hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাওহীদ ও আকাইদ

লেখকঃ সানাউল্লাহ নজির আহমদ, কামালুদ্দিন মোল্লা, ইকবাল হোসাইন মাসুম

১০৭
কোরআনুল কারীমের মূল্যায়নের দিকসমূহ :— (১) তেলাওয়াত করা: তেলাওয়াতের ফজিলত
(১) কোরআনুল কারীমের যথাযথ তিলাওয়াত ও অধ্যয়ন আল্লাহর সাথে একটি অতি লাভজনক ব্যবসা।

আল্লাহ তাআলা বলেন—

إِنَّ الَّذِينَ يَتْلُونَ كِتَابَ اللَّهِ وَأَقَامُوا الصَّلَاةَ وَأَنْفَقُوا مِمَّا رَزَقْنَاهُمْ سِرًّا وَعَلَانِيَةً يَرْجُونَ تِجَارَةً لَنْ تَبُورَ ﴿29﴾ لِيُوَفِّيَهُمْ أُجُورَهُمْ وَيَزِيدَهُمْ مِنْ فَضْلِهِ إِنَّهُ غَفُورٌ شَكُورٌ ﴿30﴾ ( فاطر : 29)

‘যারা আল্লাহর কিতাব পাঠ করে, সালাত কায়েম করে এবং আমি যা দিয়েছি তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারা এমন ব্যবসা আশা করে, যাতে কখনও লোকসান হবে না। পরিণামে তাদেরকে আল্লাহ তাদের সওয়াব পুরোপুরি দেবেন এবং নিজ অনুগ্রহে আরও বেশি দেবেন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল মূল্যায়নকারী। [সূরা : ফাতির-২৯-৩০]

কোরআন তিলাওয়াতকারী প্রত্যেক অক্ষরের পরিবর্তে একটি করে সওয়াব লাভ করে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন—

من قرأ حرفا من كتاب الله، فله حسنة، والحسنة بعشر أمثالها، لاأقول : ( الـم ) حرف، ولكن ألف حرف، ولام حرف، وميم حرف . رواه الترمذي

‘যে ব্যক্তি কোরআন কারীম থেকে একটি অক্ষর তেলাওয়াত করবে তাকে একটি নেকি দেয়া হবে। এক নেকি হবে দশ নেকির সমতুল্য। আমি একথা বলি না যে الم একটি অক্ষর বরং الف একটি অক্ষর لام একটি অক্ষর ميم একটি অক্ষর। ( الم তিলাওয়াত করলে ন্যূনতম ত্রিশটি নেকি প্রাপ্ত হবে) [তিরমিজি।]

(২) কোরআন তেলাওয়াতকারী ভিতর বাহির উভয় দিক থেকে উত্তম-উৎকৃষ্ট।

রাসূলুল্লাহ সা. বলেন—

مثل المؤمن الذي يقرأ القرآن مثل الأترجة : ريحها طيب، وطعمها طيب، ومثل المؤمن الذي لايقرا القرآن كمثل التمرة : لا ريح لها، وطعمها حلو، ومثل المنافق الذي يقرأ القرآن كمثل الريحانة : ريحها طيب، وطعمها مر، ومثل المنافق الذي لا يقرأ القرآن كمثل الحنظلة : ليس لها ريح، وطعمها مر . متفق عليه

‘যে মোমিন কোরআন তেলাওয়াত করে সে জামীর সদৃশ যার সুগন্ধি বড় চমৎকার এবং স্বাদও সুমিষ্ট। আর যে মোমিন কোরআন তেলাওয়াত করে না সে খেজুর সমতুল্য। যার ঘ্রাণ নেই, কিন্তু স্বাদ বড় মিষ্ট। আর যে মুনাফেক কোরআন পাঠ করে সে রাইহান ফলের মত যার সুগন্ধি চমৎকার কিন্তু স্বাদ বড়ই তিক্ত। আর যে মুনাফেক কোরআন পড়ে না সে হানযালা বা কেদাঁ ফলের সমতুল্য যার কোন ঘ্রাণ নেই এবং স্বাদও তিক্ত। [বোখারি ও মুসলিম]

(৩) কোরআন পাঠে সাকীনা (বিশেষ রহমত) অবতীর্ণ হয়।

عن البراء بن عازب رضي الله عنه قال : كان رجل يقرأ سورة الكهف وعنده فرس مربوط بشطنين ( بحبلين ) ، فتغشته سحابة، فجعلت تدنو، وجعل فرسه ينفر منها، فلما أصبح، أتى النبي صلى الله عليه وسلم، فذكر ذلك له فقال : تلك السكينة تنـزلت للقرآن . متفق عليه

সাহাবি বারা ইবনে আযেব রা. বর্ণনা করেছেন—জনৈক সাহাবি সূরা কাহাফ তেলাওয়াত করছিলেন। তার নিকট রশি দিয়ে বাঁধা একটি ঘোড়া ছিল। অল্প সময়ের মধ্যেই একটি মেঘ তাকে ঢেকে নিল এবং ক্রমেই সেটি কাছে আসছিল আর ঘোড়া ছোটাছুটি করছিল। সকাল হলে তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দরবারে উপস্থিত হয়ে পূর্ণ ঘটনা খুলে বললেন। শুনে রাসূলুল্লাহ সা. বললেন সেটি সাকীনা (এক প্রকার বিশেষ রহমত যা দ্বারা অন্তরের প্রশান্তি লাভ হয়) কোরআনুল কারীমের তেলাওয়াতের কারণে অবতীর্ণ হয়েছে। [বোখারি ও মুসলিম]

(৪) কোরআনের একটি আয়াত (পাঠ করা বা শিক্ষা দেয়া) উটের মালিক হওয়া অপেক্ষা উত্তম। রাসূলুল্লাহ সা. বলেন :—

أفلا يغدو أحدكم إل المسجد فيعلم أو يقرأ آيتين من كتاب الله عز وجل خير له من ناقتين، وثلاث خير له من ثلاث، وأربع خير له من أربع، ومن أعدادهن من الإبل . رواه مسلم .

‘তোমাদের কেউ কেন সকালে মসজিদে গিয়ে আল্লাহর কোরআন হতে দু’টি আয়াত পড়ে না বা শিক্ষা দেয় না ? তাহলে সেটি তার জন্য দু’টি উট লাভ করার চেয়ে উত্তম হবে। তিনটি আয়াত তিনটি উট অপেক্ষা উত্তম। চারটি আয়ত চার উট অপেক্ষা উত্তম। অনুরূপ আয়াতের সংখ্যা অনুপাতে উটের সংখ্যা অপেক্ষা উত্তম।’ [মুসলিম]

(৫) কোরআনুল কারীম নিয়মিত তেলাওয়াতকারী ও তদনুযায়ী আমলকারীর পক্ষে কেয়ামতের দিন সুপারিশ করবে। রাসূল সা. এরশাদ করেন—

إقرؤوا القرآن، فإنه يأتي يوم القيامة شفيعا لأصحابه . رواه مسلم .

তোমরা কোরআন.তেলাওয়াত কর, কেননা, কোরআন কেয়ামত দিবসে তেলাওয়াত ও আমলকারীর জন্য সুপারিশকারী হিসেবে আবির্ভূত হবে। [মুসলিম] রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন :—

يؤتى يوم القيمة يالقرآن وأهله، الذين كانوا يعملون به فى الدنيا، تقدمه سورة البقرة وآل عمران تحاجان عن صاحبهما ). رواه مسلم .

কেয়ামতের দিন কোরআন এবং পৃথিবীতে কোরআনের মর্মানুযায়ী আমলকারীদেরকে এমতাবস্থায় উপস্থিত করা হবে সূরা বাকারাহ ও সূরা আলে ইমরান আগে আগে চলবে এবং এদের তেলাওয়াত ও আমলকারীদের পক্ষে সুপারিশ করতে থাকবে। [মুসলিম]

(৬) কোরআনের পাঠক ও আমলকারী দুনিয়া ও আখেরাত উভয় জগতে শ্রেষ্ঠত্ব লাভ করবে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন :—

خيركم من تعلم القرآن وعلمه . رواه البخاري .

‘যে কোরআন শিখে ও শিক্ষা দেয় সে তোমাদের শ্রেষ্ঠতর।’ [বোখারি]

কোরআন তেলাওয়াতের প্রতি সাহাবাদের আগ্রহ ছিল ঈর্ষণীয়। তেলাওয়াতের মর্যাদা জানার পর তাদের কেউ কেউ সব সময়ের জন্য সারারাত না ঘুমিয়ে কোরআন তেলাওয়াতে কাটিয়ে দেয়ার সংকল্প করেছিলেন। রাসূলুল্লাহ সা. উক্ত সংকল্প সম্পর্কে জেনে এরূপ না করার পরামর্শ দিয়ে বললেন বরং প্রতি সাত দিনে একবার করে খতম করতে পার। তাইতো দেখা যায়, তাদের অধিকাংশই প্রতি সাত দিনে একবার করে খতম করতেন।

তেলাওয়াতের প্রতি তাদের এরূপ যত্নশীল হওয়া সত্ত্বেও যদি কখনো কেউ অন্য কাজে ব্যস্ততা হেতু বা ঘুমের কারণে রাতে পড়তে না পারতেন তাহলে পরদিন সে অংশটুকু অবশ্যই পড়ে নিতেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন :—

من نام عن حزبه أو عن شيء منه، فقرأه فيما بين صلاة الفجر وصلاة الظهر، كتب له كأنما قرأه من الليل . رواه مسلم

‘যে ব্যক্তি স্বীয় নির্ধারিত অংশ বা তার অংশ বিশেষ রাতে না পড়েই ঘুমিয়ে যায় অত:পর পরদিন ফজর ও জোহরের মধ্যবর্তী সময়ে পড়ে নেয়। তাহলে রাতে পড়া হয়েছে ধরেই আল্লাহর নিকট নির্বাচিত হবে। [মুসলিম]

আবার তাদের কেউ কেউ প্রতি দিনে একবার করে খতম করতেন। রমজান মাস আসলে কোরআন তেলাওয়াতের প্রতি তাদের চেষ্টা ও পরিশ্রম আরো বেড়ে যেত। রমজানে সালাতে এবং অন্য সময় তেলাওয়াতের জন্য তারা কঠোর পরিশ্রম করতেন। ইমাম বোখারি রহ. বলতেন :—

إذا دخل رمضان فإنما هو تلاوة القرآن وإطعام الطعام .

যখন রমজান আসবে তখন সেটি হবে একমাত্র কোরআন তেলাওয়াত ও অপরকে খাওয়ানোর মাস।

ইমাম মালেক রহ. রমজান আসলে হাদিসের অধ্যয়ন, ইলম শিক্ষার আসরসহ যাবতীয় কাজ ছেড়ে দিয়ে (রাতদিন শুধু) মাসহাফ থেকে কোরআন তেলাওয়াতের প্রতি বেশি মনোযোগী হতেন। এর অর্থ এই নয় যে, শুধু চিন্তা ও গবেষণার দিক ও তেলাওয়াতের হক প্রদানকে জলাঞ্জলি দিয়ে শুধু তেলাওয়াতের প্রতিই গুরুত্ব দেয়া হবে। বরং অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায় বা অক্ষর অস্পষ্ট থাকে এমন করে খুব দ্রুত বেগে তেলাওয়াত করার অনুমতি নেই। কালামুল্লাহ শরীফ তেলাওয়াতের অনেক আদব রয়েছে তেলাওয়াতকালে সে গুলোর প্রতি বিশেষ লক্ষ্য রাখা খুবই জরুরি।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন