মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
আহমদ দীদাত রচনাবলি - ফজলে রাব্বী ও মুহাম্মদ গোলাম মোস্তাফা
লেখকঃ আহমদ দীদাত
১১
অধ্যায় তিনঃ পবিত্র গ্রন্থ আল কুরআনের বিশুদ্ধতা
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/599/11
পূর্বে উল্লেখিত আল্লাহর মহাগ্রন্থ আল কুরআনের অলৌকিকত্ব তো বিগত দিনের মানুষের ব্যাপার; কিন্তু আজকের দিনের মানুষের কাছে? আজকের অলৌকিকত্বের অবিশ্বাসের যুগে, আজকের খণ্ডিত অপ্রাকৃতিক যুগে, এবং ইলেকট্রনিক ইন্দ্রজাল কম্পিউটার—যে কম্পিউটার মানুষের বুদ্ধিবৃত্তির এক চরম উৎকর্ষ —সেই কম্পিউটারের যুগে? এই ইলেট্রনিক কম্পিউটারকে বাহন করেই আমরা আল-কুরআনের রত্নভূষিত বাণীর এক অদৃষ্টপূর্ব প্রান্তে উপনীত হলাম মাত্র, যা আল্লাহর এই মহাগ্রন্থকে প্রতিষ্ঠিত করে সৃষ্টির এক চরম ও পরম অলৌকিকত্ব, একটা মহান মোজেযা হিসেবে! অলৌকিকত্বের সহজ সংজ্ঞা হচ্ছে, “এমন একটা কাজ, যা মনুষ্য ক্ষমতার অতীত! প্রতিটি নাস্তিক, প্রতিটি অজ্ঞেয়বাদী, প্রতিটি খৃস্টান এবং সাম্যবাদীর সন্তুষ্টি সাধনে কিভাবে আমরা প্রমাণ করবো যে, আল কুরআন আল্লাহর বাণী এবং এই বাণী অলৌকিকের চেয়েও অলৌকিক? প্রমাণ সহকারে, যথার্থ বিজ্ঞান দ্বারা বিশ্বাসযোগ্য ভাবে আমরা তাদেরকে বিশ্বাস করবো; বিশ্বাস করাবো অংকশাস্ত্র দ্বারা যে অংকশাস্ত্র কখনোই পক্ষপাতিত্ব করে না এবং যার আবেদন ও ভাব প্রকাশভঙ্গি সার্বজনীন!
আল কুরআনের এই বৈশিষ্ট্য, এই অলৌকিকত্ব আপনি দেখতে পারেন, অনুভব করতে পারেন, স্পর্শ করতে পারেন এবং প্রয়োজনবোধে পরীক্ষাও করতে পারেন। আপনি আমেরিকান হোন অথবা চাইনীজ, আপনি রাশিয়ান হোন অথবা আফ্রিকান কিম্বা এশিয়ান—আপনি যাই হোন না কেন এর বৈশিষ্ট্য বা অলৌকিকত্ব বোঝার জন্য কুরআনের ভাষা আপনার জানবার দরকার নেই বা আরবিতে আপনার দক্ষ হবারও কোন প্রয়োজন নেই; শুধু এটুকুই আপনার প্রয়োজন হবে যে, আপনি চক্ষুম্মান এবং ১৯ (১০+৯) সংখ্যা পর্যন্ত আপনি গণনা করতে সক্ষম।
এই সর্বশেষ অলৌকিকত্ব বা মু'যিজা পরিপূর্ণভাবে উপলব্ধি করতে হলে কুরআনিক প্রত্যাদেশের প্রারম্ভ থেকেই শুরু করতে হবে আমাদেরকে। আমরা জানি, আল্ কুরআনকে যে অবস্থায় দেখছি, সেই ক্রমবিন্যাসরূপে কুরআন নাযিল হয়নি।
হযরত রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের ওফাতের পূর্বেই তার প্রত্যক্ষ ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে নির্দিষ্টভাবে ক্রমবিন্যাস করা হয়েছে এই কুরআন। কুরআনের সময়ানুক্রমিক বিন্যাস ছিল অন্য রকম। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লমের কাছে পরিপূর্ণ কুরআন নাযিল হয়েছিল তাঁর আশু প্রয়োজনে জনসাধারণকে পূর্ব ধারণা প্রদান, তাৎক্ষণিক সংবাদ পরিবেশন অথবা ঘটনার ঔজ্জ্বল্য প্রকাশের মতো সময়ে অল্প অল্প করে একে একে। আমরা স্মরণ করতে পারি তার প্রথম প্রত্যাদেশের ঘটনাটি! মক্কার তিন মাইল উত্তরে একটি পবর্তগুহায় তিনি ধ্যানমগ্ন! এটা ছিল পবিত্র রমজান মাসের ২৭ তারিখ। তাঁর বয়স তখন চল্লিশ বছর। প্রশান্ত পরিবেশে আল্লাহর ধ্যানের নিমিত্তে এই পবর্ত-গুহায় তিনি গিয়েছেন তাঁর অভ্যাস মত- কখনো একা, আবার কখনো বা তার প্রিয়তমা পত্নী উম্মুল মু'মিনিন হযরত খাদিজাতুল কোবরা রাদিআল্লাহু আনহাকে সঙ্গে নিয়ে। কিন্তু এই মহৎ ঘটনার দিন তিনি ছিলেন একা! সহসাই তার দর্শনে পতিত হলো এক অলৌকিক দৃশ্য—যার মধ্য হতে আল্লাহর শ্রেষ্ঠ দূত হযরত জিবরাঈল (আ) হযরত নবীজীর মাতৃভাষা আরবিতে উচ্চারণ করলেন, “পড়ুন!” প্রথম পরিদর্শনে জিবরাঈল (আ)-এর কাছ থেকে তিনি লাভ করলেন সূরা “আল আলাকের” নিমোক্ত প্রথম পাঁচটি আয়াত, কুরআনুল করীমের ৯৬ অধ্যায়ে এখন যা সন্নিবেশিতঃ
পাঠ কর, তোমার প্রভু এবং প্রতিপালকের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন, সৃষ্টি করেছেন মানুষকে আলাক (জমাট বাঁধা ঘনীভূত রক্তপিণ্ড) থেকেঃ পাঠ কর, আর তোমার প্রতিপালক মহা মহিমান্বিত, যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানতো না।
– সূরা আলাক ৯৬: ১-৫
(নকসা-১)
আল্লাহ তাঁকে মনোনীত করেছিলেন তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে। কিন্তু মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট ঐ মহা মুহূর্তটি ছিল না কোন জৌলুসে ভরা বা আনুষ্ঠানিকতাপূর্ণ। তিনি প্রস্তুতই ছিলেন না আকস্মিক আবেগের সেই প্রচণ্ড ধাক্কার জন্য। কিংর্তব্যবিমূঢ় অবস্থায় তিনি ছুটে গেলেন তাঁর প্রিয়তমা পত্নী উম্মুল মুমেনিন হযরত খাদিজাতুল কোবরার কাছে, আশ্বাসবাণী আর পৃষ্ঠপোষকতা লাভের দুর্বার আকাঙ্ক্ষায়।
প্রথম ধাক্কা কাটিয়ে উঠার পর তিনি তাঁর মনের মধ্যে গেঁথে নিলেন সেই অমিয় মোহন বাণী! আরও পাবার, আরও জানবার প্রবল বাসনা জাগরূক হলো তাঁর মনে! দীর্ঘ প্রতীক্ষা চলতে লাগল; এই মধ্যবর্তী সময়ে তিনি বলতে আরম্ভ করলেন আল্লাহর কথা, বলতে আরম্ভ করলেন উচ্চ ও মহৎ জীবনের কথা।
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম পাগল হয়ে গেছেন অথবা তাকে জ্বিনে আছর করেছে — এই কথা রটিয়ে বেড়াতে লাগলো বাচালেরা। এ অভিযোগের জবাবে দ্বিতীয়বার এলেন জিবরাঈল (আ)। তিনি প্রদান করে গেলেন আরও কিছু আয়াত কারীমা- পবিত্র কুরআনের ৬৮তম অধ্যায়ে সূরা আল-কলমে এখন যা সন্নিবেশিত। এই বিশেষ মুহুর্তে আমরা পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণ করতে চাই পবিত্র এই দ্বিতীয় আয়াটির দিকে,
নুন! শপথ কলমের এবং উহারা যা লিপিবদ্ধ করে, তার; তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহ তুমি উন্মাদ নও। তোমার জন্য অবশ্যই রয়েছে নিরবচ্ছিন্ন পুরস্কার, তুমি অবশ্যই মহান চরিত্রে অধিষ্ঠিত।
— সূরা কলম ৬৮: ১-৪
পবিত্র এই আয়াতসমূহে সর্বশক্তিমান আল্লাহ অপবাদকারীদের অভিযোগসমূহ প্রতিহত করেছেন। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছিলেন সবচেয়ে সুস্থ মনের ও বিজ্ঞ ব্যক্তিত্বের অধিকারী। কিন্তু মানুষের অভ্যাসই হচ্ছে সত্যকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করা, আর বিজ্ঞতাকে পাগলামী আখ্যা দেওয়া। তাঁর মহান পূর্বপুরুষ ইসা আলায়হিস সালামও (যীশুখৃস্ট) তার শত্রুদের কাছ থেকে রেহাই পাননি এই মিথ্যা অপবাদ হতে। যোহন লিখিত সুসমাচারের এই শ্লোকটি প্রণিধানযোগ্যঃ “এবং তাদের মধ্যে অনেকেই বললো, এ ভূতগ্রস্ত ও পাগল; তার কথা কে শুনছে?” (যোহন -১০: ২০)। এমনকি তাঁর প্রিয় সাথী কখনো কখনো ভাবতেন যে, যিশু (ইসা আলায়হিস-সালাম) দৈহিক ও মানসিক সুস্থতা থেকে বঞ্চিতঃ “এবং এ কথা শুনে তার আত্মীয়েরা তাকে ধরতে বের হলো, কেননা তারা বললো, সে হতজ্ঞান হয়েছে। আর অধ্যাপকেরা যিরুজালেম হতে এসেছিল, তারা বলল, একে বেলসবূবে পেয়েছে ভূতগণের অধিপতি দ্বারা এ ভূত ছাড়ায়।” (মার্ক- ৩: ২১-২২)।
এ বিদ্বেষ এবং তাঁর অন্যান্য বিস্ময়কর কৃতিত্বপূর্ণ কাজ সত্ত্বেও আমাদেরকে বলা হয় “তার ভাইয়েরাও তাকে বিশ্বাস করতো না” (যোহন ৭: ৫)। সৌভাগ্যের বিষয় হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম সম্বন্ধে ঠিক এমনটি অশুভ ইঙ্গিত করা হয়নি। তার প্রধান ও স্থায়ী ধর্মান্তরিত ব্যক্তিবর্গ ছিলেন তারাই, যাঁরা ছিলেন তাঁর নিকটতম প্রিয় পাত্র, যারা তাকে জানতেন ও চিনতেন সবচেয়ে বেশি।
আমরা একমত যে, তাঁর কাছে দ্বিতীয় প্রত্যাদেশ ছিল একটি অভিযোগের জবাব। তার পর জিবরাঈল (আ) এলেন তৃতীয়বারের মতো যেখানে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামকে দেওয়া হলো সূরা “আল মুজ্জাম্মিলের প্রথম কয়েকটি আয়াত, পবিত্র কুরআনের ৭৩ অধ্যায়ে যা সন্নিবেশিত হয়েছেঃ
হে বস্ত্রাবৃত! রাত্রি জাগরণ কর কিছু অংশ ব্যতীত, অর্ধ রাত্রি কিম্বা তদপেক্ষা অল্প অথবা তদপেক্ষা বেশি। আর কুরআন আবৃত্তি কর ধীরে ধীরে, স্পষ্ট ও সুন্দরভাবে। আমি তোমার প্রতি অবতীর্ণ করছি গুরভার বাণী।
— সূরা মুজ্জাম্মিল ৭৩: ১-৫
(নকসা -৩)
কিন্তু আমি এখানে আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই এই সূরার পঞ্চম আয়াত শরীফের দিকে যেখানে আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন ইঙ্গিত করেছেন, “আমি তোমার প্রতি অবতীর্ণ করছি গুরুভার বাণী ইন্না সানুলকী আলাইকা কাওলান সাকীলা।”
আল্লাহর বিনীত বান্দাহ্ হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি যা কিছু নাযিল হচ্ছিল, তার সবই ছিল সুন্দর, যথার্থ প্রয়োজনীয় এবং পরিকল্পনা ছিল। তার বার্তাবহের জন্যে তারই ইঙ্গিত এই “ইন্না সানুলকী আলায়কা কাওলা সাকীলা।”
চতুর্থ সাক্ষাতে জিবরাঈল আলাইহিস সালাম নবীজীর কাছে নিয়ে এলেন সূরা আল মুদ্দাসির-এর অর্ধেকেরও বেশি আয়াত ১ থেকে ৩০ পর্যন্ত কুরআনুল করীমের ৭৪ অধ্যায়ে যা দীপ্যমানঃ
( عَلَیۡهَا تِسۡعَةَ عَشَرَ )
আর এই ৩০ আয়াত পর্যন্ত পাঠ করেই জিবরাঈল আলাইহিস সালাম থেমে গেলেন, আর এগুলেন না।
(১) হে বাচ্ছাদিত! (২) ওঠ আর সতর্ক কর, (৩) এবং তোমার প্রতিপালকের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা কর, (৪) তোমার পরিচ্ছদ পবিত্র রাখ, (৫) পৌত্তলিকতা (শিরক) পরিহার করে চল, (৬) অধিক পাওয়ার প্রত্যাশায় দান করো না, (৭) এবং তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে ধৈর্য ধারণ কর। ............... (২৪) এবং ঘোষণা করলো এটা তো লোক পরম্পরায় প্রাপ্ত যাদু ভিন্ন কিছুই নয়, (২৫) এটা তো মানুষেরই কথা, (২৬) আমি তাকে নিক্ষেপ করবো সাকার-এ, (২৭) তুমি কী জান সাকার কী? (২৮) তা ওদেরকে জীবিতাবস্থায় রাখবে না এবং মৃত অবস্থায়ও ছেড়ে দেবে না। (২৯) এটা তো গাত্র চর্ম দগ্ধ করবে। (৩০) এরও উপর রয়েছে উনিশ।
— সূরা মুদ্দাসসির ৭৪: ১-৭ ও ২৪-৩০
(নক্সা ৪)
এখানে একটি বৈঠকে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামকে প্রদান করা হলো বেশ বড় কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আয়াতে করীমা। বলা যেতে পারে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামকে সুবিন্যস্ত করা হলো; প্রথম প্রত্যাদেশের ৫টি আয়াত থেকে এখন উন্নীত করা হলো ত্রিশ আয়াত পর্যন্ত। যদি প্রত্যাদেশ ঐ ত্রিশটি আয়াতের পর আরও ২৬টি আয়াত নাযিল করা হতো তা হলে সম্পন্ন হতে পারতো সূরাটি। কিন্তু জিবরাঈল (আ) থেমে গেলেন ৭৪ নম্বর সূরার ত্রিশ নম্বর আয়াত শরীফ পাঠ করেই।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/599/11
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।