hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

আহমদ দীদাত রচনাবলি - ফজলে রাব্বী ও মুহাম্মদ গোলাম মোস্তাফা

লেখকঃ আহমদ দীদাত

২৬
অধ্যায় দুইঃ ফিলিস্তীনের উপর বিতর্ক
১৯৮২ সালে যখন ইহুদীরা হঠাৎ লেবানন আক্রমণ করে বসল তখন একদিন আমি ডারবানের নাটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাসন-এর ফোন পেলাম। তিনি জানালেন তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা প্রিটোরিয়া দূতাবাসের একজন ইহুদী কর্মকর্তার বক্তৃতার আয়োজন করেছে। তিনি ফিলিস্তিন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করবেন।

একজন খাঁটি ব্রিটিশ হিসাবে তিনি মনে করেছেন যেখানে নানা জাতির ছাত্র রয়েছে (হিন্দু, মুসলমান, খ্রিস্টান ও ইহুদী), সেখানে এইরূপ বিতর্কিত বিষয় নিয়ে একতরফা বক্তৃতা ন্যায়সঙ্গত হবে না। মুসলমানদের মনোেভাব উপস্থাপন করার জন্য কেউ আমার নাম প্রস্তাব করেছে। তিনি জানতে চাইলেন এই সমস্যা নিয়ে ইহুদীর সঙ্গে বিতর্ক করতে আমি রাজি কি না। আমি সম্মত হলাম, কারণ বিগত ত্রিশ বছর যাবত ফিলিস্তিন নিয়ে ইহুদীদের সঙ্গে অসংখ্যবার তর্ক আলোচনা ও বাক্যালাপ করার অভিজ্ঞতা আমার রয়েছে।

বিতর্কের শিরোনাম

অধ্যাপক মহাশয় আমার নিকট জানতে চাইলেন বিতর্কের বিষয় হিসাবে কি শিরোনাম দেওয়া যেতে পারে। আমি সুপারিশ করলাম ‘ইসরাইলের নানা প্রসঙ্গ।’ অধ্যাপক মহাশয় সহজভাবে প্রস্তাবটি গ্রহণ করলেন এবং বললেন যে শিরোনামটি ভালই মনে হচ্ছে, তবে অনুষ্ঠানের সংগঠক ইহুদীদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করবেন।

কয়েকদিন পর আবার তিনি ফোন করে জানালেন ইহুদী ছাত্ররা আমার প্রস্তাবিত শিরোনাম খুব একটা পছন্দ করছে না। তারা এর পরিবর্তে শিরোনাম ঠিক করেছে ‘আরব ও ইসরাইল- সংঘর্ষ অথবা সমঝোতা'। এতে আমি সম্মত হলাম। তারা বলল আমাকে প্রথমে বলতে হবে। আমি এতেও রাজি হলাম।

উভয়দিকে আমাদের পরাজয়

এটা লক্ষ্য করার বিষয় যে, শিরোনামের মধ্যে একটা চালাকি রয়েছে। আমাদের ইহুদী ভাইরা বিতর্কের শুরুটাই আমাদের বেঁধে ফেলেছে। সংঘর্ষ অথবা সমঝোতা, আপনি কোন পক্ষ অবলম্বন করবেন? যদি সংঘর্ষের পক্ষে বিতর্কে নামি তবে সমস্ত শ্ৰোতাই আমাদের বিরুদ্ধে চলে যাবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা মনে করে তারা শান্তিপ্রিয় ও ন্যায়ের পক্ষে। তারা চাইবে যে উভয় পক্ষের বক্তব্য যথাযথভাবে শ্রবণ করবে ও ন্যায়সঙ্গত সিদ্ধান্তে পৌঁছবে। মুসলমানরা সংঘর্ষের পক্ষ নিলে বলবে তারা যুদ্ধবাদী। অন্যদিকে এই ফাঁদে পা না দেওয়ার জন্য যদি সমঝোতার পক্ষ অবলম্বন করি তাহলে ইহুদীরা বলবে, “আমাদের প্রতি প্রস্তর নিক্ষেপ করছ কেন?” আমরা যে পক্ষই অবলম্বন করি না কেন আমাদের হারতে হবে। এটা অনেকটা বিচার মানি কিন্তু তালগাছটা আমার।

এ রকমই ইহুদীদের প্রতিভা। আল্লাহ তাদেরকে অনেকের চাইতে অনেক বেশি বুদ্ধি দিয়েছেন। এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে একটা আমানত। আল্লাহ্ সকলকেই কোন কোন বিষয়ে অন্যদের থেকে কিছু বেশি দিয়ে থাকেন, এটা তার অসীম দয়া। এটা তিনি দান করেন পরীক্ষার জন্য।

উদ্দেশ্যহীন নয়

পবিত্র কুরআন থেকে আমরা জানতে পারি যখন মহা পরাক্রমশালী আল্লাহ তাঁর হাবীব ইবরাহিম (আ)-কে প্রথম সন্তান ইসমাইলের জন্মের সুসংবাদ দিলেনঃ

( فَبَشَّرۡنَـٰهُ بِغُلَـٰمٍ حَلِیم ࣲ)

অতঃপর আমি তাকে এক স্থিরবুদ্ধি পুত্রের সুসংবাদ দিলাম।

– কুরআন ৩৭: ১০১

তারপর যখন দ্বিতীয় সন্তান ইসহাকের জন্মের সুসংবাদ দিলেন তখন একটু ভিন্নভাবে দিলেনঃ

( قَالُوا۟ لَا تَوۡجَلۡ إِنَّا نُبَشِّرُكَ بِغُلَـٰمٍ عَلِیم ࣲ)

উহারা বলল, ‘ভয় করো না, আমরা তোমাকে এক জ্ঞানী পুত্রের শুভসংবাদ দিচ্ছি।

– কুরআন ১৫: ৫৩

বড় ছেলে ইসমাইলের চরিত্র, বৈশিষ্ট্য ও তার বংশধর আরবদের স্বভাব সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে তারা “হালিম” অর্থাৎ বিনয়ী, অনুগত, আল্লাহর রাস্তায় চলতে সদা প্রস্তুত। অপরপক্ষে ইসহাকের বংশধর ইহুদী জাতি। ইসহাক সম্বন্ধে বলা হয়েছে জ্ঞান, প্রজ্ঞা, দায়িত্ব সম্পন্ন ও বুদ্ধিমান।

নতুন কিছু নয়

“সংঘর্ষ অথবা সমঝোতা” প্রস্তাবের মাধ্যমে আমাদের চাচাতো ভাইয়েরা আমাদেরকে যেভাবে আটকাতে চাচ্ছে তা নতুন কিছু নয়। দুই হাজার বছর আগে তারা হতো হযরত ঈসা (আ)-এর সঙ্গে একই খেলা খেলছিল। ইহুদীরা বারবার হযরত ঈসা (আ)-এর নিকট প্রশ্ন ও ধাঁধা নিয়ে উপস্থিত হতো। তাদের অতুলনীয় চাটুকারিতা ও চালাকি লক্ষ্য করুন —

আর তারা হেরোদীয়দের সহিত আপনাদের শিষ্যগণকে দিয়ে তাঁকে বলে পাঠালো, গুরু, আমরা জানি, আপনি সত্য এবং সত্যরূপে ঈশ্বরের পথের বিষয় শিক্ষা দিয়েছেন, এবং আপনি কারো বিষয়ে ভীত নন, কেননা আপনি মানুষের মুখাপেক্ষা করেন না। ভাল, আমাদেরকে বলুন, আপনার মত কি? কৈসরকে কর দেওয়া বিধেয় কি না? কিন্তু যীশু তাদের দুষ্টামি বুঝে বললেন, কপটীরা, আমার পরীক্ষা কেন করছ? সেই করের মুদ্রা আমাকে দেখাও। তখন তারা তাঁর নিকটে একটি দীনার আনল। তিনি তাদের বললেন, এই মূর্তি ও এই নাম কার? তারা বলল, কৈসরের। তখন তিনি তাদেরকে বললেন, তবে কৈসরের যা যা কৈসরকে দাও, আর ঈশ্বরের যা যা ঈশ্বরকে দাও।... (বাইবেল-মথি ২২: ১৬-২১)

ঈসা (আ)-ও প্রশ্নকর্তাদের চেয়ে কম ইহুদী ছিলেন না। তারা তাকে ফাঁদে ফেলতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছে কিন্তু তিনি তাদের ফাঁদে পা দেননি। তিনি তাদেরকে ধরে ফেলেছিলেন। যদি তিনি উত্তর দিয়ে বলতেন “কর দাও” তাহলে তারা ও ইহুদী নেতারা জনগণকে বলত যে যীশু কোন মেসিহা নন (যীশু) বা রোমকদের হাত থেকে ইহুদীদের মুক্ত করার মত মানুষ তিনি নন, বরং নিপীড়নকারী রোমকদের পদলেহি। এর বিপরীত তিনি যদি বলতেন, “কর দিও না”, তাহলে তারা কর দিত না। কর না দেওয়ার কারণে তাদেরকে গ্রেফতার করা হলে তারা বলত, “আমাদেরকে মেসিহা কর দিতে বারণ করেছে।” তাহলে যিশু বিপদে পড়তেন। অর্থাৎ তিনি যাই বলতেন তাতে তিনি হেরে যেতেন। অর্থাৎ বিচার মানি তালগাছ আমার”।

যীশুকে বিভ্রান্ত ও মিথ্যা প্রতিপন্ন করার এটাই ইহুদীদের শেষ প্রচেষ্টা ছিল না। তাদের বড় বড় পণ্ডিত ও পুরোহিতরাও বারবার যিশুর নিকট এসেছিল।

তখন অধ্যাপক ও ফরীশীগণ ব্যভিচারে ধৃতা একটি স্ত্রীলোককে তাঁর নিকট আনল ও মধ্যস্থানে দাঁড় করিয়ে তাকে বলল, হে গুরু, এই স্ত্রীলোকটি ব্যভিচারী, সেই ক্রিয়াতেই ধরা পড়েছে। ব্যবস্থায় মোশি এ প্রকার লোককে পাথর মারবার আজ্ঞা আমাদেরকে দিয়েছেন; তবে আপনি কি বলুন? তারা তার পরীক্ষাভাবেই এই কথা বলল; যেন তাঁর নামে দোষারোপ করবার সূত্র পেতে পারে। কিন্তু যীশু হেঁট হয়ে অঙ্গুলি দ্বারা ভূমিতে লিখতে লাগলেন। পরে তারা যখন বারবার ভাঁকে জিজ্ঞাসা করতে লাগল। তিনি মাথা তুলে তাদের বললেন, তোমাদের মধ্যে যে নিস্পাপ, সেই প্রথমে একে পাথর মারুক। —যোহন ৮: ৩-৭

ইহুদীরা পুনরায় যিশুকে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করেছিল। বিশ্বের সকল নিপীড়িত ও দরিদ্রের ভালবাসার কারণে যিশু যদি বলতেন, “তাকে যেতে দাও”। তাহলে ইহুদীরা সমস্বরে ঘোষণা করত, এই ব্যক্তি ঈশ্বর প্রেরিত ব্যক্তি নয়। আমরা যে মসিহের জন্য অপেক্ষা করছি ইনি সেই লোক নন। লেকিও পুস্তকে একথা কি বলা নেই যে, ব্যভিচারী ও ব্যভিচারিণী উভয়ের প্রাণদণ্ড অবশ্যই হইবে?

অপরপক্ষে মূসা (আ) যদি আইন অনুযায়ী শাস্তি ঘোষণা করতেন তাহলে তারা নিশ্চয়ই স্ত্রীলোকটিকে পাথর মেরে হত্যা করত। অথচ রোম সাম্রাজ্যে ব্যভিচারের জন্য শাস্তি হিসাবে মৃত্যুদণ্ড প্রদান আইনসম্মত ছিল না। অতএব তিনি যদি ঘোষণা করতেন তাহলে নিজেই রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে অভিযুক্ত হতেন। বর্তমানে অবশ্য বিশ্বে কোথাও ইহুদী খ্রিস্টান রাষ্ট্রে ব্যভিচার প্রাণদণ্ডের যোগ্য অপরাধ নয়।

উভয় সংকট

যিশু দেখলেন তিনি উভয় সংকটে পড়েছেন। ইহুদীদের ফাঁদে ধরা পড়েছেন। দুটোই ইহুদীদের ফাঁদ। হয়তো মূসা (আ) আইন লঙ্ন করতে হয়, নয়তো রোমক আইন ভঙ্গ করতে হয়। তিনি এই সংকটের সমাধান নিজে করলেন না। বুদ্ধি করে এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসলেন। বললেন, তোমাদের মধ্যে যে নিস্পাপ, সেই প্রথমে একে পাথর মারুক (যোহন ৮: ৭)। তিনি তার জ্ঞাতিভাইকে ভালই জানতেন -‘এরা এইকালে দুষ্ট ও ব্যভিচারী লোক।’ (মথি ১২: ৩৯)

যেমন পিতা তেমন পুত্র

ইহুদীরা যিশুর সঙ্গে যেইরূপ ব্যবহার করেছিল তেমনি তাদের পুত্র তথা বংশধর বর্তমানের ইহুদীরাও আমার সঙ্গে করল। তারা চাইল যে বিতর্কের বিষয়বস্তু হোক ‘সংঘর্ষ অথবা সমঝোতা’।

বলা হল “আপনি যেমন চান তেমনি হবে”। আমি সম্মত হলাম। চোখ কান খুলেই সম্মত হলাম। সাধারণত মুসলমানরা চোখ বন্ধ করেই যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এর প্রমাণ জাতিসংঘের অসংখ্য প্রস্তাব, ডেভিড চুক্তি ও অসংখ্য যুদ্ধবিরতির চুক্তি। ইহুদীরা বলল, বক্তা হিসাবে আমাকেই প্রথম বলতে হবে। যদিও জানতাম প্রথমে বলার সুবিধাও আছে, অসুবিধাও আছে তবুও আমি সম্মত হয়েছিলাম।

উনিশশ' বিরাশি সালে নাতাল বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিতর্ক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ঠিক তখনই পশ্চিম বৈরুতের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় ইসরাইলিরা বোমা বর্ষণ করে। এই বিতর্ক সভা দারুণভাবে সফল হয়েছিল। বিতর্কের পরে প্রশ্ন উত্তর পর্ব অত্যন্ত প্রাণবন্ত হয়েছিল। শ্রোতাদের পক্ষ থেকে প্রচুর প্রশ্নবাণ নিক্ষিপ্ত হয়েছিল। সমগ্র অনুষ্ঠানটি ভিডিও টেপে ধারণ করা হয়। গর্বের বিষয় বর্তমানে আমাদের নিকট প্রায় ষাটটি উচ্চমান সম্পন্ন ভিডিও কর্মসূচি রয়েছে। তার মধ্যে আরব ও ইসরাইল-সংঘর্ষ না সমঝোতা এটিও আছে। এটি কেপটাউনে প্রদত্ত আমার একটি ভাষণ। ডক্টর ই. লোটেম এর সঙ্গে বিতর্কে প্রধান গুরুত্ব দিয়েছিলাম যে ফিলিস্তিন ভূমিতে ইহুদীদের কোন নৈতিক দাবি থাকতে পারে না। ১৯৮২ সালে অনুষ্ঠিত এই স্মরণীয় বিতর্কের পরে ডক্টর লোটেম আমার নিকট স্বীকার করেছিলেন যে, ফিলিস্তিনের সংঘর্ষের পিছনে খ্রিস্টানদের ষড়যন্ত্রই প্রধান। খ্রিস্টান বিশ্ব সম্ভবত চরমভাবে ধ্বংস হওয়ার জন্য একটি বিভীষিকাময় যুদ্ধ আরম্ভ হোক তাই চায়। এটাকে তারা বলে ফিলিস্তিনে ‘আরমা গেদন’। যতক্ষণ আরমা গেদন না হচ্ছে ততক্ষণ যিশু দ্বিতীয়বার আসবেন না। তাদের কাছে মানুষের মৃত্যু ও ধ্বংস যেন পিকনিক পার্টি। খ্রিস্টানদের কাহিনী যে যিশু মেঘের মধ্যে এসে সমস্ত বিশ্বাসীকে ডেকে নিয়ে যাবেন কিন্তু এই গল্প ইহুদীরা বিশ্বাস করে না। যিশুকে সত্বর ফিরিয়ে আনার জন্য খ্রিস্টানদের পাগলামি ইহুদীদের খাপ খায়। এর ফলে তারা খ্রিস্টানদের অন্ধ সমর্থন লাভ করতে পারে। ফিলিস্তিন সমস্যার সমাধান নামে আরেকটি বিতর্কের পরিকল্পনা করা হয়েছিল, কিন্তু খ্রিস্টানদের ষড়যন্ত্রে বানচাল হয়ে যায়।

( مِّنۡهُمُ ٱلۡمُؤۡمِنُونَ وَأَكۡثَرُهُمُ ٱلۡفَـٰسِقُونَ )

তাদের মধ্যে কিছু সংখ্যক মুমিন আছে; কিন্তু তাদের অধিকাংশ সত্যত্যাগী।

— কুরআন ৩: ১১০

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন