hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

আল আকসা মসজিদের ইতিকথা

লেখকঃ এ. এন. এম. সিরাজুল ইসলাম

৭৩
জেরুসালেম ও মসজিদে আকসা উদ্ধারের সঠিক উপায়
জেরুসালেম ও ফিলিস্তিন মুক্ত করার আন্দোলন চলছে। ফিলিস্তিনীরা প্রতিরোধ আন্দোলন করছে। কিন্তু তাদের মুক্তি আন্দোলনগুলো সবই ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শের কথা বলছে। অনেকগুলো পৃথক পৃথক মুক্তিসংস্থা সম্মিলিত প্রতিরোধ আন্দোলনের ধারা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে গড়ে তুলেছে ফিলিস্তিন লিবারেশন অর্গানাইজেশন। এটি একটি ফেডারেশন। সকল মুক্তিসংগঠনগুলো এর সদস্য। কিন্তু তারা সবাই ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শের ভিত্তিতে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের ঘোষণা দিয়েছে। সাথে রয়েছে জেরুসালেমকে রাজধানী করার ঘোষণা। ১৯৬৭ সালের জুন যুদ্ধে জর্দান থেকে ইসরাইলের কেড়ে নেয়া জর্দান নদীর পশ্চিমতীর ও গাজ্জা এলাকা নিয়ে জেরুসালেমকে রাজধানী করে তারা স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন করতে চায়।

প্রশ্ন হল, যদি ধর্মনিরপেক্ষতা কায়েম করাই উদ্দেশ্য হয়, তাহলে ইসরাইল থেকে পৃথক হয়ে খুব একটা লাভ হবে না। আলোচনা করলে ইসরাইল ফিলিস্তিনীদের জন্য ধর্মনিরপেক্ষ শাসন ব্যবস্থা কায়েম করবে। সেক্ষেত্রে পৃথক ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের সত্যিকার প্রয়োজন থাকে না।

ইসলামের লালনভূমি ফিলিস্তিনে অবশ্যই ইসলাম কায়েম করতে হবে। কেননা, সেখানেই হযরত ইবরাহীম, ইসহাক, ইয়াকুব, মূসা, হারুন, ইউশা, দাউদ, সুলাইমান, যাকারিয়া এবং ঈসা (আঃ)-এর আগমন ঘটেছে। সেই জমিনের প্রতিটি বালুকণা ইসলামী আদর্শের বাস্তব স্বাক্ষর। স্বয়ং মহানবী মুহম্মাদ (সাঃ)-এর মে’রাজের কারণে যে বাইতুল মাকদিস ধন্য হয়েছে, সেই জেরুসালেম ভিত্তিক ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের আদর্শ হবে ইসলাম, অন্য কোন মতবাদ নয়। সকল ফিলিস্তিনী এবং বিশ্বের সকল মুসলমানের কাছে বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া দরকার।

পক্ষান্তরে ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত ইহুদী রাষ্ট্র ইসরাইলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনীদের প্রতিরোধ আন্দোলন ৪০ বছর যাবত চলছে। কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষ উক্ত মুক্তি আন্দোলনগুলোর মাধ্যমে জেরুসালেম ও ফিলিস্তিনের মুক্তি আসেনি।

তাই আজ ফিলিস্তিনীদের দ্বীনি অংশের মধ্যে ইসলামের পুনর্জাগরণের অনুভূতি এসেছে এবং ইসলামকে তারা মুক্তি আন্দোলনের আদর্শ হিসেবে ঘোষণা করেছে। হামাস নামক মুক্তি সংস্থা দলীয় আদর্শ হিসেবে ইসলামের কথা ঘোষণা করায় অধিকৃত ফিলিস্তিনের জনগণের মধ্যে সাড়া পড়েছে। হামাসের আহ্বানে ১৯৮৭ সালের ৮ই ডিসেম্বর থেকে গোটা অধিকৃত ফিলিস্তিনে চলছে ইসরাইল বিরোধী গণ-আন্দোলন বা ইন্তেফাদা। এই ইন্তেফাদার কারণে বিশ্বব্যাপী ফিলিস্তিনী সমস্যার প্রতি সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে এবং জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে মধ্যপ্রাচ্য তথা ফিলিস্তিন সমস্যার সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। ফিলিস্তিন ও বাইতুল মাকদিসকে পুনরুদ্ধারের জন্য আপাততঃ যে সকল চেষ্টা চলছে সেগুলো হচ্ছে নিম্নরূপঃ

১. ইসলামী সম্মেলন সংস্থার উদ্যোগে জেরুসালেম কমিটি গঠিত হয়েছে। তারা জেরুসালেমকে রক্ষার বিষয়ে মুসলিম বিশ্বের প্রচেষ্টা ও ভূমিকার সমন্বয় সাধন করছে। মুসলিম রাষ্ট্রগুলো দুর্বল বলে জেরুসালেম কমিটি নিন্দা প্রস্তাব ও দুঃখ প্রকাশ ছাড়া বাস্তবে তেমন কিছুই করতে পারছে না।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন