hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাওহীদের কিশতী

লেখকঃ ডঃ মুহাম্মাদ বিন আবদুর রহমান আল উরাইফী

২২
তাবীজ-কবচ ব্যবহার..
তাবীজ-কবচ, সুতা, তাগা, রিং, বালা ইত্যাদি ব্যবহার করা। জ্বিন বা বদনযর থেকে বাঁচা, অসুখ থেকে মুক্ত হওয়া.. ইত্যাদি উদ্দেশ্যে মানুষ এগুলো ব্যবহার করে থাকে। কেউ যদি এগুলো উদ্দেশ্য পূরণের ওমাধ্যমহ হিসেবে ব্যবহার করে তবে তা হবে ছোট শির্ক। কিন্তু যদি বিশ্বাস করে যে এগুলোই উদ্দেশ্য হাসিল করে দিবে, বালা-মুছীবত দূর করে দিবে তবে তা হবে বড় শির্ক। কেননা এতে গাইরুল্লাহ্‌র সাথে নিজেকে সংশ্লিষ্ট করেছে। আল্লাহ্‌র সাথে গাইরুল্লাহ্‌কে নিয়ন্ত্রনকর্তা বা উপকার-অপকারের মালিক নির্ধারণ করেছে।

তাবীজ দু প্রকার:

১ম প্রকার: কুরআন থেকে। যেমন কাগজ, কাপড়, চামড়া ইত্যাদিতে কুরআনের আয়াত লিখে তাবীজ হিসেবে ব্যবহার করা। এটা জায়েয নয়। কেননা এরূপ করা নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে কোন সূত্রেই প্রমাণিত নয়। তাছাড়া এরূপ তাবীজ অন্য তাবীজের রাস্তা উম্মোচন করবে।

২য় প্রকার: কুরআন ছাড়া অন্য কিছু। যেমন জিনের নাম, যাদুকরদের বিশেষ w‎চহ্ন.. বিশেষ ধরণের নম্বর.. ইত্যাদি। এগুলো হচ্ছে শির্কের বাহণ।

রাসূলুল্লাহ্‌ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,( مَنْ تَعَلَّقَ تَمِيْمَةً فَقَدْ أشْرَكَ ) দুআযে ব্যক্তি তাবীজ ব্যবহার করবে সে শির্ক করবে । (আহমাদ, হাকেম) আবদুল্লাহ্‌ বিন মাসঊদ (রা:) বলেন, ওযে ব্যক্তি কোন মানুষের তাবীজ কেটে ফেলবে, সে একটি কৃতদাস আযাদ করার ছওয়াব পাবে।হ হুযায়ফা বিন ইয়ামান (রা:) একবার জনৈক অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে আসেন। লোকটি হাতে একটি লোহার রিং পরিধান করেছিল। তিনি বললেন, এটা কি? সে বলল, দূর্বলতার কারণে এটা পরিধান করেছি। তিনি বললেন, এ রিং খুলে ফেল। কেননা এটা তো তোমার দুর্বলতাকে আরো বৃদ্ধি করবে। এবস্তু হাতে রেখে যদি তোমার মৃত্যু হয়, তবে কখনই সফলকাম হবে না।হ

এমনিভাবে ঝাড়-ফুঁক। বিভিন্ন দুআ-যিকির যা অসুস্থ ব্যক্তির উপর পাঠ করা হয়। এর মধ্যে জায়েয শুধু তাই যা আল্লাহ্‌র কালাম বা তাঁর নাম ও গুণাবলীর দ্বারা হবে, যেমন অসুস্থ ব্যক্তির উপর সূরা ফাতিহা পাঠ করা বা সূরা ইখলাছ, ফালাক, নাস.. পাঠ করা। অথবা ছহীহ্‌ হাদীছ থেকে প্রমাণিত যে কোন দুওআর মাধ্যমে ঝাড়-ফুঁক করা। কিন্তু ঝাড়-ফুঁক করার সময় কোন জ্বিনের নাম নেয়া বা ফেরেস্তা নবী বা ওলী-আওলিয়ার নাম নেয়া গাইরুল্লাহকে ডাকার শামিল যা বড় শির্ক হিসেবে গণ্য।

ঝাড়-ফুঁক বৈধ হওয়ার পদ্ধতি: কুরআন বা প্রমাণিত দুআ থেকে পাঠ করে অসুস্থ ব্যক্তির উপর ফুঁ দিবে। অথবা পানিতে ফুঁ দিয়ে উক্ত পানি রুগীকে পান করতে দিবে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন