hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

আল আকসা মসজিদের ইতিকথা

লেখকঃ এ. এন. এম. সিরাজুল ইসলাম

৫৮
মসজিদে আকসার ধ্বংসস্তুপের ওপর হাইকালে সুলাইমানী নির্মাণেচ্ছু ইহুদী সংস্থাসমূহ
এখন আমরা ইহুদীদের মধ্যে যে সকল সংস্থা মসজিদে আকসা ধ্বংস করে সেখানে হাইকালে সুলাইমানী নির্মাণ করতে চায়, সে সকল সংস্থা সম্পর্কে আলোচনা করবো।

১. জোশ ইমুনিয়ামঃ এর অর্থ হচ্ছে, ঈমান সংস্থা। এর অপর নাম হচ্ছে, যায়নবাদ সংস্কার আন্দোলন। এই আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা হচ্ছেন মোশে লেভাঞ্জার। সংস্থার উদ্দেশ্য হল, অধিকৃত জর্দান নদীর পশ্চিম তীর ও গাজ্জায় ইহুদী বসতি স্থাপন করা এবং মসজিদে আকসার ধ্বংসস্তুপের ওপর হাইকালে সুলাইমানী নির্মাণ করা। সংস্থাটি নিজ লক্ষ্য অর্জনে সহিংস তৎপরতায় বিশ্বাসী। এটি ইসরাইল সরকারের সমর্থনপুষ্ট।

২. ইয়াশিফাত আত্রিত কোহানিনঃ এই সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা হচ্ছেন প্রথম ফিলিস্তিনী হাখাম ইব্রাহাম ইয়াতাসহাক কোল। তার অনুসারীরা বিশ্বাস করে যে, তারা হাইকালের দিকে রওনাকারী মিছিলের অগ্রপথিক। তারা হাইকাল পাহাড়ে ইহুদীদের উপাসনা সংক্রান্ত ফতোয়া প্রকাশের আগ পর্যন্ত সেখানে যাওয়া থেকে বিরত থাকত। ১৯৮৫ খৃঃ সেই ফতোয়া প্রকাশিত হয়। তাদের কাছে হাইকাল পুনঃনির্মাণের ইঞ্জিনিয়ারিং ডিজাইন রয়েছে। হাইকাল পুনঃনির্মাণের উদ্দেশ্যে তারা সেমিনার-সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠান করে থাকে।

৩. মসজিদে আকসা নিয়ন্ত্রণ সংস্থাঃ এই সংস্থা মসজিদে আকসা জয় করে তার উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চায়। তাই তারা প্রকাশ্যে মসজিদে আকসা ধ্বংস করার ঘোষণা দিচ্ছে এবং তথাকথিত ইসরাইলী ভূখণ্ড থেকে সকল মুসলমানকে বিতাড়িত করার শ্লোগান দিচ্ছে। তাদের ঘোষিত আরেকটি লক্ষ্য হল, আল-খলীল শহর থেকে মসজিদে ইবরাহীমকে ধ্বংস করে শহরের চুড়ান্ত ইহুদীকরণ এবং তাকে ইহুদী উপাসনালয়ে রূপান্তরিত করা। ইতিমধ্যে আল-খলীল শহরে ইহুদী সংখ্যাগরিষ্ঠতা এবং মসজিদে ইবরাহীমির এক-তৃতীয়াংশের উপর ইহুদী উপাসনালয় প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। তাদের উপাসনালয়ের নামকরণ করা হয়েছে মাকফের উপাসনালয়। এই সংস্থার আধ্যাত্মিক গুরু হচ্ছে, ইয়াসরাইল আরিয়েল এবং হাখাম করন।

৪. সিউদাস শিসনঃ এটি একটি সমাজকল্যাণ সংস্থার আকারে প্রতিষ্ঠিত। এর আর্থিক যোগান আসে ইসরাইলের শিক্ষামন্ত্রণালয়, জেরুসালেম পৌরসভা ও ইসরাইলী সেনাবাহিনীর কাছ থেকে। সংস্থার উদ্দেশ্য হল, ইহুদীদের নিকট হাইকাল ও জেরুসালেম সম্পর্কে গভীর জ্ঞান দান। এ ছাড়া সেনাবাহিনীকেও এ ব্যাপারে জ্ঞান দান তাদের প্রধান কর্মসূচী। তারা ধর্মীয় স্থানসমূহে পবিত্র সফর করে থাকে। তারা শুধু হায়েতে মাবকীর কাছে ইহুদীদের উপাসনায় সন্তষ্ট নয়।

