hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কুরআনের আলোকে মূসা আলাইহিস সালামের ব্যক্তিত্ব ও দা‘ওয়াহ কার্যক্রম

লেখকঃ মো: আবদুল কাদের

এক. আল্লাহর একত্ববাদের প্রতি আহ্বান
সর্বপ্রথম ফের‘আউনকে আল্লাহর একত্ববাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। আর আল্লাহই একমাত্র রব বা প্রতিপালক। এক্ষেত্রে অন্য কাউকে রব বা প্রতিপালক মনে করা মস্তবড় অপরাধ। এক আল্লাহর দিকে আহ্বান মানুষকে আল্লাহর সামনে সমপর্যায়ের করে থাকে। সে ক্ষেত্রে রাজা-প্রজার কোন ভেদাভেদ থাকে না। [জুমআ আলী আল-খাওলী, তারিখু দাও‘ওয়াহ, মিসর: দারুত তাব‘আতিল মুহাম্মাদিয়া, ১ম সংস্করণ, ১৪০৪ হি., ১ম খন্ড, পৃ. ২৮১।] পূর্ববর্তী সকল নবী-রাসূল মানুষদেরকে এর প্রতিই আহ্বান করেছিলেন। পবিত্র কুরআনে এসেছে :‘‘আপনার পূর্বে আমি যে রাসূল প্রেরণ করেছি তাকে এ আদেশই দিয়েছি যে, আমি ব্যতিত অন্য কোন উপাস্য নাই। সুতরাং আমারই ইবাদত কর। [আল-কুরআন, সূরা আল আম্বিয়া: ২৫।]

ইসলামী দা‘ওয়াতের মূল ও প্রতিপাদ্য বিষয় হল তাওহীদ। মূসা আলাইহিস সালাম তাওহীদের দা‘ওয়াতকেই বেশী গুরুত্ব দিয়েছেন। মহান আল্লাহ নিজেই তার নিজের পরিচয় তুলে ধরেছেন এভাবে, ‘‘তিনি আল্লাহ, যিনি ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই। তার অসংখ্য সর্বোত্তম নাম রয়েছে। [আল-কুরআন, সূরা ত্বা-হা :৮।] মূসা আলাইহিস সালাম আল্লাহর একত্ববাদের এজন্য গুরুত্ব দিয়েছিলেন যে, তৎকালীন ক্ষমতার মসনদে আসীন ফের‘আউন নিজেই উপাস্য হবার দাবী করেছিল। সে তাকে ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য আছে বলে বিশ্বাস করত না। এ মর্মে পবিত্র কুরআনে এসেছে, ‘‘আর ফের‘আউন বলল, হে সভাসদবর্গ! আমি নিজেকে ছাড়া তোমাদের আর কোন প্রভু আছে বলে জানি না।’’ [আল-কুরআন, সূরা আল-কাসাস: ৩৮।] মিসরবাসী তাকে সূর্য দেবতার অবতার বলে জানত। তারা বিশ্বাস করত যে, মানুষ ও অন্যান্য সৃষ্টির লালন-পালনের দায়িত্ব সূর্য দেবতার, আর মিসরের রাজ সিংহাসনের অধিকারী ফের‘আউন, সে সূর্য দেবতারই প্রতিচ্ছবি। তাই সমগ্র জগতের প্রতিপালনের অধিকারও তার করায়ত্তে। ফলে মিসরের সিংহাসনে যে অধিষ্ঠিত হত তার উপাধি হত ‘ফারা’ আর পরবতীর্তে এ উপাধীই ফের‘আউন রূপ ধারণ করে। [তাহের সুরাটী, প্রাগুক্ত, পৃ. ৩০৯।] মূসা আলাইহিস সালাম এর এ আহ্বান শ্রবণের পর ফের‘আউনের সভাসদমণ্ডলী উত্তেজিত হয়ে মূসা আলাইহিস সালাম এর শাস্তি দাবী করে। কুরআনে এসেছে, ‘‘আর ফের‘আউনের জাতির সরদাররা বলল, তুমি কি মূসা ও তার জাতীকে অবাধ ছাড়পত্র দিয়ে দিলে যে, তারা দেশে ইচ্ছেমত বিপর্যয় সৃষ্টি করুক, আর তোমাকে ও তোমার উপাস্য হওয়াকে পরিত্যাগ করুক। [আল-কুরআন, সূরা আল-আরাফ: ১২৭।]

এখানে ‘ইলাহ’ শব্দটি শুধুমাত্র স্রষ্টার উপাস্য অর্থে নয়, বরং সার্বভৌম ও স্বয়ংসম্পূর্ণ শাসক এবং আনুগত্য পাওয়ার অধিকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। মূসা আলাইহিস সালাম ও অন্যান্য নবী-রাসূলগণের ন্যায় স্বীয় কাওমকে আল্লাহর ইবাদতের দিকে আহ্বান করেছিলেন। কেননা, আল্লাহর রুবুবিয়াত তার ইবাদতকে অত্যাবশ্যক করে। তাছাড়া মূলতঃ সবাই আল্লাহর বান্দা। সে হিসেবে তিনি বনী ইসরাঈলের নিকট হতে আল্লাহর ইবাদত করার প্রতিশ্রুতি নিয়েছিলেন। ইরশাদ হয়েছে :‘‘আর স্মরণ কর সে সময়ের কথা, যখন আমি বনী ইসরাঈলের কাছ থেকে অঙ্গীকার নিলাম যে, তোমরা আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো উপাসনা করবে না। [আল-কুরআন, সূরা আল বাকারা: ৮৩।]

কিন্তু প্রতিশ্রুতি লাভের পরও বনী ইসরাঈলের অধিকাংশ লোক আল্লাহর ইবাদতে মশগুল হয়নি। ফলে তিনি আফসোস করে বলেন, ‘‘হে আমার সম্প্রদায় ! ব্যাপার কি? আমি তোমাদেরকে দা‘ওয়াত দেই মুক্তির দিকে , আর তোমারা আমাকে দাওয়াত দাও জাহান্নামের দিকে। তোমরা আমাকে বল যাতে আমি আল্লাহকে অস্বীকার করি এবং তার সাথে শরীক স্থাপন করি এমন বস্তুকে যার কোন প্রমাণ আমার কাছে নেই, অথচ আমি তোমাদেরকে পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল আল্লাহর দিকে আহ্বান করছি। [আল-কুরআন, সূরা আল-মু‘মিনুন: ৪১-৪২।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন