hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কুরআনের আলোকে মূসা আলাইহিস সালামের ব্যক্তিত্ব ও দা‘ওয়াহ কার্যক্রম

লেখকঃ মো: আবদুল কাদের

১৪
(ঘ) বিনয় ও নম্রভাবে দা‘ওয়াত উপাস্থাপন
বিনয় ও নম্র এক উত্তম চারিত্রিক ভূষণ। আল্লাহর পথে দাওয়াত প্রদানকারীদের ক্ষেত্রে এর অধিকারী হওয়া অত্যাবশ্যক। বিনয় আল্লাহর পথে দাওয়াত প্রদানকারীকে মানুষের নিকটতম করে দেয় এবং তার প্রতি মানুষের শ্রদ্ধাবোধ ও ভালবাসা সৃষ্টি করে। আত্মম্ভিরতা ও অহংকার মানুষকে দূরে ঠেলে দেয়। মহান আল্লাহ তা‘আলা মূসা আলাইহিস সালামকে দা‘ওয়াতের ক্ষেত্রে বিনয় ও নম্রতা অবলম্বনের নির্দেশ দিয়েছেন। পবিত্র কুরআনে এ মর্মে ইরশাদ হয়েছে; ‘‘অতএব, তোমরা (মূসা ও হারূন আলাইহিস সালাম উভয়ে ফের‘আউনের সাথে নম্রভাবে কথা বল, সে হয়ত উপদেশ প্রহণ করবে অথবা ভীত হবে’’ [আল-কুরআন, সূরা ত্ব-হা : ৪৪।]।

অত্র আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা ফের‘আউন এর নিকট বিনীতভাবে দা‘ওয়াত উপস্থাপন করতে বলেছেন, যাতে তার অন্তর নরম হয় এবং দা‘ওয়াত গ্রহণে উদ্বুদ্ধ হয়। [জুমআ আলী আল-খাওলী, প্রাগুক্ত, ৩য় খণ্ড, পৃ. ২৮৩।] আল্লাহ তা‘আলা অত্যন্ত দয়ালু ও ক্ষমাশীল। তিনি বান্দাদের উপর সর্বদা অনুকম্পা ও অনুগ্রহের হাতছানি দিয়ে রেখেছেন। ফের‘আউন যদি কঠোর অবস্থা হতে নম্রতা প্রদর্শন করে তাহলে আল্লাহ দা‘ওয়াত গ্রহণে সাহায্য করবেন। ওহাব ইবনে মুনাববাহ বলেন, আয়াতের অর্থ হল- তোমরা ফের‘আউনকে বলে দাও, (আল্লাহ) আমি আমার ক্রোধ অপেক্ষায় রহমত ও অনুগ্রহের অধিক নিকটবর্তী। [ইবনে কাছির, তাফসীর আল-কুরআন আল-আযীম, ৫ম খ-, প্রাগুক্ত, পৃ. ১৬১।] যেহেতু ফের‘আউন ঔদ্বত্য প্রদর্শন করতঃ অহংকার বশে ইলাহ হওয়ার দাবী করেছিল সেহেতু তাকে কঠোর ভাষায় দা‘ওয়াত দিলে তা প্রত্যাখ্যাত হওয়া অবশ্যম্ভাবী। তাই আল্লাহ তা‘আলা অত্যন্ত বিনয়ের সুরে তাকে দীনের দিকে আহ্বান জানাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। পবিত্র কুরআনে মহানবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দা‘ওয়াহর’ ক্ষেত্রে এ পদ্ধতি গ্রহণের গুরুত্ব বুঝাতে গিয়ে আল্লাহ্ বলেন- “আল্লাহর অনুগ্রহেই আপনি তাদের প্রতি কোমল হৃদয়ের ছিলেন। যদি আপনি কঠোর হৃদয়ের অধিকারী হতেন, তাহলে তারা আপনার আশ-পাশ হতে দূরে সরে যেত।” [আল-কুরআন, সূরা আলে-ইমরান : ১৫৯।]

ইসলামী দা‘ওয়াহর ক্ষেত্রে এটি ‘হিকমত’স্বরূপ। যার অর্থ বিবেক, প্রজ্ঞা ও মেধা। [ইবন কাছির, তাফসীর আল-কুরআন আল-আযীম, ৩য় খ-, প্রাগুক্ত, পৃ ৪৪৪।] হিকমত বলতে সে সব বাক্য সমষ্টিকে বুঝায়, যা দ্বারা মানুষ উপদেশ গ্রহণ করতে পারে ও যা মানুষের অন্তরকে প্রভাবাম্বিত করে তা সংরক্ষণ করে অপরের নিকট পৌঁছায়। [আবু হাইয়্যান আন্দালুসী, আল-বাহর আল-মুহীত, ২য় খণ্ড-, বৈরুত: দারুল ফিকর, তা. বি.), পৃ. ৩২০।] এ মর্মে পবিত্র কুরআনে এসেছে-

‘‘হে রাসূল! আপনি আপনার প্রতিপালকের দিকে মানুষকে হিকমত, উত্তম উপদেশ ও উত্তম বিতর্কের মাধ্যমে আহ্বান করুন। [আল-কুরআন, সূরা আন-নাহল: ১২৫।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন