hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কাদের রোযা কবুল হয়

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

২৫
রোযার উদ্দেশ্য
প্রত্যেকটি কাজের পরিকল্পনা গ্রহণের মূলে একটি লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য থাকে। সেই উদ্দেশ্যকে বাসত্মবায়িত করার জন্য কাজটি সম্পাদন করা হয়। মহান আলস্নাহ তাঁর বান্দাদের উপর একমাস রোযা রাখা ফরয করেছেন তাদেরকে উপবাস রেখে অযথা কষ্ট দেয়ার জন্য নয়। রোযা ফরয করার পেছনে এক বিরাট উদ্দেশ্য রয়েছে। যে আয়াতের মাধ্যমে আলস্নাহ তা‘আলা রোযা ফরয করেছেন সে আয়াতেরই শেষ অংশে সেই উদ্দেশ্যের কথা তিনি বলে দিয়েছেন। তাই আমাদের কর্তব্য হল সে বিষয়টি জানা এবং তা অর্জন করার জন্য চেষ্টা করা। কারণ কোন কাজ যে উদ্দেশ্যে করা হয় সে উদ্দেশ্য যদি সফল না হয় তবে কাজটি বিফলে যায়।

মহান আলস্নাহ তা‘আলা রোযার উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলেন-

يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِيْنَ مِنْ قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُوْنَ

হে ঈমানদারগণ! পূর্ববর্তী উম্মতের মত তোমাদের উপরও রোযা ফরয করে দেয়া হয়েছে, সম্ভবত এর মাধ্যমে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারবে। (সূরা বাকারা- ১৮৩)

এখান থেকে স্পষ্ট জানা গেল যে, তাকওয়া অর্জন করাই রোযার মূল উদ্দেশ্য। তাকওয়া এত মূল্যবান জিনিস যে, এর ফলে যে কল্যাণ ও উপকার পাওয়া যায় অন্য কিছুর দ্বারা তা পাওয়া যায় না। যেমন কোরআন থেকে হেদায়াত লাভে ধন্য হয় মুত্তাকীরা। আলস্নাহ বলেছেন, هُدًىْ لِّلْمُتَّقِيْنَ যাদের তাকওয়া আছে তারাই এর থেকে হিদায়াত বা পথের দিশা পায় (সূরা বাকারা-২)। সবচেয়ে বড় ও চিরস্থায়ী সুখ ও শামিত্মর ঠিকানা জান্নাতে মুত্তাকীরাই যাবে। আলস্নাহ বলেন, أُعِدَّتْ لِلْمُتَّقِيْنَ যাদের মধ্যে তাকওয়া আছে তাদের জন্য জান্নাত তৈরী করে রাখা হয়েছে। (সূরা আলে ইমরান- ১৩৩)

যত ভাল কাজ ও নেক আমল রয়েছে এর বাহ্যিক কাঠামো আলস্নাহর কাছে পৌঁছে না; বরং তাকওয়াই তাঁর কাছে পৌঁছে। আলস্নাহ তা‘আলা বলেন-

لَنْ يَّنَالَ اللهَ لُحُوْمُهَا وَلَا دِمَاؤُهَا وَلَكِنْ يَّنَالُهُ التَّقْوى مِنْكُمْ

‘‘তোমাদের কুরবানীর পশুর রক্ত এবং গোশত আলস্নাহর কাছে পেঁŠছে না; বরং তাকওয়াই আলস্নাহর কাছে পেঁŠছে।’’ (সূরা হাজ্জ- ৩৭)

এখন প্রশ্ন হল, তাকওয়া এমন কোন জিনিসের নাম যার এত মান-মর্যাদা, এত উপকারিতা যা অর্জন করার জন্য দীর্ঘ একটি মাস সাধনা করতে হয়?

তাকওয়ার শাব্দিক অর্থ রক্ষা করা, বেঁচে চলা, ভয় করা। পূর্ণাঙ্গ অর্থে তাকওয়া হচ্ছে মানুষের ভেতরে লুকায়িত এমন কিছু গুণের নাম যা আলস্নাহর খাওফ ও মুহাববাত (ভয় ও ভালবাসা) থেকে জন্ম নেয়, যা ভাল কাজের প্রেরণা দেয় এবং খারাপ কাজ থেকে দূরে রাখে। এজন্য যার মধ্যে তাকওয়ার গুণ অর্জিত হয়ে যায় সে জাহান্নাম ও আলস্নাহর শাসিত্মর ভয়ে গোনাহের কাজ করতে পারে না। আর জান্নাত ও আলস্নাহর ভালবাসা অর্জনের আশায় নেক আমল ছাড়তে পারে না। রোযার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে এ গুণটি অর্জিত হয়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন