মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
অর্থাৎ- ইবাদতের নিয়তে কুরআন-সুন্নাহ্ বহির্ভূত কোন আমল করা এবং তা দ্বারা আল্লাহ্র সন্তুষ্টি কামনা করা। মুসলমানদের মধ্যে অনেকেই এধরণের অনেক বিদআতের প্রচলন ঘটিয়েছে। যেমন: নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর জম্ম দিবস পালন করা। সে উপলক্ষে মীলাদ মাহফিল করা, কিয়াম করা। অথবা কোন ওলী বা পীর বা বুযুর্গ ব্যক্তির জম্ম দিবস পালন করা। এগুলো দ্বীনের মাঝে নতুন সৃষ্টি, যা নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বা তাঁর ছাহাবীদের (রা:) মধ্যে কেউ করেন নি। ছহীহ্ হাদীছে বর্ণিত হয়েছে, নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: ( مَنْ أحْدَثَ في أمْرِناَ هَذاَ ماَ لَيْسَ مِنْهُ فَهُوَ رَدٌّ ) দুআযে ব্যক্তি আমার এই দ্বীনের মাঝে নতুন কিছু সৃষ্টি করবে, যা তার অন্তুর্ভূক্ত নয়, তবে তা প্রত্যাখ্যাত । (ছহীহ্ বুখারী) তিনি আরো বলেন, ( كُلُّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ وَكُلُّ بِدْعَةٍ ضَلاَلَةٌ ) দুআপ্রত্যেক নতুন সৃষ্টি বিদআত। আর প্রত্যেক বিদআত পথভ্রষ্টতা । (আহমাদ, নাসাঈ, আবুদাঊদ, ইবনু মাজাহ্) আল্লাহ্ তাহআলা এরশাদ করেন:
দুআআজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ করে দিলাম, আমার নিয়াহমত পূর্ণরূপে তোমাদেরকে প্রদান করলাম এবং ইসলামকে দ্বীন হিসেবে তোমাদের জন্য মনোনিত করলাম । (সূরা মায়েদা- ৩)
মীলাদ বা জম্ম দিবস অনুষ্ঠানের প্রচলন করার দ্বারা তো একথাই বুঝায় যে, আল্লাহ্ তাহআলা দ্বীনকে পরিপূর্ণ করেননি। (নাঊযুবিল্লাহ্) তাই পরবর্তী যুগের লোকেরা এ সমস্ত ইবাদতের উদ্ভাবন করে আল্লাহ্র নৈকট্য পেতে চায়। এটা কি আল্লাহ্ এবং রাসূলের উপর প্রশ্ন উত্থাপন নয়?
যে ধর্ম আল্লাহ্ মনোনিত করেছেন মীলাদ মাহফিল যদি তার অন্তর্গত হত, তবে রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অবশ্যই তা উম্মতের জন্য সুস্পষ্টরূপে বর্ণনা করে দিতেন এবং ছাহবায়ে কেরামও তার প্রতি আমল করতেন। অথচ ওলামায়ে দ্বীন দ্ব্যার্থহীন ভাষায় মীলাদের বিরোধিত করেছেন। কেননা এটি এমন এক ইবাদত যা সম্পূর্ণ নতুন ও বিদআত। বিশেষ করে যখন এর মধ্যে রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে নিয়ে বাড়াবাড়ি করা হয়.. মাহফিলে নারী-পুরুষ একত্রিত হয়.. বাদ্য যন্ত্রের ব্যবহার ঘটে। কখনো এ ধরণের মাহফিল শির্কে আকবার (বড় শির্ক) এর পর্যায়ে উপনিত হয়। যেমন, রাসূলুল্লাহ্ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর কাছে দুআ চাওয়া, তাঁর কাছে উদ্ধার কামনা, সাহায্য প্রার্থনা, তিনি গায়েব (অদৃশ্যের সংবাদ) জানেন বিশ্বাস করা, তিনি মাহফিলে হাজির হন এ বিশ্বাসে তাঁর সম্মানে দন্ডায়মান হয়ে ওক্বিয়ামহ করা... ইত্যাদি সবই কুফুরী বিষয়।
যেমন অনেকে বুছীরীর শির্কী কবিতা পাঠ করে:
হে সৃষ্টি সেরা, তুমি ছাড়া কার কাছে আমি আশ্রয় নিব?
তুমি ছাড়া কে আছে বিপদে-আপদে সাহায্য করবে?
ক্বিয়ামত দিবসে তুমি যদি আমার হাত না ধর
তাহলে তো আমি পা ফসকে জাহান্নামে চলে যাব।
দুনিয়ার মহাত্ম ও ক্ষয়-ক্ষতি তোমার মাধ্যমেই
লওহ-কলমের সমস্ত জ্ঞান তো তোমার জ্ঞানের ভান্ডার থেকে নিসৃত।
উল্লেখিত গুণাবলী তথা অদৃশ্যের জ্ঞান, ক্বিয়ামত দিবসে ক্ষমা, দুনিয়া-আখেরাতের কর্তৃত্ব তো শুধুমাত্র সেই মহান সত্বা আল্লাহ্র জন্যেই সমিচীন যাঁর হাতে রয়েছে আকাশ ও পৃথিবীর কর্তৃত্ব। তরাপরও এসমস্ত কথা মীলাদের মাহফিল সমূহে খুব বেশী শোনা যায়।
একটি প্রশ্ন: অনেকে বলে থাকে- এধরণের মাহফিলে তো রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কথা স্মরণ করা হয়, তাঁর পবিত্র জীবনীর উপর আলোচনা করা হয়?
জবাব: আমরা বলব, ভাল কথা; কিন্তু নবীজির স্মরণ তাঁর সীরাতের আলোচনা তো বছরের যে কোন সময় করা যায়। সারা বছরের মধ্যে একটি দিন নির্দিষ্ট করে এগুলো করার অর্থ কি? জুমআর খুতবায়, আলোচনা সভায়, সাধারণ দরসে... যে কোন সময় নবীজির জীবনী আলোচনা করা যায়। আল্লাহ্ বলেন,
দুআতোমরা যদি কোন বিষয়ে মতবিরোধ কর, তবে (ফায়সালার জন্য) তা আল্লাহ্ এবং তার রাসূলের দিকে প্রত্যাবর্তন কর । (সূরা নিসা- ৫৯) আমরা মীলাদ মাহফিলের বিষয়টি আল্লাহ্র কুরআনের মাধ্যমে যাচাই করতে গিয়ে দেখতে পাই- কুরআন আমাদেরকে আদেশ করছে নবীজির অনুসরণ করার এবং ঘোষণা দিচ্ছে যে, দ্বীন ইসলাম পরিপূর্ণ। রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর হাদীছের মাধ্যমে মীলাদ মাহফিলের সত্যতা যাচাই করতে গিয়ে দেখি তিনি কখনো এধরণের মাহফিল করেননি, কোন নির্দেশও দেননি। তাঁর ছাহাবায়ে কেরামও কখনো এরূপ মাহফিল অনুষ্ঠিত করেননি। এথেকে আমরা জানলাম এ কাজ দ্বীনে হক্বের অন্তর্ভূক্ত নয়; বরং এটি একটি নতুন কাজ- বিদআত। বরং বিষয়টি ইহুদী খৃষ্টানদের ধর্মোৎসবের সাথে সদৃশ্যপূর্ণ।
সুতরাং কোন বিবেকবান মানুষের জন্য সমিচীন নয় যে, অনেক মানুষ মীলাদ মাহফিল করে, তাই সেও তাদের ধোকায় পড়ে তাতে লিপ্ত হয়ে পড়বে। আল্লাহ্ বলেন,
দুআযদি তুমি পৃথিবীর অধিকাংশ লোকের অনুসরণ কর; তবে তারা তোমাকে আল্লাহ্র রাস্তা থেকে বিভ্রান্ত করে দেবে ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/40/37
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।