hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাওহীদ ও আকাইদ

লেখকঃ সানাউল্লাহ নজির আহমদ, কামালুদ্দিন মোল্লা, ইকবাল হোসাইন মাসুম

১১১
তাদাববুর সহায়ক কিছু বিষয়াদি:— এমন অনেকগুলো বিষয় আছে যা কোরআন গভীর ভাবে চিন্তা-গবেষণা ও অনুধাবন করতে সাহায্য করে।
এর কিছু নিম্নে আলোচনা কর হল।

(ক) কিছু কিছু অর্থবহ আয়াত বার বার ঘুরে ফিরে তেলাওয়াত করা। এতে পরবর্তী তেলাওয়াতে এমন কিছু নতুন অর্থ ও তাৎপর্য মনে ভেসে উঠবে যা পূর্বের তেলাওয়াতে হয়নি এভাবে যতবার গভীর চিন্তাসহ পড়া হবে ততবার কিছু না কিছু নতুন বিষয় বুঝে আসবে। তিরমিজি শরীফের একটি হাদিসে এসেছে—রাসূল সা. রাতের সালাতে একটি আয়াত পড়েছেন এবং এটিই বার বার পড়তে পড়তে সকাল করে ফেলেছেন, আয়াতটি হচ্ছে—

إِنْ تُعَذِّبْهُمْ فَإِنَّهُمْ عِبَادُكَ وَإِنْ تَغْفِرْ لَهُمْ فَإِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ ﴿118﴾. ( المائدة :118)

‘আপনি যদি তাদের শাস্তি দেন তাহলে তারা আপনার বান্দা আর যদি ক্ষমা করে দেন তাহলে আপনিই পরাক্রান্ত, মহা বিজ্ঞ।’ [সূরা : মায়েদা : ১১৮]

সাহাবি তামীম আল-দারী নিম্নোক্ত আয়াত বার বার তেলাওয়াত করেছেন—

أَمْ حَسِبَ الَّذِينَ اجْتَرَحُوا السَّيِّئَاتِ أَنْ نَجْعَلَهُمْ كَالَّذِينَ آَمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ سَوَاءً مَحْيَاهُمْ وَمَمَاتُهُمْ سَاءَ مَا يَحْكُمُونَ . ( الجاثية : 21)

‘দুষ্কর্ম সম্পাদনকারীরা কি মনে করে, আমি তাদেরকে সে সব লোকদের সমান গণ্য করব যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে এবং তাদের জীবন ও মৃত্যু সমান হবে? তাদের সিদ্ধান্ত ও দাবি কত মন্দ!’ [সূরা : জাছিয়া:২১]

সালাফে সালেহীনদের ব্যাপারে এরূপ অনেক ঘটনা প্রসিদ্ধ আছে।

(খ) তাড়া-হুড়া না করে ধীরে ধীরে পাঠ করা। রাসূল সা. এর তেলাওয়াত ও পঠন পদ্ধতি এমনই ছিল, সালাতেও তিনি এভাবেই পাঠ করতেন। সাহাবি হুযায়ফা রা. বর্ণনা করছেন :—

أن النبي صلى الله عليه وسلم صلى، فكان إذا مر بآية رحمة سأل، وإذا مر بآية عذاب استجار، وإذا مر بآية فيها تنزيه لله سبح، ( رواه الترمذي )

‘রাসূলুল্লাহ সা. সালাত আদায় করতেন। যখন রহমতের আয়াত পাঠ করতেন তখন আল্লাহর পবিত্রতা ও দোষ ত্রুটি মুক্ত হওয়ার বর্ণনা সংবলিত আয়াত আসলে তার পবিত্রতা বর্ণনা করতেন।’ [তিরমিজি শরীফ] এটিই হচ্ছে আল্লাহ তাআলার নির্দেশ—

ورتل القرآن ترتيلا .

তারতীলের সাথে কোরআন তেলাওয়াত কর। এর বাস্তবায়নে সাহাবি ইবনে আববাস রা. বলেন—

لأن أقرأ سورة أرتلها، أحب إلي من أن أقرأ القرآن كله .

তারতীলের সাথে একটি সূরা তেলাওয়াত করা আমার নিকট (তারতীল বিহীন) পূর্ণ কোরআন তেলাওয়াত অপেক্ষা অধিক প্রিয়।

(গ) বিশ্লেষণ সহ অর্থ জানার চেষ্টা করা। কেননা অর্থ চিন্তা ও একাগ্রতায় সহায়ক।

(ঘ) তেলাওয়াতের আদব রক্ষা করে তেলাওয়াত করা।

(ঙ) তাদাববুর তথা চিন্তা ও গবেষণার ফজিলত ও উপকারিতা সম্পর্কে জানা। যেমন, একাগ্রতা ও নম্রতা সৃষ্টি হওয়া, আল্লাহর ভয়ে কান্না কাটি করা। ঈমান বৃদ্ধি পাওয়া ইত্যাদি। এখন বিষয়টি সকলের নিকট পরিষ্কার হল যে, শুধুমাত্র পঠন ও খতম করাই উদ্দেশ্য নয় আর এটিতো খুবই সহজ কাজ বরং মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বুঝা এবং বিধি-বিধান শিক্ষা করা।

এ নীতিই ইবনে ওমর রা. কে বাধ্য করেছিল যে, তিনি সূরা বাকারা পূর্ণ আট বৎসরে শিখেছেন। এমনটিই বর্ণনা করেছেন ইমাম মালেক রহ. তার মুয়াত্তা গ্রন্থে।

কোরআন পাঠকারী যখন তার পঠিত আয়াতগুলো গভীর চিন্তা করে অনুধাবন করতে থাকে তখন সে অন্য জগতে চলে যায়, তার অন্তর পরকালের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে যায় এবং এমন এক মজা অনুভব করতে থাকে যে পার্থিব ঐশ্বর্য বা তার কষ্টকে সম্পূর্ণ ভুলিয়ে দেয় এবং দুনিয়ার প্রতি উদাসীন করে দেয়। এ জন্যইতো নবী কারীম সা. বলেছিলেন—

( يابلال أقم الصلاة وأرحنا بها )

‘হে বেলাল সালাতের একামত দাও এবং এর মাধ্যমে আমাদের আরাম পৌঁছাও।’ আবু দাউদ। এবং তিনি নিজ সম্বন্ধে জানিয়েছেন—

وجعلت قرة عيني في الصلاة .

‘আমার চক্ষুর শীতলতা রয়েছে সালাতে।’

এ প্রসঙ্গে আববাদ বিন বিশরের ঘটনাটি কত না চমৎকার। ঘটনার বিবরণ হচ্ছে—

كان عباد بن بشر يحرس النبي صلى الله عليه وسلم وصحابته ليلا، فقام يصلي، فرماه رجل بسهم، ثم بسهم ثان، ثم بثالث، فأكمل صلاته، وأيقظ صاحبه في الحراسة عمار بن ياسر، فقال له لما رأى مابه من الدم : سبحان الله، أفلا أيقظتني أول ما رماك، قال عباد : كنت في سورة أقرأ، فلم أحبب أن أقطعها، ووالله لو لا أن أضيع ثغرا أمرني رسول الله صلى الله عليه وسلم بحفظه، لقطع نفسي قبل أن قطعها أو أنفذها .

তিনি নবী করীম সা. ও সাহাবাদের রাতের বেলায় পাহারা দিচ্ছিলেন, (এমনি বসে না থেকে) নামাজে দাঁড়িয়ে গেলেন। (শত্রু পক্ষের) এক লোক এসে তার প্রতি তীর নিক্ষেপ করল। অত:পর আরো একটি। তিনি নামাজ শেষ করে পাহারার কাজে তার সাথি আম্মার বিন ইয়াসির রা.-কে ডেকে তুললেন। আম্মার তার শরীরে রক্ত দেখে বললেন, সুবহানাল্লাহ, প্রথম তীর বিদ্ধ হওয়ার সাথে সাথেই আমাকে ডেকে তুললে না কেন ? আববাদ বললেন, একটি সূরা পড়ছিলাম, শেষ না করে তেলাওয়াত বন্ধ করতে মন চাইছিল না, আল্লাহর কসম করে বলছি। রাসূলুল্লাহ সা. যে সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব দিয়েছিলেন যদি সেটি ধ্বংস ও বিনষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা না থাকতো তাহলে তিলাওয়াত বন্ধ হওয়ার পূর্বে আমার প্রাণস্পন্দন বন্ধ হত।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন