hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাওহীদের কিশতী

লেখকঃ ডঃ মুহাম্মাদ বিন আবদুর রহমান আল উরাইফী

১১
শির্কের বিভিন্নরূপ
কিছু শির্ক আছে, যার কারণে ব্যক্তি ইসলাম থেকে বরে হয়ে কাফের হয়ে যায়। তওবা না করে উক্ত শির্ক নিয়ে সে যদি মৃত্যু বরণ করে, তবে চিরকাল জাহান্নামবাসী হবে। যেমন- গাইরুল্লাহ্‌র কাছে দুআ করা। গাইরুল্লাহ্‌ তথা কবর-মাজারের ওলী বা কোন জ্বিনের নৈকট্য পাওয়ার জন্য পশু যবেহ্‌ করা, নযর-মানত করা। কোন মৃত পীর বা ওলী বা দরবেশ বা জ্বিন বা শয়তানকে এরূপ ভয় করা যে, সে কোন ক্ষতি করতে পারে বা রোগ-বালাই দিতে পারে। এমনিভাবে গাইরুল্লাহ্‌র কাছে এমন কিছু আশা করা যা দেয়ার ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহ্‌ ছাড়া অন্য কারো নেই, যেমন- প্রয়োজন পূরণ, বিপদ থেকে উদ্ধার, সন্তান কামনা... যা আজকাল অধিকাংশ মাজার ও ওলীর দরবারে হয়ে থাকে।

কবর যিয়ারতের নাম করে মানুষ ঐসব মাজারে যায় এবং সরাসরি আল্লাহ্‌র সাথে শির্কে লিপ্ত হয়। অথচ কবর যিয়ারতের উদ্দেশ্য তো হবে শুধু উপদেশ গ্রহণ এবং মৃতের জন্য দুআ করা। যেমনটি নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরশাদ করেছেন, ( زُوْرُوْا الْقُبُوْرَ فَإنَّهَا تُذَكِّرُكُمُ الآخِرَةَ ) দুআতোমরা কবর যিয়ারত করতে পার, কেননা উহা তোমাদেরকে আখেরাতের কথা স্মরণ করাবে । (মুসলিম)

কবর যিয়ারত শুধু পুরুষদের জন্য বৈধ। নারীদের কবর যিয়ারত শরীয়ত সিদ্ধ নয়। নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অধিক কবর যিয়ারতকারী নারীদের প্রতি লাহনত (অভিসম্পাত) করেছেন। (তিরমিযী)

অপর পক্ষে কবর যিয়ারতের উদ্দেশ্য যদি হয় কবরবাসীর কাছে দুআ চাওয়া, তাদের কাছে উদ্ধার কামনা, প্রয়োজন পূরণ, তাদের উদ্দেশ্যে পশু বলী, তাদের বরকত লাভ, তাদের উদ্দেশ্যে নযর-মানত... তবে তা হবে সবচেয়ে বড় শির্ক। এ ক্ষেত্রে কবরবাসী নবী হোক বা ওলী বা কোন নেক ব্যক্তি কোন পার্থক্য নেই। কেননা তারা সবাই মানব জাতির অন্তর্গত। তারা কোন কল্যাণ-অকল্যাণের মালিক নন। আল্লাহ্‌ তাওআলা তাঁর সবচেয়ে প্রিয় রাসূল মুহাম্মাদ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে বলেন,  قُلْ لَا أَمْلِكُ لِنَفْسِي نَفْعًا وَلَا ضَرًّا  দুআআপনি বলুন! আমি নিজ প্রাণের কোন কল্যাণ ও ক্ষতি করার মালিক নই। (সূরা আ‘রাফ- ১৮৮)

উল্লেখিত শির্কের অন্তর্গত আরো বিষয় হল, যা আজকাল কতিপয় অজ্ঞ লোক নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর কবরের কাছে করে থাকে। যেমন- তাঁকে আহ্বান করে বা তাঁর কাছে দুআ চায় বা তাঁর নিকট উদ্ধার কামনা করে...। অথবা যা ঘটে থাকে আবদুল কাদের জিলানী বা শাহজালাল বা শাহ্‌পরাণ... প্রমূখ ওলীদের কবরের কাছে, এ সবকিছু শির্কের অন্তর্গত।

আর কবরের কাছে ছালাত আদায় বা কুরআন তেলাওয়াতের উদ্দেশ্যে তা যিয়ারত করতে যাওয়া একটি বিদআত। কেননা কবর ছালাত আদায় বা কুরআন তেলাওয়াতের স্থান নয়।

আশ্চর্যের বিষয় হল, অনেক মানুষ এমন আছে যারা মাজারে-কবরে যায়- সে ভাল করেই জানে যে কবরবাসী মৃত একটি লাশ যা মাটির সাথে মিশে গেছে। তারা যে অবস্থায় আছে তা থেকে মুক্ত হওয়ার ক্ষমতা তাদের নিজেরই নেই- তারপরও মানুষ দুওআ কবূল হওয়ার জন্যে তাদের কাছে দরখাস্ত জানায়, বিপদ থেকে উদ্ধার কামনা করে। এ সমস্ত কবর বা মাজারের অধিকাংশকেই পাকা করা হয়েছে। সেখানে নিয়োগ করা হয়েছে খাদেম ও পাহারাদার। এদেরকে দেখলে মনে হয় তারা কতবড় পরহেযগার ও আল্লাহ্‌ ওয়ালা। অথচ এরা ঐ সমস্ত মাজারের নামে কত রকমের মিথ্যাচার করে, আর মানুষকে শির্কের দিকে আহ্বান জানায়!

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন