মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
’৬৭-এর জুন মাসে যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ইহুদীরা মসজিদে আকসার কয়েকটি জানালা ভেঙে ফেলে মসজিদের ক্ষতিসাধন করে। ১১/৬/১৯৬৭ খৃঃ ইহুদীরা বোরাক দেয়ালের সামনের মুসলিম বসতি ভেঙে ফেলে এবং তা মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়।
২৭/৬/৬৭ খৃঃ জেরুসালেমে হাখাম ইহুদীদের এক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় এবং তারা জেরুসালেম ও হাইকালে সুলাইমানীর বিষয়ে আলোচনা করে। সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা শীঘ্র ৩য় হাইকাল নির্মাণের উপর জোর দেয়।
১৫/৮/৬৭ সালে, ইসরাইলের বড় হাখাম এবং ইসরাইলী সেনাবাহিনীর হাখাম শ্লোমোগোরিন ২০ জন সামরিক অফিসারকে সাথে করে সামরিক পোষাকে মসজিদে আকসার আঙিনায় প্রবেশ করে এলোপাথাড়ি গুলী ছুড়ে আতংক সৃষ্টি করে এবং পরে ইহুদী প্রার্থনা আদায় করে।
প্রায় প্রত্যেক বছর আগস্ট মাসে ইহুদীরা মসজিদে আকসায় আক্রমণ করে। কেননা, ৭০ খৃস্টাব্দের ২১শে আগস্ট, তাইতুস ২য় হাইকাল ধ্বংস করে। ইহুদীরা সেই দুঃখজনক স্মৃতির কারণে আগস্ট মাসে বেশী আক্রমণ চালায়।
১৯৬৭ সালের ৩১শে আগস্ট ইহুদীরা জোর করে মসজিদে আকসার প্রধান গেইট বাবুল মাগরেবার চাবি নিয়ে যায়, যেন তারা যে কোন সময় বোরাক দেয়ালের কাছে যেতে পারে। তারা এটাকে ‘মাবকী দেয়াল’ বলে। ইহুদীরা ইসরাইলী সেনাবাহিনীর বড় হাখাম শ্লোমোগোরিনের সহায়তায় ঐ চাবি জোর করে হস্তগত করে। এইভাবে তারা মসজিদে আকসার অপবিত্রতা সাধন করে।
১৯৬৯ সালের ২১শে আগস্ট ডেনিস মাইকেল নামক জনৈক অষ্টেলিয়ান খৃস্টান মসজিদে আকসায় অগ্নিসংযোগ করে। অন্য এক বর্ণনায় মিখাইল রোহান নামক একজন ইহুদী অগ্নি সংযোগ করে। অগ্নিকাণ্ডের ফলে মসজিদের আসবাবপত্র, দেয়াল, সালাহউদ্দিনের মিম্বার এবং মসজিদের দক্ষিণাংশ পুড়ে যায়। ইসরাইলী প্রশাসন দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করে। আদালত তার রায়ে বলে যে, যা ঘটেছে তা আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন প্রেরিত ব্যক্তির কাজ ও হযরত যাকারিয়ার ভবিষ্যদ্বাণীর প্রতিফলন মাত্র। অগ্নিসংযোগকারী ব্যক্তি পাগল, তাই তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি কার্যকর করা যায় না। এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া হিসেবে ইসলামী সম্মেলন সংস্থা গঠিত হয়।
১৯৭১ সালের ১১ই মার্চ আল-হারহাশেম দলের নেতা জরশন স্যালমন, গোঁড়া একজন ইহুদী ছাত্রকে সাথে করে মসজিদে আকসায় ইহুদী প্রার্থনা আদায় করে। এর ফলে জেরুসালেমে গোলযোগ সৃষ্টি হয়।
১৯৭৬ সালের ৩০ শে জানুয়ারী একটি ইসরাইল আদালত মসজিদে আকসার আঙিনায় দিনের যে কোন সময় ইহুদী প্রার্থনা অনুমতি দেয়। এর আগে ৪০ জন ইহুদী জোর করে মসজিদে আকসায় প্রবেশ করে ইহুদী গান গায় ও মুসলমানদের ইবাদতে বিঘ্ন সৃষ্টি করে। এর ফলে মসজিদের আঙিনায় মুসলমানদের সাথে ইহুদীদের সংঘর্ষ হয়।
১৯৭৮ সালের ১৪ই আগস্ট আল-হারহাশেম দলের নেতা জরশন স্যালমনের নেতৃত্বে একদল ইহুদী মসজিদে আকসায় প্রার্থনা জানায়। এতে মসজিদের প্রহরীরা বাধা দেয়। ১৯৮০ সালের ১লা মে ইহুদীরা বিস্ফোরণের মাধ্যমে মসজিদে আকসাকে ধ্বংস করার উদ্যোগ নেয়। তারা মসজিদের নিকটবর্তী একটি ইহুদী গীর্জার ছাদের উপর এক টনেরও বেশী বিস্ফোরক দ্রব্য রেখে দেয়। ইহুদী স্কুল বাশিফায়ও একই উদ্দেশ্যে তারা আকেবার বিস্ফোরক দ্রব্য রেখে যায়। মুসলমানদের সতর্কতার কারণে সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।
এই অপরাধে সন্ত্রাসবাদী মায়ের কাহানাকে অভিযুক্ত করা হয়।
১৯৮১ সালের ৯ই আগস্ট ইহুদী সংস্থা জোশ ইমুনিয়ামের ৩ শত সদস্য মসজিদের বাবুল হাদীদের তালা ভেঙে তাতে প্রবেশ করে ও মুসলমানদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করে ইহুদী প্রার্থনা আদায় করে।
১৯৮১ সালের ২৫শে আগস্ট একটি ইহুদী ধর্মীয় সংস্থা বোরাক দেয়াল থেকে মসজিদের আঙিনা পর্যন্ত একটি সুড়ঙ্গ আবিষ্কারের কথা ঘোষণা করে এবং দাবী করে যে, এর সাথে ২য় হাইকালের সম্পর্ক রয়েছে। এর ভিত্তিতে তারা খননকাজ শুরু করায় মসজিদের দেয়াল ধসে পড়ার উপক্রম হয়।
১৯৮২ সালের ২রা মার্চ হাইকাল পাহাড় সচিবালয় সংস্থার ১৫ জন ব্যক্তি মসজিদে আকসার বাবুস সিলসিলাহ গেইটে সশস্ত্র আক্রমণ করে। তারা ভেতরের রক্ষীদের উপর আক্রমণ চালায় এবং সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। একজন মুসলিম রক্ষী পেটের বাম পার্শ্বে ছুরিকাহত হন। পরের দিন মুসলমানগণ এই উত্তেজনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ স্বরূপ পুরো জেরুসালেম, অধিকৃত পশ্চিম তীর, গাজ্জা, নাবলুস এবং বেথেলহেমে ধর্মঘট আহবান করে।
১৯৮২ সালের ৩রা মার্চ বাবুল গাওয়ানেমা দিয়ে একদল ইহুদী যুবক মসজিদে আকসায় হামলা চালায় এবং মসজিদের রক্ষীদের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে একজন মুসলিম রক্ষী আহত হয়। ইসরাইলী পুলিশ আক্রমণকারী ইহুদী যুবকদেরকে আটক না করে আহত রক্ষীকে আটক করে এবং অন্যান্য রক্ষীদের কাছ থেকে উল্টা কৈফিয়ত তলব করে।
১৯৮২ সালের ৮ই এপ্রিল মুসলমানগণ মসজিদের একটি প্রধান গেইটের পেছনে সন্দেহজনক একটি প্যাকেট দেখতে পায়। প্যাকেট খোলার পর তাতে বৈদ্যুতিক তার ও রিমোট কন্ট্রোল যন্ত্র পাওয়া যায়। তা থেকে মসজিদের ওয়াকফ কাউন্সিলের উদ্দেশ্যে একটি চিঠিও উদ্ধার করা হয়। চিঠিতে লেখা ছিল, “তোমাদের বিরুদ্ধে আমাদের অধিকতর তৎপরতার অপেক্ষা কর।” পরেরদিন মুসলমানগণ জুমুআর নামায আদায় করে এবং ঐ হুমকির কারণে তারা মসজিদে অবস্থান করে। ১৯৮২ সালের ১১ই এপ্রিল, এলান গডম্যান নামক একজন ইসরাইলী সৈন্য বাবুল গাওয়ানেমায় এসে রক্ষীর উপর গুলী ছুড়ে তাকে আহত করে। তারপর মসজিদে সাখরার দিকে দৌড়ে যায় ও এলোপাথাড়ি গুলী ছুড়তে থাকে। ফলে, কয়েকজন মুসল্লী আহত হয় ও মসজিদের একজন রক্ষী শহীদ হন। মসজিদের পার্শ্ববর্তী ঘরসমূহের উপর অবস্থান গ্রহণকারী ইহুদী সৈন্যরা মসজিদে সাখরার দিকে লক্ষ্য করে গুলী ছুড়তে থাকে। মসজিদের মুআয্যিন মসজিদের মাইক্রোফোনে মুসলমানদের প্রতি মসজিদের প্রতিরক্ষার জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। মুসলমানগণ দ্রুত প্রতিরক্ষার জন্য এগিয়ে আসে। মসজিদের পার্শ্ববর্তী বাড়ীসমূহের ছাদ থেকে ইসরাইলী সৈন্যরা গুলী ছোড়ে। ফলে প্রায় ১শ’ ব্যক্তি আহত হয়। জেরুসালেমের মুফতী শেখ সাদউদ্দিন এলমী ঐ ঘটনার জন্য ইসরাইল সরকারকে দায়ী করেন। তখন তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী মানাচেম বেগিনের অফিস থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, মুফতীর যুগ শেষ হয়ে গেছে এবং সেই যুগ আর ফিরে আসবে না। বিশ্বব্যাপী এই ঘটনার বিরুদ্ধে নিন্দা প্রকাশ করা হয়। ২০/৪/১৯৮২ সালে বিষয়টি নিরাপত্তা পরিষদে আলোচনা হয় এবং ইসরাইলের বিরুদ্ধে খসড়া নিন্দা প্রস্তাবের উপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো প্রয়োগের কারণে তা নাকচ হয়ে যায়।
১৯৮২ সালের ২৭শে এপ্রিল ইহুদী কাখ আন্দোলনের নেতা হাখাম মায়ের কাহানার নেতৃত্বে ১শ’ ব্যক্তি মসজিদে আকসা আক্রমণ করে এবং ফিলিস্তিনী মুসলমানদেরকে তাদের জন্মভূমি থেকে বহিষ্কার করার শ্লোগান দেয়।
১৯৮২ সালের ২৯শে এপ্রিল, ৩০ জন সশস্ত্র ইহুদী মসজিদে আকসায় জোর করে প্রবেশ করতে চেষ্টা করে। কিন্তু মসজিদের প্রহরীরা বাধা দেয়ায় তারা ভেতরে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়নি।
১৯৮২ সালের ৬ই মে, অজ্ঞাত ব্যক্তিরা মসজিদে সাখরার গম্বুজের প্রতি গুলী ছুড়তে থাকে। রক্ষীরা মসজিদের দরজা বন্ধ করে দেন। জানা গেছে যে, নব প্রতিষ্ঠিত ইহুদী বসতির একজন ইহুদী নাগরিক মসজিদের নিকটবর্তী স্কুলের উপর থেকে মসজিদের প্রতি গুলী ছোড়ে।
১৯৮২ সালে ইহুদী কাখ আন্দোলনের সদস্য ইয়াসরাইল লারনার তার গোপন সংস্থার কয়েকজন যুবককে নিয়ে মসজিদে সাখরা বিস্ফোরিত করতে চেয়েছিল। এছাড়াও তারা জেরুসালেমের অন্যান্য মসজিদগুলোও ধ্বংস করে দিতে চেয়েছিল। একই সালে রবি আর্নেল তার ২০ জন ছাত্র নিয়ে মসজিদে আকসা ধ্বংস করার চক্রান্ত করে।
১৯৮৩ সালে রাবী যালমান কোরনের শিষ্যরা মসজিদে আকসা আক্রমণ করে। তাদের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত বিচারে ইহুদী বিচারপতি তাদেরকে বেকসুর খালাস দেয় এবং তাদেরকে আটক করার দায়ে পুলিশকে অভিযুক্ত করে।
১২/৩/১৯৮৩ সালে হাখাম মায়ের কাহানার দলের ৪২ ব্যক্তি মসজিদে আকসা পুড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা চালায়। মুসলমানদের প্রতিরোধের মুখে তারা ব্যর্থ হয়। ১৯৮৩ সালের আগস্ট মাসে ওমানা হাইকাল সংস্থার একদল ইহুদী মসজিদে আকসার বোরাক দেয়ালের কাছে প্রার্থনা জানায় ও মুসলমানদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করে।
১৯৮৪ সালের ১লা জানুয়ারী সন্ত্রাসবাদী ইহুদীচক্র ২৯ কেজি বিস্ফোরক দ্রব্যের মাধ্যমে মসজিদটি ধ্বংস করার উদ্যোগ নেয়। একই সালের ২৭শে জুলাই পুনরায় তারা মসজিদ ধ্বংসের অনুরূপ উদ্যোগ নেয়। কিন্তু মসজিদের রক্ষীদের সতর্কতার কারণে ব্যর্থ হয়ে যায়।
১৯৮৫ সালের ১২ মার্চ ইহুদী চরমপন্থী দলগুলোর কিছু লোক নতুন ইহুদী বসতি এবং ইহুদী স্কুল স্থাপনের উদ্দেশ্যে মসজিদে আকসার পার্শ্ববর্তী এলাকার মুসলমানদের উপর হামলা চালায়।
১৯৮৪ সালের জুলাই মাসে একজন চরমপন্থী ইহুদী মসজিদের দিকে নিজ গাড়ী চালিয়ে তার ক্ষতি করতে চেয়েছিল। ১৯৮৪ সালের আগস্ট মাসে মসজিদে আকসার রক্ষীরা মসজিদের আঙিনায় কিছু সংখ্যক সন্ত্রাসবাদী ইহুদীকে দেখতে পায় যে তারা মসজিদটি পুরোপুরি ধ্বংসের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাদের সাথে ছিল ১২০ কেজি টিএনটি বিস্ফোরক দ্রব্য। মুসলমানগণ সেই প্রচেষ্টা বানচাল করে দেয়। জেরুসালেমের মুফতি শেখ সাদউদ্দিন এলমী বলেছেন, আল্লাহর রহমত না হলে মসজিদের একটি পাথরও অবশিষ্ট থাকত না।
১৯৮৪ সালের আগস্ট মাসে অন্য একদিন ইহুদীরা তদানীন্তন ইসরাইলী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইউসুফ বোজের প্রস্তাব বাস্তবায়ন করার উদ্দেশ্যে মসজিদের আঙিনায় ইসরাইলী পতাকা উত্তোলন করে। এর তিন সপ্তাহ আগেও তারা একবার পতাকা উত্তোলন করেছিল। কিন্তু জেরুসালেমের ইসলামী কাউন্সিলের প্রতিবাদের মুখে তারা তা নামাতে বাধ্য হয়।
১৯৮৪ সালের ৭ই আগস্ট ইহুদী হাখাম আন্দোলনের নেতা মায়ের কাহানা মসজিদে আকসাকে অপবিত্র করার চেষ্টা করে। সে মসজিদের একটি দরজায় ইসরাইলী পতাকা উত্তোলন করে। দ্বিতীয় হাইকাল ধ্বংসের স্মরণে সেদিন হাজার হাজার ইহুদী প্রার্থনা জানায়।
১৯৮৪ সালের ৯ই আগস্ট ইসরাইল কর্তৃক মসজিদে আকসার কাছে একটি জেলখানা তৈরির খবর প্রকাশিত হয়। মসজিদের কাছে জেলখানা তৈরির উদ্দেশ্য পরিষ্কার। আর সেটা হল, মসজিদের মুসলিম মুসল্লীদেরকে তাতে আটক রাখা।
১৯৮৪ সালের ২৭শে আগস্ট জেরুসালেমের একটি গর্তে বিপুল পরিমাণ গোপন অস্ত্রের সন্ধান পাওয়া যায়। পূর্বে জেরুসালেমের একটি স্থানে চরমপন্থী এক দল ইহুদী ঐ সকল অস্ত্র গোপন রাখে। একজন মুসলিম পথচারী তা দেখতে পান। মুসলমানদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করার জন্য ঐ গোপন অস্ত্রের মওজুদ গড়ে তোলা হয়।
১৯৮৪ সালের ২৮শে আগস্ট বিস্ফোরণের মাধ্যমে মসজিদে আকসা ধ্বংসের চেষ্টার দায়ে একজন ইসরাইলী ছাত্রকে কারাদণ্ড দেয়া হয়। পরে তাকে মুক্ত করার চেষ্টা চলতে থাকে।
১৯৮৪ সালের ১৮ই ডিসেম্বর একদল সশস্ত্র ইহুদী মসজিদে আকসার আঙিনায় বোমা রাখে। মসজিদ রক্ষীরা তা দেখতে পেয়ে তার কার্যকারিতা নষ্ট করে দেয়। পরের দিন এর প্রতিবাদে গোটা জেরুসালেম হরতাল পালন করা হয়।
১৯৮৫ সালের ২৯শে ডিসেম্বর ইসরাইলী নেসেটের ২০ জন সদস্য হাখাম ইলিআজের ফালদামের নেতৃত্বে মসজিদে আকসায় প্রবেশ করে মসজিদের অপবিত্রতা সাধন করে।
১৯৮৬ সালের ৯ই জানুয়ারী ইসরাইলী সেনাবাহিনীর সীমান্ত রক্ষীবাহিনী মসজিদে আকসা এলাকায় সান্ধ্য আইন জারী করে। ইসরাইলী নেসেটের আভ্যন্তরীণ কমিটির ৮ সদস্যসহ আরো কিছু নেসেট সদস্য এবং টেলিভিশনের ফটোগ্রাফার মসজিদে আকসায় প্রবেশ করে। মসজিদের রক্ষীরা বাধা দিলে তাদেরকেসহ কিছু মুসল্লীকে আটক করে এবং ইসরাইলী বাহিনী মুসল্লীদের উপর কাঁদানে গ্যাস ও গোলা নিক্ষেপ করে। ফলে ১৬ জন মুসল্লী আহত হয়। মসজিদে আকসায় প্রবেশের জন্য এটাই হচ্ছে সরকারীভাবে প্রথম প্রচেষ্টা।
১৯৮৬ সালের ৩রা এপ্রিল ইসরাইলী পুলিশ জোরপূর্বক মসজিদের একটি দরজা তুলে ফেলে। মসজিদ-রক্ষীরা রাত্রে ইহুদীদের অনুপ্রবেশ বন্ধের উদ্দেশ্যে এ দরজাটি নির্মাণ করেছিলেন।
১৯৮৬ সালের ২শে এপ্রিল ‘ওমানা জাবাল আল-বাইত’ ইহুদী সংস্থার একদল লোক মসজিদে আকসায় অনুপ্রবেশ করে এবং জরশন স্যালমনের নেতৃত্বে প্রার্থনা করে।
১৯৮৬ সালের ৬ই জুন জোশ ইমুনিয়ামের ৩ জন সদস্য মসজিদে আকসায় অনুপ্রবেশ করে।
১৯৮৬ সালের ২১শে আগস্ট ওমান জাবাল আল-বাইত এবং হাতহিয়া সংস্থার লোকেরা ইসরাইলী পুলিশের সহায়তায় মসজিদে প্রবেশ করে এবং মুসলমানদের ঈদুল আযহা উদ্যাপন উপলক্ষে ইহুদী প্রার্থনা জানায়।
১৯৮৭ সালের ৪ঠা আগস্ট ৩ জন ইহুদী মসজিদে আকসায় বিস্ফোরণ ঘটানোর ব্যর্থ চেষ্টা চালায়।
১৯৮৮ সালের ১৫ই জানুয়ারী ইসরাইলী বাহিনী মসজিদে আকসায় গুলী চালিয়ে ২৮ জন মুসল্লীকে হত্যা করে এবং ১১৫ ব্যক্তিকে আহত করে।
১৯৮৯ সালের ১৭ই মার্চ মুসলিম রক্ষীরা মসজিদের ভেতর কতগুলো বোমা দেখতে পায়। একটি ইহুদী সংস্থা মসজিদ ধ্বংসের জন্য ঐ বোমাগুলোকে ভেতরে রেখে দেয়।
১৯৮৯ সালের ১৭ই অক্টোবর ওমানা হাইকাল সংস্থার লোকেরা মসজিদের গেইটের কাছে ৩য় হাইকালের ভিত্তি স্থাপন করে এবং ভিত্তিতে ৩.৫ টন ওজনের পাথর লাগায়। দলের নেতা জরশন স্যালমন বলেন, “হাইকালের ভিত্তি স্থাপনের মাধ্যমে ইতিহাসের নতুন অধ্যায়ের সূচনা হল। আজ ইসলামের জবরদখলের অবসান হল এবং ইহুদীদের মুক্তির নতুন যুগের সূচনা হল।”
১৯৯০ সালের ৮ই অক্টোবর মসজিদের মুসলিম মুসল্লীরা ইহুদীদেরকে প্রবেশে বাধা দিলে ইসরাইলী সেনাবাহিনী তাদের উপর গুলী চালায়। ফলে ২০ জন মুসলমান শহীদ ও ১০০ জন আহত হয়।
১৯৯১ সালে শেষার্ধে পূর্ব জেরুসালেমের সালওয়ান এলাকায় ৬টি মুসলিম পরিবারকে বিতাড়িত করা হয় এবং সেগুলোতে পরে বিদেশাগত ইহুদীদেরকে পুনর্বাসন করা হয়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/613/69
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।