hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কাদের রোযা কবুল হয়

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

১৪
রোযা কাদের উপর ফরয
 প্রাপ্তবয়স্ক, বুদ্ধিসম্পন্ন, সক্ষম, মুকীম মুসলমানের উপর রোযা ফরয।  অমুসলিমের উপর রোযা ফরয নয়, সে রোযা রাখলেও তা আলস্নাহর দরবারে কবুল হবে না। যেহেতু কোন ইবাদাত কবুল হওয়ার জন্য মূল শর্ত হল ইসলাম গ্রহণ করা। মহান আলস্নাহ বলেন,

وَمَا مَنَعَهُمْ أَنْ تُقْبَلَ مِنْهُمْ نَفَقَاتُهُمْ إِلَّا أَنَّهُمْ كَفَرُوْا بِاللهِ وَبِرَسُوْلِهِ

‘‘তাদের দান গ্রহণে বাধা কেবল এই ছিল যে, তারা আলস্নাহ ও তাঁর রাসূলকে অস্বীকার করে’’ (সূরা তওবা- ৫৪)। অমুসলিমের দানের মত জিনিস যদি কবুল না হয়, তাহলে অন্যান্য ইবাদাত কীভাবে কবুল হবে?

 অমুসলিম ইসলাম গ্রহণ করলে পূর্বের রোযা কাযা করতে হবে না।

قُلْ لِّلَّذِيْنَ كَفَرُوْا إِنْ يَنْتَهُوْا يُغْفَرْ لَهُمْ مَّا قَدْ سَلَفَ

‘‘কাফিরদেরকে বলে দাও! যদি তারা কুফরী থেকে বিরত হয়, তাহলে তাদের অতীতের পাপ ক্ষমা করে দেয়া হবে।’’ (সূরা আনফাল- ৩৮)

 নাবালক শিশুর উপর রোযা ফরয নয়। মহানবী সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়াসালস্নাম বলেন, ‘‘তিন ব্যক্তি থেকে (পাপ লিখার) কলম তুলে নেয়া হয়েছে; ১. পাগলের নিকট থেকে; যতক্ষণ না সে সুস্থ হয়। ২. ঘুমমত্ম ব্যক্তির নিকট থেকে; যতক্ষণ না সে জাগ্রত হয়। ৩. শিশুর নিকট থেকে; যতক্ষণ না সে বালেগ হয়। (সুনানে নাসাঈ, হা/৩৪৩২; ইবনে মাজাহ, হা/২০৪১)

 অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য শিশুদেরকে রোযা রাখার নির্দেশ দিতে হবে। শিশু রোযা রাখলে শুদ্ধ হবে এবং সওয়াবও পাবে। আর তার পিতা-মাতার জন্যও রয়েছে তরবিয়ত ও ভাল কাজের নির্দেশ দেয়ার সওয়াব। রম্নবাইয়্যি বিনতে মুআওয়াজ (রাঃ) বলেন, ‘‘আমরা আমাদের বাচ্চাদেরকে রোযা রাখাতাম এবং তাদের জন্য খেলনা রাখতাম। তাদের মধ্যে কেউ যখন খাবারের জন্য কাঁদত তখন আমরা ঐ খেলনা দিতাম। এভাবে ইফতারের সময় হয়ে যেত।’’ (সহীহ বুখারী, হা/১৯৬০; সহীহ মুসলিম, হা/২৭২৫)

উলেস্নখ্য যে, বালেগ হওয়ার লক্ষণ হল : ১. স্বপ্নদোষ বা অন্য প্রকারে বীর্যপাত হওয়া। ২. নাভির নিচে মোটা লোম গজানো। ৩. অথবা ১৫ বছর বয়স হওয়া। ৪. বালিকাদের ক্ষেত্রে একটি লক্ষণ হল মাসিক শুরম্ন হওয়া। বালিকার মাসিকের রক্ত আসতে শুরম্ন হলেই সে সাবালিকা; যদিও তার বয়স ১০ বছর।

(আশ্শারহুল মুমতে)

 পাগলের উপর রোযা রাখা অথবা রোযার পরিবর্তে দরিদ্রকে আহার করানো ওয়াজিব নয়। কেউ যদি কোন রোগ বা আঘাত ইত্যাদির কারণে বেঁহুশ বা অজ্ঞান হয়ে যায় তাহলে তার রোযা নষ্ট হয় না। যেহেতু সে জ্ঞান থাকা অবস্থায় রোযার নিয়ত করেছে। মূর্ছা ও জ্বিনে ধরা রোগীরও এই বিধান।

 রোযার মাসে কোন কাফির মুসলমান হলে, কোন অপ্রাপ্ত বয়স্ক বালিগ হলে এবং পাগলের পাগলামী সেরে গেলে রমাযানের বাকী দিনগুলোতে রোযা রাখতে হবে।

 হায়িয (মাসিক বা ঋতুস্রাব) ও নিফাসগ্রসত্ম (সমত্মান প্রসবোত্তর রক্ত যাওয়া) মহিলারা হায়িয ও নিফাস চলাকালে রোযা রাখবে না। তারা পরে তাদের ছুটে যাওয়া রোযার কাযা আদায় করবে। (সহীহ মুসলিম, হা/৭৮৯; নাসাঈ, হা/২৩১৮)

 গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারিণী মহিলাদের যদি গর্ভাবস্থায় বা দুগ্ধদানের কারণে রোযা রাখতে কষ্ট হয় অথবা তাদের সমত্মানদের প্রাণহানীর আশংকা করে তাহলে তারা রোযা রাখবে না। পরে যখন সুবিধা হয় এবং আশংকা দূর হয়ে যায় তখন কাযা করে নেবে। (তিরমিযী, হা/৭১৫; ইবনে মাজাহ, হা/১৬৬৭)

 স্থায়ী কারণে রোযা রাখতে অক্ষম যেমন, অতি বৃদ্ধ এবং এমন রোগী যার রোগ ভাল হওয়ার আশা করা যায় না তাদের প্রতিদিনের রোযার পরিবর্তে একজন মিসকীনকে আহার করাতে হবে।

মিসকীনকে খাদ্য দানের নিয়ম :

খাবার তৈরি করে একদিনে রোযার সংখ্যার সমপরিমাণ মিসকীনকে খাওয়ায়ে দেবে। অথবা একজন মিসকীনকেই ঐ পরিমাণ দিন খাওয়াবে। অথবা প্রত্যেক দিনের পরিবর্তে এক ফিতরা পরিমাণ খাদ্য (চাল, গম ইত্যাদি) মিসকীনকে দান করে দেবে।

 যেসব রোগীর রোগ সাময়িক এবং তা ভাল হওয়ার আশা আছে তারা কষ্ট হলে রোযা রাখবে না। সুস্থ হওয়ার পর রোযার কাযা করে নেবে।

فَمَنْ كَانَ مِنْكُمْ مَرِيْضًا أَوْ عَلٰى سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِّنْ أَيَّامٍ أُخَرَ

আলস্নাহ তা‘আলা বলেছেন, ‘‘যদি তোমাদের মধ্যে কেউ রোযার মাসে অসুস্থ হয়ে পড়ে অথবা সফরে থাকে তাহলে পরে গুণে গুণে সেই দিনগুলো পূর্ণ করে নেবে।’’ (সূরা বাকারা- ১৮৪)

 মুসাফির ইচ্ছা করলে রোযা রাখবে অথবা রোযা রাখবে না। পরে সে ছুটে যাওয়া রোযার কাযা পূর্ণ করবে।

আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, রমাযানের ষোল দিন গত হওয়ার পর আমরা নবী সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়াসালস্নাম-এর সাথে জিহাদ করেছিলাম, তখন আমাদের মধ্যে কেউ কেউ রোযা রেখেছিলেন আবার কেউ কেউ রাখেননি; কিন্তু এ কারণে কেউ কাউকে দোষারোপ করেননি। (সহীহ মুসলিম, হা/২৬৭১; মুসনাদে আহমাদ, হা/১১৭২৩)

সফরে যদি রোযা রাখার পরিবেশ ভাল থাকে এবং কষ্ট না হয় তাহলে রোযা রাখাই উত্তম, আর কষ্ট হলে না রাখা উত্তম।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন