মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
সর্বপ্রথম শির্কের সূচনা হয় নূহ (আ:)এর জাতির মধ্যে। আল্লাহ্ তাওআলা নূহ (আ:)কে তাদের মাঝে নবী হিসেবে প্রেরণ করলেন। তিনি তাদেরকে আল্লাহ্র সাথে শির্ক করতে নিষেধ করলেন। যে ব্যক্তি তার আনুগত্য করে আল্লাহ্র একত্বকে মেনে নিল, সে মুক্তি পেল। আর যে শির্কের উপর প্রতিষ্ঠিত রইল, আল্লাহ্ তাকে মহাপ্লাবনের মাধ্যমে ধ্বংস করে দিলেন। নূহ (আ:)এর পর মানুষ বহুকাল তাওহীদের উপর প্রতিষ্ঠিত ছিল। তারপর ইবলীস আবার তাওহীদ ধ্বংসের ষড়যন্ত্রে মেতে উঠল। ফলে মানুষের মাঝে আবার শির্ক ছড়িয়ে পড়ল। আল্লাহ্ যুগে যুগে নবী-রাসূল প্রেরণ করতে থাকলেন। তাঁরা মানুষকে জান্নাতের সুসংবাদ দিলেন এবং জাহান্নামের ভয় দেখালেন। শেষ পর্যন্ত মুহাম্মাদ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম)কে সর্বশেষ নবী হিসেবে প্রেরণ করা হল। তিনি মানুষকে তাওহীদের প্রতি আহ্বান জানালেন। মুশরিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ (সশস্ত্র যুদ্ধ) করলেন। মূর্তী ভেঙ্গে চুরমার করলেন।
রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম)এর ওফাতের পর মানুষ তাওহীদের উপর প্রতিষ্ঠিত থেকে চলতে থাকল। এরপর কিছু লোকের মধ্যে আবার শির্কের প্রকাশ ঘটল। যার মূল কারণ ছিল ওলী-আওলিয়া এবং নেক লোকদের প্রতি সম্মান ও ভালবাসার ক্ষেত্রে অতিরঞ্জন। ফলে তাদের কবর সমূহে ঘর তৈরী হল, গম্বুজ বানানো হল, বিবেক বর্জিতভাবে কবরে মোমবাতি-আগরবাতী জ্বালানো হল, কবরকে পাকা করেই শেষ নয় তাকে লাল/সবুজ কাপড় দিয়ে ঢেঁকে দেয়া হল, উপরে টানানো হল মশারী (কি হাঁস্যকর ব্যাপার!) এবং শেষে শুরু হল সে সমস্ত কবরে প্রকাশ্য শির্ক। মানুষ তাদের কাছে দুআ চায়। তাদের কাছে বিপদ-আপদে উদ্ধার কামনা করে, সন্তান পাওয়ার আশায় তাদের মাজারে ধর্ণা দেয়, তাদের মাজারকে উদ্দেশ্য করে নযর-মানত করে...।
তারা এ শির্কের নাম রাখল নেক লোকদের ওসীলা বা মধ্যস্থতা। তাদের ধারণা অনুযায়ী এ হল নেক লোকদের প্রতি ভালবাসা। তারা মনে করল, এভাবে তাদেরকে ভালবাসলে এবং তাদের কবর সমূহকে সম্মান করলে আল্লাহ্র নৈকট্য পাওয়া যাবে। তারা ভুলে গেল ঠিক এ কথাই ছিল প্রথম যুগের মুশরিকদের। মূর্তী পূজা সম্পর্কে তারা বলেছিল,
দুআআমরা তো তাদের ইবাদত এজন্যই করি যে, তারা (এ মূর্তীগুলো) আমাদেরকে আল্লাহ্র নৈকট্য দান করবে । (সূরা যুমার- ৩)
আশ্চর্যের বিষয় হল আপনি যদি বর্তমান যুগের কবর পূজারী এ মুশরিকদের কর্যাবলীর প্রতিবাদ করতে যান, তারা আপনাকে বলবে, আমরা তো তাওহীদ পন্থী, আমাদের পালনকর্তার ইবাদত করি। তারা ভাবে তাওহীদ অর্থ একথার স্বীকারোw³ দেয়া যে, আল্লাহ্র অস্তিত্ব আছে, তিনি স্রষ্টা, হায়াত-মওতের মালিক, আর তিনিই ইবাদত পাওয়ার বেশী হকদার অন্যরা নয়। তাওহীদ সম্পর্কে এটি একটি ভুল ধারণা। কেননা এ অর্থ অনুযায়ী আবু জাহাল, আবু লাহাবও ছিল তাওহীদপন্থী। কেননা তারা বিশ্বাস করত যে, আল্লাহ্ই সবচেয়ে বড় মাবূদ। তিনি সব ইবাদতের হক্বদার। কিন্তু তারা আল্লাহ্র সাথে অন্য মাবূদকে শরীক করত, এই বিশ্বাসে যে, তারা (ঐ মাবূদগণ) তাদেরকে আল্লাহ্র কাছে পৌঁছিয়ে দিবে, তাদের জন্য আল্লাহ্র কাছে শুপারিশ করবে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/40/6
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।