৫. আল-হার হাশেম গোষ্ঠীঃ এর অর্থ হল, আল্লাহর পাহাড়ের দিকে। এই গোষ্ঠীর উদ্দেশ্য হল হাইকাল পুনঃনির্মাণ করা। সংস্থার প্রধান হল জারশন স্যালমন। সংস্থার অনুসারীদের একটা অংশ ১৪/৮/১৯৮৭ তারিখে মসজিদে আকসায় ইহুদী প্রার্থনা আদায় করে।

৬. হাতহাইয়া দলঃ এর অর্থ হল ইহুদী পুনর্জাগরণ দল। এটি একটি অধার্মিক সংস্থা হওয়া সত্ত্বেও মসজিদে আকসার ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে আগ্রহী। তাদের মতে, এর ফলে ইসরাইলের শক্তি ও সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে। ইসরাইলী পার্লামেন্ট নেসেটে ঐ দলের সদস্য রয়েছে। এটি একটি ধর্মনিরপেক্ষ দল হওয়া সত্ত্বেও দলের নেতা ইউভাল নেমান বলেছেন, আমি লজ্জা-শরম ছাড়াই বলছি, আমি লেবাননের দিকে তাকিয়ে আছি। কেননা, লেবানন ইসরাইলের অংশ ও পুনরুত্থানের ভূমি।

৭. ওমানা হাইকাল দলঃ এই দলের লোকেরা বোরাক দেয়ালের আঙিনায় ইহুদী উপাসনার ব্যবস্থা করে। দক্ষিণ আফ্রিকার জন্মসূত্র ইহুদী স্টানলীঙ্গ গোল্ডফোট এই দলের নেতা। তিনি একটি গোয়েন্দা সংস্থার সাথে জড়িত আছেন।

৮. পবিত্র হাইকাল সংস্থাঃ ৫ জন বাইবেলিস্ট খৃস্টান এই সংস্থা কায়েম করেছে। তাদের উদ্দেশ্য হল, মসজিদে আকসাকে ধ্বংস করার চক্রান্তে সহযোগিতা করা।

৯. পিটার সংস্থাঃ এই সংস্থা মসজিদে আকসার আঙিনায় ইহুদী প্রার্থনার ওপর জোর দেয়। তারাও মসজিদে আকসাকে ধ্বংস করতে আগ্রহী।

১০. মুকুট পুনঃপ্রতিষ্ঠা সংস্থাঃ এই সংস্থার চরমপন্থী ও গোঁড়া যুবকেরা জেরুসালেমের বিভিন্ন ঘর-বাড়ী ও সম্পত্তির মালিকানা জবরদখল করে তাতে ইহুদী মালিকানা প্রতিষ্ঠা করতে চায়। যেমন মসজিদে আকসার চারদিক থেকে মুসলিম সম্পত্তি ও ঘর-বাড়ী উচ্ছেদ করা সম্ভব হয় এবং মসজিদে আকসার ইহুদীকরণ সহজতর হয়।

১১. হাশমু নাইম সংস্থাঃ এই সংস্থার প্রধান লারনার সন্ত্রাসবাদী হিসেবে পরিচিত এবং সংস্থার সদস্যরা সন্ত্রাসবাদে বিশ্বাসী। সামরিক সেবা থেকে অবসর গ্রহণের পর তারা বল প্রয়োগ করে মসজিদে আকসার আঙিনা দখলের জন্য চেষ্টা চালায়। ১৯৮২ সালে তারা সাখরা গম্বুজ বিস্ফোরণের ব্যর্থ চেষ্টা করে। বিস্ফোরণের আগে বিস্ফোরক পরিবহন গাড়ীটাকে চিহ্নিত করা সহজ হয়। ফলে তাদের ষড়যন্ত্রকে ব্যর্থ করে দেয়া হয়।

১২. সিউনিমেন্ট আন্দোলন বা নতুন যায়নবাদঃ ১৯৮৩ খৃঃ সাবেক ইসরাইলী সামরিক বাহিনী প্রধান রাফাইল ইতান এই সংস্থাটি গঠন করে। সেনাপতির দায়িত্ব পালনকালে ইতান চরম আরব ও মুসলিম বিদ্বেষী বলে প্রমাণিত হয়েছে।

১৩. ওমানা আন্দোলনঃ এর অর্থ হল সচিবালয় আন্দোলন। এটি একটি ইহুদী ধর্মীয় আন্দোলন। যার উদ্দেশ্য হল ইহুদী বসতি স্থাপন করা। এই আন্দোলনের সদস্যরা ইহুদী ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী। তারা ইহুদীদের মধ্যে এই ধারণা দিয়ে বেড়ায় যে, মাসীহর আগমনের মাধ্যমে মুক্তি আসবে এবং মাসীহর আগমন আসন্ন। তারা তাওরাতের সাথে সংঘর্ষমূখর যে কোন কিছুর বিরোধীতার আহ্বান জানায়। তারা অধিকৃত আরব এলাকায় ইহুদী বসতি বন্ধের ঘোর বিরোধী।

১৪. ইহুদা গোত্রঃ তারা লাফতা গোষ্ঠী নামে অধিক পরিচিত। তাদের কাছে সামরিক শক্তি ও সম্ভার রয়েছে এবং একবার তারা বিস্ফোরক দ্রব্যের মাধ্যমে মসজিদে আকসা ও সাখরা উড়িয়ে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছিল।

১৫. কাখ আন্দোলনঃ এর অর্থ হল, ‘এইভাবে বন্দুক দিয়ে’। এই দলের প্রতিষ্ঠাতা হচ্ছে মার্কিন ইহুদী হাখাম মায়ের কাহানা। সে ইসরাইলী নেসেটের সদস্য ছিল। সে তালমুদের বক্তব্য অনুযায়ী ফিলিস্তিন থেকে মুসলমানদেরকে শক্তি প্রয়োগ করে উচ্ছেদের পক্ষপাতি। তার মতে ফিলিস্তিন শুধু ইহুদীদেরই আবাসভূমি। অধিকৃত আরব এলাকার মুসলিম নেতৃবৃন্দের প্রতি এই সংস্থা হুমকী পাঠায়। ১১/৪/১৯৮২ খৃঃ এই সংস্থার সদস্যরা মসজিদে উপর আক্রমণ করে কয়েকজন মুসলমানকে শহীদ করে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে বক্তৃতার সময় মায়ের কাহানাকে গুলী করে হত্যা করা হয়।

১৬. হাইকাল পাহাড় তহবিল সংস্থাঃ এটি একটি ইহুদী-খৃস্টান সংগঠন যা মসজিদে আকসার এলাকাকে ইহুদীকরনের জন্য প্রকাশ্যে আহ্বান জানায়। ১৯৮৩ সালে আমেরিকায় ইসরাইলের প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে এ সংস্থা জেরুসালেমে তার কেন্দ্রীয় অফিসের ঘোষণা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের খৃস্টানরা এই সংস্থার অর্থ যোগান দেয়। ক্যালিফোর্নিয়ার প্রখ্যাত ধনী টেরি প্রজেনহোভার এই সংস্থার সভাপতি। ২৩/১/১৯৮৩ খৃঃ ইসরাইলের দাফার পত্রিকা লিখেছে, ইয়াহুদা ও সামেরায় ইহুদী বসতি নির্মাণের জন্য সংস্থা লক্ষ লক্ষ ডলার সাহায্য দিয়েছে। হাইকালে সুলাইমানী পুনঃনির্মাণ সংস্থার মূল লক্ষ্য।

১৭. আত্‌সমাউত আন্দোলনঃ এটি একটি চরমপন্থী ধর্মীয় আন্দোলন। এটিও জোশ ইমুনিয়াম সংস্থার অনুরূপ লক্ষ্য-উদ্দেশ্য নির্ধারণ করেছে।

১৮. মোয়ালুন ইবাদতগাহ আঙিনা আন্দোলনঃ এই সংস্থার মূল লক্ষ্য হল, মসজিদে আকসা ও সাখরার ভূমিসহ পার্শ্ববর্তী ভূমিগুলো জবরদখল করা এবং সেই জায়গায় ইহুদী এবাদতগাহ নির্মাণ করা।

১৯. সাইউরি তেসিওন লীগঃ এটি ইহুদী ধর্মীয় স্কুলের অধীন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। সংস্থার মূল উদ্দেশ্য হইল ইহুদী সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য ইহুদীদেরকে ইহুদী ইবাদতখানা ও জেরুসালেম সম্পর্কে গভীর জ্ঞান দান করা।

২০. ইহুদী সেনাবাহিনীর মধ্যকার গোপন সংস্থাঃ এই সংস্থার লক্ষ্য উদ্দেশ্য আগে পরিষ্কারভাবে জানা না গেলেও ১৯৮৪ খৃঃ দেখা গেছে, ইসরাইলী বিমান বাহিনী মসজিদে আকসাকে ধ্বংস করার উদ্যোগ নিয়েছিল। ইসরাইলের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা জানিয়েছে, এই সংস্থার অধিকাংশ সদস্য পরিচিত ইহুদী ধর্মীয় দলসমূহের সদস্য নয়। শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে তারা মসজিদে আকসাকে ধ্বংস করতে চায়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন