hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কুরআনের আলোকে মূসা আলাইহিস সালামের ব্যক্তিত্ব ও দা‘ওয়াহ কার্যক্রম

লেখকঃ মো: আবদুল কাদের

৪. দা‘ওয়াতী কার্যক্রমঃ
মূসা আলাইহিস সালাম যখন শক্তি সামর্থ এবং প্রজ্ঞা ও জ্ঞানের দিক থেকে পূর্ণ হয়ে পরিণত বয়সে উপনীত হন, তখন আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে রিসালাতের গুরু দায়িত্ব পালনের জন্য মনোনীত হন। এ মর্মে মহান আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘‘যখন মূসা যৌবনে পদার্পন করলেন এবং পরিণত বয়সে উপনীত হলেন, তখন আমি তাকে প্রজ্ঞা ও জ্ঞান দান করলাম। এভাবে আমি সৎকর্মশীলদের প্রতিদান দিয়ে থাকি। [আল-কুরআন, সূরা আল-কাসাস: ১৪।]

অত্র আয়াতে ‘‘হুকুম’’ বলে নবুয়্যত ও রেসালাত বুঝানো হয়েছে। আর পরিণত বয়স বলতে চল্লিশ বছরকেই বুঝানো হয়েছে। [মুফতী মোহাম্মদ শফী, প্রাগুক্ত, পৃ. ১০৭।] মুলতঃ আল্লাহ তা‘আলা তাকে চল্লিশ বছর বয়সে নবুওয়ত দান করেছিলেন। কারো কারো মতে, তখন তার বয়স ত্রিশ ও চল্লিশ এর মধ্যে অবস্থান করেছিল। [ড. ফুয়াদ আব্দুল্লাহ্ উমর, আল-উনছুল জালীল ফি কিসসাতে মুসা ওয়া ফির‘আউন ওয়া বনী ইসরাইল, (কুয়েত: মাকতাবাতু মানার আল-ইসলামিয়্যাহ, ১ম সংস্করণ, ১৯৯৮), পৃ. ২৯।] তবে, অধকাংশের মতে চল্লিশ বছর। কেননা, মানুষের জ্ঞান, শক্তি-সামর্থের পূর্ণতা ঘটে মূলতঃ চল্লিশ বছর বয়সে। পবিত্র কুরআনে এ মর্মে এসেছে, ‘‘অবশেষে সে যখন শক্তি-সামর্থের বয়সে ও চল্লিশ বছরে পৌঁছেছে (তখন আমি তাকে নবুওয়ত দান করি)। [আল-কুরআন, সূরা আল-আহকাফ: ১৫।]

এখানে আল্লাহ তা‘আলা স্বীয় একত্ববাদের ঘোষণা দিয়ে তারই ইবাদতের নির্দেশ দিয়েছেন এবং কিয়ামত দিবসের কথা অবহিত করেন। এ গুলোই হলো দীনের মূলনীতি। অতএব, তিনি মূসাকে লক্ষ্য করে বলেন ‘‘আর আমি নবী হিসেবে তোমাকে মনোনীত করেছি, সুতরাং তোমার প্রতি যে সকল ওহী হয় তা অত্যন্ত মনোযোগের সাথে শুন। [আল-কুরআন, সূরা ত্বা-হা : ১৩।] নিশ্চয় আমি আল্লাহ ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই। সুতরাং আমার ইবাদত কর, আর আমার স্মরণ হিসাবে নামায কায়েম কর। [আল-কুরআন, সূরা ত্বা-হা : ১৪-১৫।] অতঃপর আখিরাত সম্পর্কে বলেন,

‘‘কিয়ামত অবশ্যম্ভাবী। আমি কিয়ামত আসার নির্দিষ্ট তারিখ সমস্ত সৃষ্টির কাছে গোপন রাখতে চাই। কিয়ামত আসবে, যাতে প্রত্যেক ব্যক্তি স্বীয় কৃতকর্মের প্রতিফল পেতে পারে। কাজেই আপনাকে যেন এমন ব্যক্তি কিয়ামতের জন্য প্রস্তুত হওয়া থেকে বিরত না রাখতে পারে, যে এ সম্পর্কে বিশ্বাস রাখে নি এবং স্বীয় প্রবৃত্তির অনুসরণ করে চলে। যদি কিয়ামতের জন্য প্রস্তুত হতে নির্লিপ্ত হয়ে যাও, তা হলে তুমি ধ্বংস হয়ে যাবে। [আল-কুরআন, সূরা ত্বা-হা : ১৬।]

উপরোক্ত আয়াতে কারীমাগুলো মানব জীবনের অন্যতম প্রধান দিক আকীদা-বিশ্বাস সংশোধনের নিমিত্তে দীনের মূলনীতির প্রতি আলোকপাত করেছে। যেমন-

(ক) তাওহীদঃ আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়। তার সাথে কেউ শরীক নেই। তিনি আমাদের প্রতিপালক, রিযিকদাতা, পরিচয় এভাবে উপস্থাপন করেছেন। সুতরাং তিনিই একমাত্র উপাসনা পাওয়ার যোগ্য। মহান আল্লাহ নিজেই তার পরিচয় এভাবে উপস্থাপন করেছেন। পবিত্র কুরআনের অন্যত্র এসেছে,

‘‘হে মুসা! আমি আল্লাহ প্রবল পরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময়। [আল-কুরআন, সূরা ত্বা-হা :১৩।]

(খ) রিসালাতঃ যুগে যুগে মানব জাতিকে সঠিক পথের সন্ধান দিতে আল্লাহ অসংখ্য নবী রাসূল প্রেরণ করেছেন। উপরোল্লেখিত আয়াতে আল্লাহ রাববুল আলামিন তার প্রতিনিধিস্বরূপ মূসা আলাইহিস সালাম কে মনোনীত করার মাধ্যমে তার রিসালাতের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন।

(গ) আখিরাত : মানুষের জন্য দু‘টি জীবন রয়েছে। একটি ইহকালীন, অপরটি পরকালীন। ইহকালীন জীবন হলো ক্ষণস্থায়ী। কাজেই তাকে জীবনের চুড়ান্ত মনযিল ভাবা যাবে না। আর পরকালীন জীবন হলো চিরস্থায়ী। যেখানে মানুষকে অবশ্যই যাবতীয় কৃতকর্মের হিসাব দিতে হবে। পরকালীন জীবনে মানুষের কৃতকর্ম অনুসারে পুরষ্কৃত ও তিরস্কৃত করা হবে।

(ঘ) ইবাদত : আল্লাহ এক ও একক হিসেবে তিনিই একমাত্র ইবদাত পাওয়ার যোগ্য। এছাড়া অন্য কাউকে উপাস্য মানা যাবে না। এখানে ইবাদত বলতে সর্বপ্রধান ইবাদত নামাযকে উদ্দেশ্য করা হয়েছে।

উপরোক্ত বিষয়গুলো ইসলামী দা‘ওয়াহর মূল বিষয়বস্তু। যুগে যুগে নবী-রসূলগণ এ সব বিষয়ের প্রতিই মানুষকে আহ্বান জানিয়েছেন। নিম্নে অত্যন্ত সংক্ষিপ্তাকারে মূসা আলাইহিস সালাম এর দা‘ওয়াহ কার্যক্রম বিধৃত হলো:

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন