদুর রহমান! আমরা তো এর দ্বারা ভালো ছাড়া অন্য কিছু চাইনি। তিনি বললেন, শোনো! অনেক কল্যাণকামী আছে কল্যাণের আকাঙ্ক্ষা করে কিন্তু সে মূলত কল্যাণ পায় না। নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাদের কাছে বর্ণনা করেছেন যে, নিশ্চয় এমন একটি সম্প্রদায় আসবে, যারা কুরআন পাঠ করবে কিন্তু কুরআন তাদের কণ্ঠনালীর নিচে পৌঁছবে না। আল্লাহর কসম! আমি জানি না যে, তাদের মধ্যে তোমাদের সংখ্যা বেশি হয় কি না? এরপর তিনি তাদের থেকে সরে গেলেন। [মুসনাদে দারেমী হা/২১০।]

২. ক্বাইস ইবনু আবী হাযিম (রাঃ) বলেন, একদা হজ্জ উপলক্ষে আহমাস কবিলার যাইনাব নামক এক নারীর সাথে আবু বকর (রাঃ)-এর দেখা হলে তিনি দেখলেন, সে কথা বলছে না। তখন তিনি প্রশ্ন করলেন, তার কী হয়েছে, সে কথা বলছে না কেন? লোকেরা বলল, সে হজ্জ অবস্থায় কথা বলবে না বলে মানত করেছে । তখন আবু বকর (রাঃ) তাকে বললেন,

تَكَلَّمِي فَإِنَّ هَذَا لَا يَحِلُّ هَذَا مِنْ عَمَلِ الْجَاهِلِيَّةِ فَتَكَلَّمَتْ

তুমি নির্বাক না থেকে বরং কথা বলতে থাক। কারণ এরূপ চুপ থাকা বৈধ নয়। এটা জাহেলী যুগের নিয়ম। অতঃপর উক্ত নারী কথা বলা শুরু করলেন। [সহীহ বুখারী হা/৩৮৩৪; বায়হাকী হা/২০৫৯০; কানযুল ঊম্মাল হা/১৪০৪৭; জামেউল আহাদীস হা/২৭৫৮৯।]

৩. ইমাম মালেকের নিকট এক ব্যক্তি এসে বলল, হে আবু আব্দুল্লাহ! কোত্থেকে ইহরাম বাঁধব? তিনি বললেন, যুলহুলাইফা থেকে; যেখান থেকে রাসূলুল্লাহ ﷺ ইহরাম বেঁধেছিলেন। লোকটি বলল, আমি মসজিদে নববী থেকে ইহরাম বাঁধতে ইচ্ছা করছি। তিনি বললেন, এমনটি করো না। লোকটি বলল, আমি ইচ্ছা করছি যে, নবীর কবরের নিকট থেকে ইহরাম বাঁধব। তিনি বললেন, এমনটি কারো না- কারণ আমি তোমার উপর ফিতনার ভয় করি। লোকটি বলল, এটা আবার কোন্ ফিতনা? এতে কয়েকটা মাইল মাত্র বেশি করব! তিনি বললেন, কোনো ফিতনা এর চেয়ে অধিক বড় যে, তুমি মনে করছ এমন ফযীলতের প্রতি অগ্রগামী হয়েছ যা হতে রাসূলুল্লাহ ﷺ পিছে থেকে গেছেন? আমি শুনেছি আল্লাহ বলেছেন যে,

فَلْيَحْذَرِ الَّذِيْنَ يُخَالِفُوْنَ عَنْ اَمْرِه ۤ اَنْ تُصِيْبَهُمْ فِتْنَةٌ اَوْ يُصِيْبَهُمْ عَذَابٌ اَلِيْمٌ

সুতরাং যারা তার আদেশের বিরুদ্ধাচরণ করে তারা সতর্ক হোক যে, বিপর্যয় (ফিতনা) অথবা কঠিন শাস্তি (আযাব) তাদেরকে গ্রাস করবে। (সূরা নূর- ৬৩)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন