hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

বিদআতের পরিচয়

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৪২
২৮. জামাআতে সালাত শেষে সম্মিলিত মুনাজাত করা
বর্তমানে অনেক মসজিদেই দেখা যায় যে, প্রত্যেক ফরয সালাতের পর সম্মিলিতভাবে হাত উত্তোলন করে দু‘আ করা হয়। অথচ ইসলামী শরীয়তে এরূপ আমলের কোনো অস্তিত্ব নেই। বিশুদ্ধ হাদীস তো দূরের কথা, কোনো দুর্বল কিংবা জাল হাদীসে বা বানোয়াট হাদীসেও এর স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ আজ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি, এমনকি ফিকহের কিতাবসমূহেও না।

তাছাড়া এ দু‘আর নিয়মটিও সহীহ নয়। কেননা দু‘আ করার সুন্নাতী নিয়ম হলো, দু‘আর শুরুতে প্রথমে আল্লাহ তা‘আলার হামদ তথা প্রশংসা জ্ঞাপন করবে। অতঃপর মুহাম্মাদ ﷺ এর উপর দরূদ পড়বে। এরপর আল্লাহ তা‘আলার নিকট চাইবে। অতঃপর দু‘আর শেষেও আল্লাহর প্রশংসা ও মুহাম্মাদ ﷺ এর উপর দরূদ পাঠ করে ‘আমীন’ বলে দু‘আ শেষ করবে।

কিন্তু লক্ষ্য করলে দেখা যায়, ফরয সালাতের পর যারা সম্মিলিতভাবে দু‘আ করেন তারা শুরু করেই বলেন, ‘‘আল্লাহুম্মা আমীন’’। অথচ এটা হচ্ছে দু‘আর শেষের বাক্য। এটা দু‘আ শুরু করার বাক্য নয়। তাই ‘‘আল্লাহুম্মা আমীন’’ বলে দু‘আ শুরু করা সুন্নাতের খিলাফ। কেননা আল্লাহুম্মা আমীন অর্থ হচ্ছে, হে আল্লাহ! কবুল করুন। আর এটা তখনই বলা যুক্তিযুক্ত, যখন কিছু চাওয়া হয়। আর শেষে যেহেতু হামদ ও দরূদ পড়া সুন্নাত, তাই সেটা বাদ দিয়ে ‘‘বেহাক্কে লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’’ বলে শেষ করাও সুন্নাতের পরিপন্থী।

মুফতী মুহাম্মাদ শফী (রহ.) বলেন, বর্তমানে অনেক মসজিদের ইমামদের অভ্যাস হয়ে গেছে যে, কিছু আরবি দু‘আ মুখস্থ করে নিয়ে সালাত শেষ করেই (দু‘হাত উঠিয়ে) ঐ মুখস্থ দু‘আগুলো পড়েন। কিন্তু যাচাই করলে দেখা যাবে যে, এ দু‘আগুলোর সারমর্ম তাদের অনেকেই বলতে পারেন না। আর ইমামগণ বলতে পারলেও এটা নিশ্চিত যে, অনেক মুক্তাদী এ সমস্ত দু‘আর অর্থ মোটেই বুঝে না। কিন্তু তারা না বুঝেই ‘আমীন’ ‘আমীন’ বলতে থাকে। এ সমস্ত তামাশার সারমর্ম হচ্ছে কিছু শব্দ পাঠ করা মাত্র। প্রার্থনার যে রূপ বা প্রকৃতি, তা এখানে পাওয়া যায় না। [মা‘আরেফুল কুরআন, ৩য় খন্ড, পৃ: ৫৭৭।]

তিনি আরো বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ এবং সাহাবায়ে কেরাম এবং তাবেয়ীনে ইযাম হতে এবং শরীয়তের চার মাযহাবের ইমামগণ হতে সালাতের পর এ ধরনের মুনাজাতের প্রমাণ পাওয়া যায় না। মূলকথা হলো এ প্রথা কুরআন ও সহীহ হাদীসের প্রদর্শিত পন্থা এবং রাসূলুল্লাহ ﷺ ও সাহাবায়ে কেরামের সুন্নাতের পরিপন্থী। [আহকামে দু‘আ, পৃ:১৩।]

অতএব যেসব আমলের কোনো অস্তিত্ব কুরআন ও হাদীসে নেই, সেগুলো অবশ্যই বিদআতের অন্তর্ভুক্ত।

প্রকৃতপক্ষে জামা‘আত শেষে সুন্নাত হলো- নিজে নিজে ঐসব দু‘আ পড়া, যা রাসূলুল্লাহ ﷺ সালাতের সালাম ফেরানোর পর পড়ার জন্য শিক্ষা দিয়েছেন। ফরয সালাতসমূহের পর নবী ﷺ যেসব তাসবীহ, হামদ, তাকবীর, তাহলীল, ইস্তেগফার, সূরা ও প্রাণ জুড়ানো যেসব অনুপম কালেমা ও দু‘আ পাঠ করেছেন তা-ই হচ্ছে উম্মতের জন্য অনুসরণীয় সুন্নাত ও আদর্শ। এসব দু‘আ আমাদের ‘‘কিতাবুস সালাত’’ ও ‘‘মন দিয়ে নামায পড়ার উপায়’’ বইয়ে উল্লেখ করা হয়েছে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন