hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

আল আকসা মসজিদের ইতিকথা

লেখকঃ এ. এন. এম. সিরাজুল ইসলাম

৬৮
খনন তৎপরতা
ইহুদী রাষ্ট্র ইসরাইল ১৯৬৭ সালের জুন যুদ্ধের জেরুসালেম জবরদখল করার পর থেকে আজ পর্যন্ত হাইকালে সুলাইমানী সংক্রান্ত এমন একটি নিদর্শন খুঁজে বেড়াচ্ছে, যার মাধ্যমে তারা প্রমাণ করতে চায় যে, মসজিদে আকসা ও সাখরা হাইকালে সুলাইমানীর উপর প্রতিষ্ঠিত। যেন তারা এই অযুহাত দেখিয়ে তা ভাঙ্গার ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে পারে। এটা তাদের ঘোষিত উদ্দেশ্য হলেও এটাই সব নয়। বরং তাদের অন্যান্য অঘোষিত উদ্দেশ্য রয়েছে। ইহুদী জাতি হচ্ছে ষড়যন্ত্র, বিশ্বাসঘাতকতা ও ধোকাবাজ জাতি। তাই আমরা তাদের খনন ষড়যন্ত্রের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করবো। ১৯৬৭ সালের যুদ্ধের পর এ পর্যন্ত ১০ পর্যায়ে খননকার্য চালানো হয়েছে।

১ম পর্যায়ঃ জুন যুদ্ধের পর ইসরাইল মাগারেবা এলাকার বসতি উচ্ছেদ করেছে এবং দীর্ঘ ১ বছর যাবত পুরা এলাকায় খননকার্য পরিচালনা করেছে। তারা ১৪ মিটার গভীর পর্যন্ত খননকার্য চালিয়েছে। বাবুল মাগারেব মসজিদে আকসার নিকটবর্তী।

২য় পর্যায়ঃ মসজিদে আকসার পার্শ্ববর্তী মুসলিম অধ্যুষিত এলাকার মুসলমানদেরকে উৎখাত করা হয়েছে এবং এই পর্যায়ে ১৯৬৯ খৃঃ মসজিদে আকসায় অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। মুসলিম বসতিগুলোতে ইহুদী ধর্মীয় স্কুল, ইনস্টিটিউট, পার্ক ও হোটেল নির্মাণ করা হয়েছে এবং মসজিদে আকসার বেষ্টনী দেয়ালের ৮০ মিটার দূরে খালি করা মুসলিম এলাকায় ব্যাপক খনন কাজ পরিচালনা করা হয়েছে।

৩য় পর্যায়ঃ ১৯৭০ খৃঃ থেকে ১৯৭২ খৃঃ পর্যন্ত সময়ে মসজিদে আকসার বেষ্টনী দেয়ালের নীচে দক্ষিণ ও পশ্চিম দিকে খনন করা হয় এবং মসজিদের আঙিনার নীচ পর্যন্ত ঐ খননকাজ চলতে থাকে। এই পর্যায়ে ইসলামী শরীআহ কোর্টসহ বহু মুসলিম বাড়ী-ঘর দখল করা হয়।

৪র্থ পর্যায়ঃ ১৯৭৩ খৃঃ মসজিদে আকসার পশ্চিম দেয়ালের কাছে খনন কাজ চালানো হয় এবং দেয়ালের নীচে দীর্ঘ গর্ত খনন করা হয়। গর্তের গভীরতা ছিল ১৩ মিটার।

৫ম পর্যায়ঃ ১৯৭৪ সালে পশ্চিম দেয়ালের নীচে গর্তকে সম্প্রসারিত করা হয়।

৬ষ্ঠ পর্যায়ঃ ১৯৭৫-৭৬ খৃঃ ইহুদী সরকার পশ্চিম দেয়ালের নীচের গর্ত আরো সম্প্রসারিত করে এবং ঐ সময় রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর প্রখ্যাত সাহাবীদ্বয় উবাদাহ বিন সামেত এবং শাদ্দাদ বিন আওস (রাঃ)-এর কবর থেকে তাঁদের হাড়গোড় সরিয়ে ফেলে।

৭ম পর্যায়ঃ ১৯৭৭ খৃঃ মসজিদে আকসার আঙিনায় অবস্থিত মহিলাদের মসজিদের নীচ পর্যন্ত খনন করা হয়। তারা ৯ মিটার গভীরে খনন করে। মসজিদের আঙিনার পার্শ্ববর্তী অন্যান্য মুসলিম বাড়ী-ঘরগুলো ভেঙে সেখানেও খনন কাজ চালানো হয়।

৮ম পর্যায়ঃ ১৯৭৯ খৃঃ মসজিদে আকসার পশ্চিম দেয়ালের নীচে বোরাক দেয়ালের পাশে খনন করা হয়। ইহুদী সরকার সুদীর্ঘ সুড়ঙ্গ খনন করে এবং খননকার্য আরো অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। যাতে করে পশ্চিম থেকে পূর্বদিক পর্যন্ত মসজিদের পুরো এলাকাব্যাপী উক্ত সুড়ঙ্গ সম্পন্ন হয়। পরে ইহুদীরা সুড়ঙ্গটিকে স্থায়ী করার উদ্দেশ্যে সিমেন্ট দিয়ে পাকা করে এবং তাতে ছোট একটি ইহুদী উপাসনালয় নির্মাণ করে। ইসরাইলের তদানীন্তন প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী তাকে ইহুদীদের অস্থায়ী ইবাদতগাহ হিসেবে উদ্বোধন করেন।

৯ম পর্যায়ঃ ১৯৮৬ খৃঃ মসজিদে আকসার চারদিকে খননকাজ করা হয় এবং পুরাতন জেরুসালেম শহর থেকে বিরাটসংখ্যক মুসলিম নাগরিককে উচ্ছেদ করা হয়। সেখানকার ফিলিস্তিনী হাসপাতালটি বন্ধ করে দেয়া হয়।

১০ম পর্যায়ঃ এই পর্যায়ে মারাত্মক খননকাজ চালানো হয়। ইহুদীরা মসজিদে আকসার আঙিনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার নীচে খনন করতে চাইলে মসজিদের নিরস্ত্র মুসলিম রক্ষীরা তাতে বাধা দেয়। তখন তারা মসজিদের বেষ্টনী দেয়ালের বাইর থেকে খনন কাজ শুরু করে। উল্লেখ্য যে, বেষ্টনী দেয়ালের বাইরের মুসলিম এলাকাগুলো আগেই খালি করা হয়েছে এবং সেগুলো ইসরাইলী সামরিক বাহিনীর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সেখান থেকে তাদের খনন কাজ শুরু করতে বাধা নেই। ১৯৮৮ সালের আগস্ট মাসে, ইহুদীরা মসজিদ সংলগ্ন ওয়াদী এলাকা থেকে মসজিদ আকসাগামী রাস্তার মাঝামাঝি খনন শুরু করে। মসজিদের মুসলিম রক্ষীরা তাতে বাধা দেয়। কিন্তু খননকারীরা খনন অব্যাহত রাখে। খননকারীদের উক্ত খনন কাজের উদ্দেশ্য ছিল মসজিদে সাখরার নীচের মূল ভিত্তি পর্যন্ত পৌঁছা। তারপর মসজিদে আকসার পূর্ব দেয়ালের নীচে আরেকটা সুড়ঙ্গ খনন করা। জেরুসালেমের ইসলামী ওয়াকফ বিভাগ ষড়যন্ত্রটি বুঝতে পেরে খনন কাজ বন্ধ করার উদ্দেশ্যে মসজিদের পূর্ব দেয়াল সংলগ্ন বাইরের যমীনের উপর একটা বেড়া নির্মাণ করে। ইসরাইল সরকার বেড়া দেখে তা সরিয়ে ফেলার হুমকি দেয় এবং অজুহাত দেখায় যে, তা বিনা অনুমতিতে নির্মাণ করা হয়েছে। ইসলামী ওয়াকফ বিভাগের পরিচালক এর জবাবে বলেন, এটা যেহেতু ওয়াকফ বিভাগের সম্পত্তি, সেহেতু তাতে বেড়া দেয়ার জন্য কোন অনুমতির প্রয়োজন নেই। ওয়াকফ বিভাগের ঐ জবাবের প্রেক্ষিতে ইসরাইল সরকার তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে এবং সেই মামলা ১৯৮৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত চলতে থাকে। ১০ম পর্যায়ের খনন কাজ হচ্ছে সবচাইতে মারাত্মক কাজ। কেননা, এর উদ্দেশ্য হল মসজিদে আকসা ও সাখরার নীচ থেকে সকল মাটি ও পাথর সরিয়ে ফেলা। যাতে করে মসজিদ ২টা কোন রকম দাঁড়িয়ে থাকলেও যে কোন সময় ভূমিকম্প বা অন্য কোন কারণে ধসে পড়ে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ইহুদীরা হাইকালে সুলাইমানীর নিদর্শন খুঁজে পাওয়ার জন্য মসজিদে আকসায় যে খননকার্য পরিচালনা করছে, তা কতটুকু যুক্তিসংগত? ইহুদী প্রত্নতত্ত্ববিদরা বলছে, মসজিদে আকসা ও সাখরা এবং এই দুইটির আঙিনার নীচে হাইকালে সুলাইমানীর প্রত্নতাত্ত্বিক কোন নিদর্শনের অস্তিত্ব নেই। কোন কোন ইহুদী প্রত্নতত্ত্ববিদ বলেছে, হাইকাল আছে, তবে কোথায় আছে, তারা তা জানে না। তাহলে, উক্ত খননকার্যের উদ্দেশ্য মসজিদে আকসা ও সাখরা ধ্বংস করা ছাড়া আর কি হতে পারে?

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন