hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাওহীদের কিশতী

লেখকঃ ডঃ মুহাম্মাদ বিন আবদুর রহমান আল উরাইফী

৪২
এক নযরে ইসলাম বিনষ্টকারী বিষয় সমূহ
বিদ্ব্যানগণ উল্লেখ করেছেন, ইসলাম বিনষ্টকারী বিষয় সমূহের কোন একটিতে লিপ্ত হওয়ার মাধ্যমে মুসলিম ব্যক্তি কখনো মুরতাদ হয়ে যেতে পারে। যার কারণে তাকে হত্যা করা বৈধ হয়ে যায়।

ইসলাম বিনষ্টকারী সর্বাধিক প্রসিদ্ধ ও ভয়ানক বিষয়গুলো হচ্ছে দশটি:

আল্লাহ্‌র ইবাদতে শির্ক করা। (শির্কের বিবরণ পূর্বে আলোচিত হয়েছে)

যে ব্যক্তি তার এবং আল্লাহ্‌র মাঝে কাউকে মধ্যস্থতাকারী নির্ধারণ করে, তাকে আহ্বান করে বা সুপারিশ চায় বা তার উপর ভরসা রাখে.. তবে সে আলেমদের ঐকমতে কাফের।

যে ব্যক্তি কাফের-মুশরিকদেরকে কাফের বলবে না বা তাদের কাফের হওয়ার ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করবে বা তাদের ধর্মকে সত্যায়ন করবে- সে কাফের। কেননা যে কেউ ইসলামকে দ্বীন হিসেবে গ্রহণ করবে না সে কাফের। চাই সে ইহুদী হোক বা খৃষ্টান বা বৌদ্ধ বা অন্য কিছু। চাই সে নিকটের লোক হোক বা দুরের।

যে ব্যক্তি বিশ্বাস করবে যে, নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর বিধান ব্যতীত অন্যের বিধান পূর্ণাঙ্গ বা উত্তম- যেমন অনেকে তাগূতদের বিধানকে নবীজির বিধানের উপর প্রাধান্য দিয়ে থাকে- সে কাফের।

একথার অন্তর্গত হল, যে ব্যক্তি বিশ্বাস করবে যে, মানুষের তৈরী আইন-কানুন ইসলামী শরীয়তের চাইতে শ্রেষ্ঠ বা তার বরাবর বা ঐ আইনের কাছে বিচার প্রার্থনা করা জায়েয [যদিও বিশ্বাস করে যে ইসলামী শরীয়তের বিধান উত্তম] অথবা বিশ্বাস করে যে, ইসলামী কলা-কানূন বিংশ শতাব্দীতে কার্যকর করা উপযুক্ত নয়, বা এটা হল মুসলমানদের অনগ্রসরতার কারণ, বা এধর্মের সীমাবদ্ধতা শুধু ব্যক্তি জীবনের সাথে সংশ্লিষ্ট- জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রে নয়- তবেও সে কাফের।

এমনিভাবে কেউ যদি মনে করে যে, আল্লাহ্‌র বিধান- চোরের হাত কাটা বা বিবাহিত ব্যভিচারীকে রজম করা (প্রস্তর নিক্ষেপ করে হত্যা করা) বর্তমান যুগের জন্য উপযুক্ত নয়- সেও কাফের।

এরকমই বিধান হল ঐ সকল ব্যক্তির ক্ষেত্রে যে বিশ্বাস করে যে, লেনদেন বা দন্ডবিধির ক্ষেত্রে গাইরুল্লাহর বিধান কার্যকর করা বৈধ- যদিও শরীয়তের বিধানের চাইতে উক্ত বিধানকে উত্তম বিশ্বাস না করে। কেননা এর দ্বারা হতে পারে সে আল্লাহ্‌র হারাম বিষয়কে হালাল করে নিবে। আর আল্লাহ্‌ যা হারাম করেছেন- যে সম্পর্কে জ্ঞান থাকা দ্বীনের একটি অতি যরুরী বিষয়- যেমন, ব্যভিচার, মদ, সুদ, গাইরুল্লাহ্‌র বিধান মানা... ইত্যাদি- তা যদি কেউ হালাল ঘোষণা করে তবে সে মুসলমানদের ঐকমতে কাফির।

রাসূলুল্লাহ্‌ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর ধর্মের কোন বিষয়কে কেউ যদি ঘৃণা করে তবে সে কাফের। যদিও সে বাহ্যিকভাবে তার প্রতি আমল করে। আল্লাহ্‌ বলেন,

ذَلِكَ بِأَنَّهُمْ كَرِهُوا مَا أَنزَلَ اللَّهُ فَأَحْبَطَ أَعْمَالَهُمْ

দুআএ কারণে যে তারা ঘৃণা করে আল্লাহ্‌ যা (কিতাব ও বিধান) নাযিল করেছেন, তাই আল্লাহ্‌ তাদের কর্মসমূহ বাতিল করে দিয়েছেন । (সূরা মুহাম্মাদ- ৯)

যে ব্যক্তি রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর দ্বীনের কোন বিষয় বা ছওয়াব বা শাস্তি.. ইত্যাদি নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করবে সে কাফের। দলীল আল্লাহ্‌র বাণী:

قُلْ أَبِاللَّهِ وَآيَاتِهِ وَرَسُولِهِ كُنتُمْ تَسْتَهْزِئُونَ لَا تَعْتَذِرُوا قَدْ كَفَرْتُمْ بَعْدَ إِيمَانِكُمْ

দুআবলুন! তোমরা কি আল্লাহ্‌, তাঁর নিদর্শন সমূহ এবং তাঁর রাসূলকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করছিলে? তোমরা ওযর পেশ করো না, ঈমান গ্রহণের পর তোমরা (এর মাধ্যমে) কাফের হয়ে গেছো। (সূরা তাওবাহ্- ৬৫, ৬৬)

যাদু এবং তৎসংশ্লিষ্ট বিষয় (যেমন, যাদু দ্বারা স্বামী বা স্ত্রীর জন্য এমন কিছু করা যাতে একজন অপরজনকে ঘৃণা করে। বা এমন কিছু করা যাতে একজন অপরজনকে বেশী ভালবাসে।) যে ব্যক্তি এগুলো করবে অথবা তাতে সন্তুষ্ট থাকবে সে কাফের হয়ে যাবে। দলীল আল্লাহ্‌র বাণী:

وَمَا يُعَلِّمَانِ مِنْ أَحَدٍ حَتَّى يَقُولَا إِنَّمَا نَحْنُ فِتْنَةٌ فَلَا تَكْفُرْ

দুআতারা দুহজন (হারূত-মারূত) যাদেরকেই যাদু শিক্ষা দিত, বলে দিত, আমরা তোমাদের জন্য ফিৎনা স্বরূপ, তোমরা (আমাদের কাছে যাদু শিখে) কুফরী করো না । (সূরা বাক্বারা- ১০২)

কাফেরদের সাথে বন্ধুত্ব করা। মুসলমানদের বিরূদ্ধে কাফের-মুশরিকদের সাথ দেয়া এবং তাদের সাহায্য করা। দলীল আল্লাহ্‌র বাণী:

وَمَنْ يَتَوَلَّهُمْ مِنْكُمْ فَإِنَّهُ مِنْهُمْ إِنَّ اللَّهَ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الظَّالِمِينَ

দুআতোমাদের মধ্যে যারা তাদের (কাফেরদের) সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করবে সে তাদেরই অন্তর্ভূক্ত বলে গণ্য হবে। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ যালেম সমপ্রদায়কে হেদায়াত করেন না । (সূরা মায়েদাহ্- ৫১)

যে ব্যক্তি বিশ্বাস রাখবে যে, তার জন্য মুহাম্মাদ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর শরীয়তের বিধি-বিধান থেকে বাইরে থাকার উপায় আছে, যেমন মূসার (আ:) শরীয়ত থেকে খিজিরের বাইরে থাকার সুযোগ ছিল। যেমনটি ছূফী মতবাদের কিছু লোক এধারণা করে থাকে যে, তাদের থেকে শরীয়তের বিধি-নিষেধ রহিত- তবে সে কাফের। দলীল আল্লাহ্‌র বাণী:

وَمَنْ يَبْتَغِ غَيْرَ الْإِسْلَامِ دِينًا فَلَنْ يُقْبَلَ مِنْهُ وَهُوَ فِي الْآخِرَةِ مِنْ الْخَاسِرِينَ

দুআযে ব্যক্তি ইসলাম ছাড়া অন্য কিছুকে দ্বীন হিসেবে অনুসন্ধান করবে, তার নিকট থেকে তা কবূল করা হবে না। আর আখেরাতে সে ক্ষতিগ্রস্থদের অন্তর্ভূক্ত হবে । (সূরা আল্ ইমরান- ৮৫)

আল্লাহ্‌র দ্বীন থেকে সম্পূর্ণ বিমূখ থাকা। দ্বীন সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করবে না, তদানুযায়ী আমলও করবে না- সে কাফের। দলীল আল্লাহ্‌ তাহআলার বাণী:

وَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّنْ ذُكِّرَ بِآيَاتِ رَبِّهِ ثُمَّ أَعْرَضَ عَنْهَا إِنَّا مِنْ الْمُجْرِمِينَ مُنتَقِمُونَ

ওওঐ ব্যক্তি অপেক্ষা কে বেশী যালিম (অত্যাচারী) হতে পারে, যাকে উপদেশ দেয়া হয়েছে স্বীয় প্রতিপালকের আয়াত সমূহ দ্বারা, অতঃপর সে উহা হতে বিমুখ হয়েছে? নিশ্চয় আমি অপরাধীদের থেকে প্রতিশোধ গ্রহণকারী। (সূরা সাজদাহ্- ২২)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন