মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
ইচ্ছা করে কোন কিছু খেলে বা পান করলে রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে। এমনটি কেউ করলে তাকে বিনীতভাবে তাওবা করতে হবে এবং ঐ রোযার কাযা ও কাফফারাহ আদায় করতে হবে। তবে কেউ যদি ভুলবশতঃ কিছু খেয়ে ফেলে তবে তার রোযা ভঙ্গ হবে না। রোযার কথা মনে পড়ার সাথে সাথে খাওয়া বন্ধ করে দেবে। অন্য কেউ দেখলে তাকে স্মরণ করিয়ে দেয়া উচিত। আলস্নাহ তা‘আলা বলেছেন, ‘‘তোমরা ভাল কাজে একে অপরের সহযোগিতা করো, তবে পাপ কাজে একে অপরের সহযোগিতা করো না।’’ (সূরা মায়িদা- ২)
রোযা অবস্থায় স্ত্রীর সাথে সহবাসে লিপ্ত হলে রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে। এমন ব্যক্তিকে খালিস নিয়তে তাওবাহ করতে হবে এবং তাকে কাফফারাহ আদায় করতে হবে।
রোযার কাফফারাহ :
আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেন যে, একজন লোক রাসূল সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়াসালস্নাম-এর নিকট এসে বলতে লাগল, হে আলস্নাহর রাসূল! আমি ধ্বংস হয়েছি। নবী সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়াসালস্নাম জিজ্ঞেস করলেন, কোন জিনিস তোমাকে ধ্বংস করেছে? সে বলল, আমি রমাযান মাসে দিনের বেলায় রোযা অবস্থায় স্ত্রীসঙ্গমে লিপ্ত হয়ে পড়েছি। তার কাফফারার জন্য আলস্নাহর নবী তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার কি গোলাম আজাদ করার মতো সামর্থ্য আছে? সে বলল, না। আবার তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি এক নাগাড়ে দুই মাস রোযা রাখতে পারবে কি? সে বলল, না। এরপর তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি ৬০ জন মিসকীনকে খাবার দিতে পারবে? সে বলল, না। নবী তাকে বললেন, তুমি বসো, এরপর নবীর নিকট একটি বড় খেজুর ভর্তি ঝুড়ি আনা হল। নবী বললেন, তুমি এগুলো সাদাকাহ করে দাও। তখন সে বলল, ‘‘মদীনার একপ্রামত্ম থেকে অপর প্রামত্ম পর্যমত্ম আমার চেয়ে গরীব আর কেউ নেই।’’ দয়ার নবী তার এ কথা শুনে হাসলেন, এমনকি তাঁর সামনের দাঁতগুলো প্রকাশিত হয়েছিল। এবার নবী সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়াসালস্নাম বললেন, এগুলো তুমি নাও এবং তোমার পরিবারকে খেতে দাও। (সহীহ বুখারী, হা/১৯৩৬; মুয়াত্তা ইমাম মালিক, হা/৬৫৭)
স্বামী-স্ত্রী উভয়ে রাজী হয়ে সহবাস করলে উভয়ের উপর কাফফারাহ ওয়াজিব হবে। আর যদি স্বামী স্ত্রীকে বাধ্য করে তবে স্ত্রী কেবল কাযা করবে আর স্বামীকে কাযা ও কাফফারাহ উভয়টিই আদায় করতে হবে।
যে নিজেকে সংযত রাখতে পারে তার জন্য স্ত্রীকে স্পর্শ করা, চুম্বন করা ও আলিঙ্গন করা জায়েয আছে। বুখারী ও মুসলিমের হাদীসে আছে, আয়েশা (রাঃ) বলেন, নবী সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়াসালস্নাম রোযা অবস্থায় চুম্বন করতেন, মাখামাখি করতেন, কিন্তু তিনি নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখার ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী ছিলেন। তবে যে অল্পতেই উত্তেজিত হয়ে যায় তার জন্য এসব থেকে বিরত থাকা উচিত; নতুবা জায়েযের পথ ধরে রোযা ভঙ্গ হওয়ার মত কিছু ঘটে যেতে পারে। আলস্নাহ তা‘আলা হাদীসে কুদসীতে বলেছেন, ‘‘রোযাদার আমার সমত্মুষ্টির জন্য তার যৌন আকাঙ্ক্ষাকে ত্যাগ করেছে।’’
স্বেচ্ছায় যে কোনভাবে বীর্যপাত ঘটালে রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে।
রোযা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে রোযা ভঙ্গ হবে না, কারণ এটা বান্দার ইচ্ছাধীন নয়, অনুরূপভাবে যদি কোন রোগজনিত কারণে এমনিতেই বীর্যপাত হয়ে যায় অথবা সাদা পানি বের হয় তাতেও রোযা ভঙ্গ হবে না।
রাতে গোসল ফরয হয়েছে; কিন্তু ঘুম থেকে উঠে দেখা গেল যে, গোসল করতে গেলে সাহারী খাওয়ার সময় থাকবে না, এ অবস্থায় আগে খেয়ে নেবে এবং পরে গোসল করে ফজরের নামায পড়বে। আযানের পরে গোসল করলেও রোযার কোন ক্ষতি হবে না।
রোযা অবস্থায় যদি এমন কোন ইঞ্জেকশন বা সস্নাইন নেয় যা পুষ্টি বা খাদ্যের কাজে ব্যবহৃত হয়, তাহলে রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে। তবে অন্যান্য ইঞ্জেকশন নিলে রোযা ভঙ্গ হবে না।
ইচ্ছা করে বমি করলে রোযা নষ্ট হয়ে যাবে, পরে কাযা করতে হবে। কিন্তু অনিচ্ছায় যদি কারো বমি আসে তবে রোযা ভঙ্গ হবে না। (তিরমিযী, হা/৭২৪; ইবনে মাজাহ, হা/১৬৭৬)
রোযা অবস্থায় মহিলাদের হায়িয বা নিফাস শুরম্ন হলে রোযা ভঙ্গ হবে। পরে কাযা করতে হবে। নিফাস বা মাসিক চলাকালে-তাসবীহ পড়া, আলস্নাহর কাছে দু‘আ করা, তাওবা-ইসেত্মগফার করা, কালিমা পড়া, নবীর উপর দরূদ পাঠ করা এবং ইসলামী বই-কিতাব পড়া এসব করতে কোন নিষেধ নেই; বরং এগুলো করা উচিত; তাহলে আলস্নাহর কথা মনে থাকবে। শয়তান ওয়াসওয়াসা দিতে পারবে না।
রাত্রে ফজরের আযানের একটু পূর্বে যদি হায়িয বা নিফাস বন্ধ হয়ে যায় অথবা সময়সীমা শেষ হয়ে যায় তাহলে এই দিনের রোযা রাখতে হবে, এ ব্যাপারে মহিলাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে।
রমাযানের কাযা রোযা দেরীতেও আদায় করা চলে, তবে তাড়াতাড়ি আদায় করে নেয়া ভাল। কারণ হায়াত-মউতের খবর তো কেউ জানে না।
ফরজ রোযা দায়িত্বে রেখে কেউ যদি মারা যায় তবে তার অলি (অভিভাবকরা) তার পরিবর্তে ফিদিয়া আদায় করবে।
এমন কিছু বিষয় আছে যা করলে রোযার কোন ক্ষতি হয় না। তাই এগুলোর ব্যাপারে সন্দেহ থাকা উচিত নয়। যেমন- রোযা অবস্থায় মেসওয়াক করা, গোসল করা, শরীরে তেল মালিশ করা, সুগন্ধি ব্যবহার করা, নাকে, কানে ও চোখে ঔষধ দেয়া, চোখে সুরমা ব্যবহার করা, মুখের থুথু গিলে ফেলা, প্রচ- গরমের কারণে শরীর ঠান্ডা করা, মাথায় পানি ঢালা। বিশেষ প্রয়োজনে তরকারীর লবণ বা ঝাল মুখে দিয়ে পরীক্ষা করা অথবা কোন খাদ্যদ্রব্য চিবিয়ে শিশুর মুখে দেয়া ইত্যাদি।
এমন কিছু কাজ আছে যা করলে রোযা একেবারে ভঙ্গ হয়ে যায় না; তবে রোযা ত্রম্নটিযুক্ত হয় এবং রোযার সওয়াব কমে যায়। যেমন- গীবত ও চোগলখোরী করা, পরস্পরে গালা-গালি করা, মারা-মারি করা, মিথ্যা কথা বলা, মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া, মুসলমানের মান-ইজ্জত নষ্ট করা, রাগান্বিত হওয়া, মূল্যবান সময়কে অনর্থক কাজে নষ্ট করা, অশস্নীল গান অথবা মিউজিক সম্বলিত যে কোন গান শ্রবণ করা, টেলিভিশনের পর্দায় অশস্নীল ছবি দেখা, নারীদের বেপর্দা হয়ে চলাফেরা করা, নারী-পুরম্নষের অবাধ মেলামেশা ও আড্ডা দেয়া ইত্যাদি। এ সকল কাজ সব সময়ের জন্য হারাম ও নিষিদ্ধ; তাই রমাযানে তো বটেই; রমাযান ছাড়া অন্যান্য সময়েও এসকল কাজ থেকে দূরে থাকা মুসলিম নর-নারীর উপর একামত্ম কর্তব্য।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/115/15
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।